< হিতোপদেশ 30 >
1 ১ যাকিরের ছেলে আগূরের কথা; ভাববাণী। ঈথীয়েলের প্রতি, ঈথীয়েল ও উকলের প্রতি, সেই ব্যক্তির উক্তি।
The words of Agur the son of Jakeh; the oracle. The man saith unto Ithiel, unto Ithiel and Ucal:
2 ২ সত্য, আমি মানুষের থেকে পশুর মত, মানুষের বিবেচনা আমার নেই।
Surely I am more brutish than any man, and have not the understanding of a man:
3 ৩ আমি প্রজ্ঞা শিক্ষা করিনি, পবিত্রতমের জ্ঞান আমার নেই।
And I have not learned wisdom, neither have I the knowledge of the Holy One.
4 ৪ কে স্বর্গে গিয়ে নেমে এসেছেন? কে নিজের হাতের মুঠোয় বাতাস গ্রহণ করেছেন? কে নিজের কাপড়ে জলরাশি বেঁধেছেন? কে পৃথিবীর সব প্রান্ত স্থাপন করেছেন? তাঁর নাম কি? তাঁর ছেলের নাম কি? যদি জান, বল।
Who hath ascended up into heaven, and descended? who hath gathered the wind in his fists? who hath bound the waters in his garment? who hath established all the ends of the earth? what is his name, and what is his son’s name, if thou knowest?
5 ৫ ঈশ্বরের প্রত্যেক বাক্য পরীক্ষাসিদ্ধ; তিনি তাঁর শরণাপন্নদের ঢাল।
Every word of God is tried: he is a shield unto them that trust in him.
6 ৬ তাঁর বাক্যের মধ্যে কিছু যোগ কোরো না; পাছে তিনি তোমার দোষ ব্যক্ত করেন, আর তুমি মিথ্যাবাদী প্রতিপন্ন হও।
Add thou not unto his words, lest he reprove thee, and thou be found a liar.
7 ৭ আমি তোমার কাছে দুই বর ভিক্ষা করেছি, আমার জীবন থাকতে তা অস্বীকার কোরো না;
Two things have I asked of thee; deny me [them] not before I die:
8 ৮ অলীকতা ও মিথ্যাকথা আমার কাছ থেকে দূর কর; দরিদ্রতা বা ঐশ্বর্য্য আমাকে দিও না, আমার দেওয়া খাবার আমাকে খাওয়াও;
Remove far from me vanity and lies: give me neither poverty nor riches; feed me with the food that is needful for me:
9 ৯ পাছে বেশী তৃপ্ত হলে আমি তোমাকে অস্বীকার করে বলি, সদাপ্রভু কে? কিংবা পাছে দরিদ্র হলে চুরি করে বসি ও আমার ঈশ্বরের নাম অপব্যবহার করি।
Lest I be full, and deny [thee], and say, Who is the LORD? or lest I be poor, and steal, and use profanely the name of my God.
10 ১০ কর্তার কাছে দাসের দুর্নাম কোরো না, পাছে সে তোমাকে শাপ দেয় ও তুমি অপরাধী হও।
Slander not a servant unto his master, lest he curse thee, and thou be held guilty.
11 ১১ এক বংশ আছে, তারা বাবাকে শাপ দেয়, আর মায়ের জন্য মঙ্গলবাদ করে না।
There is a generation that curseth their father, and doth not bless their mother.
12 ১২ এক বংশ আছে, তারা নিজেদের দৃষ্টিতে শুচি, তবু নিজেদের মালিন্য থেকে ধোয়া হয়নি।
There is a generation that are pure in their own eyes; and [yet] are not washed from their filthiness.
13 ১৩ এক বংশ আছে, তাদের দৃষ্টি কেমন উঁচুঁ। তাদের চোখের পাতা উন্নত।
There is a generation, Oh how lofty are their eyes! and their eyelids are lifted up.
14 ১৪ এক বংশ আছে, তাদের দাঁত খড়গ ও চোয়াল ছুরি, যেন দেশ থেকে দুঃখীদেরকে, মানুষদের মধ্য থেকে দরিদ্রদেরকে গ্রাস করে।
There is a generation whose teeth are [as] swords, and their jaw teeth [as] knives, to devour the poor from off the earth, and the needy from among men.
15 ১৫ জোঁকের দুটো মেয়ে আছে, “দাও এবং দাও।” তিনটা কখনও তৃপ্ত হয় না, চারটা কখনও বলে না, “যথেষ্ট হল”:
The horseleach hath two daughters, [Crying], Give, give. There are three things that are never satisfied, [yea], four that say not, Enough:
16 ১৬ পাতাল; বন্ধ্যা গর্ভ; জলের জন্য তৃষ্ণার্ত ভূমি এবং আগুন যা কখনো বলে না, “যথেষ্ট।” (Sheol )
The grave; and the barren womb; the earth that is not satisfied with water; and the fire that saith not, Enough. (Sheol )
17 ১৭ যে চোখ নিজের বাবাকে পরিহাস করে, নিজের মায়ের আদেশ মানতে অবহেলা করে, উপত্যকার কাকেরা তা তুলে নেবে, ঈগল পাখির বাচ্চারা তা খেয়ে ফেলবে।
The eye that mocketh at his father, and despiseth to obey his mother, the ravens of the valley shall pick it out, and the young eagles shall eat it.
18 ১৮ তিনটে আমার জ্ঞানের বাইরে, চারটে আমি বুঝতে পারি না;
There be three things which are too wonderful for me, yea, four which I know not:
19 ১৯ ঈগল পাখির পথ আকাশে, সাপের পথ পাহাড়ের ওপরে, জাহাজের পথ সমুদ্রের মাঝখানে, পুরুষের পথ যুবতীতে।
The way of an eagle in the air; the way of a serpent upon a rock; the way of a ship in the midst of the sea; and the way of a man with a maid.
20 ২০ ব্যভিচারিনীর পথও সেরকম; সে খেয়ে মুখ মোছে, আর বলে, আমি অধর্ম্ম করিনি।
So is the way of an adulterous woman; she eateth, and wipeth her mouth, and saith, I have done no wickedness.
21 ২১ তিনটের ভারে ভূমি কাঁপে, চারটের ভারে কাঁপে, সইতে পারে না;
For three things the earth doth tremble, and for four, [which] it cannot bear:
22 ২২ দাসের ভার, যখন সে রাজত্ব প্রাপ্ত হয়, মূর্খের ভার, যখন সে খেয়ে পরিতৃপ্ত হয়,
For a servant when he is king; and a fool when he is filled with meat;
23 ২৩ ঘৃণিত স্ত্রীর ভার, যখন সে পত্নীর পদ প্রাপ্ত হয়, আর দাসীর ভার, যখন সে নিজের কর্ত্রীর জায়গা লাভ করে।
For an odious woman when she is married; and an handmaid that is heir to her mistress.
24 ২৪ পৃথিবীতে চারটে খুব ছোট, তাছাড়া তারা বড় বুদ্ধি ধরে;
There be four things which are little upon the earth, but they are exceeding wise:
25 ২৫ পিপড়ে শক্তিমান্ জাতি নয়, তবু গ্রীষ্মকালে নিজের নিজের খাবারের আয়োজন কর;
The ants are a people not strong, yet they provide their meat in the summer;
26 ২৬ শাফন জন্তু বলবান জাতি নয়, তবুও পাহাড়ে ঘর বাঁধে;
The conies are but a feeble folk, yet make they their houses in the rocks;
27 ২৭ পঙ্গপালদের রাজা নেই, তবুও তারা দল বেঁধে যায়;
The locusts have no king, yet go they forth all of them by bands;
28 ২৮ টিকটিকিকে তোমার হাতে নিতে পার, তবুও রাজার প্রাসাদে থাকে।
The lizard taketh hold with her hands, yet is she in kings’ palaces,
29 ২৯ তিনটে সুন্দরভাবে যায়, চারটে সুন্দরভাবে চলে;
There be three things which are stately in their march, yea, four which are stately in going:
30 ৩০ সিংহ, যে পশুদের মধ্যে বিক্রমী, যে কাকেও দেখেও ফিরে যায় না;
The lion, which is mightiest among beasts, and turneth not away for any;
31 ৩১ মোরগ যে দর্পের সাথে ঘুরে বেড়ায় আর ছাগল এবং রাজা, যাঁর বিরুদ্ধে কেউ উঠে না।
The greyhound; the he-goat also; and the king, against whom there is no rising up.
32 ৩২ তুমি যদি নিজের বড়াই করে মূর্খের কাজ করে থাক, কিংবা যদি খারাপ মতলব করে থাক, তবে তোমার মুখে হাত দাও।
If thou hast done foolishly in lifting up thyself, or if thou hast thought evil, [lay] thine hand upon thy mouth.
33 ৩৩ কারণ দুধ মন্থনে মাখন বের হয়, নাক মন্থনে রক্ত বের হয় ও রাগ মন্থনে বিরোধ বের হয়।
For the churning of milk bringeth forth butter, and the wringing of the nose bringeth forth blood: so the forcing of wrath bringeth forth strife.