< বংশাবলির প্রথম খণ্ড 28 >
1 ইস্রায়েলের উচ্চপদস্থ সব কর্মচারীকে দাউদ জেরুশালেমে সমবেত হওয়ার জন্য ডেকে পাঠালেন: বিভিন্ন গোষ্ঠীর দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা, রাজার সেবায় নিযুক্ত বিভিন্ন বিভাগের সেনাপতিরা, সহস্র-সেনাপতি ও শত-সেনাপতিরা, এবং রাজার ও তাঁর ছেলেদের অধিকারভুক্ত সম্পত্তি ও গৃহপালিত পশুপাল দেখাশোনা করার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা, ও তাদের সাথে সাথে প্রাসাদের কর্মকর্তারা, সৈন্যরা ও বীর যোদ্ধারাও ডাক পেয়েছিলেন।
καὶ ἐξεκκλησίασεν Δαυιδ πάντας τοὺς ἄρχοντας Ισραηλ ἄρχοντας τῶν κριτῶν καὶ τοὺς ἄρχοντας τῶν ἐφημεριῶν τῶν περὶ τὸ σῶμα τοῦ βασιλέως καὶ ἄρχοντας τῶν χιλιάδων καὶ τῶν ἑκατοντάδων καὶ τοὺς γαζοφύλακας καὶ τοὺς ἐπὶ τῶν ὑπαρχόντων αὐτοῦ καὶ τοὺς δυνάστας καὶ τοὺς μαχητὰς τῆς στρατιᾶς ἐν Ιερουσαλημ
2 রাজা দাউদ নিজের পায়ে ভর দিয়ে উঠে দাঁড়িয়ে বললেন: “হে আমার সহকর্মী ইস্রায়েলীরা ও আমার প্রজারা, আমার কথা শোনো। মনে মনে আমি ঠিক করে রেখেছিলাম যে আমি সদাপ্রভুর নিয়ম-সিন্দুকের বিশ্রাম-স্থানরূপে এমন একটি ভবন তৈরি করব, যা হবে আমাদের ঈশ্বরের পা রাখার স্থান, এবং সেটি তৈরি করার পরিকল্পনাও আমি করে রেখেছিলাম।
καὶ ἔστη Δαυιδ ἐν μέσῳ τῆς ἐκκλησίας καὶ εἶπεν ἀκούσατέ μου ἀδελφοὶ καὶ λαός μου ἐμοὶ ἐγένετο ἐπὶ καρδίαν οἰκοδομῆσαι οἶκον ἀναπαύσεως τῆς κιβωτοῦ διαθήκης κυρίου καὶ στάσιν ποδῶν κυρίου ἡμῶν καὶ ἡτοίμασα τὰ εἰς τὴν κατασκήνωσιν ἐπιτήδεια
3 কিন্তু ঈশ্বর আমায় বললেন, ‘তুমি আমার নামের উদ্দেশে কোনও ভবন তৈরি করতে পারবে না, যেহেতু তুমি একজন যোদ্ধা ও তুমি রক্তপাতও করেছ।’
καὶ ὁ θεὸς εἶπεν οὐκ οἰκοδομήσεις ἐμοὶ οἶκον τοῦ ἐπονομάσαι τὸ ὄνομά μου ἐπ’ αὐτῷ ὅτι ἄνθρωπος πολεμιστὴς εἶ σὺ καὶ αἵματα ἐξέχεας
4 “তবুও ইস্রায়েলের ঈশ্বর সদাপ্রভু চিরকালের জন্য ইস্রায়েলের উপর রাজা হওয়ার জন্য আমার সমগ্র পরিবারের মধ্যে থেকে আমাকেই মনোনীত করলেন। নেতারূপে তিনি যিহূদাকে মনোনীত করলেন, এবং যিহূদা গোষ্ঠী থেকে তিনি আমার পরিবারকে মনোনীত করলেন, ও আমার বাবার ছেলেদের মধ্যে থেকে আমাকেই তিনি খুশিমনে সমগ্র ইস্রায়েলের উপর রাজা করলেন।
καὶ ἐξελέξατο κύριος ὁ θεὸς Ισραηλ ἐν ἐμοὶ ἀπὸ παντὸς οἴκου πατρός μου εἶναι βασιλέα ἐπὶ Ισραηλ εἰς τὸν αἰῶνα καὶ ἐν Ιουδα ᾑρέτικεν τὸ βασίλειον καὶ ἐξ οἴκου Ιουδα τὸν οἶκον τοῦ πατρός μου καὶ ἐν τοῖς υἱοῖς τοῦ πατρός μου ἐν ἐμοὶ ἠθέλησεν τοῦ γενέσθαι με βασιλέα ἐπὶ τῷ παντὶ Ισραηλ
5 আমার সব ছেলের মধ্যে থেকে—আর সদাপ্রভু তো আমাকে বেশ কয়েকটি ছেলে দিয়েছেন—ইস্রায়েলের উপর সদাপ্রভুর রাজ্যের সিংহাসনে বসার জন্য তিনি আমার ছেলে শলোমনকেই মনোনীত করেছেন।
καὶ ἀπὸ πάντων τῶν υἱῶν μου ὅτι πολλοὺς υἱοὺς ἔδωκέν μοι κύριος ἐξελέξατο ἐν Σαλωμων τῷ υἱῷ μου καθίσαι αὐτὸν ἐπὶ θρόνου βασιλείας κυρίου ἐπὶ τὸν Ισραηλ
6 তিনি আমাকে বললেন: ‘তোমার ছেলে শলোমনই সেই লোক, যে আমার ভবন ও প্রাঙ্গণ তৈরি করবে, কারণ আমার ছেলে হওয়ার জন্য আমি তাকে মনোনীত করেছি, এবং আমিই তার বাবা হব।
καὶ εἶπέν μοι ὁ θεός Σαλωμων ὁ υἱός σου οἰκοδομήσει τὸν οἶκόν μου καὶ τὴν αὐλήν μου ὅτι ᾑρέτικα ἐν αὐτῷ εἶναί μου υἱόν κἀγὼ ἔσομαι αὐτῷ εἰς πατέρα
7 এখন যেমনটি হচ্ছে, ঠিক সেভাবেই যদি সে আমার আদেশ ও বিধিবিধানগুলি পালন করার জন্য অবিচল থাকতে পারে, তবে চিরতরে আমি তার রাজ্য সুস্থির করে দেব।’
καὶ κατορθώσω τὴν βασιλείαν αὐτοῦ ἕως αἰῶνος ἐὰν ἰσχύσῃ τοῦ φυλάξασθαι τὰς ἐντολάς μου καὶ τὰ κρίματά μου ὡς ἡ ἡμέρα αὕτη
8 “তাই এখন সমগ্র ইস্রায়েলের সাক্ষাতে ও সদাপ্রভুর জনতার সাক্ষাতে, এবং আমাদের ঈশ্বরের কর্ণগোচরে তোমাদের আমি আদেশ দিচ্ছি: তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর সব আদেশ পালন করার জন্য তোমরা সতর্ক হও, যেন তোমরা এই সুন্দর দেশটির অধিকারী হতে পারো ও চিরকালের জন্য এটি তোমাদের বংশধরদের হাতে এক উত্তরাধিকাররূপে তুলে দিতে পারো।
καὶ νῦν κατὰ πρόσωπον πάσης ἐκκλησίας κυρίου καὶ ἐν ὠσὶν θεοῦ ἡμῶν φυλάξασθε καὶ ζητήσατε πάσας τὰς ἐντολὰς κυρίου τοῦ θεοῦ ἡμῶν ἵνα κληρονομήσητε τὴν γῆν τὴν ἀγαθὴν καὶ κατακληρονομήσητε τοῖς υἱοῖς ὑμῶν μεθ’ ὑμᾶς ἕως αἰῶνος
9 “আর তুমি, বাছা শলোমন, তুমি তোমার বাবার ঈশ্বরকে স্বীকৃতি দিয়ো, এবং সর্বান্তঃকরণে নিষ্ঠা সমেত ও ইচ্ছুক এক মন নিয়ে তাঁর সেবা কোরো, কারণ সদাপ্রভু প্রত্যেকটি অন্তর অনুসন্ধান করলেন ও প্রত্যেকটি বাসনা ও প্রত্যেকটি চিন্তাভাবনা বোঝেন। তুমি যদি তাঁর অন্বেষণ করো, তবে তাঁকে খুঁজে পাবেই; কিন্তু যদি তাঁকে ত্যাগ করো, তবে তিনি চিরতরে তোমাকে প্রত্যাখ্যান করবেন।
καὶ νῦν Σαλωμων υἱέ μου γνῶθι τὸν θεὸν τῶν πατέρων σου καὶ δούλευε αὐτῷ ἐν καρδίᾳ τελείᾳ καὶ ψυχῇ θελούσῃ ὅτι πάσας καρδίας ἐτάζει κύριος καὶ πᾶν ἐνθύμημα γιγνώσκει ἐὰν ζητήσῃς αὐτόν εὑρεθήσεταί σοι καὶ ἐὰν καταλείψῃς αὐτόν καταλείψει σε εἰς τέλος
10 এখন তবে বিবেচনা করো, কারণ উপাসনার পীঠস্থানরূপে একটি ভবন তৈরি করার উদ্দেশে তিনি তোমাকেই মনোনীত করেছেন। তুমি বলবান হও ও সে কাজটি করো।”
ἰδὲ τοίνυν ὅτι κύριος ᾑρέτικέν σε οἰκοδομῆσαι αὐτῷ οἶκον εἰς ἁγίασμα ἴσχυε καὶ ποίει
11 পরে দাউদ তাঁর ছেলে শলোমনকে মন্দিরের দ্বারমণ্ডপের, সেটির নির্মাণশৈলীর, ভাঁড়ারঘরগুলির, উপরের দিকের অংশগুলির, ভিতরদিকের ঘরগুলির ও প্রায়শ্চিত্ত করার স্থানটির নকশা বুঝিয়ে দিলেন।
καὶ ἔδωκεν Δαυιδ Σαλωμων τῷ υἱῷ αὐτοῦ τὸ παράδειγμα τοῦ ναοῦ καὶ τῶν οἴκων αὐτοῦ καὶ τῶν ζακχω αὐτοῦ καὶ τῶν ὑπερῴων καὶ τῶν ἀποθηκῶν τῶν ἐσωτέρων καὶ τοῦ οἴκου τοῦ ἐξιλασμοῦ
12 সদাপ্রভুর মন্দির-সংলগ্ন প্রাঙ্গণের ও তার চারপাশের ঘরগুলির, ঈশ্বরের মন্দিরের কোষাগারগুলির ও উৎসর্গীকৃত জিনিসপত্র রাখার কোষাগারগুলির বিষয়ে ঈশ্বরের আত্মা দাউদের মনে যে যে নকশা ভরে দিলেন, সেগুলি তিনি শলোমনকে জানিয়ে দিলেন।
καὶ τὸ παράδειγμα ὃ εἶχεν ἐν πνεύματι αὐτοῦ τῶν αὐλῶν οἴκου κυρίου καὶ πάντων τῶν παστοφορίων τῶν κύκλῳ τῶν εἰς τὰς ἀποθήκας οἴκου κυρίου καὶ τῶν ἀποθηκῶν τῶν ἁγίων
13 যাজক ও লেবীয়দের বিভিন্ন বিভাগের, এবং সদাপ্রভুর মন্দিরের পরিচর্যামূলক সব কাজের, তথা সেই পরিচর্যাকাজে ব্যবহৃত হতে যাওয়া সব জিনিসপত্রের বিষয়েও তিনি শলোমনকে বেশ কিছু নির্দেশ দিলেন।
καὶ τῶν καταλυμάτων τῶν ἐφημεριῶν τῶν ἱερέων καὶ τῶν Λευιτῶν εἰς πᾶσαν ἐργασίαν λειτουργίας οἴκου κυρίου καὶ τῶν ἀποθηκῶν τῶν λειτουργησίμων σκευῶν τῆς λατρείας οἴκου κυρίου
14 বিভিন্ন ধরনের পরিচর্যায় ব্যবহৃত হতে যাওয়া সোনার সব জিনিসপত্রের জন্য সোনার ওজন, ও বিভিন্ন ধরনের পরিচর্যায় ব্যবহৃত হতে যাওয়া রুপোর সব জিনিসপত্রের জন্য রুপোর ওজনও তিনি ঠিক করে দিলেন:
καὶ τὸν σταθμὸν τῆς ὁλκῆς αὐτῶν τῶν τε χρυσῶν καὶ ἀργυρῶν
15 প্রত্যেকটি বাতিদানের ব্যবহার অনুসারে সোনার বাতিদানগুলির ও সেগুলিতে থাকা বাতিগুলির জন্য নিরূপিত সোনার ওজন, এবং প্রত্যেকটি বাতিদানের ও সেগুলিতে থাকা বাতিগুলির ওজন; এবং প্রত্যেকটি রুপোর বাতিদানের ও সেগুলিতে থাকা বাতিগুলির জন্য নিরূপিত রুপোর ওজন;
λυχνιῶν τὴν ὁλκὴν ἔδωκεν αὐτῷ καὶ τῶν λύχνων
16 উৎসর্গীকৃত দর্শন-রুটির প্রত্যেকটি টেবিলের জন্য নিরূপিত সোনার ওজন; রুপোর টেবিলগুলির জন্য নিরূপিত রুপোর ওজন;
ἔδωκεν αὐτῷ ὁμοίως τὸν σταθμὸν τῶν τραπεζῶν τῆς προθέσεως ἑκάστης τραπέζης χρυσῆς καὶ ὡσαύτως τῶν ἀργυρῶν
17 কাঁটাচামচগুলির, যেসব বাটি দিয়ে জল ছিটানো হয়, সেগুলির ও ঘটিগুলির জন্য নিরূপিত খাঁটি সোনার ওজন; সোনার প্রত্যেকটি থালার জন্য নিরূপিত সোনার ওজন; রুপোর প্রত্যেকটি থালার জন্য নিরূপিত রুপোর ওজন;
καὶ τῶν κρεαγρῶν καὶ σπονδείων καὶ τῶν φιαλῶν τῶν χρυσῶν καὶ τὸν σταθμὸν τῶν χρυσῶν καὶ τῶν ἀργυρῶν κεφφουρε ἑκάστου σταθμοῦ
18 এবং ধূপবেদির জন্য নিরূপিত পরিশ্রুত সোনার ওজন তিনি স্থির করে দিলেন। এছাড়াও তিনি শলোমনকে সেই রথের নকশাটিও দিলেন, অর্থাৎ, সোনার সেই করূব দুটির নকশা, যেগুলি পাখা মেলে সদাপ্রভুর নিয়ম-সিন্দুকটিকে ঢেকে রাখত।
καὶ τὸν τοῦ θυσιαστηρίου τῶν θυμιαμάτων ἐκ χρυσίου δοκίμου σταθμὸν ὑπέδειξεν αὐτῷ καὶ τὸ παράδειγμα τοῦ ἅρματος τῶν χερουβιν τῶν διαπεπετασμένων ταῖς πτέρυξιν καὶ σκιαζόντων ἐπὶ τῆς κιβωτοῦ διαθήκης κυρίου
19 “এসবই,” দাউদ বললেন, “আমার উপর সদাপ্রভুর হাত বিস্তারিত থাকার পরিণামস্বরূপ আমি লিখে রাখতে পেরেছি, এবং সেই নকশার পুঙ্খানুপুঙ্খ সব বিবরণ তিনি আমাকে বুঝতে সাহায্য করেছেন।”
πάντα ἐν γραφῇ χειρὸς κυρίου ἔδωκεν Δαυιδ Σαλωμων κατὰ τὴν περιγενηθεῖσαν αὐτῷ σύνεσιν τῆς κατεργασίας τοῦ παραδείγματος
20 এছাড়াও দাউদ তাঁর ছেলে শলোমনকে বললেন, “বলবান ও সাহসী হও, আর কাজটি করে ফেলো। ভয় পেয়ো না বা হতাশ হোয়ো না, কারণ, সদাপ্রভু ঈশ্বর, আমার ঈশ্বর তোমার সঙ্গে সঙ্গে আছেন। সদাপ্রভুর মন্দিরের পরিচর্যার সব কাজ যতক্ষণ না সম্পূর্ণ হচ্ছে, ততক্ষণ তিনি তোমাকে ছাড়বেন না বা ত্যাগও করবেন না।
καὶ εἶπεν Δαυιδ Σαλωμων τῷ υἱῷ αὐτοῦ ἴσχυε καὶ ἀνδρίζου καὶ ποίει μὴ φοβοῦ μηδὲ πτοηθῇς ὅτι κύριος ὁ θεός μου μετὰ σοῦ οὐκ ἀνήσει σε καὶ οὐ μή σε ἐγκαταλίπῃ ἕως τοῦ συντελέσαι σε πᾶσαν ἐργασίαν λειτουργίας οἴκου κυρίου
21 ঈশ্বরের মন্দির সংক্রান্ত সব কাজ করার জন্য বিভিন্ন বিভাগের অন্তর্গত যাজক ও লেবীয়রা প্রস্তুত আছেন, এবং যে কোনো শিল্পকলা হোক না কেন, সেগুলিতে নিপুণ প্রত্যেক ইচ্ছুক ব্যক্তি সব কাজে তোমাকে সাহায্য করবে। কর্মকর্তারা ও সব লোকজন তোমার প্রত্যেকটি আদেশ পালন করবে।”
καὶ ἰδοὺ αἱ ἐφημερίαι τῶν ἱερέων καὶ τῶν Λευιτῶν εἰς πᾶσαν λειτουργίαν οἴκου τοῦ θεοῦ καὶ μετὰ σοῦ ἐν πάσῃ πραγματείᾳ καὶ πᾶς πρόθυμος ἐν σοφίᾳ κατὰ πᾶσαν τέχνην καὶ οἱ ἄρχοντες καὶ πᾶς ὁ λαὸς εἰς πάντας τοὺς λόγους σου