হিতোপদেশ 31

1 ১ লমূয়েল রাজার কথা। তাঁর মা তাঁকে এই ভাববানী শিক্ষা দিয়েছিলেন।

οἱ ἐμοὶ λόγοι εἴρηνται ὑπὸ θεοῦ βασιλέως χρηματισμός ὃν ἐπαίδευσεν ἡ μήτηρ αὐτοῦ

2 ২ হে আমার পুত্র, কি বলব? হে আমার গর্ভের সন্তান, কি বলব? হে আমার মানতের ছেলে, কি বলব?

τί τέκνον τηρήσεις τί ῥήσεις θεοῦ πρωτογενές σοὶ λέγω υἱέ τί τέκνον ἐμῆς κοιλίας τί τέκνον ἐμῶν εὐχῶν

3 ৩ তুমি নারীদেরকে নিজের শক্তি দিও না, যা রাজাদের ক্ষতিকারক, তাতে যুক্ত থেকো না।

μὴ δῷς γυναιξὶ σὸν πλοῦτον καὶ τὸν σὸν νοῦν καὶ βίον εἰς ὑστεροβουλίαν

4 ৪ রাজাদের জন্য, হে লমূয়েল, রাজাদের জন্য মদ্যপান উপযুক্ত নয়, সুরা কোথায়। শাসনকর্ত্তাদের জিজ্ঞাসা করা উচিত নয়।

μετὰ βουλῆς πάντα ποίει μετὰ βουλῆς οἰνοπότει οἱ δυνάσται θυμώδεις εἰσίν οἶνον δὲ μὴ πινέτωσαν

5 ৫ পাছে পান করে তাঁরা ব্যবস্থা ভুলে যায় এবং কোনো দুঃখীর বিচার উল্টো করেন।

ἵνα μὴ πιόντες ἐπιλάθωνται τῆς σοφίας καὶ ὀρθὰ κρῖναι οὐ μὴ δύνωνται τοὺς ἀσθενεῖς

6 ৬ মরার মত মানুষকে সুরা দাও, তিক্তপ্রাণ লোককে আঙ্গুর রস দাও;

δίδοτε μέθην τοῖς ἐν λύπαις καὶ οἶνον πίνειν τοῖς ἐν ὀδύναις

7 ৭ সে পান করে দৈন্যদশা ভুলে যাক, নিজের দুর্দশা আর মনে না করুক।

ἵνα ἐπιλάθωνται τῆς πενίας καὶ τῶν πόνων μὴ μνησθῶσιν ἔτι

8 ৮ তুমি বোবাদের জন্য তোমার মুখ খোল, অনাথদের জন্য মুখ খোল।

ἄνοιγε σὸν στόμα λόγῳ θεοῦ καὶ κρῖνε πάντας ὑγιῶς

9 ৯ তোমার মুখ খোল, ন্যায় বিচার কর, দুঃখী ও দরিদ্রের বিচার কর। গুণবতী স্ত্রীর বর্ণনা

ἄνοιγε σὸν στόμα καὶ κρῖνε δικαίως διάκρινε δὲ πένητα καὶ ἀσθενῆ

10 ১০ গুণবতী স্ত্রী কে পেতে পারে? মুক্তা থেকেও তাঁর মূল্য অনেক বেশী।

γυναῖκα ἀνδρείαν τίς εὑρήσει τιμιωτέρα δέ ἐστιν λίθων πολυτελῶν ἡ τοιαύτη

11 ১১ তাঁর স্বামীর হৃদয় তাঁতে নির্ভর করে, স্বামীর লাভের অভাব হয় না।

θαρσεῖ ἐπ’ αὐτῇ ἡ καρδία τοῦ ἀνδρὸς αὐτῆς ἡ τοιαύτη καλῶν σκύλων οὐκ ἀπορήσει

12 ১২ তিনি জীবনের সব দিন তাঁর উপকার করেন, অপকার করেন না।

ἐνεργεῖ γὰρ τῷ ἀνδρὶ ἀγαθὰ πάντα τὸν βίον

13 ১৩ তিনি মেষলোম ও মসীনা খোঁজ করেন, আনন্দিত ভাবে নিজের হাতে কাজ করেন।

μηρυομένη ἔρια καὶ λίνον ἐποίησεν εὔχρηστον ταῖς χερσὶν αὐτῆς

14 ১৪ তিনি বাণিজ্য-জাহাজের মত, তিনি দূর থেকে নিজের খাদ্রসামগ্রী আনেন।

ἐγένετο ὡσεὶ ναῦς ἐμπορευομένη μακρόθεν συνάγει δὲ αὕτη τὸν βίον

15 ১৫ তিনি রাত থাকতে উঠেন, আর নিজের পরিজনদেরকে খাবার দেন, নিজের দাসীদেরকে কাজ নির্ধারণ করে দেন।

καὶ ἀνίσταται ἐκ νυκτῶν καὶ ἔδωκεν βρώματα τῷ οἴκῳ καὶ ἔργα ταῖς θεραπαίναις

16 ১৬ তিনি ক্ষেত্রের বিষয়ে ঠিক করে তা কেনেন, নিজের হাতের ফল দিয়ে দ্রাক্ষার বাগান তৈরী করেন।

θεωρήσασα γεώργιον ἐπρίατο ἀπὸ δὲ καρπῶν χειρῶν αὐτῆς κατεφύτευσεν κτῆμα

17 ১৭ তিনি শক্তিতে কোমরবন্ধন করেন, নিজের হাতদুটো শক্তিশালী করেন।

ἀναζωσαμένη ἰσχυρῶς τὴν ὀσφὺν αὐτῆς ἤρεισεν τοὺς βραχίονας αὐτῆς εἰς ἔργον

18 ১৮ তিনি দেখতে পান, তাঁর ব্যবসায় ভালো, রাতে তাঁর আলো নেভে না।

ἐγεύσατο ὅτι καλόν ἐστιν τὸ ἐργάζεσθαι καὶ οὐκ ἀποσβέννυται ὅλην τὴν νύκτα ὁ λύχνος αὐτῆς

19 ১৯ তিনি টেকুয়া নিতে নিজের হাত বাড়ান, তাঁর হাত দুটো পেঁজা তুলো ধরে।

τοὺς πήχεις αὐτῆς ἐκτείνει ἐπὶ τὰ συμφέροντα τὰς δὲ χεῖρας αὐτῆς ἐρείδει εἰς ἄτρακτον

20 ২০ তিনি দরিদ্রের প্রতি মুক্তহস্ত হন, দীনহীনের দিকে হাত বাড়িয়ে দেন।

χεῖρας δὲ αὐτῆς διήνοιξεν πένητι καρπὸν δὲ ἐξέτεινεν πτωχῷ

21 ২১ তিনি নিজের পরিবারের বিষয়ে বরফ থেকে ভয় পান না; কারণ তাঁর সব বাড়ীর লোকেরা লাল পোশাক পরে।

οὐ φροντίζει τῶν ἐν οἴκῳ ὁ ἀνὴρ αὐτῆς ὅταν που χρονίζῃ πάντες γὰρ οἱ παρ’ αὐτῆς ἐνδιδύσκονται

22 ২২ তিনি নিজের জন্য পর্দার চাদর তৈরী করেন, তাঁর পোশাক সাদা মসীনা-বস্ত্র ও বেগুনি বস্ত্র।

δισσὰς χλαίνας ἐποίησεν τῷ ἀνδρὶ αὐτῆς ἐκ δὲ βύσσου καὶ πορφύρας ἑαυτῇ ἐνδύματα

23 ২৩ তাঁর স্বামী নগর-দরজায় প্রসিদ্ধ হন, যখন দেশের প্রাচীনদের সঙ্গে বসেন।

περίβλεπτος δὲ γίνεται ἐν πύλαις ὁ ἀνὴρ αὐτῆς ἡνίκα ἂν καθίσῃ ἐν συνεδρίῳ μετὰ τῶν γερόντων κατοίκων τῆς γῆς

24 ২৪ তিনি সূক্ষ্ম বস্ত্র তৈরী করে বিক্রি করেন, ব্যবসায়ীদের হাতে কটিবস্ত্র তুলেদেন।

σινδόνας ἐποίησεν καὶ ἀπέδοτο περιζώματα δὲ τοῖς Χαναναίοις

25 ২৫ শক্তি ও সমাদর তাঁর পোশাক; তিনি ভবিষ্যৎকালের বিষয়ে হাঁসেন।

στόμα αὐτῆς διήνοιξεν προσεχόντως καὶ ἐννόμως καὶ τάξιν ἐστείλατο τῇ γλώσσῃ αὐτῆς

26 ২৬ তিনি প্রজ্ঞার সঙ্গে মুখ খোলেন, তাঁর জিভে দয়ার ব্যবস্থা থাকে

ἰσχὺν καὶ εὐπρέπειαν ἐνεδύσατο καὶ εὐφράνθη ἐν ἡμέραις ἐσχάταις

27 ২৭ তিনি নিজের পরিবারের আচরণের প্রতি লক্ষ্য রাখেন, তিনি অলসের খাবার খান না।

στεγναὶ διατριβαὶ οἴκων αὐτῆς σῖτα δὲ ὀκνηρὰ οὐκ ἔφαγεν

28 ২৮ তাঁর ছেলেরা উঠে তাঁকে ধন্য বলে; তাঁর স্বামীও বলেন, আর তাঁর এরকম প্রশংসা করেন,

τὸ στόμα δὲ ἀνοίγει σοφῶς καὶ νομοθέσμως ἡ δὲ ἐλεημοσύνη αὐτῆς ἀνέστησεν τὰ τέκνα αὐτῆς καὶ ἐπλούτησαν καὶ ὁ ἀνὴρ αὐτῆς ᾔνεσεν αὐτήν

29 ২৯ “অনেক মেয়ে গুনের প্রদর্শন করেছেন, কিন্তু তাদের মধ্যে সর্বাপেক্ষা তুমি শ্রেষ্ঠা।”

πολλαὶ θυγατέρες ἐκτήσαντο πλοῦτον πολλαὶ ἐποίησαν δυνατά σὺ δὲ ὑπέρκεισαι καὶ ὑπερῆρας πάσας

30 ৩০ লাবণ্য মিথ্যা, সৌন্দর্য্য অসার, কিন্তু যে স্ত্রী সদাপ্রভুকে ভয় করেন, তিনিই প্রশংসনীয়া।

ψευδεῖς ἀρέσκειαι καὶ μάταιον κάλλος γυναικός γυνὴ γὰρ συνετὴ εὐλογεῖται φόβον δὲ κυρίου αὕτη αἰνείτω

31 ৩১ তোমরা তাঁর হাতের ফল তাঁকে দাও, নগর-দরজার সামনে তাঁর কাজ তাঁর প্রশংসা করুক।

δότε αὐτῇ ἀπὸ καρπῶν χειρῶν αὐτῆς καὶ αἰνείσθω ἐν πύλαις ὁ ἀνὴρ αὐτῆς