< হিতোপদেশ 4 >
1 ১ আমার পুত্ররা, বাবার উপদেশ শোন, সুবিবেচনা বোঝবার জন্য মনোযোগ কর।
হে আমার বাছারা, একজন বাবার উপদেশ শোনো; মনোযোগ দাও ও বিচক্ষণতা লাভ করো।
2 ২ আমি তোমাদেরকে সুশিক্ষা দেব; তোমরা আমার শিক্ষা ত্যাগ কোরো না।
আমি তোমাদের নির্ভরযোগ্য শিক্ষা দিচ্ছি, তাই আমার দেওয়া শিক্ষা পরিত্যাগ কোরো না।
3 ৩ কারণ আমিও নিজে আমার বাবার ছেলে ছিলাম, মায়ের চোখে শান্ত ও একমাত্র সন্তান ছিলাম।
কারণ আমিও এক সময় আমার বাবার ছেলে ছিলাম, তখনও সুকুমার ছিলাম, ও আমার মায়ের দ্বারা লালিত হয়েছিলাম।
4 ৪ বাবা আমাকে শিক্ষা দিতেন, বলতেন, তোমার হৃদয়ে আমার কথা ধরে রাখ; আমার আদেশ সব পালন কর, জীবনযাপন কর;
তখন বাবা আমাকে শিক্ষা দিয়েছিলেন, ও বলেছিলেন, “সর্বান্তঃকরণে আমার বলা কথাগুলি ধরে রেখো; আমার আদেশগুলি পালন কোরো, ও তুমি বেঁচে যাবে।
5 ৫ প্রজ্ঞা ও সুবিবেচনা অর্জন কর, সুবিবেচনা অর্জন কর, ভুলো না; আমার মুখের কথা থেকে মুখ সরিয়ে নিও না।
প্রজ্ঞা অর্জন করো, বিচক্ষণতা অর্জন করো; আমার কথাগুলি ভুলে যেয়ো না বা সেগুলি থেকে সরে যেয়ো না।
6 ৬ প্রজ্ঞাকে ছেড়ো না, সে তোমাকে রক্ষা করবে; তাকে প্রেম কর, সে তোমাকে নিরাপদে রাখবে।
প্রজ্ঞাকে পরিত্যাগ কোরো না, ও সে তোমাকে রক্ষা করবে; তাকে ভালোবেসো, ও সে তোমাকে পাহারা দেবে।
7 ৭ প্রজ্ঞাই প্রধান বিষয়, তুমি প্রজ্ঞা উপার্জন কর; সব খরচ দিয়ে সুবিবেচনা পেতে পারো।
প্রজ্ঞার আরম্ভ এইরকম: প্রজ্ঞা অর্জন করো। এর মূল্যরূপে তোমার যথাসর্বস্য দিতে হলেও, বিচক্ষণতা অর্জন করো।
8 ৮ তাকে যত্ন কর, সে তোমাকে উন্নত করবে, যখন তাকে গ্রহণ কর, সে তোমাকে সম্মান দেবে।
তাকে লালনপালন করো, ও সে তোমাকে উন্নত করবে; তাকে সাগ্রহে গ্রহণ করো, ও সে তোমাকে সম্মানিত করবে।
9 ৯ সে তোমার মাথায় বিজয়ের মালা দেবে, সে একটি সুন্দর মুকুট তোমাকে দান করবে।
সে তোমার মাথার শোভাবর্ধন করার জন্য এক ফুলমালা দেবে ও তোমাকে চমৎকার এক মুকুট উপহার দেবে।”
10 ১০ আমার পুত্র, শোনো, আমার কথায় মনোযোগ দাও, তাতে তোমার জীবনের আয়ু বৃদ্ধি হবে।
হে আমার বাছা, শোনো, আমি যা বলি তা গ্রহণ করো, ও তোমার জীবনের আয়ু সুদীর্ঘ হবে।
11 ১১ আমি তোমাকে প্রজ্ঞার পথ দেখিয়েছি, তোমাকে সরল পথে চালিয়েছি।
আমি তোমাকে প্রজ্ঞার পথের বিষয়ে শিক্ষা দিয়ে যাচ্ছি ও সোজা পথে চালাচ্ছি।
12 ১২ তোমার চলার দিন বাধা পাবে না এবং যদি তুমি দৌড়াও, তোমার হোঁচট লাগবে না।
তুমি যখন চলবে, তোমার পদক্ষেপ ব্যাহত হবে না; তুমি যখন দৌড়াবে, তখন হোঁচট খাবে না।
13 ১৩ উপদেশ ধরে রেখো, ছেড়ে দিও না, তা রক্ষা কর, কারণ তা তোমার জীবন।
উপদেশ ধরে রেখো, তা ছেড়ে দিয়ো না; তা ভালোভাবে পাহারা দাও, কারণ তাই তোমার জীবন।
14 ১৪ দুষ্টদের পথে যেও না, মন্দদের পথে যেও না,
দুষ্টদের পথে পা বাড়িয়ো না বা অনিষ্টকারীদের পথে হেঁটো না।
15 ১৫ এড়িয়ে চল, তার কাছ দিয়ে যেও না; তা থেকে মুখ ঘুরিয়ে এগিয়ে যাও।
সে পথ এড়িয়ে চলো, সে পথে ভ্রমণ কোরো না; সেখান থেকে ফিরে এসো ও নিজের পথে চলে যাও।
16 ১৬ কারণ খারাপ কাজ না করলে তাদের ঘুম হয় না, কাউকে হোঁচট না লাগালে তাদের ঘুম চলে যায়।
কারণ অনিষ্ট না করা পর্যন্ত তারা বিশ্রাম নিতে পারে না; কাউকে হোঁচট না খাওয়ানো পর্যন্ত তাদের চোখে ঘুম আসে না।
17 ১৭ কারণ তারা দুষ্টতার রুটি খায়, তারা অত্যাচারের আঙ্গুর রস পান করে।
তারা দুষ্টতার রুটি খায় ও হিংস্রতার দ্রাক্ষারস পান করে।
18 ১৮ কিন্তু ধার্ম্মিকদের পথ সকালের আলোর মত, যা দুপুর পর্যন্ত ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে;
ধার্মিকদের পথ প্রভাতি সূর্যের মতো, যা মধ্যাহ্ন পর্যন্ত ক্রমাগত উজ্জ্বল থেকে উজ্জ্বলতর হতেই থাকে।
19 ১৯ দুষ্টদের পথ অন্ধকারের মত; তারা কিসে হোঁচট খাবে, জানে না।
কিন্তু দুষ্টদের পথ ঘন অন্ধকারের মতো; তারা জানেই না কীসে তারা হোঁচট খায়।
20 ২০ আমার পুত্র, আমার বাক্যে মনোযোগ দাও; আমার কথায় কান দাও।
হে আমার বাছা, আমি যা বলি তাতে মনোযোগ দাও; আমার কথায় কর্ণপাত করো।
21 ২১ তারা তোমার চোখের বাইরে না যাক, তোমার হৃদয়ে তা রাখ।
সেগুলি তোমার দৃষ্টির অগোচর হতে দিয়ো না, সেগুলি তোমার হৃদয়ে গেঁথে রাখো;
22 ২২ কারণ যারা তা খোঁজে, তাদের পক্ষে তা জীবন, তা তাদের শরীরের স্বাস্থ্যস্বরূপ।
কারণ যারা সেগুলি খুঁজে পায় তাদের পক্ষে সেগুলি জীবন ও তাদের সারা শরীরের স্বাস্থ্যস্বরূপ।
23 ২৩ সব কিছুর থেকে তোমরা হৃদয় রক্ষা কর, কারণ তা থেকে জীবনের সঞ্চার হয়।
সর্বোপরি, তোমার হৃদয়কে পাহারা দিয়ে রাখো, কারণ তুমি যাই কিছু করো না কেন, তা সেখান থেকেই প্রবাহিত হয়।
24 ২৪ মুখের কুটিলতা নিজে থেকে দূর কর, বিকৃত কথা নিজে থেকে দূর কর।
তোমার মুখকে নষ্টামি-মুক্ত রাখো; তোমার ঠোঁট থেকে নীতিভ্রষ্ট কথাবার্তা দূরে সরিয়ে রাখো।
25 ২৫ তোমার চোখের দৃষ্টি সরল হোক, তোমার সামনে তোমার দৃষ্টি নির্ধারণ কর।
তোমার চোখ সোজা সামনে তাকিয়ে থাকুক; স্থিরদৃষ্টিতে সরাসরি সামনের দিকে তাকাও।
26 ২৬ তোমার চলার পথ সমান কর, তোমার সমস্ত পথ নিরাপদ হোক।
তোমার হাঁটা পথের দিকে সতর্ক নজর দাও ও তোমার সমস্ত পথে অবিচল হও।
27 ২৭ ডান দিকে কি বাম দিকে ফিরো না, খারাপ থেকে তোমার পা সরিয়ে নাও।
ডাইনে বা বাঁয়ে ফিরো না; মন্দ থেকে তোমার পা দূরে সরিয়ে রাখো।