< বংশাবলির প্রথম খণ্ড 29 >

1 পরে রাজা দাউদ সমগ্র জনসমাজকে বললেন: “যাকে ঈশ্বর মনোনীত করেছেন, আমার ছেলে সেই শলোমনের বয়স কম ও সে অনভিজ্ঞও বটে। কাজটি তো সুবিশাল, যেহেতু এই প্রাসাদোপম অট্টালিকাটি মানুষের জন্য নয়, কিন্তু সদাপ্রভু ঈশ্বরের জন্যই তৈরি হচ্ছে।
وَقَالَ دَاوُدُ الْمَلِكُ لِكُلِّ الْجَمْعِ الْحَاضِرِ: «إِنَّ ابْنِي سُلَيْمَانَ الَّذِي اصْطَفَاهُ اللهُ وَحْدَهُ لايَزَالُ صَغِيراً غَضّاً، وَالْعَمَلُ الْمَطْلُوبُ ضَخْمٌ، لأَنَّ الْهَيْكَلَ لَيْسَ لإِنْسَانٍ بَلْ لِلرَّبِّ الإِلَهِ.١
2 আমার সব সম্বল দিয়ে আমি আমার ঈশ্বরের মন্দিরের জন্য জিনিসপত্রের ব্যবস্থা করেছি—সোনার কাজের জন্য সোনা, রুপোর কাজের জন্য রুপো, ব্রোঞ্জের কাজের জন্য ব্রোঞ্জ, লোহার কাজের জন্য লোহা ও কাঠের কাজের জন্য কাঠ, একইসাথে সাজসজ্জার জন্য স্ফটিকমণি, ফিরোজা, বিভিন্ন রংয়ের পাথর, ও সব ধরনের মসৃণ পাথর ও মার্বেল পাথর—এসবই আমি প্রচুর পরিমাণে জোগাড় করেছি।
وَقَدْ بَذَلْتُ كُلَّ جَهْدِي لِتَجْهِيزِ مَا يَتَطَلَّبُهُ بِنَاءُ هَيْكَلِ إِلَهِي مِنْ مَوَادَّ، فَوَفَّرْتُ الذَّهَبَ لِمَا يُصْنَعُ مِنْ ذَهَبٍ، وَالْفِضَّةَ لِمَا يُصْنَعُ مِنْ فِضَّةٍ، وَالنُّحَاسَ لِمَا يُصْنَعُ مِنْ نُحَاسٍ، وَالْحَدِيدَ لِمَا يُصْنَعُ مِنْ حَدِيدٍ، وَالْخَشَبَ لِمَا يُصْنَعُ مِنْ خَشَبٍ، وَحِجَارَةَ الْجَزَعِ وَجَوَاهِرَ ثَمِينَةً لِلتَّرْصِيعِ، وَحِجَارَةً ذَاتَ أَلْوَانٍ مُخْتَلِفَةٍ، وَحِجَارَةً كَرِيمَةً وَرُخَاماً كَثِيراً.٢
3 এর পাশাপাশি, আমি এই পবিত্র মন্দিরের জন্য এখনও পর্যন্ত যা যা দিয়েছি, সেগুলি ছাড়াও আমার ঈশ্বরের মন্দিরের প্রতি সমর্পণ দেখিয়ে আমি আমার ঈশ্বরের মন্দিরের জন্য এখন আমার ব্যক্তিগত সংগ্রহে থাকা সোনারুপোও দিয়ে দিচ্ছি:
وَلِفَرْطِ سُرُورِي بِبَيْتِ إِلَهِي، فَقَدْ قَدَّمْتُ مِنْ مَالِي الْخَاصِّ ذَهَباً وَفِضَّةً، بِالإِضَافَةِ إِلَى كُلِّ مَا أَعْدَدْتُهُ لِلْهَيْكَلِ.٣
4 ঘরের দেওয়ালগুলি মুড়ে দেওয়ার জন্য 3,000 তালন্ত সোনা (ওফীরের সোনা) ও 7,000 তালন্ত পরিশ্রুত রুপো,
وَهِيَ فِي جُمْلَتِهَا ثَلاثَةُ آلافِ وَزْنَةٍ (نَحْوَ مِئَةٍ وَثَمَانِيَةِ آلافِ كِيلُو جِرَامٍ) مِنْ ذَهَبِ أُوفِيرَ، وَسَبْعَةُ آلافِ وَزْنَةٍ (نَحْوَ مِئَتَيْنِ وَاثْنَيْنِ وَخَمْسِينَ أَلْفَ كِيلُو جِرَامٍ) مِنَ الْفِضَّةِ النَّقِيَّةِ لِتَغْشِيَةِ جُدْرَانِ الْبُيُوتِ.٤
5 সোনার কাজের জন্য সোনা ও রুপোর কাজের জন্য রুপো, এবং কারুশিল্পীদের দ্বারা সম্পন্ন সব কাজের জন্যই আমি এগুলি দিচ্ছি। এখন বলো দেখি, সদাপ্রভুর উদ্দেশে নিজেদের উৎসর্গ করার জন্য আজ কে কে ইচ্ছুক?”
فَالذَّهَبُ لِمَا يُصْنَعُ مِنْ ذَهَبٍ، وَالْفِضَّةُ لِمَا يُصْنَعُ مِنْ فِضَّةٍ. فَمَنْ يَرْغَبُ الْيَوْمَ فِي التَّبَرُّعِ لِخِدْمَةِ الرَّبِّ؟»٥
6 তখন বিভিন্ন বংশের নেতারা, ইস্রায়েলের বিভিন্ন গোষ্ঠীর কর্মকর্তারা, সহস্র-সেনাপতিরা ও শত-সেনাপতিরা, এবং রাজকার্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা স্বেচ্ছাপূর্বক দান করলেন।
فَتَبَرَّعَ زُعَمَاءُ عَائِلاتِ إِسْرَائِيلَ وَرُؤَسَاءُ أَسْبَاطِهِمْ، وَقَادَةُ الأُلُوفِ وَالْمِئَاتِ وَمُدِيرُو أَعْمَالِ الْمَلِكِ،٦
7 তারা ঈশ্বরের মন্দিরের কাজে 5,000 তালন্ত সোনা ও 10,000 অদর্কোন স্বর্ণমুদ্রা, 10,000 তালন্ত রুপো, 18,000 তালন্ত ব্রোঞ্জ ও 1,00,000 তালন্ত লোহা দিলেন।
وَقَدَّمُوا لِخِدْمَةِ هَيْكَلِ الرَّبِّ خَمْسَةَ آلافِ وَزْنَةٍ وَعَشَرَةَ آلافِ دِرْهَمٍ (نَحْوَ مِئَةٍ وَثَمَانِينَ أَلْفَ كِيلُو جْرامٍ) مِنَ الذَّهَبِ، وَعَشْرَةَ آلافِ وَزْنَةٍ (نَحْوَ ثَلاثِ مِئَةٍ وَسِتِّينَ أَلْفَ كِيلُو جْرامٍ) مِنَ الْفِضَّةِ، وَثَمَانِيَةَ عَشَرَ أَلْفَ وَزْنَةٍ (نَحْوَ سِتِّ مِئَةِ طُنٍّ) مِنَ النُّحَاسِ، وَمِئَةَ أَلْفِ وَزْنَةٍ (نَحْوَ ثَلاثَةِ آلافٍ وَسِتِّمَائَةِ طُنٍّ) مِنَ الْحَدِيدِ.٧
8 যার যার কাছে দামি মণিমুক্তো ছিল, তারা সেগুলি সদাপ্রভুর মন্দিরের কোষাগারে নিয়ে গিয়ে গের্শোনীয় যিহীয়েলের হাতে তুলে দিয়েছিল।
وَكُلُّ مَنْ وُجِدَتْ لَدَيْهِ حِجَارَةٌ كَرِيمَةٌ قَدَّمَهَا لِخَزِينَةِ الْهَيْكَلِ الَّتِي يُشْرِفُ عَلَيْهَا يَحِيئِيلُ الْجَرْشُونِيُّ.٨
9 প্রজারা তাদের নেতাদের স্বতঃস্ফুর্ত প্রতিক্রিয়া দেখে আনন্দ করল, কারণ তারা মুক্তহস্তে ও সর্বান্তঃকরণে সদাপ্রভুর উদ্দেশে দান দিলেন। রাজা দাউদও খুব খুশি হলেন।
وَاغْتَبَطَ الشَّعْبُ بِمَا قَدَّمَهُ عَنْ رِضًى لأَنَّهُمْ تَبَرَّعُوا لِلرَّبِّ بِقَلْبٍ كَامِلٍ، وَابْتَهَجَ الْمَلِكُ أَيْضاً ابْتِهَاجاً شَدِيداً.٩
10 দাউদ এই বলে সমগ্র জনসমাজের উপস্থিতিতে সদাপ্রভুর প্রশংসা করলেন, “তোমার প্রশংসা হোক, হে সদাপ্রভু, হে আমাদের পূর্বপুরুষ ইস্রায়েলের ঈশ্বর, অনাদিকাল থেকে অনন্তকাল পর্যন্ত হোক।
وَسَبَّحَ دَاوُدُ الرَّبَّ أَمَامَ الْجَمْعِ الْمُحْتَشِدِ قَائِلاً: «لَكَ الْحَمْدُ أَيُّهَا الرَّبُّ إِلَهُ أَبِينَا إِسْرَائِيلَ، مِنَ الأَزَلِ وَإِلَى الأَبَدِ.١٠
11 হে সদাপ্রভু, মহত্ত্ব ও ক্ষমতা তোমারই আর প্রতাপ ও রাজসিকতা ও ঐশ্বর্যও তোমারই, কারণ স্বর্গে ও মর্ত্যে সবকিছু তোমারই। হে সদাপ্রভু, রাজ্য তোমারই; সবকিছুর উপরে তুমিই মস্তকরূপে উন্নত।
لَكَ يَا رَبُّ الْعَظَمَةُ وَالسَّطْوَةُ وَالْجَلالُ وَالْبَهَاءُ وَالْمَجْدُ، لأَنَّ لَكَ كُلَّ مَا فِي السَّمَاءِ وَالأَرْضِ. أَنْتَ يَا رَبُّ صَاحِبُ الْمُلْكِ وَقَدْ تَعَالَيْتَ فَوْقَ رُؤُوسِ الْجَمِيعِ.١١
12 ধনসম্পত্তি ও সম্মান তোমারই কাছ থেকে আসে; তুমিই সবকিছুর শাসনকর্তা। সবাইকে উন্নত করার ও শক্তি জোগানোর জন্য শক্তি ও বল তোমারই হাতে আছে।
أَنْتَ مَصْدَرُ كُلِّ غِنىً وَكَرَامَةٍ، وَأَنْتَ الْمُتَسَلِّطُ عَلَى الْجَمِيعِ، وَالْمَالِكُ لِلْقُوَّةِ وَالسَّطْوَةِ، وَأَنْتَ الْقَادِرُ عَلَى تَعْظِيمِ الْجَمِيعِ وَتَقْوِيَةِ عَزِيمَتِهِمْ.١٢
13 এখন, হে আমাদের ঈশ্বর, আমরা তোমায় ধন্যবাদ জানাই, ও তোমার মহিমাময় নামের প্রশংসা করি।
وَالآنَ، نَحْمَدُكَ يَا إِلَهَنَا وَنُسَبِّحُ اسْمَكَ الْجَلِيلَ.١٣
14 “কিন্তু আমি কে, আর আমার প্রজারাই বা কে, যে আমরা উদারতাপূর্বক এত কিছু দিতে পারব? সবকিছুই তোমারই কাছ থেকে আসে, এবং তোমার হাত ধরে যা এসেছে, আমরা তোমাকে শুধু সেটুকুই দিয়েছি।
وَلَكِنْ مَنْ أَنَا، وَمَنْ هُوَ شَعْبِي حَتَّى نَقْدِرَ أَنْ نَتَبَرَّعَ بِسَخَاءٍ وَعَنْ رِضًى؟ لأَنَّ مِنْكَ الْجَمِيعَ وَمِنْ يَدِكَ نُقَدِّمُ لَكَ.١٤
15 আমাদের সব পূর্বপুরুষদের মতো আমরাও তোমার দৃষ্টিতে বিদেশি ও অচেনা অজানা লোক। পৃথিবীর বুকে আমাদের দিনগুলি এক ছায়ার মতো, যার কোনও আশাই নেই।
فَنَحْنُ مِثْلُ آبَائِنَا، غُرَبَاءُ وَنُزَلاءُ أَمَامَكَ، وَأَيَّامُنَا كَالظِّلِّ عَلَى الأَرْضِ، خَالِيَةٌ مِنَ الرَّجَاءِ.١٥
16 হে আমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু, তোমার পবিত্র নামের জন্য এক মন্দির তৈরি করতে গিয়ে আমরা এই যেসব প্রচুর আয়োজন করেছি, এসবই তোমার হাত ধরেই এসেছে, এবং এসব তোমারই।
فَيَا أَيُّهَا الرَّبُّ إِلَهُنَا، إِنَّ كُلَّ هَذِهِ الثَّرْوَةِ الَّتِي وَفَّرْنَاهَا لِنُشَيِّدَ لَكَ هَيْكَلاً لاِسْمِ قُدْسِكَ إِنَّمَا هِيَ مِنْ نِعَمِ يَدِكَ وَأَنْتَ مَالِكُ الْكُلِّ.١٦
17 হে আমার ঈশ্বর, আমি জানি যে তুমি হৃদয়ের পরীক্ষা করো এবং সততা দেখে খুশি হও। এসব কিছু আমি স্বেচ্ছায় সৎ-উদ্দেশ্য নিয়েই দিয়েছি। আর এখন আমি আনন্দিত হয়ে দেখেছি, এখানে উপস্থিত তোমার প্রজারা কত খুশিমনে তোমাকে দান দিয়েছে।
وَأَنَا أَعْلَمُ يَا إِلَهِي أَنَّكَ تَفْحَصُ الْقُلُوبَ وَتُسَرُّ بِالاسْتِقَامَةِ، وَأَنَا قَدَّمْتُ إِلَيْكَ كُلَّ هَذِهِ بِقَلْبٍ مُسْتَقِيمٍ، كَذَلِكَ رَأَيْتُ شَعْبَكَ الْمَاثِلَ هُنَا يَتَبَرَّعُ عَنْ رِضًى بِابْتِهَاجٍ.١٧
18 হে সদাপ্রভু, আমাদের পূর্বপুরুষ অব্রাহাম, ইস্‌হাক ও ইস্রায়েলের ঈশ্বর, তুমি চিরকাল তোমার প্রজাদের অন্তরে এইসব বাসনা ও ভাবনাচিন্তা বজায় রেখো, এবং তাদের অন্তরগুলি তোমার প্রতি অনুগত করে রোখো।
فَيَا رَبُّ إِلَهَ آبَائِنَا إِبْرَاهِيمَ وَإِسْحَاقَ وَإِسْرَائِيلَ، اجْعَلْ هَذِهِ الرَّغْبَةَ أَنْ تَظَلَّ حَيَّةً إِلَى الأَبَدِ فِي قُلُوبِ شَعْبِكَ، وَاحْفَظْ قُلُوبَهُمْ لِتَبْقَى مُخْلِصَةً لَكَ.١٨
19 তোমার আদেশ, বিধিনিয়ম ও বিধানগুলি পালন করার এবং যে প্রাসাদোপম অট্টালিকাটি তৈরি করার জন্য আমি জিনিসপত্রের জোগান দিয়েছি, সেটি তৈরি করার সময় সবকিছু ঠিকঠাকভাবে করার জন্য আমার ছেলে শলোমনকে তুমি আন্তরিক নিষ্ঠা দিয়ো।”
أَمَّا سُلَيْمَانُ ابْنِي، فَهَبْهُ قَلْباً كَامِلاً لِيُطِيعَ وَصَايَاكَ وَشَهَادَاتِكَ وَفَرَائِضَكَ، وَيَعْمَلَ بِها كُلِّهَا وَلِيَبْنِيَ الْهَيْكَلَ الَّذِي أَعْدَدْتُ لَهُ».١٩
20 পরে দাউদ সমগ্র জনসমাজকে বললেন, “তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর প্রশংসা করো।” তখন তারা সবাই তাদের পূর্বপুরুষদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর প্রশংসা করল; তারা নতজানু হল, সদাপ্রভুর ও রাজার সামনে তারা মাটিতে উবুড় হয়ে পড়েছিল।
ثُمَّ قَالَ دَاوُدُ لِلْجَمْعِ الْحَاضِرِ: «بَارِكُوا الرَّبَّ إِلَهَكُمْ». فَسَبَّحَ كُلُّ الْجَمْعِ الرَّبَّ إِلَهَ آبَائِهِمْ وَسَجَدُوا لِلرَّبِّ وَلِلْمَلِكِ.٢٠
21 ঠিক পরের দিন তারা সদাপ্রভুর উদ্দেশে বলিদান উৎসর্গ করল এবং তাঁর কাছে এই হোমবলিগুলি নিয়ে এসেছিল: 1,000 বলদ, 1,000 মদ্দা মেষ ও মেষের 1,000 মদ্দা শাবক, একইসাথে তারা তাদের পেয়-নৈবেদ্য, ও অজস্র পরিমাণে অন্যান্য সব বলি সমস্ত ইস্রায়েলের জন্য নিয়ে এসেছিল।
وَفِي الْيَوْمِ الثَّانِي قَرَّبُوا لِلرَّبِّ ذَبَائِحَ وَقَدَّمُوا مُحْرَقَاتٍ: أَلْفَ ثَوْرٍ، وَأَلْفَ كَبْشٍ، وَأَلْفَ خَرُوفٍ مَعَ سَكَائِبِ خَمْرِهَا، وَذَبَائِحَ أُخْرَى كَثِيرَةً عَنْ إِسْرَائِيلَ.٢١
22 সেদিন তারা মহানন্দে সদাপ্রভুর উপস্থিতিতে ভোজনপান করল। পরে তারা শাসনকর্তা হওয়ার জন্য দাউদের ছেলে শলোমনকে সদাপ্রভুর সামনে অভিষিক্ত করে দ্বিতীয়বার রাজারূপে ও যাজক হওয়ার জন্য সাদোককেও স্বীকৃতি দিয়েছিল।
وَاحْتَفَلُوا فِي ذَلِكَ الْيَوْمِ أَمَامَ الرَّبِّ آكِلِينَ شَارِبِينَ بِفَرَحٍ عَظِيمٍ، وَبَايَعُوا سُلَيْمَانَ بْنَ دَاوُدَ ثَانِيَةً مَلِكاً عَلَيْهِمْ، وَمَسَحُوهُ لِلرَّبِّ رَئِيساً، وَاخْتَارُوا صَادُوقَ كَاهِناً.٢٢
23 অতএব শলোমন তাঁর বাবা দাউদের স্থলাভিষিক্ত হয়ে রাজারূপে সদাপ্রভুর সিংহাসনে বসেছিলেন। তিনি সমৃদ্ধিলাভ করলেন ও ইস্রায়েলীরা সবাই তাঁর বাধ্য হল।
وَخَلَفَ سُلَيْمَانُ دَاوُدَ أَبَاهُ عَلَى الْعَرْشِ الَّذِي أَسَّسَهُ الرَّبُّ وَأَفْلَحَ وَأَطَاعَهُ كُلُّ بَنِي إِسْرَائِيلَ.٢٣
24 কর্মকর্তা ও যোদ্ধারা সবাই, একইসাথে রাজা দাউদের ছেলেরা সবাই রাজা শলোমনের প্রতি তাদের আনুগত্য দেখিয়েছিলেন।
كَمَا أَبْدَى الرُّؤَسَاءُ وَالأَبْطَالُ وَسَائِرُ أَبْنَاءِ الْمَلِكِ دَاوُدَ خُضُوعاً تَامّاً لِسُلَيْمَانَ الْمَلِكِ.٢٤
25 সমগ্র ইস্রায়েলের দৃষ্টিতে সদাপ্রভু শলোমনকে অত্যন্ত উন্নত করলেন এবং তাঁকে এমন রাজকীয় ঐশ্বর্য দান করলেন, যা ইস্রায়েলের কোনও রাজা কখনও পাননি।
وَعَظَّمَ الرَّبُّ مِنْ شَأْنِ سُلَيْمَانَ فِي أَعْيُنِ الإِسْرَائِيلِيِّينَ جَمِيعاً، وأَضْفَى عَلَيْهِ مَهَابَةً مَلَكِيَّةً لَمْ يَحْظَ بِها مَلِكٌ قَبْلَهُ فِي إِسْرَائِيلَ.٢٥
26 যিশয়ের ছেলে দাউদ সমগ্র ইস্রায়েলের উপর রাজত্ব করলেন।
وَمَلَكَ دَاوُدُ بْنُ يَسَّى عَلَى إِسْرَائِيلَ٢٦
27 তিনি চল্লিশ বছর ধরে ইস্রায়েলে শাসন চালিয়েছিলেন—সাত বছর হিব্রোণে ও তেত্রিশ বছর জেরুশালেমে।
طَوَالَ أَرْبَعِينَ سَنَةً، مِنْهَا سَبْعُ سِنِينَ فِي حَبْرُونَ، وَمَلَكَ ثَلاثاً وَثَلاثِينَ سَنَةً فِي أُورُشَلِيمَ.٢٧
28 দীর্ঘায়ু, ধনসম্পত্তি ও সম্মান উপভোগ করার পর তিনি যথেষ্ট বৃদ্ধ বয়সে মারা গেলেন। তাঁর ছেলে শলোমন রাজারূপে তাঁর স্থলাভিষিক্ত হলেন।
وَمَاتَ بِشَيْخُوخَةٍ صَالِحَةٍ، وَقَدْ شَبِعَ أَيَّاماً وَتَمَتَّعَ بِالْغِنَى وَالْكَرَامَةِ، وَخَلَفَهُ ابْنُهُ سُلَيْمَانُ.٢٨
29 শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত, রাজা দাউদের রাজত্বকালের যাবতীয় ঘটনা দর্শক শমূয়েলের, ভাববাদী নাথনের ও দর্শক গাদের লেখা নথিগুলিতে লিপিবদ্ধ হয়ে আছে,
أَمَّا سِيرَةُ دَاوُدَ الْمَلِكِ وَسَائِرُ أَحْدَاثِ حَيَاتِهِ فَقَدْ وَرَدَتْ فِي كِتَابِ أَخْبَارِ صَمُوئِيلَ النَّبِيِّ وَأَخْبَارِ نَاثَانَ النَّبِيِّ وَأَخْبَارِ جَادَ النَّبِيِّ.٢٩
30 একইসাথে তাঁর রাজত্বের ও ক্ষমতার, এবং তাঁকে ও ইস্রায়েলকে তথা অন্যান্য সব দেশের রাজ্যগুলি ঘিরে যেসব পরিস্থিতি আবর্তিত হল, সেগুলিরও পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবরণ সেগুলিতে লিপিবদ্ধ হয়ে আছে।
بِمَا فِيهَا مِنْ وَصْفٍ لأُسْلُوبِ حُكْمِهِ وَسَطْوَتِهِ وَالأَحْدَاثِ الَّتِي مَرَّتْ عَلَيْهِ وَعَلَى إِسْرَائِيلَ وَكُلِّ الْمَمَالِكِ الْمُجَاوِرَةِ.٣٠

< বংশাবলির প্রথম খণ্ড 29 >