< বংশাবলির প্রথম খণ্ড 24 >

1 এগুলিই হল হারোণের বংশধরদের বিভিন্ন বিভাগ: হারোণের ছেলেরা হলেন নাদব, অবীহূ, ইলীয়াসর ও ঈথামর।
হারোণের বংশের লোকদের বিভিন্ন দলে ভাগ করা হয়েছিল। হারোণের ছেলেরা হল নাদব, অবীহূ, ইলীয়াসর ও ঈথামর।
2 কিন্তু নাদব ও অবীহূ তাদের বাবা মারা যাওয়ার আগেই মারা গেল, এবং তাদের কোনো ছেলে ছিল না; তাই ইলীয়াসর ও ঈথামর যাজকের দায়িত্ব পালন করলেন।
হারোণ মারা যাবার আগেই নাদব ও অবীহূ কোনো ছেলে না রেখেই মারা গিয়েছিলেন; কাজেই ইলীয়াসর ও ঈথামর যাজকের কাজ করতেন।
3 ইলিয়াসরের এক বংশধর সাদোকের ও ঈথামরের এক বংশধর অহীমেলকের সাহায্য নিয়ে দাউদ যাজকদের নিরূপিত পরিচর্যার ক্রমানুসারে তাদের কয়েকটি বিভাগে বিভক্ত করে দিলেন।
সাদোক নামে ইলীয়াসরের একজন বংশধর এবং অহীমেলক নামে ঈথামরের একজন বংশধরের সাহায্যে দায়ূদ যাজকদের কাজ অনুসারে তাঁদের বিভিন্ন দলে ভাগ করে দিলেন।
4 ঈথামরের বংশধরদের তুলনায় ইলিয়াসরের বংশধরদের মধ্যেই বেশি সংখ্যায় নেতা খুঁজে পাওয়া গেল, এবং তাদের সেভাবেই বিভক্ত করা হল: ইলিয়াসরের বংশধরদের মধ্যে থেকে ষোলো জনকে ও ঈথামরের বংশধরদের মধ্যে থেকে আট জনকে বংশের কর্তাব্যক্তি করা হল।
এতে ঈথামরের বংশের লোকদের চেয়ে ইলীয়াসরের বংশের লোকদের মধ্যে অনেক বেশী নেতা পাওয়া গেল। সেইজন্য ইলীয়াসরের বংশের ষোলজন নেতার জন্য তাঁদের ষোল দলে এবং ইথামরের বংশের আটজন নেতার জন্য তাঁদের আট দলে ভাগ করা হল।
5 গুটিকাপাত করে নিরপেক্ষভাবেই তারা তাদের বিভিন্ন বিভাগে বিভক্ত করলেন, কারণ ইলীয়াসর ও ঈথামর, দুজনেরই বংশধরদের মধ্যে থেকে অনেকে পীঠস্থানের ও ঈশ্বরের কর্মকর্তা হলেন।
ইলীয়াসর ও ঈথামর, এই দুই বংশের নেতারা উপাসনা ঘরের ও ঈশ্বরের কর্মচারী ছিলেন বলে কারো পক্ষ না টেনে গুলিবাঁট করে যাজকদের কাজ ভাগ করা হল।
6 নথনেলের ছেলে লেবীয় শাস্ত্রবিদ শময়িয় মহারাজের ও এইসব কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে তাদের নামগুলি নথিভুক্ত করলেন: সেই কর্মকর্তারা হলেন যাজক সাদোক, অবিয়াথরের ছেলে অহীমেলক এবং যাজকদের ও লেবীয়দের বিভিন্ন গোষ্ঠীর কয়েকজন কর্তাব্যক্তি—একবার ইলিয়াসরের বংশ থেকে একজনকে, পরে ঈথামরের বংশ থেকে অন্য একজনকে তিনি নথিভুক্ত করলেন।
রাজা ও তাঁর উঁচু পদের কর্মচারীদের সামনে এবং সাদোক যাজক, অবিয়াথরের ছেলে অহীমেলক, যাজক বংশের নেতাদের ও লেবীয়দের সামনে নথনেলের ছেলে শময়িয় নামে একজন লেবীয় লেখক সেই নেতাদের নাম তালিকায় লিখলেন। পালা পালা করে ইলীয়াসরের বিভিন্ন বংশের মধ্য থেকে একজন ও তারপর ঈথামরের বিভিন্ন বংশের মধ্য থেকে এক জনের জন্য গুলিবাঁট করা হল।
7 গুটিকাপাতে প্রথম দানটি পড়েছিল যিহোয়ারীবের নামে, দ্বিতীয়টি পড়েছিল যিদয়িয়ের নামে,
তখন প্রথম বারে গুলি উঠল যিহোয়ারীবের নামে, দ্বিতীয় বারে যিদয়িয়ের,
8 তৃতীয়টি পড়েছিল হারীমের নামে, চতুর্থটি পড়েছিল সিয়োরীমের নামে,
তৃতীয় বারে হারীমের, চতুর্থ বারে সিয়োরীমের,
9 পঞ্চমটি পড়েছিল মল্কিয়ের নামে, ষষ্ঠটি পড়েছিল মিয়ামীনের নামে,
পঞ্চম বারে মল্কিয়ের, ষষ্ঠ বারে মিয়ামীনের,
10 সপ্তমটি পড়েছিল হক্কোষের নামে, অষ্টমটি পড়েছিল অবিয়ের নামে,
১০সপ্তম বারে হক্কোষের, অষ্টম বারে অবিয়ের,
11 নবমটি পড়েছিল যেশূয়ের নামে, দশমটি পড়েছিল শখনিয়ের নামে,
১১নবম বারে যেশূয়ের, দশম বারে শখনিয়ের,
12 একাদশতমটি পড়েছিল ইলীয়াশীবের নামে, দ্বাদশতমটি পড়েছিল যাকীমের নামে,
১২এগারো বারে ইলীয়াশীবের, বারো বারে যাকীমের,
13 ত্রয়োদশতমটি পড়েছিল হুপ্পের নামে, চতুর্দশতমটি পড়েছিল যেশবাবের নামে,
১৩তেরো বারে হুপ্পের, চৌদ্দ বারে যেশবাবের,
14 পঞ্চদশতমটি পড়েছিল বিলগার নামে, ষোড়শতমটি পড়েছিল ইম্মেরের নামে,
১৪পনেরো বারে বিল্‌গার, ষোল বারে ইম্মেরের,
15 সপ্তদশতমটি পড়েছিল হেষীরের নামে, অষ্টাদশতমটি পড়েছিল হপ্পিসেসের নামে,
১৫সতেরো বারে হেষীরের, আঠারো বারে হপ্পিসেসের,
16 উনবিংশতিতমটি পড়েছিল পথাহিয়ের নামে, বিংশতিতমটি পড়েছিল যিহিষ্কেলের নামে,
১৬ঊনিশ বারে পথাহিয়ের, কুড়ি বারে যিহিষ্কেলের,
17 একবিংশতিতমটি পড়েছিল যাখীনের নামে, দ্বাবিংশতিতমটি পড়েছিল গামূলের নামে,
১৭একুশ বারে যাখীনের, বাইশ বারে গামূলের,
18 ত্রয়োবিংশতিতমটি পড়েছিল দলায়ের নামে, এবং চতুর্বিংশতিতমটি পড়েছিল মাসিয়ের নামে।
১৮তেইশ বারে দলায়ের ও চব্বিশ বারে মাসিয়ের নামে।
19 ইস্রায়েলের ঈশ্বর সদাপ্রভুর আদেশানুসারে তাদের পূর্বপুরুষ হারোণ তাদের জন্য যে নিয়মকানুন ঠিক করে দিলেন, তার আধারে যখন তারা সদাপ্রভুর মন্দিরে প্রবেশ করতেন তখন তারা পরিচর্যার এই ক্রমই অনুসরণ করতেন।
১৯তাঁদের পূর্বপুরুষ হারোণকে দেওয়া ইস্রায়েলের ঈশ্বর সদাপ্রভুর নির্দেশ অনুসারে হারোণ তাঁদের জন্য যে নিয়ম ঠিক করে দিয়েছিলেন সেইমত সদাপ্রভুর ঘরে গিয়ে সেবা কাজ করবার জন্য এই ভাবে তাঁদের পালা ঠিক করা হল।
20 লেবির অবশিষ্ট বংশধরদের কথা: অম্রামের ছেলেদের মধ্যে থেকে: শবূয়েল; শবূয়েলের ছেলেদের মধ্যে থেকে: যেহদিয়।
২০লেবি গোষ্ঠীর বাকি বংশগুলোর কথা এই: অম্রামের বংশের শবূয়েল, শবূয়েলের বংশ নেতা যেহদিয়
21 রহবিয়ের কথা, তাঁর ছেলেদের মধ্যে থেকে: প্রথমজন যিশিয়।
২১রহবিয়ের কথা; রহবিয়ের বংশ নেতা যিশিয়।
22 যিষ্‌হরীয়দের মধ্যে থেকে: শলোমীত; শলোমীতের ছেলেদের মধ্যে থেকে: যহৎ।
২২যিষ্‌হরীয়দের বংশের বাবা শলোমোৎ ও শলোমোতের বংশ নেতা যহৎ।
23 হিব্রোণের ছেলেরা: প্রথমজন যিরিয়, দ্বিতীয়জন অমরিয়, তৃতীয়জন যহসীয়েল ও চতুর্থজন যিকমিয়াম।
২৩হিব্রোণের বংশের মধ্যে প্রথম যিরিয়, দ্বিতীয় অমরিয়, তৃতীয় যহসীয়েল এবং চতুর্থ যিকমিয়াম ছিলেন বংশের বাবা।
24 উষীয়েলের ছেলেরা: মীখা; মীখার ছেলেদের মধ্যে থেকে: শামীর।
২৪ঊষীয়েলের ছেলে মীখা; মীখা ছেলেদের মধ্যে শামীর।
25 মীখার ভাই: যিশিয়; যিশিয়ের ছেলেদের মধ্যে থেকে: সখরিয়।
২৫মীখার ভাই যিশিয়; যিশিয়ের ছেলেদের মধ্যে সখরিয়।
26 মরারির ছেলেরা: মহলি ও মূশি। যাসিয়ের ছেলে: বিনো।
২৬মরারির ছেলে মহলি, মূশি ও যাসিয়; যাসিয়ের বংশের বিনো
27 মরারির ছেলেরা: যাসিয় থেকে উৎপন্ন: বিনো, শোহম, শক্কুর ও ইব্রি।
২৭মরারির ছেলে যাসিয়ের ছেলে বিনো, শোহম, শক্কুর ও ইব্রি ছিলেন বংশের বাবা।
28 মহলি থেকে উৎপন্ন: ইলিয়াসর, যাঁর কোনও ছেলে ছিল না।
২৮মহলির বংশের ইলীয়াসর ও কীশ; ইলীয়াসরের কোনো ছেলে ছিল না।
29 কীশ থেকে উৎপন্ন: কীশের ছেলে: যিরহমেল।
২৯কীশের বংশ নেতা ছিলেন যিরহমেল।
30 মূশির ছেলেরা: মহলি, এদর ও যিরেমোৎ। তাদের বংশানুসারে এরাই হলেন সেই লেবীয়েরা।
৩০মূশির বংশের মহলি, এদর ও যিরেমোৎ ছিলেন বংশের বাবা। বিভিন্ন বংশ অনুসারে এঁরা ছিলেন লেবীয়।
31 তারাও তাদের আত্মীয়স্বজন তথা হারোণের বংশধরদের মতো রাজা দাউদের এবং সাদোক, অহীমেলক এবং যাজক ও লেবীয় বংশের কর্তাব্যক্তিদের উপস্থিতিতে গুটিকাপাত করলেন। বড়ো ভাইয়ের হোক কি ছোটো ভাইয়ের, প্রত্যেক বংশের প্রতিই সম-আচরণ করা হল।
৩১এঁরাও রাজা দায়ূদ, সাদোক, অহীমেলক এবং যাজক ও লেবীয়দের বংশ নেতাদের সামনে এঁদের ভাইদের, অর্থাৎ হারোণের বংশের লোকদের মত করে গুলিবাঁট করেছিলেন। বড় ভাই হোক বা ছোট ভাই হোক তাদের সকলের জন্য একইভাবে গুলিবাঁট করা হয়েছিল।

< বংশাবলির প্রথম খণ্ড 24 >