< গীতসংহিতা 50 >
1 ১ আসফের একটি গীত। এক সর্বশক্তিমান সদাপ্রভুু ঈশ্বর এই কথা বললেন এবং সূর্য্যের উদয়স্থান থেকে অন্ত পর্যন্ত তিনি পৃথিবীকে ডাকছেন।
আসফের গীত। সদাপ্রভু, পরাক্রমী জন, তিনিই ঈশ্বর, তিনি কথা বলেন সূর্যের উদয় থেকে অস্ত যাওয়ার স্থান পর্যন্ত তিনি পৃথিবীর সব মানুষকে তলব করেন।
2 ২ সিয়োন থেকে, সৌন্দর্য্যের পরিপূর্ণ স্থান থেকে, ঈশ্বর চিত্কার দীপ্তি প্রকাশ করেছেন।
সিয়োন থেকে, পরম সৌন্দর্যের স্থান থেকে, ঈশ্বর দীপ্তিমান রয়েছেন।
3 ৩ আমাদের ঈশ্বর আসবেন নীরব থাকবেন না; তার আগে আগুন গ্রাস করবে এবং এটা তার চারপাশে অত্যন্ত ঝড় বইবে।
আমাদের ঈশ্বর আসছেন আর তিনি নীরব রইবেন না; এক সর্বগ্রাসী আগুন তাঁর অগ্রবর্তী, এবং এক প্রচণ্ড ঝড় তাঁর চতুর্দিকে বইছে।
4 ৪ তিনি উপরে স্বর্গকে ডাকবেন এবং পৃথিবীকেও ডাকবেন, যাতে নিজের লোকেদের বিচার করতে পারে।
তিনি আকাশমণ্ডলকে তলব করলেন, এবং পৃথিবীকেও, যেন তিনি তাঁর ভক্তজনের বিচার করেন:
5 ৫ “আমার বিশ্বস্ত ব্যক্তিদের একসঙ্গে আমার কাছে একত্র কর, যারা বলিদান দ্বারা আমার সাথে একটি নিয়ম করেছে।”
“আমার পবিত্র লোকেদের আমার কাছে একত্রিত করো, যারা বলিদানসহ আমার সঙ্গে এক নিয়ম স্থাপন করেছিল।”
6 ৬ আর স্বর্গ তাঁর ধার্ম্মিকতা ঘোষণা করবে, কারণ ঈশ্বর নিজেই বিচারক। (সেলা)
আকাশমণ্ডল তাঁর ধার্মিকতা প্রচার করে, কারণ ঈশ্বর স্বয়ং বিচারক।
7 ৭ “আমার লোকেরা, শোন, আমি বল; ইস্রায়েল, শোন, আমি তোমার বিপক্ষে সাক্ষ্য দিই। আমিই ঈশ্বর, তোমার ঈশ্বর।
“শোনো, আমার ভক্তজন, আর আমি কথা বলব; ইস্রায়েল, আমি তোমার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেব: আমি ঈশ্বর, তোমার ঈশ্বর।
8 ৮ আমি তোমার বলিদানের জন্য তোমাকে তিরস্কার করব না, তোমার হোমবলি সবদিন আমার সামনে থাকে।
তোমার নিবেদিত নৈবেদ্য সম্পর্কে আমি তোমার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ আনব না অথবা তোমার হোমবলি সম্পর্কে, যা সর্বক্ষণ আমার সামনে আছে।
9 ৯ আমি তোমার গৃহ থেকে ষাঁড় বা তোমার খোঁয়াড় থেকে ছাগল নেব না।
তোমার গোশালা থেকে আমার বলদের প্রয়োজন নেই অথবা তোমার খোঁয়াড় থেকে ছাগলের প্রয়োজন নেই,
10 ১০ কারণ বনের সমস্ত প্রাণী আমার এবং হাজার হাজার পাহাড়ের গবাদি পশু আমার।
কারণ অরণ্যের সব প্রাণী আমার, এবং হাজার পর্বতের উপর গবাদি পশুও আমার।
11 ১১ আমি পাহাড়ের সমস্ত পাখিকে জানি এবং মাঠের প্রাণীরা সকলই আমার।
পর্বতমালার সব পাখি আমার পরিচিত, আর প্রান্তরের সব কীটপতঙ্গ আমার।
12 ১২ যদি আমি ক্ষুধার্ত থাকি আমি তোমাকে বলব না; কারণ জগৎ ও তার সমস্তই আমার।
যদি আমি ক্ষুধার্ত হই আমি তোমাকে কিছু বলব না, কারণ এই পৃথিবী আমার, আর যা কিছু এতে আছে, তাও আমার।
13 ১৩ আমি কি ষাঁড়ের মাংস খাব বা আমি কি ছাগলের রক্ত পান করব?
আমি কি বলদের মাংস খাই বা ছাগলের রক্ত পান করি?
14 ১৪ তুমি সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে বলি উৎসর্গের জন্য ধন্যবাদ দাও এবং মহান ঈশ্বর কাছে আমার প্রতিজ্ঞা পূর্ণ করব।
“ঈশ্বরের উদ্দেশে ধন্যবাদের নৈবেদ্য উৎসর্গ করো, পরাৎপরের কাছে তোমার শপথ পূর্ণ করো,
15 ১৫ আর বিপদের দিনের আমাকে ডাকো; আমি তোমাকে উদ্বার করব এবং তুমি আমার গৌরব করবে।”
এবং সংকটের দিনে আমাকে ডেকো; আমি তোমাকে উদ্ধার করব, আর তুমি আমার গৌরব করবে।”
16 ১৬ কিন্তু দুষ্টকে ঈশ্বর বলে, আমার নিয়মের প্রকাশের সাথে করতে তোমার কি অধিকার, তুমি আমার নিয়ম মুখে এনেছ।
কিন্তু দুষ্ট ব্যক্তিকে ঈশ্বর বলেন: “আমার বিধি পাঠ করার বা আমার নিয়ম তোমার মুখে আনার অধিকার কি তোমার আছে?
17 ১৭ তুমি শাসন ঘৃণা করে থাক এবং আমার বাক্যকে দূরে ফেলে থাক।
তুমি আমার নির্দেশ ঘৃণা করো আর আমার সমস্ত আদেশ অগ্রাহ্য করো।
18 ১৮ যখন তুমি একটি চোরকে দেখ তুমি তার সাথে একমত হও, তুমি ব্যভিচারিণীদের সাথে অংশগ্রহণ কর।
যখন তুমি এক চোর দেখো, তুমি তার সঙ্গে যুক্ত হও; আর তুমি ব্যভিচারীদের সঙ্গে সময় কাটাও।
19 ১৯ তুমি মন্দ বিষয়ে মুখ দিয়ে থাক এবং তোমার জিভ প্রতারণা প্রকাশ করে।
তুমি তোমার মুখ অসৎ কাজে ব্যবহার করো আর তোমার জিভ ছলনায় সাজিয়ে রাখো।
20 ২০ তুমি বসে নিজের ভাইয়ের বিরুদ্ধে কথা বলে থাক, তুমি নিজের মায়ের পুত্রকে নিন্দা করে থাক।
তুমি বসে থাকো আর তোমার ভাইয়ের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দাও এবং তোমার নিজের মায়ের সন্তানের নিন্দা করো।
21 ২১ তুমি এই সব কাজ করেছ, আমি নীরব হয়ে আছি; তুমি চিন্তা কর আমি তোমার মত কেউ ছিলাম, কিন্তু আমি তোমাকে তিরস্কার করব ও তোমার চোখের সামনে সমস্ত কিছু ধ্বংস করব।
যখন তুমি এসব করেছিলে আর আমি নীরব ছিলাম, তুমি ভেবেছিলে যে আমি ঠিক তোমারই মতো। কিন্তু এখন আমি তোমাকে তিরস্কার করব এবং আমার সব অভিযোগ তোমার সামনে রাখব।
22 ২২ এখন তুমি এই কথা মনে করবে যারা ঈশ্বরকে ভুলে যায়, পাছে আমি তোমাকে টুকরো টুকরো করে ফেলি এবং তোমাকে সাহায্য করতে না আসি।
“তোমরা যারা ঈশ্বরকে ভুলে যাও, এখন বিবেচনা করো, নতুবা আমি তোমাদের ছিন্নভিন্ন করব, কেউ তোমাদের রক্ষা করবে না:
23 ২৩ যে ব্যক্তি আমাকে ধন্যবাদের বলি উৎসর্গ করে এবং সেই আমার গৌরব করে; যে ব্যক্তি সঠিক পথের পরিকল্পনা করে, তাকে আমি ঈশ্বরের পরিত্রান দেখাব।
যারা ধন্যবাদের নৈবেদ্য নিবেদন করে, তারা আমাকে সম্মান করে, আর যে নির্দোষ তাকে আমি আমার পরিত্রাণ দেখাব।”