< বংশাবলির প্রথম খণ্ড 10 >

1 ইত্যবসরে ফিলিস্তিনীরা ইস্রায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছিল; ইস্রায়েলীরা তাদের সামনে থেকে পালিয়ে গেল, ও অনেকেই গিলবোয় পর্বতে মারা পড়েছিল।
একবার পলেষ্টীয়েরা ইস্রায়েলীয়দের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করল আর ইস্রায়েলীয়েরা পলেষ্টীয়দের সামনে থেকে পালিয়ে গেল এবং গিল্‌বোয় পর্বতে আহত হয়ে পড়তে লাগল।
2 ফিলিস্তিনীরা বীর-বিক্রমে শৌল ও তাঁর ছেলেদের পিছু ধাওয়া করল, এবং তারা তাঁর ছেলে যোনাথন, অবীনাদব ও মল্কীশূয়কে হত্যা করল।
আর পলেষ্টীয়েরা শৌল ও তাঁর ছেলেদের পিছনে পিছনে তাড়া করে তাঁর ছেলে যোনাথন, অবীনাদব ও মল্কীশূয়কে মেরে ফেলল।
3 শৌলের চারপাশে যুদ্ধ চরম আকার নিয়েছিল, এবং তীরন্দাজেরা আচমকা তাঁর কাছে এসে তাঁকে আহত করে ফেলেছিল।
তারপর শৌলের বিরুদ্ধে আরও ভীষণভাবে যুদ্ধ চলতে লাগল। তীরন্দাজেরা তাকে দেখতে পেল। তীরন্দাজেরা কারণে শৌলের ভীষণ ভয় উপস্থিত হল।
4 শৌল তাঁর অস্ত্র বহনকারী লোকটিকে বললেন, “তোমার তরোয়াল টেনে বের করে, সেটি দিয়ে আমাকে ছিন্নভিন্ন করে দাও, তা না হলে সুন্নত না করা এইসব লোকজন এসে আমাকে অপমানিত করবে।” কিন্তু তাঁর অস্ত্র বহনকারী লোকটি ভয় পেয়ে গেল ও সে কাজটি সে করতে চায়নি; তাই শৌল নিজের তরোয়ালটি বের করে সেটির উপর নিজেই পড়ে গেলেন।
শৌল তখন তাঁর অস্ত্র বহনকারী লোকটিকে বললেন, “তোমার তলোয়ার বের কর এবং আমার দেহে বিঁধিয়ে দাও; তা না হলে ঐ অচ্ছিন্নত্বক লোকেরা এসে আমাকে অপমান করবে।” কিন্তু তাঁর অস্ত্র বহনকারী লোকটি তা করতে রাজি হল না, কারণ সে খুব ভয় পেয়েছিল। তখন শৌল তাঁর নিজের তলোয়ার নিয়ে নিজেই তার উপরে পড়লেন।
5 সেই অস্ত্র বহনকারী লোকটি যখন দেখল যে শৌল মারা গিয়েছেন, তখন সেও নিজের তরোয়ালের উপর পড়ে মারা গেল।
শৌল মারা গেছেন দেখে তাঁর অস্ত্র বহনকারীও নিজের তলোয়ারের উপর পড়ে মারা গেল।
6 অতএব শৌল ও তাঁর তিন ছেলে মারা গেলেন, এবং তাঁর পুরো পরিবার-পরিজন একসাথে মারা পড়েছিল।
এভাবে শৌল, তাঁর তিন ছেলে এবং তাঁর পরিবারের লোকেরা এক সঙ্গে মারা গেলেন।
7 উপত্যকায় বসবাসকারী ইস্রায়েলীরা সবাই যখন দেখেছিল যে সৈন্যদল পালিয়েছে এবং শৌল ও তাঁর ছেলেরা মারা গিয়েছেন, তখন তারাও নিজেদের নগরগুলি ছেড়ে পালিয়ে গেল। ফিলিস্তিনীরা এসে তখন সেই নগরগুলি দখল করল।
যেসব ইস্রায়েলীয় লোক সেই দিন উপত্যকায় ছিল, তারা যখন দেখল যে, লোকেরা পালিয়ে গেছে এবং শৌল ও তাঁর ছেলেরা মারা পড়েছেন তখন তারাও তাদের নগরগুলো ছেড়ে পালিয়ে গেল, আর পলেষ্টীয়েরা এসে সেই সব নগরে বাস করতে লাগল।
8 পরদিন ফিলিস্তিনীরা যখন মৃতদেহগুলি থেকে সাজসজ্জা খুলে নিতে এসেছিল, তারা শৌল ও তাঁর ছেলেদের গিলবোয় পর্বতে মরে পড়ে থাকতে দেখেছিল।
পরের দিন পলেষ্টীয়েরা মৃত লোকদের সব কিছু লুট করতে এসে দেখল গিলবোয় পর্বতের উপরে শৌল ও তাঁর ছেলেদের মৃতদেহ পড়ে আছে।
9 তারা তাঁর সাজসজ্জা খুলে নিয়েছিল ও তাঁর মুণ্ডু ও অস্ত্রশস্ত্র হাতিয়ে নিয়েছিল, এবং ফিলিস্তিনীদের গোটা দেশে তাদের দেবদেবীর প্রতিমাদের ও তাদের প্রজাদের মাঝে সেই খবর ঘোষণা করার জন্য দূতদের পাঠিয়ে দিয়েছিল।
তখন তারা শৌলের মাথা কেটে নিল এবং তাঁর সাজ পোশাক ও অস্ত্রশস্ত্র খুলে নিল। এই খবর তাদের সমস্ত দেব দেবতা ও লোকদের কাছে ঘোষণা করবার জন্য তারা পলেষ্টীয় দেশের সব জায়গায় সেগুলো পাঠিয়ে দিল।
10 তারা তাঁর অস্ত্রশস্ত্র তাদের দেবতাদের মন্দিরে রেখেছিল এবং তাঁর মাথাটি দাগোনের মন্দিরে ঝুলিয়ে রেখেছিল।
১০তারপর তারা শৌলের অস্ত্রশস্ত্র তাদের দেবতাদের মন্দিরে রাখল আর তার মাথাটা দাগোন দেবতার মন্দিরে টাঙ্গিয়ে দিল।
11 ফিলিস্তিনীরা শৌলের প্রতি কী করেছে, তা যখন যাবেশ-গিলিয়দের লোকজন শুনতে পেয়েছিল,
১১পলেষ্টীয়েরা শৌলের প্রতি যা করেছে যাবেশ গিলিয়দের সমস্ত লোক তা শুনতে পেল।
12 তখন তাদের সব অসমসাহসী লোকজন গিয়ে শৌল ও তাঁর ছেলেদের শবদেহগুলি যাবেশে তুলে এনেছিল। পরে তারা তাদের অস্থি যাবেশে বিশাল সেই গাছটির তলায় কবর দিয়েছিল, ও সাত দিন তারা উপবাস রেখেছিল।
১২তখন সেখানকার বীর সৈন্যেরা গিয়ে শৌল ও তাঁর ছেলেদের মৃতদেহগুলো যাবেশে নিয়ে এল। যাবেশের এলা গাছের তলায় তারা তাঁদের হাড়গুলো কবর দিল এবং সাত দিন উপবাস করল।
13 শৌল মারা গেলেন কারণ তিনি সদাপ্রভুর প্রতি অবিশ্বস্ত হলেন; তিনি সদাপ্রভুর বাক্য পালন করেননি এবং এমনকি পরিচালনা লাভের জন্য এক প্রেতমাধ্যমেরও সাহায্য নিয়েছিলেন,
১৩সদাপ্রভুর প্রতি অবিশ্বস্ত হয়েছিলেন বলে শৌল মারা গেলেন। তিনি সদাপ্রভুর কথা মেনে চলেন নি; এমন কি, সদাপ্রভুর কাছ থেকে পরামর্শ না চেয়ে তিনি এই রূপে পরামর্শ নিয়েছিলেন যে ভুতড়িয়ার কাছে।
14 এবং সদাপ্রভুর কাছে খোঁজ নেননি। তাই সদাপ্রভু তাঁর মৃত্যু ঘটিয়েছিলেন এবং রাজ্যের ভার তাঁর হাত থেকে ছিনিয়ে নিয়ে যিশয়ের ছেলে দাউদের হাতে তুলে দিলেন।
১৪সেইজন্যই সদাপ্রভু তাঁর মৃত্যু ঘটালেন এবং রাজ্যটা যিশয়ের ছেলে দায়ূদের হাতে তুলে দিলেন।

< বংশাবলির প্রথম খণ্ড 10 >