গীতসংহিতা 22
1 ১ প্রধান বাদ্যকরের জন্য। স্বর, ঈশ্বর আমার, ঈশ্বর আমার, কেন তুমি আমাকে পরিত্যাগ করেছ? আমাকে রক্ষা করা থেকে এবং আমার যন্ত্রণার উক্তি থেকে কেন তুমি দূরে থাক?
| لِقَائِدِ الْمُنْشِدِينَ، عَلَى أَيِّلَةِ الصَّبَاحِ مَزْمُورٌ لِدَاوُدَ إِلَهِي، إِلَهِي، لِمَاذَا تَرَكْتَنِي؟ لِمَاذَا تَبَاعَدْتَ عَنْ خَلاصِي وَعَنْ سَمَاعِ صَوْتِ تَنَهُّدَاتِي؟ | ١ |
| إِلَهِي، أَصْرُخُ إِلَيْكَ مُسْتَغِيثاً فِي النَّهَارِ فَلَا تُجِيبُنِي، وَفِي اللَّيْلِ فَلَا رَاحَةَ لِي، | ٢ |
| مَعْ أَنَّكَ أَنْتَ الْقُدُّوسُ الَّذِي أَقَمْتَ عَرْشَكَ فِي وَسَطِ شَعْبِكَ الَّذِي يُسَبِّحُكَ. | ٣ |
| عَلَيْكَ اتَّكَلَ آبَاؤُنَا، وَبِكَ وَثِقُوا، وَأَنْتَ قَدْ نَجَّيْتَهُمْ. | ٤ |
| إِلَيْكَ صَرَخُوا فَنَجَوْا، وَعَلَيْكَ اتَّكَلُوا فَلَمْ يَخْزَوْا. | ٥ |
| أَمَّا أَنَا فَدُودَةٌ لَا إِنْسَانٌ. عَارٌ فِي نَظَرِ الْبَشَرِ، وَمَنْبُوذٌ فِي عَيْنَيْ شَعْبِي. | ٦ |
7 ৭ যারা আমাকে দেখে তারা আমাকে উপহাস করে; তারা আমাকে পরিহাস করে; তারা আমার সম্পর্কে শোনে ও তাদের মাথা নাড়ায়।
| جَمِيعُ الَّذِينَ يَرَوْنَنِي يَسْتَهْزِئُونَ بِي، يَفْتَحُونَ شِفَاهَهُمْ عَلَيَّ بِالْبَاطِلِ، وَيَهُزُّونَ رُؤُوسَهُمْ قَائِلِينَ: | ٧ |
8 ৮ তারা বলে, “সে সদাপ্রভুুর উপর বিশ্বাস করে; সদাপ্রভুু তাকে উদ্ধার করুন। তিনি তাকে রক্ষা করুন, কারণ তিনি তার মধ্যেই আনন্দিত।”
| «سَلَّمَ إِلَى الرَّبِّ أَمْرَهُ، فَلْيُنْجِدْهُ. لِيُنْقِذْهُ مَادَامَ قَدْ سُرَّ بِهِ». | ٨ |
9 ৯ কারণ তুমি আমাকে গর্ভ থেকে বের করে এনেছ; আমি যখন আমার মায়ের স্তন পান করছিলাম, তখন তুমি আমাকে বিশ্বাস করতে সাহায্য করেছিলে।
| أَنْتَ أَخْرَجْتَنِي مِنَ الرَّحِمِ. أَنْتَ جَعَلْتَنِي أَنَامُ مُطْمَئِنّاً وَأَنَا مَازِلْتُ عَلَى صَدْرِ أُمِّي. | ٩ |
10 ১০ গর্ভ থেকে আমি তোমার উপর নিক্ষিপ্ত হয়েছিলাম; আমি আমার মায়ের গর্ভে ছিলাম তখন থেকেই তুমিই আমার ঈশ্বর!
| أَنْتَ مُتَّكَلِي مِنْ قَبْلِ مِيلادِي، فَأَنْتَ إِلَهِي مُنْذُ كُنْتُ جَنِيناً. | ١٠ |
| لَا تَقِفْ بَعِيداً عَنِّي، لأَنَّ الضِّيقَ قَرِيبٌ وَلَا مُعِينَ لِي. | ١١ |
| حَاصَرَنِي أَعْدَاءُ أَقْوِيَاءُ، كَأَنَّهُمْ ثِيرَانُ بَاشَانَ الْقَوِيَّةُ. | ١٢ |
13 ১৩ তারা আমার বিরুদ্ধে তাদের মুখ খুলে হ্যাঁ করে, যেমনভাবে গর্জনকারী সিংহ তার শিকার গ্রাস করার জন্য করে।
| فَغَرُوا عَلَيَّ أَفْوَاهَهُم كَأَنَّهُمْ أُسُودٌ مُفْتَرِسَةٌ مُزَمْجِرَةٌ. | ١٣ |
14 ১৪ আমাকে জলের মত ঢালা হয়েছে এবং আমার সমস্ত হাড় স্হানচ্যুত হয়েছে। আমার হৃদয় মোমের মত হয়েছে; তা আমার ভেতরের অংশের মধ্যে গলে গিয়েছে।
| صَارَتْ قُوَّتِي كَالْمَاءِ، وَانْحَلَّتْ عِظَامِي. صَارَ قَلْبِي كَالشَّمْعِ، وَذَابَ فِي دَاخِلِي. | ١٤ |
15 ১৫ আমার শক্তি মাটির পাত্রের একটি টুকরো মত শুকিয়ে গেছে; আমার জিভ আমার মুখের তালুতে লেগে যাচ্ছে। তুমি আমাকে মৃত্যুর ধূলোকণার মধ্যে রেখেছ।
| جَفَّتْ نَضَارَتِي كَقِطْعَةِ الْفَخَّارِ، وَالْتَصَقَ لِسَانِي بِحَنَكِي. إِلَى تُرَابِ الأَرْضِ تَضَعُنِي. | ١٥ |
16 ১৬ কারণ কুকুরেরা আমাকে ঘিরেছে; অন্যায়কারীদের দল আমাকে ঘিরে আছে; তারা আমার হাত এবং পা বিদ্ধ করেছে।
| أَحَاطَ بِي الأَدْنِيَاءُ. جَمَاعَةٌ مِنَ الأَشْرَارِ طَوَّقَتْنِي. ثَقَبُوا يَدَيَّ وَرِجْلَيَّ. | ١٦ |
| صِرْتُ لِهُزَالِي أُحْصِي عِظَامِي، وَهُمْ يُرَاقِبُونَنِي وَيُحْدِقُونَ فِيَّ. | ١٧ |
| يَتَقَاسَمُونَ ثِيَابِي فِيمَا بَيْنَهُمْ، وَعَلَى لِبَاسِي يُلْقُونَ قُرْعَةً. | ١٨ |
| يَا رَبُّ، لَا تَتَبَاعَدْ عَنِّي. يَا قُوَّتِي أَسْرِعْ إِلَى نَجْدَتِي. | ١٩ |
| أَنْقِذْ مِنَ السَّيْفِ نَفْسِي، وَمِنْ مَخَالِبِ الأَدْنِيَاءِ حَيَاتِي. | ٢٠ |
| خَلِّصْنِي مِنْ فَمِ الأَسَدِ، وَمِنْ بَيْنِ قُرُونِ الثِّيرَانِ الْوَحْشِيَّةِ اسْتَجِبْ لِي. | ٢١ |
| أُعْلِنُ اسْمَكَ لإِخْوَتِي، وَأُسَبِّحُكَ فِي وَسَطِ الْجَمَاعَةِ. | ٢٢ |
23 ২৩ তোমরা যারা সদাপ্রভুুকে ভয় কর, তাঁর প্রশংসা কর! যাকোবের সমস্ত পূর্বপুরুষেরা, তাঁকে সম্মান করো! তাঁকে ভয়ের কর, ইস্রায়েলের সমস্ত বংশধরেরা!
| سَبِّحُوا الرَّبَّ يَا خَائِفِيهِ. مَجِّدُوهُ يَا جَمِيعَ نَسْلِ يَعْقُوبَ، واخْشَوْهُ يَا جَمِيعَ ذُرِّيَّةِ إِسْرَائِيلَ. | ٢٣ |
24 ২৪ কারণ তিনি দুঃখী ব্যক্তির দুঃখভোগের প্রতি অবজ্ঞা বা ঘৃণা করেন না; সদাপ্রভুু তার থেকে তাঁর মুখ লুকান না; যখন একটি দুঃখী লোক তাঁর কাছে কাঁদে, তখন তিনি শোনেন।
| فَإِنَّهُ لَمْ يَحْتَقِرْ بُؤْسَ الْمِسْكِينِ، وَلَا حَجَبَ عَنْهُ وَجْهَهُ، بَلِ اسْتَجَابَ لَهُ عِنْدَمَا صَرَخَ إِلَيْهِ. | ٢٤ |
25 ২৫ মহাসমাজ মধ্যে আমার প্রশংসা তোমার কাছ থেকে আসে; যারা তাঁকে ভয় করে আমি তাদের সামনে আমার প্রতিজ্ঞাগুলো পূর্ণ করব।
| أَنْتَ تُلْهِمُنِي تَسْبِيحَكَ فِي وَسَطِ الْجَمَاعَةِ الْعَظِيمَةِ، فَأُوْفِي بِنُذُورِي أَمَامَ جَمِيعِ خَائِفِيهِ. | ٢٥ |
26 ২৬ নিপীড়িতরা ভোজন করবে এবং সন্তুষ্ট হবে; তাদের সদাপ্রভুুকে খোঁজ করে তারা তাঁর প্রশংসা করবে। তোমাদের হৃদয় চিরকাল জীবিত থাকুক।
| يَأْكُلُ الْوُدَعَاءُ وَيَشْبَعُونَ، وَطَالِبُو الرَّبِّ يُسَبِّحُونَهُ. تَحْيَا قُلُوبُكُمْ إِلَى الأَبَدِ. | ٢٦ |
27 ২৭ পৃথিবীর সমস্ত লোক স্মরণ করবে এবং সদাপ্রভুুর কাছে ফিরে যাবে; সমস্ত জাতিদের পরিবার তাঁর সামনে উপুড় হয়ে প্রণাম করবে।
| تَتَذَكَّرُ جَمِيعُ أَقَاصِي الأَرْضِ وَتَرْجِعُ إِلَى الرَّبِّ، وَتَتَعَبَّدُ أَمَامَكَ جَمِيعُ قَبَائِلِ الأُمَمِ. | ٢٧ |
| لأَنَّ الْمُلْكَ لِلرَّبِّ، وَهُوَ يَتَسَلَّطُ عَلَى الأُمَمِ. | ٢٨ |
29 ২৯ পৃথিবীর সমস্ত সমৃদ্ধ লোক আরাধনা করবে; ধূলোতে নেমে আসা সমস্ত লোক ও যারা তাদের নিজেদের প্রাণ রক্ষা করতে পারে না তারাও তাঁর সামনে নতজানু হবে।
| جَمِيعُ عُظَمَاءِ الأَرْضِ يَحْتَفِلُونَ وَيَسْجُدُونَ. يَنْحَنِي أَمَامَهُ الْهَابِطُونَ إِلَى التُّرَابِ وَالْفَانُونَ، | ٢٩ |
| يَتَعَبَّدُ نَسْلُهُمْ لِلهِ، وَيَتَحَدَّثُونَ عَنِ الرَّبِّ لِلْجِيلِ الآتِي. | ٣٠ |
31 ৩১ তারা আসবে এবং তাঁর ধার্মিকতার কথা বলবে; তিনি কি করেছেন তা তারা এমন লোকদের বলবে যারা এখনো জন্ম গ্রহণ করে নি।
| يَأْتُونَ وَيُخْبِرُونَ بِبِرِّهِ وَبِمُعْجِزَاتِهِ شَعْباً لَمْ يُولَدْ بَعْدُ. | ٣١ |
