< বংশাবলির প্রথম খণ্ড 5 >

1 ইস্রায়েলের বড়ো ছেলে রূবেণের ছেলেরা: (তিনি বড়ো ছেলে ছিলেন, কিন্তু যখন তিনি তাঁর বাবার বিবাহ-শয্যা কলুষিত করলেন, তখন তাঁর জ্যেষ্ঠাধিকার ইস্রায়েলের ছেলে যোষেফের ছেলেদের দিয়ে দেওয়া হল; তাই তাঁর জন্মগত অধিকারের আধারে তিনি বংশতালিকায় স্থান পাননি,
ইস্রায়েলের বড় ছেলে রূবেণের ছেলে যদিও তিনি বড় ছিলেন, কিন্তু তিনি নিজের বাবার বিছানা অপবিত্র করেছিলেন, এজন্য তাঁর বড় ছেলের অধিকার ইস্রায়েলের ছেলে যোষেফের ছেলেদের দেওয়া হল, আর বংশাবলির বড় ছেলে অনুসারে উল্লেখ করা হয় না।
2 এবং যদিও যিহূদা তাঁর দাদা-ভাইদের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী ছিলেন ও তাঁর থেকেই একজন শাসনকর্তা উৎপন্ন হলেন, জেষ্ঠাধিকার কিন্তু যোষেফেরই থেকে গেল)
কারণ যিহূদা নিজের ভাইদের মধ্যে শক্তিশালী হল এবং তাঁর থেকেই নেতা সৃষ্টি হয়েছিল, কিন্তু বড় ছেলের অধিকার যোষেফের হল।
3 ইস্রায়েলের বড়ো ছেলে রূবেণের ছেলেরা: হনোক, পল্লু, হিষ্রোণ ও কর্মী।
ইস্রায়েলের বড় ছেলে রূবেণের ছেলেরা হল হনোক, পল্লু, হিষ্রোণ ও কর্মী।
4 যোয়েলের বংশধরেরা: তাঁর ছেলে শিময়িয়, তাঁর ছেলে গোগ, তাঁর ছেলে শিমিয়ি,
যোয়েলের বংশধর তাঁর ছেলে শিময়িয়, শিময়িয়ের ছেলে গোগ, গোগের ছেলে শিমিয়ি,
5 তাঁর ছেলে মীখা, তাঁর ছেলে রায়া, তাঁর ছেলে বায়াল,
শিমিয়ির ছেলে মীখা, মীখার ছেলে রায়া, রায়ার ছেলে বাল এবং বালের ছেলে বেরা।
6 এবং তাঁর ছেলে বেরা, যাঁকে আসিরিয়ার রাজা তিগ্লৎ-পিলেষর বন্দি করে নিয়ে গেলেন। বেরা রূবেণীয়দের একজন নেতা ছিলেন।
বেরা ছিলেন রূবেণীয়দের নেতা। অশূরের রাজা তিলগৎ পিলনেষর তাঁকে বন্দী করে নিয়ে গিয়েছিলেন।
7 বংশানুসারে তাদের আত্মীয়স্বজন, যারা তাদের বংশতালিকার আধারে নথিভুক্ত হলেন: দলনেতা যিয়ীয়েল, সখরিয়,
যখন তাদের বংশাবলি লেখা হল, তখন নিজের নিজের গোষ্ঠী অনুসারে তার এই ভাইদের [উল্লেখ করা হল]; প্রধান হল যিয়ীয়েল ও সখরিয়,
8 ও যোয়েলের ছেলে শেমা, তার ছেলে আসস, তার ছেলে বেলা। তারা অরোয়ের থেকে নেবো ও বায়াল-মিয়োন পর্যন্ত বিস্তৃত এলাকায় বসতি স্থাপন করলেন।
আর যোয়েলের ছেলে শেমার ছেলে আসসের ছেলে বেলা; সে অরোয়েরে নবো ও বাল্‌ মিয়োন পর্যন্ত জায়গায় বাস করত।
9 পূর্বদিকে তারা সেই মরুভূমির প্রান্ত পর্যন্ত বিস্তৃত এলাকা দখল করলেন, যা ইউফ্রেটিস নদী পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল, কারণ গিলিয়দে তাদের পশুপাল বৃদ্ধি পেয়েছিল।
আর পূর্বদিকের ফরাৎ নদী থেকে [বিস্তৃত] মরু এলাকার প্রবেশস্থান পর্যন্ত বাস করত; কারণ গিলিয়দ দেশে তাদের পশুপালের সংখ্যা বেড়ে গিয়েছিল।
10 শৌলের রাজত্বকালে তারা সেই হাগরীয়দের বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত হলেন, যারা তাদের হাতে পরাজিত হল; গিলিয়দের পূর্বদিকে গোটা এলাকা জুড়ে তারা হাগরীয়দের বাসস্থানগুলি দখল করে নিয়েছিলেন।
১০আর শৌলের রাজত্বের দিন তারা হাগরীয়দের সঙ্গে যুদ্ধ করল এবং এরা তাদের হাতে পরাজিত হল; আর তারা এদের তাঁবুতে গিলিয়দের পূর্ব দিকে সব জায়গায় বাস করল।
11 গাদ বংশীয় লোকেরা তাদের পাশাপাশি থেকে সল্‌খা পর্যন্ত বাশনে বসবাস করলেন:
১১গাদ গোষ্ঠীর লোকেরা তাদের সামনে বাশন দেশের সলখা পর্যন্ত বাস করত।
12 তাদের দলপতি ছিলেন যোয়েল, দ্বিতীয়জন শাফম, পরে যানয় ও শাফট, যারা বাশনে ছিলেন।
১২প্রধান যোয়েল, দ্বিতীয় শাফম, আর যানয় ও শাফট, এরা বাশনে থাকতেন।
13 পরিবার ধরে ধরে তাদের আত্মীয়স্বজন হলেন: মীখায়েল, মশুল্লম, শেবা, যোরায়, যাকন, সীয় ও এবর—মোট সাতজন।
১৩আর তাদের পরিবার অনুযায়ী আত্মীয় মীখায়েল, মশুল্লম, শেবা, যোরায়, যাকন, সীয় ও এবর, সবসুদ্ধ সাত জন।
14 এরা হলেন বূষের ছেলে যহদোর, তার ছেলে যিশীশয়, তার ছেলে মীখায়েল, তার ছেলে গিলিয়দ, তার ছেলে যারোহ, তার ছেলে হূরি, তার ছেলে যে অবীহয়িল, এরা সব তাঁর ছেলে।
১৪বূষের ছেলে যহদো, যহদোর ছেলে যিশীশয়, যিশীশয়ের ছেলে মীখায়েল, মীখায়েলের ছেলে গিলিয়দ, গিলিয়দের ছেলে যারোহ, যারোহের ছেলে হূরি, হূরির ছেলে অবীহয়িল, তারা সেই অবীহয়িলের ছেলে।
15 গূনির ছেলে অব্দিয়েল, তার ছেলে অহি, তাদের পরিবারের কর্তা ছিলেন।
১৫অব্দিয়েলের ছেলে অহি ছিলেন তাদের পিতৃকুলের প্রধান আর অব্দিয়েল ছিল গূনির ছেলে।
16 গাদ বংশীয় লোকেরা গিলিয়দে, বাশনে ও সেখানকার প্রত্যন্ত গ্রামগুলিতে, ও শারোণের সব চারণভূমি পর্যন্ত ছড়িয়ে-ছিটিয়ে বসবাস করতেন।
১৬তারা গিলিয়দে বাশনে ও সেখানকার উপনগর সকলে এবং তাদের সীমা পর্যন্ত শারোণের সমস্ত পশু চরাবার জায়গায় বাস করত।
17 যিহূদার রাজা যোথম ও ইস্রায়েলের রাজা যারবিয়ামের রাজত্বকালেই এরা সবাই বংশতালিকায় ঢুকে পড়েছিলেন।
১৭যিহূদার রাজা যোথম ও ইস্রায়েলের রাজা যারবিয়ামের রাজত্বের দিনের তাদের সবার বংশ তালিকা লেখা হয়েছিল।
18 রূবেণীয়, গাদীয় ও মনঃশির অর্ধেক বংশে 44,760 জন সামরিক পরিষেবার জন্য প্রস্তুত ছিল—যারা সুস্বাস্থ্যের অধিকারী ছিল এবং ঢাল ও তরোয়াল চালাতে পারত, ধনুক ব্যবহার করতে পারত, ও যুদ্ধের জন্য প্রশিক্ষিতও ছিল।
১৮রূবেণীয়দের, গাদীয়দের ও মনঃশি গোষ্ঠীর অর্ধেক লোক থেকে চুয়াল্লিশ হাজার সাতশো ষাটজন শক্তিশালী লোক যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত ছিল। তারা ঢাল, তলোয়ার ও ধনুকের ব্যবহার জানত এবং যুদ্ধে বেশ দক্ষ ছিল।
19 তারা হাগরীয়দের, যিটূরের, নাফীশের ও নোদবের বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত হল।
১৯তারা হাগরীয়দের সঙ্গে এবং যিটূরের, নাফীশের ও নোদবের সঙ্গে যুদ্ধ করল।
20 এদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার সময় তারা সাহায্য পেয়েছিল, এবং ঈশ্বর হাগরীয় ও তাদের মিত্রশক্তিকে তাদের হাতে সঁপে দিলেন, কারণ যুদ্ধ চলার সময় তারা তাঁর কাছে কেঁদেছিল। তিনি তাদের প্রার্থনার উত্তর দিলেন, যেহেতু তারা তাঁর উপর ভরসা রেখেছিল।
২০এদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবার দিন ঈশ্বর তাদের সাহায্য করেছিলেন। তিনি হাগরীয় ও তাদের পক্ষের সমস্ত লোকদের তাদের হাতে তুলে দিয়েছিলেন, কারণ যুদ্ধের দিন তারা ঈশ্বরের কাছে কেঁদেছিল। তারা তাঁর উপর নির্ভর করেছিল বলে তিনি তাদের প্রার্থনার উত্তর দিয়েছিলেন।
21 তারা হাগরীয়দের গবাদি পশুপাল দখল করে নিয়েছিল: 50,000-টি উট, 2,50,000-টি মেষ ও 2,000-টি গাধা। তারা 1,00,000 লোককেও বন্দি করল,
২১তারা হাগরীয়দের পঞ্চাশ হাজার উট, আড়াই লক্ষ ভেড়া ও দুই হাজার গাধা দখল করে নিল এবং এক লক্ষ লোককে বন্দী করে নিয়ে গেল।
22 এবং আরও অনেকে মারা পড়েছিল, কারণ যুদ্ধটি ঈশ্বরেরই ছিল। এবং নির্বাসনকাল পর্যন্ত তারা দেশটি অধিকার করেই থেকে গেল।
২২প্রকৃত পক্ষে অনেকে মারা গেল, কারণ ঈশ্বরের পরিচালনায় এই যুদ্ধ হয়েছিল। আর তারা বন্দী হবার দিন পর্যন্ত ওখানে বাস করল।
23 মনঃশির অর্ধেক বংশের লোকেরা সংখ্যায় প্রচুর ছিল; তারা সেই দেশে বাশন থেকে বায়াল-হর্মোণ, অর্থাৎ সনীর (হর্মোণ পর্বত) পর্যন্ত বসতি স্থাপন করল।
২৩মনঃশি গোষ্ঠীর অর্ধেক লোক সেই দেশে বাস করত; তারা সংখ্যায় বেড়ে গিয়ে বাশন থেকে বাল হর্মোণ, সনীর ও হর্মোণ পাহাড় পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছিল।
24 এরাই তাদের পরিবারের কর্তা ছিলেন: এফর, যিশী, ইলীয়েল: অস্রীয়েল, যিরমিয়, হোদবিয় ও যহদীয়েল। তারা সাহসী যোদ্ধা, বিখ্যাত পুরুষ, ও তাদের পরিবারের কর্তা ছিলেন।
২৪এইসব লোক তাদের বংশের নেতা ছিলেন এফর, যিশী, ইলীয়েল, অস্রীয়েল, যিরমিয়, হোদবিয় ও যহদীয়েল। এই সব শক্তিশালী বীর ও বিখ্যাত লোকেরা নিজের নিজের পরিবারের নেতা ছিলেন।
25 কিন্তু তারা তাদের পূর্বপুরুষদের ঈশ্বরের প্রতি অবিশ্বস্ত হলেন এবং তারা দেশের লোকদের সেইসব দেবতার উদ্দেশে বেশ্যাবৃত্তি চালিয়েছিলেন, ঈশ্বর যাদের তাদের সামনেই ধ্বংস করেছিলেন।
২৫এরা নিজের পূর্বপুরুষদের ঈশ্বরের বিরুদ্ধে অবিশ্বস্ত হল এবং ঈশ্বর সেই দেশের যে জাতিদেরকে তাঁদের সামনে থেকে ধ্বংস করে দিয়েছিলেন, তারা তাদের দেব দেবতাদের অনুসরণ করে অবিশ্বস্ত হল।
26 অতএব ইস্রায়েলের ঈশ্বর আসিরিয়ার রাজা সেই পূলের (অর্থাৎ, আসিরিয়ার রাজা তিগ্লৎ-পিলেষরের) মন উত্তেজিত করে তুলেছিলেন, যিনি রূবেণীয়দের, গাদীয়দের ও মনঃশির অর্ধেক বংশকে বন্দি করে নিয়ে গেলেন। তিনি তাদের সেই হলহে, হাবোরে, হারাতে ও গোষণ নদীতীরে নিয়ে গেলেন, আজও পর্যন্ত তারা যেখানে রয়ে গিয়েছে।
২৬তাতে ইস্রায়েলের ঈশ্বর অশূরের রাজা পূলের মন, অশূরের রাজা তিগ্লৎ পিলেষরের মন উত্তেজিত করে তুললেন, আর তিনি তাদেরকে অর্থাৎ রূবেণীয়, গাদীয়দেরকে এবং মনঃশি গোষ্ঠীর অর্ধেক লোককে নিয়ে গিয়ে হেলহ, হাবোর ও হারা এলাকায় এবং গোষণ নদীর ধারে নিয়ে গেলেন; আর আজও তারা সেখানেই আছে।

< বংশাবলির প্রথম খণ্ড 5 >