< বংশাবলির প্রথম খণ্ড 12 >

1 দাউদকে যখন কীশের ছেলে শৌলের কাছ থেকে দূর করে দেওয়া হল, তখন এই লোকেরাই সিক্লগে দাউদের কাছে এলেন: (তারা সেইসব যোদ্ধার মধ্যেই ছিলেন, যারা যুদ্ধে তাঁকে সাহায্য করলেন;
কীশের ছেলে শৌলের সামনে থেকে দায়ূদকে দূর করা হলে পর অনেক লোক সিক্লগে দায়ূদের কাছে এসেছিল। যুদ্ধের দিন যে যোদ্ধারা দায়ূদকে সাহায্য করেছিল এরা তাদের মধ্যে ছিল।
2 তারা ধনুকে সুসজ্জিত ছিলেন এবং কি ডান হাতে কি বাঁ, দুই হাতেই তারা তির ছুঁড়তে বা গুলতির সাহায্যে পাথর ছুঁড়তে পারতেন; তারা বিন্যামীন বংশীয় শৌলের আত্মীয়স্বজন ছিলেন):
এরা তীরন্দাজ ছিল এবং বাঁ হাতে ও ডান হাতে তীর মারতে ও ফিংগা দিয়ে পাথর ছুঁড়তে পারত। এরা ছিল বিন্যামীন গোষ্ঠীর শৌলের বংশের লোক।
3 তাদের প্রধান ছিলেন অহীয়েষর এবং তাঁর ছোটো ভাই ছিলেন যোয়াশ এবং তারা দুজন গিবিয়াতীয় শমায়ের ছেলে; অসমাবতের ছেলে যিষীয়েল ও পেলট; বরাখা, অনাথোতীয় যেহূ,
অহীয়েষর প্রধান ছিলেন পরে যোয়াশ, এরা গিবিয়াতীয় শমায়ের ছেলে; অস্‌মাবতের ছেলে যিষীয়েল ও পেলট, বরাখা, অনাথোতীয় যেহূ;
4 সেই ত্রিশজনের মধ্যে গণ্য এক বলবান যোদ্ধা গিবিয়োনীয় সেই যিশ্ময়িয়, যিনি সেই ত্রিশজনের মধ্যে একজন নেতা ছিলেন; যিরমিয়, যহসীয়েল, যোহানন, গদেরথীয় যোষাবদ,
গিবিয়োনীয় যিশ্ময়িয়, ইনি সেই ত্রিশজনের মধ্যে একজন নেতা ও ত্রিশজনের ওপরে নিযুক্ত ছিলেন; যিরমিয়, যহসীয়েল, যোহানন, গদেরাথীয় যোষাবদ;
5 ইলিয়ূষয়, যিরীমোৎ, বালিয়, শমরিয় ও হরূফীয় শফটিয়;
ইলিয়ূষয়, যিরীমোৎ, বালিয়, শমরিয়, হরূফীয় শফটিয়;
6 কোরহীয় ইল্‌কানা, যিশিয়, অসরেল, যোয়েষর ও যাশবিয়াম;
কোরহীয়দের মধ্যে ইলকানা, যিশিয়, অসরেল, যোয়েষর, যাশবিয়াম;
7 এবং গদোরের অধিবাসী যিরোহমের ছেলে যোয়েলা ও সবদিয়।
গদোরীয় যিরোহমের ছেলে যোয়েলা ও সবদিয়।
8 গাদীয়দের মধ্যে কয়েকজন দলবদল করে মরুপ্রান্তরের দুর্গে অবস্থানকারী দাউদের কাছে চলে গেলেন। তারা এমন সব বীর যোদ্ধা, যারা যুদ্ধ করার জন্য প্রস্তুত ছিলেন এবং তারা ঢাল ও বর্শাও চালাতে জানতেন। সিংহের মুখের মতো ছিল তাদের মুখমণ্ডল, ও তারা পাহাড়ি গজলা হরিণের মতো দ্রুতগামী ছিলেন।
গাদীয়দের কিছু লোক নিজেদের দল ছেড়ে মরু এলাকার দুর্গের মত জায়গায় দায়ূদের কাছে এসেছিলেন। তাঁরা ছিলেন যুদ্ধের শিক্ষা পাওয়া শক্তিশালী যোদ্ধা। তাঁরা ঢাল ও বর্শার ব্যবহার জানতেন। তাঁদের মুখ সিংহের মত ভয়ঙ্কর ছিল এবং পাহাড়ী হরিণের মত তাঁরা জোরে দৌড়াতে পারতেন।
9 পদমর্যাদায় প্রধান ছিলেন এষর, ক্রমানুসারে দ্বিতীয় ছিলেন ওবদিয়, তৃতীয় ইলীয়াব,
সেখানে এষর তাদের নেতা ছিলেন, দ্বিতীয় ওবদিয়, তৃতীয় ইলীয়াব,
10 চতুর্থ মিশ্মন্না, পঞ্চম যিরমিয়,
১০চতুর্থ মিশ্মন্না, পঞ্চম যিরমিয়,
11 ষষ্ঠ অত্তয়, সপ্তম ইলীয়েল,
১১ষষ্ঠ অত্তয়, সপ্তম ইলীয়েল,
12 অষ্টম যোহানন, নবম ইলসাবাদ,
১২অষ্টম যোহানন, নবম ইল্‌সাবদ,
13 দশম যিরমিয় ও একাদশ মগবন্নয়।
১৩দশম যিরমিয় ও একাদশ মগ্‌বন্নয়।
14 এই গাদীয়রা সৈন্যদলের সেনাপতি ছিলেন; যিনি সবচেয়ে ছোটো, তিনি একশো জনের সমকক্ষ ছিলেন, এবং যিনি সবচেয়ে বড়ো, তিনি এক হাজার জনের সমকক্ষ ছিলেন।
১৪এই গাদীয়েরা ছিলেন সৈন্যদলের সেনাপতি। তাঁদের মধ্যে যিনি সবচেয়ে ছোট তিনি ছিলেন একাই একশো জনের সমান এবং যিনি সবচেয়ে বড় তিনি ছিলেন একাই হাজার জনের সমান।
15 এরাই সেই প্রথম মাসে জর্ডন নদী পার করে গেলেন, যখন নদীর দুই কুলে জল উপচে পড়েছিল, এবং পূর্ব থেকে পশ্চিমদিক পর্যন্ত সেই উপত্যকায় বসবাসকারী প্রত্যেককে তারা তাড়িয়ে ছেড়েছিলেন।
১৫সেই বছরের প্রথম মাসে যখন যর্দ্দন নদীর জল কিনারা ছাপিয়ে গিয়েছিল তখন এঁরাই পার হয়ে গিয়ে নদীর পূর্ব ও পশ্চিম দিকের উপত্যকায় বসবাসকারী প্রত্যেককে তাড়িয়ে দিয়েছিলেন।
16 অন্যান্য বিন্যামীনীয়েরা ও যিহূদা থেকে আগত কয়েকজন লোকও দাউদের দুর্গে তাঁর কাছে এসেছিল।
১৬এছাড়া বিন্যামীন গোষ্ঠীর অন্য লোকেরা এবং যিহূদার কিছু লোক দায়ূদের কাছে দুর্গম জায়গায় এসেছিল।
17 দাউদ তাদের সাথে দেখা করার জন্য বাইরে বেরিয়ে গিয়ে তাদের বললেন, “তোমরা যদি আমায় সাহায্য করার জন্য শান্তিপূর্বক আমার কাছে এসে থাকো, তবে আমি তোমাদের আমার কাছে রাখতে প্রস্তুত আছি। কিন্তু আমার হাত হিংসাশ্রয়িতা থেকে মুক্ত থাকা সত্ত্বেও যদি তোমরা বিশ্বাসঘাতকতা করে আমাকে শত্রুদের হাতে সমর্পণ করার জন্য এসে থাকো, তবে আমার পূর্বপুরুষদের ঈশ্বরই যেন তা দেখেন ও তোমাদের বিচার করলেন।”
১৭দায়ূদ তাদের সঙ্গে দেখা করতে বের হয়ে এসে বললেন, “আপনারা যদি শান্তির মনোভাব নিয়ে আমাকে সাহায্য করতে এসে থাকেন তবে আমি আপনাদের সঙ্গে এক হতে প্রস্তুত আছি, কিন্তু আমি কোন অন্যায় না করলেও যদি বিশ্বাসঘাতকতা করে শত্রুর হাতে আমাকে তুলে দেবার জন্য এসে থাকেন তবে আমাদের পূর্বপুরুষদের ঈশ্বর যেন তা দেখেন এবং আপনাদের তিরস্কার করুন।”
18 তখন সেই ত্রিশজনের প্রধান অমাসয়ের উপর ঈশ্বরের আত্মা নেমে এলেন, এবং তিনি বলে উঠলেন: “হে দাউদ, আমরা আপনারই লোক! হে যিশয়ের ছেলে, আমরা আপনার সাথেই আছি! মঙ্গল হোক, আপনার মঙ্গল হোক, আর যারা আপনাকে সাহায্য করে, তাদেরও মঙ্গল হোক, কারণ আপনার ঈশ্বরই আপনাকে সাহায্য করবেন।” অতএব দাউদ তাদের অভ্যর্থনা জানিয়ে তাদের তাঁর আক্রমণকারী দলের নেতা করে দিলেন।
১৮যিনি পরে ত্রিশজনের মধ্যে নেতা হয়েছিলেন সেই অমাসয়ের উপর সদাপ্রভুর আত্মা এলেন। তখন তিনি বললেন, “হে দায়ূদ, আমরা তোমারই। হে যিশয়ের ছেলে, আমরা তোমারই পক্ষে। মঙ্গল হোক, তোমার মঙ্গল হোক, মঙ্গল হোক তাদের, যারা আপনাকে সাহায্য করে, কারণ তোমার ঈশ্বরই তোমাকে সাহায্য করেন।” তখন দায়ূদ তাঁদের গ্রহণ করে তাঁর সৈন্যদলের উপর সেনাপতি করলেন।
19 দাউদ যখন ফিলিস্তিনীদের দলে যোগ দিয়ে শৌলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে গেলেন, তখন মনঃশি বংশের কয়েকজন লোকও দলবদল করে তাঁর কাছে চলে এসেছিল। (তিনি ও তাঁর লোকজন ফিলিস্তিনীদের সাহায্য করেননি, কারণ শলাপরামর্শ করার পর, তাদের শাসনকর্তারা তাদের ফেরত পাঠিয়ে দিলেন। তারা বললেন, “এ যদি আমাদের সঙ্গ ত্যাগ করে তার মনিব শৌলের সাথে মিলে যায়, তবে নিজেদের মুণ্ডু দিয়েই আমাদের এর দাম চোকাতে হবে”)
১৯দায়ূদ যখন পলেষ্টীয়দের সঙ্গে শৌলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে এসেছিলেন তখন মনঃশি গোষ্ঠীর কিছু লোক নিজেদের দল ছেড়ে দায়ূদের কাছে গিয়েছিলেন। অবশ্য দায়ূদ ও তাঁর লোকেরা পলেষ্টীয়দের সাহায্য করেন নি, কারণ পলেষ্টীয় শাসনকর্তারা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করবার পর দায়ূদকে বিদায় করে দিয়েছিলেন। তাঁরা বলেছিলেন, “তিনি যদি আমাদের ত্যাগ করে তাঁর মনিব শৌলের সঙ্গে গিয়ে যোগ দেন তবে আমাদের বেঁচে থাকা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যাবে।”
20 দাউদ যখন সিক্লগে গেলেন, তখন মনঃশি বংশীয় এইসব লোকই দলবদল করে তাঁর কাছে গেলেন: অদন, যোষাবদ, যিদীয়েল, মীখায়েল, যোষাবদ, ইলীহূ ও সিল্লথয়, যারা ছিলেন মনঃশির এক একজন সহস্র-সেনাপতি।
২০দায়ূদ সিক্লগে ফিরে যাবার দিন মনঃশি গোষ্ঠীর যে লোকেরা দল ছেড়ে তাঁর কাছে গিয়েছিলেন তাঁরা হলেন অদন, যোষাবদ, যিদীয়েল, মীখায়েল, যোষাবদ, ইলীহূ ও সিল্লথয়। এঁরা ছিলেন মনঃশি গোষ্ঠীর এক এক হাজার সৈন্যের সেনাপতি।
21 আক্রমণকারী দলগুলির বিরুদ্ধে তারাই দাউদকে সাহায্য করলেন, কারণ তারা সবাই ছিলেন সাহসী যোদ্ধা, এবং তারা তাঁর সৈন্যদলে সেনাপতি হলেন।
২১অন্যান্য আক্রমণকারী দলগুলোর বিরুদ্ধে এঁরা দায়ূদকে সাহায্য করেছিলেন। এঁরা সবাই ছিলেন শক্তিশালী যোদ্ধা ছিলেন এবং সৈন্যদলের সেনাপতি হলেন।
22 যতদিন না পর্যন্ত দাউদের সৈন্যদল ঈশ্বরের সৈন্যদলের মতো বিশাল এক সৈন্যদলে পরিণত হল, লোকেরা দিনের পর দিন তাঁকে সাহায্য করতে এগিয়ে এসেছিল।
২২এই ভাবে দিনের র পর দিন লোকেরা দায়ূদকে সাহায্য করতে আসতে লাগল। শেষে ঈশ্বরের সৈন্যদলের মত তাঁর একটা মস্ত বড় সৈন্যদল গড়ে উঠল।
23 সদাপ্রভুর বলা কথানুসারে শৌলের রাজ্য দাউদের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য যারা হিব্রোণে তাঁর কাছে এসেছিল, যুদ্ধের জন্য অস্ত্রশস্ত্রে সুসজ্জিত সেই লোকজনের সংখ্যা এইরকম:
২৩সদাপ্রভুর কথা অনুসারে যুদ্ধ করে শৌলের রাজ্য দায়ূদের হাতে তুলে দেবার জন্য যারা অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হিব্রোণে দায়ূদের কাছে এসেছিল তাদের সংখ্যা এই,
24 যিহূদা বংশ থেকে, ঢাল ও বর্শাধারী—যুদ্ধের জন্য অস্ত্রশস্ত্রে সুসজ্জিত 6,800 জন;
২৪যুদ্ধের সাজে সজ্জিত ঢাল ও বর্শাধারী যিহূদা গোষ্ঠীর ছয় হাজার আটশো জন।
25 শিমিয়োন বংশ থেকে, যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত যোদ্ধা: 7,100 জন;
২৫শিমিয়োন গোষ্ঠীর সাত হাজার একশো শক্তিশালী যোদ্ধা।
26 লেবীয় গোষ্ঠী থেকে: 4,600 জন;
২৬লেবি গোষ্ঠীর চার হাজার ছয়শো জন।
27 যাদের মধ্যে ছিলেন হারোণ-কুলের নেতা যিহোয়াদা, ও তাঁর সাথে থাকা 3,700 জন,
২৭তাঁদের মধ্যে ছিলেন হারোণের বংশের নেতা যিহোয়াদা, যাঁর সঙ্গে ছিল তিন হাজার সাতশো জন লোক।
28 এবং সাদোক বলে এক সাহসী অল্পবয়স্ক যোদ্ধা, ও তাঁর সাথে থাকা তাঁর পরিবারভুক্ত বাইশ জন কর্মকর্তা;
২৮এছাড়া ছিলেন সাদোক নামে একজন শক্তিশালী যুবক যোদ্ধা ও তাঁর বংশের বাইশজন সেনাপতি।
29 শৌলের বংশ, সেই বিন্যামীন বংশ থেকে: 3,000 জন, যে বংশের অধিকাংশ লোক তখনও পর্যন্ত শৌলের পরিবারের প্রতি অনুগতই থেকে গেল;
২৯শৌলের নিজের গোষ্ঠীর, অর্থাৎ বিন্যামীন গোষ্ঠীর তিন হাজার জন। কিন্তু এই গোষ্ঠীর বেশীর ভাগ লোক তখনও শৌলের পরিবারের পক্ষে ছিল।
30 ইফ্রয়িম বংশ থেকে, সেইসব সাহসী যোদ্ধা, যারা তাদের বংশে বিখ্যাত ছিল: 20,800 জন;
৩০ইফ্রয়িম গোষ্ঠীর বিশ হাজার আটশো শক্তিশালী যোদ্ধা। এরা নিজের নিজের বংশে বিখ্যাত ছিল।
31 মনঃশির অর্ধেক বংশ থেকে, দাউদকে রাজা করার জন্য যাদের নাম নির্দিষ্ট করে আসতে বলা হল, তারা: 18,000 জন;
৩১মনঃশি গোষ্ঠীর অর্ধেক বংশের আঠারো হাজার লোক। এই লোকদের নাম করে বলা হয়েছিল যেন তারা এসে দায়ূদকে রাজা করে।
32 ইষাখর বংশ থেকে, সেইসব লোক, যাদের সময়কালের জ্ঞান ছিল ও যারা জানত ইস্রায়েলকে ঠিক কী করতে হবে, তারা: 200 জন প্রধান, ও তাদের অধীনে থাকা তাদের সব আত্মীয়স্বজন;
৩২ইষাখর গোষ্ঠীর দুইশো জন নেতা। তাঁরা ছিলেন বুদ্ধিমান এবং বুঝতে পারতেন ইস্রায়েলীয়দের কখন কি করা উচিত। তাঁদের সঙ্গে ছিল তাঁদের অধীন নিজেদের গোষ্ঠীর লোকেরা।
33 সবূলূন বংশ থেকে, সব ধরনের অস্ত্রশস্ত্র ব্যবহারে পারদর্শী যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত অভিজ্ঞ যোদ্ধা, যারা অখণ্ড আনুগত্য সমেত দাউদকে সাহায্য করতে পারতেন, এমন: 50,000 জন;
৩৩সবূলূন গোষ্ঠীর পঞ্চাশ হাজার দক্ষ সৈন্য। তারা সব রকম অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে যুদ্ধ করতে পারত। তারা সম্পূর্ণ বিশ্বস্তভাবে দায়ূদকে সাহায্য করেছিল।
34 নপ্তালি বংশ থেকে: 1,000 জন কর্মকর্তা, ও তাদের সাথে থাকা 37,000 জন ঢাল ও বর্শা বহনকারী লোক;
৩৪নপ্তালি গোষ্ঠীর এক হাজার সেনাপতি। তাঁদের সঙ্গে ছিল ঢাল ও বর্শাধারী সাঁইত্রিশ হাজার লোক।
35 দান বংশ থেকে, যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত: 28,600 জন;
৩৫দান গোষ্ঠীর আটাশ হাজার ছয়শো দক্ষ সৈন্য।
36 আশের বংশ থেকে, যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত অভিজ্ঞ সৈন্য: 40,000 জন;
৩৬আশের গোষ্ঠীর চল্লিশ হাজার দক্ষ সৈন্য।
37 এবং জর্ডন নদীর পূর্বদিক থেকে, অর্থাৎ রূবেণ ও গাদের পূর্ণ ও মনঃশির অর্ধেক বংশ থেকে, সব ধরনের অস্ত্রশস্ত্রে সুসজ্জিত লোক: 1,20,000 জন।
৩৭সব রকম অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে যর্দ্দনের পূর্ব দিক থেকে এসেছিল এক লক্ষ কুড়ি হাজার লোক। এরা এসেছিল রূবেণ, গাদ ও মনশিঃ গোষ্ঠীর অর্ধেক লোকদের মধ্য থেকে।
38 এরা সবাই এমন সব দক্ষ যোদ্ধা, যারা স্বেচ্ছায় সৈন্যদলে নাম লিখিয়েছিল। দাউদকে গোটা ইস্রায়েলের উপর রাজা করার বিষয়ে পুরোপুরি মনস্থির করেই তারা হিব্রোণে এসেছিল। ইস্রায়েলীদের মধ্যে অবশিষ্ট লোকজনও দাউদকে রাজা করার বিষয়ে একমত হল।
৩৮এরা সকলেই ছিল দক্ষ যোদ্ধা। সমস্ত ইস্রায়েলের উপর দায়ূদকে রাজা করবার জন্য তারা পুরোপুরি মন স্থির করে হিব্রোণে এসেছিল। দায়ূদকে রাজা করবার ব্যাপারে বাদবাকী ইস্রায়েলীয়রাও একমত হয়েছিল।
39 এইসব লোকজন তিন দিন দাউদের সঙ্গে থেকে ভোজনপান করল, কারণ তাদের পরিবারগুলিই তাদের জন্য ভোজনপানের আয়োজন করল।
৩৯এই লোকেরা তিন দিন দায়ূদের সঙ্গে থেকে খাওয়া দাওয়া করল। তাদের আত্মীয়রাই তাদের খাওয়া দাওয়ার ব্যবস্থা করেছিল।
40 এছাড়াও, সুদূর সেই ইষাখর, সবূলূন ও নপ্তালি থেকে তাদের প্রতিবেশীরাও গাধা, উট, খচ্চর ও বলদের পিঠে চাপিয়ে খাদ্যসম্ভার এনেছিল। সেখানে ময়দা, ডুমুরের চাক, কিশমিশের চাক, দ্রাক্ষারস, জলপাই তেল, গবাদি পশু ও মেষের পালের যথেচ্ছ জোগান ছিল, কারণ ইস্রায়েলে আনন্দের হাট বসেছিল।
৪০এছাড়া ইষাখর, সবূলূন ও নপ্তালি এলাকা থেকেও লোকেরা গাধা, উট, খচ্চর ও বলদের পিঠে করে তাদের জন্য খাবার নিয়ে এসেছিল। ইস্রায়েল দেশের লোকদের মনে আনন্দ ছিল বলে তারা প্রচুর পরিমাণে ময়দা, ডুমুর ও কিশমিশের তাল, আঙ্গুর রস, তেল এবং বলদ ও ভেড়া নিয়ে এসেছিল।

< বংশাবলির প্রথম খণ্ড 12 >