< হিতোপদেশ 7 >
1 ১ আমার পুত্র, আমার কথা সব পালন কর, আমার আদেশ সব তোমার কাছে সঞ্চয় কর।
হে আমার বাছা, আমার কথাগুলি মেনে চলো ও তোমার অন্তরে আমার আদেশগুলি মজুত করে রাখো।
2 ২ আমার আদেশ সব পালন কর, জীবন পাবে এবং চোখের তারার মত আমার ব্যবস্থা রক্ষা কর;
আমার আদেশগুলি পালন করো ও তুমি বেঁচে থাকবে; চোখের মণির মতো করে আমার শিক্ষামালা রক্ষা করো।
3 ৩ তোমার আঙ্গুলে সেগুলো বেঁধে রাখ, তোমার হৃদয় ফলকে তা লিখে রাখ।
তোমার আঙুলে সেগুলি বেঁধে রেখো; তোমার হৃদয়-ফলকে সেগুলি লিখে রেখো।
4 ৪ প্রজ্ঞাকে বল, “তুমি আমার বোন এবং সুবিবেচনাকে তোমার সখী বল,”
প্রজ্ঞাকে বলো, “তুমি আমার বোন,” ও দূরদর্শিতাকে বলো, “তুমি আমার আত্মীয়।”
5 ৫ তাতে তুমি পরস্ত্রী থেকে রক্ষা পাবে, ব্যাভিচারিনীর স্বছন্দ শব্দ থেকে রক্ষা পাবে।
তারা তোমাকে ব্যভিচারিণীর কাছ থেকে, ও সম্মোহনী কথা বলা স্বৈরিণী নারীর কাছ থেকেও দূরে সরিয়ে রাখবে।
6 ৬ আমি নিজের ঘরের জানালা থেকে জালি দিয়ে দেখছিলাম;
আমার বাড়ির জানালায় জাফরি দিয়ে আমি নিচের দিকে তাকালাম।
7 ৭ নির্বোধদের মধ্যে আমার চোখ পড়ল, আমি যুবকদের মধ্যে এক জনকে দেখলাম, সে বুদ্ধিহীন যুবক।
অনভিজ্ঞ লোকদের দিকে আমার নজর গেল, যুবকদের মধ্যে আমি লক্ষ্য করলাম, এমন একজন যুবককে, যার কোনও বোধবুদ্ধি নেই।
8 ৮ সে গলিতে গেল, ঐ স্ত্রীর কোণের কাছে আসল, তার বাড়ীর পথে চলল।
সে ওই মহিলার বাড়ির পাশের গলি দিয়ে যাচ্ছিল, তার বাড়ির দিকেই হেঁটে যাচ্ছিল
9 ৯ তখন সন্ধ্যাবেলা, দিন শেষ হয়েছিল, রাত অন্ধকার হয়েছিল।
গোধূলিবেলায়, দিন যখন ঢলে পড়ছিল, ও রাতের অন্ধকারও নেমে আসছিল।
10 ১০ তখন দেখ, এক স্ত্রী তার সামনে আসল, সে বেশ্যার পোশাক পরেছিল ও অভিসন্ধির হৃদয় ছিল;
তখন একজন মহিলা তার সাথে দেখা করার জন্য বেরিয়ে এল, সে এক বেশ্যার মতো পোশাক পরেছিল ও তার উদ্দেশ্য ধূর্ত ছিল।
11 ১১ সে ঝগড়াটে ও অবাধ্যা, তার পা ঘরে থাকে না;
(সে অদম্য ও বেপরোয়া, তার পা কখনও ঘরে থাকে না;
12 ১২ সে কখনও সড়কে, কখনও রাস্তায়, কোণে কোণে অপেক্ষা করতে থাকে।
সে কখনও রাস্তায় যায়, আবার কখনও চকে, কোনায় কোনায় সে ওৎ পেতে থাকে)
13 ১৩ সে তাকে ধরে চুমু খেল, নির্লজ্জ মুখে তাকে বলল,
সে সেই যুবককে জড়িয়ে ধরে চুমু দিল ও নির্লজ্জ মুখে বলল:
14 ১৪ আমাকে মঙ্গলের জন্য বলিদান করতে হয়েছে, আজ আমি নিজের মানত পূর্ণ করেছি;
“আজ আমি আমার ব্রত পূরণ করেছি, ও ঘরে আমার মঙ্গলার্থক বলি থেকে খাবার সরিয়ে রেখেছি।
15 ১৫ তাই তোমার সঙ্গে দেখা করতে বাইরে এসেছি, সযত্নে তোমার মুখ দেখতে এসেছি, তোমাকে পেয়েছি।
তাই তোমার সাথে দেখা করার জন্য আমি বের হয়ে এসেছি; আমি তোমার খোঁজ করেছিলাম ও তোমাকে খুঁজে পেয়েছি!
16 ১৬ আমি খাটে বুটাদার চাদর পেতেছি, মিশরের সূতোর্ চিত্রবিচিত্র পর্দার কাপড় লাগিয়েছি।
আমার বিছানায় আমি মিশর থেকে আনা রঙিন মসিনার চাদর পেতেছি।
17 ১৭ আমি গন্ধরস, অগুরু ও দারুচিনি দিয়ে নিজের বিছানা গন্ধে ভরিয়ে দিয়েছি।
আমার বিছানাটি আমি গন্ধরস, অগুরু ও দারুচিনি দিয়ে সুবাসিত করেছি।
18 ১৮ চল, আমরা সকাল পর্যন্ত কামরসে মত্ত হই, আমরা প্রেমের বাহুল্যে আমোদ করি।
এসো, সকাল পর্যন্ত আমরা ভালোবাসার গভীর রসে মত্ত হই; নিজেদের মধ্যে ভালোবাসা উপভোগ করি!
19 ১৯ কারণ কর্তা ঘরে নেই, তিনি দূরে গেছেন;
আমার স্বামী ঘরে নেই; সে দীর্ঘ যাত্রায় গিয়েছে।
20 ২০ টাকার তোড়া সঙ্গে নিয়ে গেছেন, পূর্ণিমার দিন ঘরে আসবেন।
সে অর্থে ভরা থলি নিয়ে গিয়েছে ও পূর্ণিমার আগে সে ঘরে ফিরছে না।”
21 ২১ অনেক মিষ্টি কথায় সে তার মন চুরি করল, ঠোটের চাটুকরিতে তাকে আকর্ষণ করল।
প্ররোচনামূলক কথা বলে সে যুবকটিকে বিপথে পরিচালিত করল; সে তার স্নিগ্ধ কথাবার্তা দিয়ে তাকে প্রলুব্ধ করল।
22 ২২ তখনি সে তার পেছনে গেল, যেমন গরু মরতে যায়, যেমন শেকলে বাঁধা ব্যক্তি বকর শাস্তি পেতে যায়;
তখনই সে মহিলাটির অনুগামী হল যেভাবে বলদ জবাই হওয়ার জন্য এগিয়ে যায়, যেভাবে হরিণ ফাঁসে পা গলায়
23 ২৩ শেষে তার যকৃত বানে বিধল; যেমন পাখি ফাঁদে পড়তে বেগে ধাবিত হয়, আর জানে না যে, তার জীবন বিপদগ্রস্ত।
যতক্ষণ না তির তার যকৃৎ বিদ্ধ করে, ঠিক যেভাবে পাখি উড়ে গিয়ে ফাঁদে পড়ে, আর জানতেও পারে না যে এতে তার প্রাণহানি হবে।
24 ২৪ এখন আমার পুত্ররা, আমার কথা শোন, আমার মুখের কথায় মন দাও।
তবে এখন, হে আমার বাছারা, আমার কথা শোনো; আমি যা বলি তাতে মনোযোগ দাও।
25 ২৫ তোমার মন ওর পথে না যাক, তুমি ওর পথে যেও না।
তোমাদের হৃদয় যেন সেই মহিলার পথের দিকে না ফেরে বা পথভ্রষ্ট হয়ে তার পথে চলে না যায়।
26 ২৬ কারণ সে অনেককে আঘাত করে মেরে ফেলেছে, তারা গণনা করতে পারবে না।
অনেকেই তার আঘাতের শিকার হয়েছে; তার দ্বারা নিহত লোকের সংখ্যা প্রচুর।
27 ২৭ তার ঘর পাতালের পথ, যে পথ মৃত্যুর কক্ষে নেমে যায়। (Sheol )
তার বাড়িটি হল কবরে যাওয়ার রাজপথ, যা মৃত্যুলোকের দিকে এগিয়ে দেয়। (Sheol )