< হিতোপদেশ 31 >

1 লমূয়েল রাজার কথা। তাঁর মা তাঁকে এই ভাববানী শিক্ষা দিয়েছিলেন।
রাজা লমূয়েলের নীতিবচন—সেই অনুপ্রাণিত ভাষণ যা তাঁর মা তাঁকে শিখিয়েছিলেন।
2 হে আমার পুত্র, কি বলব? হে আমার গর্ভের সন্তান, কি বলব? হে আমার মানতের ছেলে, কি বলব?
হে আমার বাছা, শোনো! হে আমার গর্ভজাত পুত্র, শোনো! হে আমার বাছা, হে আমার প্রার্থনার উত্তর, শোনো!
3 তুমি নারীদেরকে নিজের শক্তি দিও না, যা রাজাদের ক্ষতিকারক, তাতে যুক্ত থেকো না।
নারীদের পিছনে তোমার শক্তি ব্যয় কোরো না, যারা রাজাদের সর্বনাশ করে তাদের পিছনে তোমার প্রাণশক্তি নষ্ট কোরো না।
4 রাজাদের জন্য, হে লমূয়েল, রাজাদের জন্য মদ্যপান উপযুক্ত নয়, সুরা কোথায়। শাসনকর্ত্তাদের জিজ্ঞাসা করা উচিত নয়।
হে লমূয়েল, রাজাদের জন্য নয়— দ্রাক্ষারস পান করা রাজাদের জন্য উপযুক্ত নয়, সুরাপানে আসক্ত হওয়া শাসকদের জন্য অনুচিত,
5 পাছে পান করে তাঁরা ব্যবস্থা ভুলে যায় এবং কোনো দুঃখীর বিচার উল্টো করেন।
পাছে তারা পান করেন ও ভুলে যান তারা কী আদেশ দিয়েছেন, ও সব নিপীড়িতকে তাদের অধিকার বঞ্চিত করে ছাড়েন।
6 মরার মত মানুষকে সুরা দাও, তিক্তপ্রাণ লোককে আঙ্গুর রস দাও;
সুরা তাদের জন্যই রাখা থাক যারা মরতে চলেছে, দ্রাক্ষারস তাদের জন্যই রাখা থাক যারা মনোবেদনায় ভুগছে!
7 সে পান করে দৈন্যদশা ভুলে যাক, নিজের দুর্দশা আর মনে না করুক।
তারা পান করুক ও তাদের দারিদ্র ভুলে যাক ও তাদের দুর্দশা আর মনে না রাখুক।
8 তুমি বোবাদের জন্য তোমার মুখ খোল, অনাথদের জন্য মুখ খোল।
তাদের হয়ে কথা বলো যারা নিজেদের কথা নিজেরা বলতে পারে না, সেইসব লোকের অধিকারের স্বপক্ষে কথা বলো যারা সর্বস্বান্ত।
9 তোমার মুখ খোল, ন্যায় বিচার কর, দুঃখী ও দরিদ্রের বিচার কর। গুণবতী স্ত্রীর বর্ণনা
উচ্চকণ্ঠে বলো ও ন্যায়বিচার করো: দরিদ্র ও অভাবগ্রস্তদের অধিকারের স্বপক্ষে ওকালতি করো।
10 ১০ গুণবতী স্ত্রী কে পেতে পারে? মুক্তা থেকেও তাঁর মূল্য অনেক বেশী।
কে উন্নত চরিত্রবিশিষ্ট এক স্ত্রী পেতে পারে? তাঁর মূল্য পদ্মরাগমণির চেয়েও অনেক বেশি।
11 ১১ তাঁর স্বামীর হৃদয় তাঁতে নির্ভর করে, স্বামীর লাভের অভাব হয় না।
তাঁর উপর তাঁর স্বামীর পূর্ণ আস্থা বজায় থাকে ও তিনি তাঁর স্বামীর জীবনে ভালো কোনো কিছুর অভাব হতে দেন না।
12 ১২ তিনি জীবনের সব দিন তাঁর উপকার করেন, অপকার করেন না।
তিনি তাঁর জীবনের সমস্ত দিন স্বামীর অনিষ্ট নয়, কিন্তু মঙ্গলই সাধন করেন।
13 ১৩ তিনি মেষলোম ও মসীনা খোঁজ করেন, আনন্দিত ভাবে নিজের হাতে কাজ করেন।
তিনি পশম ও মসিনা মনোনীত করেন ও আগ্রহী হাতে কাজকর্ম করেন।
14 ১৪ তিনি বাণিজ্য-জাহাজের মত, তিনি দূর থেকে নিজের খাদ্রসামগ্রী আনেন।
তিনি বণিকদের জাহাজগুলির মতো, বহুদূর থেকে তাঁর খাদ্যদ্রব্য নিয়ে আসেন।
15 ১৫ তিনি রাত থাকতে উঠেন, আর নিজের পরিজনদেরকে খাবার দেন, নিজের দাসীদেরকে কাজ নির্ধারণ করে দেন।
তিনি অন্ধকার থাকতেই ঘুম থেকে উঠে পড়েন; তিনি তাঁর পরিবারের জন্য খাদ্যের জোগান দেন ও তাঁর দাসীদেরও অংশ বরাদ্দ করে দেন।
16 ১৬ তিনি ক্ষেত্রের বিষয়ে ঠিক করে তা কেনেন, নিজের হাতের ফল দিয়ে দ্রাক্ষার বাগান তৈরী করেন।
তিনি জমির মান বিচার করেন ও তা কিনে নেন; নিজের আয় দিয়ে তিনি দ্রাক্ষাক্ষেত গড়ে তোলেন।
17 ১৭ তিনি শক্তিতে কোমরবন্ধন করেন, নিজের হাতদুটো শক্তিশালী করেন।
তিনি সবলে তাঁর কাজে লেগে পড়েন; তাঁর কাজকর্মের পক্ষে তাঁর হাত দুটি বেশ শক্তিশালী।
18 ১৮ তিনি দেখতে পান, তাঁর ব্যবসায় ভালো, রাতে তাঁর আলো নেভে না।
তিনি সুনিশ্চিত হন যে তাঁর কেনাবেচা বেশ লাভজনক হয়েছে, ও তাঁর প্রদীপ রাতেও নিভে যায় না।
19 ১৯ তিনি টেকুয়া নিতে নিজের হাত বাড়ান, তাঁর হাত দুটো পেঁজা তুলো ধরে।
তাঁর হাতে তিনি তকলি ধরে থাকেন ও সুতো কাটার টাকু তাঁর আঙুল দিয়ে আঁকড়ে ধরে থাকেন।
20 ২০ তিনি দরিদ্রের প্রতি মুক্তহস্ত হন, দীনহীনের দিকে হাত বাড়িয়ে দেন।
তিনি দরিদ্রদের প্রতি মুক্তহস্ত হন ও অভাবগ্রস্তদের দিকে তাঁর হাত বাড়িয়ে দেন।
21 ২১ তিনি নিজের পরিবারের বিষয়ে বরফ থেকে ভয় পান না; কারণ তাঁর সব বাড়ীর লোকেরা লাল পোশাক পরে।
তুষারপাতের সময় তাঁর পরিবারের লোকদের জন্য তাঁর কোনও ভয় হয় না; কারণ তারা সকলেই টকটকে লাল রংয়ের কাপড় পরে থাকে।
22 ২২ তিনি নিজের জন্য পর্দার চাদর তৈরী করেন, তাঁর পোশাক সাদা মসীনা-বস্ত্র ও বেগুনি বস্ত্র।
তিনি তাঁর বিছানার জন্য চাদর তৈরি করেন; তিনি মিহি মসিনা দিয়ে তৈরি বেগুনি রংয়ের কাপড় গায়ে দিয়ে থাকেন।
23 ২৩ তাঁর স্বামী নগর-দরজায় প্রসিদ্ধ হন, যখন দেশের প্রাচীনদের সঙ্গে বসেন।
তাঁর স্বামী সেই নগরদ্বারে সম্মানিত হন, যেখানে দেশের প্রাচীনদের মধ্যে তিনি তাঁর আসন গ্রহণ করেন।
24 ২৪ তিনি সূক্ষ্ম বস্ত্র তৈরী করে বিক্রি করেন, ব্যবসায়ীদের হাতে কটিবস্ত্র তুলেদেন।
তিনি মসিনার পোশাক তৈরি করে সেগুলি বিক্রি করেন, ও বণিকদের উত্তরীয় সরবরাহ করেন।
25 ২৫ শক্তি ও সমাদর তাঁর পোশাক; তিনি ভবিষ্যৎকালের বিষয়ে হাঁসেন।
তিনি শক্তি ও সম্মানে আচ্ছাদিত হন; আগামী দিনগুলির কথা ভেবে তিনি সশব্দে হাসতে পারেন।
26 ২৬ তিনি প্রজ্ঞার সঙ্গে মুখ খোলেন, তাঁর জিভে দয়ার ব্যবস্থা থাকে
তিনি প্রজ্ঞামূলক কথাবার্তা বলেন, ও তাঁর জিভের ডগায় আন্তরিক নির্দেশ থাকে।
27 ২৭ তিনি নিজের পরিবারের আচরণের প্রতি লক্ষ্য রাখেন, তিনি অলসের খাবার খান না।
তিনি তাঁর পরিবারের ব্যাপারে সজাগ দৃষ্টি রাখেন ও অলসতার রুটি খান না।
28 ২৮ তাঁর ছেলেরা উঠে তাঁকে ধন্য বলে; তাঁর স্বামীও বলেন, আর তাঁর এরকম প্রশংসা করেন,
তাঁর সন্তানেরা উঠে তাঁকে আশীর্বাদধন্যা বলে ডাকে; তাঁর স্বামীও একই কথা বলেন ও তাঁর প্রশংসা করে বলেন:
29 ২৯ “অনেক মেয়ে গুনের প্রদর্শন করেছেন, কিন্তু তাদের মধ্যে সর্বাপেক্ষা তুমি শ্রেষ্ঠা।”
“অনেক মহিলাই মহৎ মহৎ কাজ করেন, কিন্তু তুমি সবাইকে ছাপিয়ে গিয়েছ।”
30 ৩০ লাবণ্য মিথ্যা, সৌন্দর্য্য অসার, কিন্তু যে স্ত্রী সদাপ্রভুকে ভয় করেন, তিনিই প্রশংসনীয়া।
লাবণ্য বিভ্রান্তিকর, ও সৌন্দর্য অস্থায়ী; কিন্তু যে নারী সদাপ্রভুকে ভয় করেন তাঁরই প্রশংসা করতে হবে।
31 ৩১ তোমরা তাঁর হাতের ফল তাঁকে দাও, নগর-দরজার সামনে তাঁর কাজ তাঁর প্রশংসা করুক।
তাঁর হাত যা কিছু করেছে, সেসবের জন্য তাঁকে সম্মান জানাও, ও তাঁর কাজকর্মই নগরদ্বারে তাঁর কাছে প্রশংসা এনে দিক।

< হিতোপদেশ 31 >