< গীতসংহিতা 33 >
1 ১ ধার্ম্মিকেরা, সদাপ্রভুুতে আনন্দ কর; প্রশংসা করা ন্যায়পরায়ণদের জন্য উপযুক্ত।
হে ধার্মিকেরা, সদাপ্রভুর আনন্দধ্বনি করো; তাঁর প্রশংসা করা ন্যায়পরায়ণদের উপযুক্ত।
2 ২ বীণার সাথে সদাপ্রভুুকে ধন্যবাদ দাও; দশটি তারের বাদ্যযন্ত্রের সঙ্গে তাঁর প্রশংসা কর।
তোমরা বীণাতে সদাপ্রভুর প্রশংসা করো; দশতন্ত্রী সুরবাহারে তাঁর উদ্দেশে সংগীত করো।
3 ৩ তাঁর উদ্দেশ্যে নতুন গান গাও; মধুর বাদ্য কর, জয়ধ্বনি কর এবং আনন্দের সাথে গান কর।
তাঁর উদ্দেশে নতুন গান গাও; নিপুণ হাতে বাজাও ও আনন্দধ্বনি করো।
4 ৪ কারণ সদাপ্রভুুর বাক্য ন্যায়পরায়ণ এবং তিনি যা কিছু করেন তা ন্যায্য।
সদাপ্রভুর বাক্য সঠিক ও সত্য; তিনি যা কিছু করেন সবকিছুতেই বিশ্বস্ত।
5 ৫ তিনি ধার্ম্মিকতা এবং ন্যায়বিচার ভালোবাসেন। পৃথিবীতে সদাপ্রভুুর চুক্তির বিশ্বস্ততা পূর্ণ হয়।
সদাপ্রভু ন্যায়বিচার ও ধার্মিকতা ভালোবাসেন; পৃথিবী তাঁর অবিচল প্রেমে পূর্ণ।
6 ৬ স্বর্গে তৈরি করা হয় সদাপ্রভুুর বাক্যে এবং সমস্ত তারা তাঁর মুখের শ্বাসের দ্বারা তৈরি হয়েছিল।
সদাপ্রভুর বাক্যে আকাশমণ্ডল সৃষ্টি হয়েছিল, তাঁর মুখের নিঃশ্বাসে তারকারাশি তৈরি হয়েছিল।
7 ৭ তিনি সমুদ্রের জলকে একসঙ্গে একটি স্তূপের মত সংগ্রহ করেন; তিনি মহাসাগরকে ভান্ডারের মধ্যে রাখেন।
তিনি সমুদ্রের সীমানা নির্দিষ্ট করেন এবং মহাসমুদ্রের জলরাশি জলাধারে সঞ্চিত করেন।
8 ৮ সমস্ত পৃথিবী সদাপ্রভুুকে ভয় করুক; জগতের সমস্ত নিবাসীরা তাঁর ভয়ে থাকো।
সমস্ত পৃথিবী সদাপ্রভুকে সম্ভ্রম করুক; জগতের সব লোক তাঁর সমাদর করুক।
9 ৯ কারণ তিনি কথা বললেন এবং তার উত্পত্তি হল; তিনি আদেশ দিলেন ও এটি একটি জায়গায় দাঁড়িয়ে রইল।
কারণ তিনি কথা বললেন, আর সৃষ্টি হল; তিনি আদেশ দিলেন আর স্থিতি হল।
10 ১০ সদাপ্রভুু জাতিগুলোর ঐক্য ব্যর্থ করেন; তিনি লোকেদের পরিকল্পনা বাতিল করেন।
জাতিদের পরিকল্পনা সদাপ্রভু ব্যর্থ করেন; মানুষের সব সংকল্প তিনি বিফল করেন।
11 ১১ সদাপ্রভুুর পরিকল্পনা চিরকাল থাকে, তাঁর হৃদয়ের পরিকল্পনা সমস্ত প্রজন্মের জন্য।
কিন্তু সদাপ্রভুর পরিকল্পনা চিরস্থায়ী হয়, তাঁর হৃদয়ের উদ্দেশ্য বংশের পর বংশ স্থায়ী হয়।
12 ১২ ধন্য সেই জাতি, যাঁর ঈশ্বর সদাপ্রভুু, যাদের তিনি নিজের অধিকার হিসাবে মনোনীত করেছেন।
ধন্য সেই জাতি, যার ঈশ্বর সদাপ্রভু, সেই সমাজ যাকে তিনি তাঁর অধিকারের জন্য মনোনীত করেছেন।
13 ১৩ সদাপ্রভুু, স্বর্গ থেকে দেখেন, তিনি সমস্ত লোককে দেখেন।
স্বর্গ থেকে সদাপ্রভু দৃষ্টিপাত করেন এবং সমগ্র মানবজাতিকে দেখেন;
14 ১৪ সে যেখানে অবস্থান করে সেখান থেকে, পৃথিবীতে যারা বেঁচে আছে তাদের দেখেন।
যারা পৃথিবীতে বসবাস করে তাদের তিনি নিজের বাসস্থান থেকে লক্ষ্য করেন।
15 ১৫ তিনি যিনি তাদের হৃদয়কে গঠন করেছেন, যা তাদের সমস্ত কাজ দেখায়।
তিনি তাদের হৃদয় তৈরি করেছেন, তাই তারা যা কিছু করে তিনি সব বুঝতে পারেন।
16 ১৬ কোন রাজা বিশাল সেনাবাহিনীর দ্বারা রক্ষা পায় না; একটি যোদ্ধা তার মহান শক্তির দ্বারা রক্ষা পায় না।
কোনো রাজা তার সৈন্যদলের আকারে রক্ষা পায় না; কোনো যোদ্ধা নিজের শক্তিবলে পালাতে পারে না।
17 ১৭ জয়ের জন্য একটি ঘোড়ার আশা মিথ্যা, তার মহান শক্তি সত্বেও, সে উদ্ধার করতে পারবে না।
জয়লাভের জন্য নিজের ঘোড়ার উপর নির্ভর কোরো না, বিপুল সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও তা তোমাকে রক্ষা করতে পারে না।
18 ১৮ দেখ, যারা তাঁকে ভয় করে তাদের উপরে সদাপ্রভুু চোখ থাকে, যারা তাঁর চুক্তির বিশ্বস্ততার ওপর নির্ভর করে।
কিন্তু সদাপ্রভুর দৃষ্টি তাদের প্রতি আবদ্ধ যারা তাঁকে সম্ভ্রম করে আর যারা তাঁর অবিচল প্রেমে আস্থা রাখে,
19 ১৯ মৃত্যুর হাত থেকে তাদের প্রাণ বাঁচাতে এবং দূর্ভিক্ষের মাধ্যমে তাদের জীবিত রাখতে।
তিনি মৃত্যু থেকে তাদের উদ্ধার করেন, এবং দুর্ভিক্ষের সময় তাদের প্রাণরক্ষা করেন।
20 ২০ আমরা সদাপ্রভুুর জন্য অপেক্ষায় রয়েছি; তিনি আমাদের সাহায্য এবং আমাদের ঢাল।
আমরা সদাপ্রভুর প্রতীক্ষায় আছি; তিনি আমাদের সহায় ও আমাদের ঢাল।
21 ২১ আমাদের হৃদয় তাঁর মধ্যে আনন্দিত, কারণ আমরা তাঁর পবিত্র নামের উপর বিশ্বাস করি।
আমাদের হৃদয় সদাপ্রভুতে আনন্দ করে, কারণ আমরা তাঁর পবিত্র নামে আস্থা রাখি।
22 ২২ সদাপ্রভুু, তোমার চুক্তির বিশ্বস্ততা আমাদের সাথে থাকুক।
হে সদাপ্রভু, তোমার অবিচল প্রেম আমাদের উপর বিরাজ করুক, কারণ তোমার উপরেই আমরা আশা করি।