< গীতসংহিতা 105 >

1 সদাপ্রভুুর ধন্যবাদ কর, তাঁর নামে ডাক, জাতিদের মধ্যে তাঁর সব কাজ জানাও।
সদাপ্রভুর প্রশংসা করো, তাঁর নাম ঘোষণা করো; জাতিদের জানাও তিনি কী করেছেন।
2 তাঁর উদ্দেশে গান গাও, তাঁর প্রশংসা গান কর, তাঁর সব আশ্চর্য্য কাজের কথা বল।
তাঁর উদ্দেশে গান গাও, তাঁর উদ্দেশে প্রশংসাগীত গাও; তাঁর সুন্দর সুন্দর সব কাজের কথা বলো।
3 তাঁর পবিত্র নামের গর্ব কর; সদাপ্রভুুর খোঁজকারীদের হৃদয় আনন্দ করুক।
তাঁর পবিত্র নামের মহিমা করো; যারা সদাপ্রভুর খোঁজ করে তাদের অন্তর উল্লসিত হোক।
4 সদাপ্রভুুর ও তাঁর শক্তির খোঁজ কর, তাঁর নিয়মিত উপস্থিতির খোঁজ কর।
সদাপ্রভুর ও তাঁর শক্তির দিকে চেয়ে দেখো; সর্বদা তাঁর শ্রীমুখের খোঁজ করো।
5 মনে কর তাঁর করা আশ্চর্য্য জিনিস সব, তাঁর অদ্ভুতকান্ড এবং তাঁর মুখের শাসন সব;
মনে রেখো তাঁর করা আশ্চর্য কাজগুলি, তাঁর অলৌকিক কার্যাবলি ও তাঁর ঘোষণা করা শাস্তি,
6 তোমরা আব্রাহামের বংশ তাঁর দাস, তোমরা যাকোবের লোক, তাঁর মনোনীতরা।
তোমরা তাঁর দাস, হে অব্রাহামের বংশধরেরা, তাঁর মনোনীত লোকেরা, হে যাকোবের সন্তানেরা।
7 তিনি সদাপ্রভুু, আমাদের ঈশ্বর, তাঁর শাসন সব সারা পৃথিবীতে আছে।
তিনিই আমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু; তাঁর বিচার সমগ্র পৃথিবীতে বিরাজমান।
8 তিনি তাঁর নিয়ম চিরকাল মনে করেন, সেই বাক্য তিনি হাজার বংশপরম্পরার প্রতি আদেশ করেছেন।
তিনি চিরকাল তাঁর নিয়ম মনে রাখেন, যে প্রতিজ্ঞা তিনি করেছেন, হাজার বংশ পর্যন্ত,
9 সেই নিয়ম তিনি আব্রাহামের সঙ্গে করলেন এবং সেই শপথ ইসাহাকের কাছে করলেন।
যে নিয়ম তিনি অব্রাহামের সাথে স্থাপন করলেন, যে শপথ তিনি ইস্‌হাকের কাছে করলেন।
10 ১০ তিনি যা যাকোবের কাছে নিশ্চিত করলেন বিধি হিসাবে এবং ইস্রায়েলের কাছে চিরদিনের র নিয়ম বললেন।
তা তিনি যাকোবের কাছে এক বিধানরূপে সুনিশ্চিত করলেন, ইস্রায়েলের কাছে করলেন এক চিরস্থায়ী নিয়মরূপে:
11 ১১ তিনি বললেন আমি তোমাকে কনান দেশ দেব, সেটা তোমাদের অধিকার।
“তোমাকেই আমি সেই কনান দেশ দেব সেটিই হবে তোমার উত্তরাধিকারের অংশ।”
12 ১২ তিনি একথা বললেন যখন তারা সংখ্যাতে বেশি ছিল না, তারা অল্পই ছিল এবং সেখানে প্রবাসী ছিল।
তারা যখন সংখ্যায় ছিল অতি নগণ্য, সত্যিই নগণ্য, ও সেখানে ছিল তারা বিদেশি,
13 ১৩ তারা এক জাতি থেকে অন্য জাতির কাছে এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে যেত।
তারা এক জাতি থেকে অন্য জাতির মধ্যে, এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে ঘুরে বেড়ালো।
14 ১৪ তিনি কোন মানুষকে তাদের ওপর জুলুম করতে দিতেন না; তাদের জন্য রাজাদের শাস্তি দিতেন।
তিনি কাউকে তাদের উপর অত্যাচার করতে দেননি; তাদের সুবিধার্থে তিনি রাজাদের তিরস্কার করলেন:
15 ১৫ তিনি বললেন, “আমার অভিষিক্তদেরকে স্পর্শ করো না এবং আমার ভাববাদীদের ক্ষতি করো না”।
“আমার অভিষিক্ত জনেদের স্পর্শ কোরো না; আমার ভাববাদীদের কোনও ক্ষতি কোরো না।”
16 ১৬ তিনি মিশর দেশে দূর্ভিক্ষকে ডাকলেন; তিনি সব রুটি সরবরাহ বিচ্ছিন্ন করলেন।
তিনি দেশে দুর্ভিক্ষ ডেকে আনলেন আর তাদের খাবারের সব জোগান ধ্বংস করলেন;
17 ১৭ তিনি তাদের আগে একজন লোককে পাঠালেন, যোষেফকে দাস হিসাবে বিক্রি হলেন।
আর তাদের আগে এক ব্যক্তিকে পাঠালেন— যোষেফকে ক্রীতদাসরূপে বিক্রি করা হল।
18 ১৮ তার পা বেড়ি দিয়ে বাঁধা ছিল, তাকে লোহার শেকলে রাখা হয়েছিল।
তারা শিকল দিয়ে তাঁর পায়ে আঘাত করল, তাঁর ঘাড় লোহাতে আবদ্ধ করা হল,
19 ১৯ যতক্ষণ তাঁর ভাববাণী সত্যি না হয়, সদাপ্রভুুর বাক্য তাকে সঠিক প্রমাণ করল।
যতক্ষণ না পর্যন্ত তার আগাম কথা পূর্ণ হল, যতক্ষণ না পর্যন্ত সদাপ্রভুর বাক্য তাঁকে সত্য প্রমাণিত করল।
20 ২০ রাজা পাঠালেন এবং তাকে ছেড়ে দিলেন; জাতিদের কর্তা তাকে মুক্ত করলেন।
রাজা তাঁকে মুক্ত করার জন্য আদেশ দিলেন, আর প্রজাদের শাসক তাঁকে মুক্ত করলেন।
21 ২১ তিনি তাকে তার বাড়ীর দায়িত্ব দিলেন যেন সব সম্পত্তির কর্তা,
তিনি তাঁকে নিজের ভবনের প্রধান আর তাঁর সম্পূর্ণ সম্পত্তির শাসক করলেন,
22 ২২ তাঁর নেতাদের নিয়ন্ত্রন করতে এবং তাঁর প্রাচীনবর্গকে জ্ঞান শিক্ষা দিতে।
তার ইচ্ছামতো অধিপতিগণদের আদেশ দিতে এবং তার মন্ত্রীদের প্রজ্ঞা শেখাতে।
23 ২৩ তারপর ইস্রায়েল মিশরে এলেন এবং যাকোব কিছু দিনের র জন্য হামের দেশে বাস করলেন।
তারপর ইস্রায়েল মিশর দেশে প্রবেশ করল; হামের দেশে যাকোব বিদেশি হয়ে বসবাস করল।
24 ২৪ ঈশ্বর তাঁর লোকেদের অনেক বৃদ্ধি করলেন, বিপক্ষদের থেকে তাদেরকে বহুসংখ্যক করলেন।
সদাপ্রভু তাঁর লোকেদের অনেক গুণে বৃদ্ধি করলেন; তাঁর বিপক্ষদের থেকে তিনি তাদের অনেক বেশি শক্তিশালী করলেন,
25 ২৫ তিনি এমন করলেন তাদের শত্রুরা তার লোকেদের ঘৃণা করল, তাঁর দাসদের ওপর খারাপ ব্যবহার করল।
তারপর মিশরীয়দের হৃদয় ইস্রায়েলীদের প্রতি ঘৃণায় পূর্ণ করলেন, আর তারা সদাপ্রভুর সেবকদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করল।
26 ২৬ তিনি তাঁর দাস মোশিকে পাঠালেন এবং হারোণকে যাকে তিনি মনোনীত করেছিলেন।
কিন্তু সদাপ্রভু তাঁর দাস মোশিকে, আর তাঁর সঙ্গে সেই হারোণকে পাঠালেন, যাঁকে তিনি মনোনীত করেছিলেন।
27 ২৭ তারা মিশরীদের মধ্যে তাঁর নানা চিহ্ন দেখালেন, হামের দেশে নানা অদ্ভুদ লক্ষণ দেখালেন।
তাঁরা মিশরীয়দের মধ্যে অনেক চিহ্নকাজ, আর হামের দেশে তাঁর আশ্চর্য কাজ দেখালেন।
28 ২৮ তিনি ঐ দেশকে অন্ধকার করলেন, কিন্তু মিসরের লোকেরা তাঁর আদেশ মানল না।
তিনি অন্ধকার পাঠালেন আর সেই দেশ অন্ধকারাচ্ছন্ন হল— কেননা তারা তাঁর আদেশ অমান্য করেছিল।
29 ২৯ তিনি তাদের জলকে রক্তে পরিণত করলেন এবং তাদের সব মাছ মেরে ফেললেন।
তিনি তাদের জল রক্তে পরিণত করলেন, তাতে তাদের মাছগুলি মরে গেল।
30 ৩০ তাদের দেশে ব্যাঙ দঙ্গল বাঁধলো এমনকি তাদের শাসকদের ঘরের ভেতরে ঢুকে গেল।
তাদের দেশ ব্যাঙে পূর্ণ হল, যা তাদের শাসকদের শোবার ঘর পর্যন্ত পৌঁছাল।
31 ৩১ তিনি বললেন এবং মাছির ঝাঁক এল এবং ডাঁশ-মশা সারা দেশের মধ্যে এল।
তিনি কথা বললেন, আর ঝাঁকে ঝাঁকে মাছি এল, আর সারা দেশ ডাঁশ-মশায় ভর্তি হয়ে গেল।
32 ৩২ তিনি পাঠালেন শিলা এবং বৃষ্টি সঙ্গে বজ্র এবং বিদ্যুৎ দেশের মধ্যে।
তিনি বৃষ্টির পরিবর্তে তাদের শিলা দিলেন, সারা দেশে নেমে এল বজ্রবিদ্যুৎ;
33 ৩৩ তিনি তাদের দ্রাক্ষালতা ও ডুমুর গাছ ধ্বংস করলেন, তিনি তাদের দেশের গাছ ভেঙে দিলেন।
তিনি তাদের দ্রাক্ষালতা আর ডুমুর গাছে আঘাত করলেন আর দেশের সব গাছ ধ্বংস করলেন।
34 ৩৪ তিনি বললেন এবং পঙ্গপাল এল, অসংখ্য পঙ্গপাল এল।
তিনি কথা বললেন, আর পঙ্গপাল এল, আর অসংখ্য ফড়িং এল;
35 ৩৫ পঙ্গপাল তাদের দেশের সব গাছপালা খেয়ে ফেলল, তারা তাদের মাঠের সব শস্য খেয়ে ফেলল।
তারা দেশের যা কিছু সবুজ ছিল তা খেয়ে ফেলল, আর জমির ফসল গ্রাস করল।
36 ৩৬ তিনি তাদের দেশের প্রথমজাত সকলকে হত্যা করল, তাদের সব শক্তির প্রথম ফলকে আঘাত করলেন।
তারপর তিনি তাদের দেশের সব প্রথমজাতকে হত্যা করলেন, তাদের পুরুষত্বের প্রথম ফলকে আঘাত করলেন।
37 ৩৭ তিনি ইস্রায়েলদের রূপা এবং সোনার সঙ্গে বের করে আনলেন, তাঁর গোষ্ঠীদের মধ্যে এক জনও হোঁচট খায় নি।
তিনি ইস্রায়েলকে মিশর দেশ থেকে বের করে আনলেন, তাদের সঙ্গে এল প্রচুর রুপো আর সোনা, আর তাদের গোষ্ঠীদের মধ্যে একজনও হোঁচট খেল না।
38 ৩৮ মিশর আনন্দ করল যখন তারা চলে গেল, কারণ মিশরবাসীরা তাদের থেকে ভীত ছিল।
যখন তারা চলে গেল তখন মিশর আনন্দ করল, কেননা ইস্রায়েলের ত্রাস মিশরের উপর নেমে এসেছিল।
39 ৩৯ তিনি ঢাকা দেওয়ার জন্য মেঘ বিস্তার করলেন এবং রাতে আলো দেবার জন্য আগুন দিলেন।
তিনি আবরণের মতো মেঘ ছড়িয়ে দিলেন, আর রাতে আলো দেওয়ার জন্য আগুন দিলেন।
40 ৪০ ইস্রায়েলীয়রা খাবার চাইল এবং ভারুই পাখি আনলেন এবং স্বর্গ থেকে রুটি দিয়ে তাদেরকে তৃপ্ত করলেন।
তারা মাংস চাইল, আর তিনি তাদের ভারুই পাখি দিলেন; স্বর্গের রুটি দিয়ে তাদের তৃপ্ত করলেন।
41 ৪১ তিনি শিলা ভেঙে দিলেন, জল প্রবাহিত হল; তা নদী হয়ে শুকনো জমিতে বোয়ে গেল।
তিনি শৈল খুলে দিলেন আর জল বেরিয়ে এল; মরুভূমিতে নদীর মতো তা প্রবাহিত হল।
42 ৪২ কারণ তিনি মনে করলেন তাঁর পবিত্র প্রতিজ্ঞা যা তিনি তাঁর দাস আব্রাহামের কাছে করেছিলেন।
কেননা তাঁর দাস অব্রাহামের প্রতি দেওয়া পবিত্র প্রতিশ্রুতি তিনি মনে রাখলেন।
43 ৪৩ তিনি তাঁর লোকেদের আনন্দ সঙ্গে, তাঁর মনোনীতদেরকে বিজয় উল্লাসে বের করে আনলেন।
নিজের প্রজাদের আনন্দের সাথে আর তাঁর মনোনীতদের আনন্দধ্বনির সাথে বের করে আনলেন;
44 ৪৪ তিনি জাতিদের দেশ দিলেন; তারা লোকেদের সম্পত্তির অধিকার নিলেন।
তিনি তাদের অইহুদিদের জমি দিলেন, আর অন্যরা যা বপন করেছিল তারা সেই ফসল পেল—
45 ৪৫ যাতে তারা তাঁর বিধি এবং ব্যবস্থা মেনে চলে। সদাপ্রভুুর প্রশংসা কর।
যেন তারা তাঁর অনুশাসন পালন করে এবং তাঁর বিধিনিয়ম মেনে চলে। সদাপ্রভুর প্রশংসা করো।

< গীতসংহিতা 105 >