< হিতোপদেশ 17 >
1 ১ দ্বন্দ্বযুক্ত ভোজে পরিপূর্ণ বাড়ির থেকে শান্তিযুক্ত এক শুকনো রুটির টুকরোও ভাল।
যে ভোজবাড়িতে শত্রুতার পরিবেশ আছে সেখানকার চেয়ে শান্তি ও নিরূপদ্রব পরিবেশে এক মুঠি শুকনো খাবার ও ভালো।
2 ২ একজন বুদ্ধিমান দাস ছেলের ওপর কর্তৃত্ব করবে যে লজ্জাজনক কাজ করে এবং ভাইদের মধ্যে সে অধিকারের অংশী হয়।
বিচক্ষণ দাস মর্যাদাহানিকর ছেলের উপরে কর্তৃত্ব করবে ও পরিবারভুক্ত একজনের মতো সেও উত্তরাধিকারের অংশীদার হবে।
3 ৩ রূপার জন্য ধাতু গলাবার পাত্র ও সোনার জন্য অগ্নিকুন্ড, কিন্তু সদাপ্রভু হৃদয়ের পরীক্ষা করেন।
রুপোর জন্য গলনপাত্র ও সোনার জন্য হাপর, কিন্তু সদাপ্রভুই অন্তরের পরীক্ষা করেন।
4 ৪ একজন লোক খারাপ কথা শোনে যে মন্দ কথা বলে; যে মন্দ বিষয় বলে মিথ্যাবাদী তাতে মনোযোগ দেয়।
দুষ্টলোক প্রতারণাপূর্ণ ঠোঁটের কথাই শোনে; মিথ্যাবাদী মানুষ ধ্বংসাত্মক জিভের কথায় মনোযোগ দেয়।
5 ৫ যে গরিবকে উপহাস করে, সে তার নির্মাতাকে অপমান করে; যে বিপদে আনন্দ করে, সে অদণ্ডিত থাকবে না।
যে দরিদ্রদের উপহাস করে সে তাদের নির্মাতার প্রতিই অসম্মান দেখায়; যে বিপর্যয় দেখে আনন্দ পায় সে অদণ্ডিত থাকবে না।
6 ৬ নাতিরা বয়ষ্কদের মুকুট এবং বাবা মা তাদের সন্তানদের সম্মান নিয়ে আসে।
নাতিপুতিরা বয়স্ক মানুষদের মুকুট, ও মা-বাবারা তাদের সন্তানদের গৌরব।
7 ৭ সুস্পষ্ট বক্তব্য নির্বোধদের জন্য উপযুক্ত নয়।
বাক্পটু ঠোঁট যদি মূর্খের পক্ষে অনুপযোগী— তবে একজন শাসকের পক্ষে মিথ্যাবাদী ঠোঁট কতই না বেশি মন্দ!
8 ৮ ঘুষ জাদু পাথরের মতো যে এটা দেয়; তা যে দিকে ফিরে, সেই দিকে সফল হয়।
যারা ঘুস দেয় তাদের দৃষ্টিতে তা এক দামি মণিবিশেষ; তারা মনে করে প্রত্যেকটি বাঁক ধরেই সাফল্য আসবে।
9 ৯ যে অপরাধ উপেক্ষা করে, সে প্রেমের খোঁজ করে, কিন্তু যে এক বিষয় বার বার বলে, সে ঘনিষ্ট বন্ধুর মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করে।
যে ভালোবাসা লালনপালন করে সে অপরাধ ঢেকে রাখে, কিন্তু যে বারবার সেকথার পুনরাবৃত্তি করে সে ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের বিচ্ছিন্ন করে দেয়।
10 ১০ বুদ্ধিমানের মনে ভর্ত্সনা যত লাগে, নির্বোধের মনে একশো প্রহারও তত লাগে না।
একশো কশাঘাত মূর্খকে যত না প্রভাবিত করে ভর্ৎসনা বিচক্ষণ মানুষকে তার চেয়েও অনেক বেশি প্রভাবিত করে।
11 ১১ খারাপ লোক শুধু বিদ্রোহের চেষ্টা করে, অতএব তার বিরুদ্ধে নিষ্ঠুর দূত পাঠানো হবে।
অনিষ্টকারীরা ঈশ্বরের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ লালনপালন করে; তাদের বিরুদ্ধে মৃত্যুদূত পাঠানো হবে।
12 ১২ অজ্ঞানতা-মগ্ন নির্বোধের সাথে সাক্ষাৎ করার থেকে অপহৃত ভল্লূকীর মানুষের সাথে সাক্ষাৎ করা ভালো।
মূর্খতার ভারে ন্যুব্জ মূর্খের সাথে দেখা হওয়ার চেয়ে বরং শাবক হারানো মাদি ভালুকের সম্মুখীন হওয়া ভালো।
13 ১৩ যখন কেউ উপকারের বদলে অপকার করে, অপকার তার বাড়ি ত্যাগ করবে না।
যে মঙ্গলের প্রতিদানে অমঙ্গল ফিরিয়ে দেয় অমঙ্গল কখনোই তার বাড়িছাড়া হবে না।
14 ১৪ বিবাদের শুরু হল এমন যে কেউ প্রত্যেক জায়গায় জল ছাড়ে; অতএব ভেঙে যাবার আগে বিতর্ক থেকে সরে যাও।
বিবাদের সূত্রপাত হল বাঁধে ফাটল ধরার মতো বিষয়; অতএব বিতর্ক দানা বাঁধার আগেই বিষয়টিতে ইতি টানো।
15 ১৫ যে দুষ্টকে নির্দোষ বলে প্রমাণ করে ও যে ধার্ম্মিককে দোষী করে, তারা উভয়েই সদাপ্রভুর ঘৃণার পাত্র।
দোষীকে বেকসুর খালাস করে দেওয়া ও নির্দোষকে দোষী সাব্যস্ত করা— দুটি বিষয়কেই সদাপ্রভু ঘৃণা করেন।
16 ১৬ নির্বোধ প্রজ্ঞা শেখার জন্য কেন অর্থ দেবে, যখন তার শেখার জন্য কোনো দক্ষতা নেই?
প্রজ্ঞা কেনার জন্য মূর্খদের হাতে অর্থ থাকবে কেন, যখন তা বোঝার ক্ষমতাই তাদের নেই?
17 ১৭ বন্ধু সবদিনের ভালবাসে এবং ভাই কষ্টের জন্য জন্মায়।
বন্ধু সবসময় ভালোবেসে যায়, ও দুর্দশা কালের জন্যই ভাই জন্ম নেয়।
18 ১৮ একজন লোক যার কোনো জ্ঞান নেই সে প্রতিশ্রুতির বন্ধন তৈরী করে এবং তার প্রতিবেশীর ঋণের জন্য দায়ী হয়।
বুদ্ধি-বিবেচনাহীন মানুষ জামিনদার হয়ে হাতে হাত মিলায় ও প্রতিবেশীর হয়ে বন্ধক রাখে।
19 ১৯ যে দ্বন্দ্ব ভালবাসে, সে অধর্ম্ম ভালবাসে; ঔদ্ধত্যপূর্ণ ভাবে কথা বলে সে বিপদকে আমন্ত্রণ দেয়।
যে বিবাদ ভালোবাসে সে পাপও ভালোবাসে; যে উঁচু দরজা নির্মাণ করে সে সর্বনাশ ডেকে আনে।
20 ২০ যে কুটিল হৃদয়ের, সে ভালোর খোঁজ করে না; যার জিহ্বা বিকৃত, সে বিপদে পড়ে।
যার অন্তর দুর্নীতিগ্রস্ত সে উন্নতি লাভ করে না; যার জিভ কলুষিত সে বিপদে পড়ে।
21 ২১ যে নির্বোধের জন্ম দেয় সে নিজের দুর্দশা আনে; যে মূর্খের বাবা সে আনন্দ করতে পারে না।
মূর্খকে সন্তানরূপে লাভ করার অর্থ জীবনে বিষাদ নেমে আসা; মূর্খের মা-বাবার মনে আনন্দ থাকে না।
22 ২২ আনন্দিত হৃদয় হল ভালো ওষুধ; কিন্তু ভগ্ন আত্মা হাড় শুকনো করে।
আনন্দিত হৃদয় ভালো ওষুধ, কিন্তু ভগ্নচূর্ণ আত্মা অস্থি শুকনো করে দেয়।
23 ২৩ দুষ্ট লোক গোপনে ঘুষ গ্রহণ করে, ন্যায়বিচারের পথ বিকৃত করার জন্য।
বিচারের গতিপথ বিকৃত করার জন্য দুষ্টেরা গোপনে ঘুস নেয়।
24 ২৪ বুদ্ধিমানের মুখের সামনেই প্রজ্ঞা থাকে; কিন্তু নির্বোধের দৃষ্টি পৃথিবীর শেষে যায়।
বিচক্ষণ মানুষ প্রজ্ঞাকে সামনে রেখে চলে, কিন্তু মূর্খের দৃষ্টি পৃথিবীর প্রান্ত পর্যন্ত ঘুরে বেড়ায়।
25 ২৫ নির্বোধ ছেলে নিজের বাবার গভীর দুঃখস্বরূপ এবং যে নারী তাকে জন্ম দিয়েছে তার তিক্ততাস্বরূপ।
মূর্খ ছেলে তার বাবার জীবনে বিষাদ ও যে মা তাকে জন্ম দিয়েছে তার জীবনে তিক্ততা উৎপন্ন করে।
26 ২৬ এছাড়াও, যে সঠিক কাজ করে তার কখনো শাস্তি দেওয়া উচিত নয়; মহান মানুষ যার সততা আছে তাকে প্রহার করা এটা ভালো নয়।
নির্দোষ লোকের জরিমানা করা যদি ভালো কাজ না হয়, তবে সৎ কর্মকর্তাদের কশাঘাত করাও নিশ্চয় ঠিক নয়।
27 ২৭ যার জ্ঞান আছে সে কিছু শব্দ ব্যবহার করে এবং যে শান্ত হৃদয়ের, সে বুদ্ধিমান।
যার জ্ঞান আছে সে সংযমী হয়ে শব্দ ব্যবহার করে, ও যার বুদ্ধি-বিবেচনা আছে সে মেজাজের রাশ নিয়ন্ত্রণে রাখে।
28 ২৮ এমনকি নির্বোধও নীরব থাকলে জ্ঞানবান বলে বিবেচিত হয়; যখন সে মুখ বন্ধ রাখে সে বুদ্ধিমান বলে বিবেচিত হয়।
মূর্খরাও যদি নীরবতা বজায় রাখে তবে তাদের জ্ঞানবান বলে মনে করা হয়, ও যদি তারা তাদের জিভ নিয়ন্ত্রণে রাখে তবে তাদের বিচক্ষণ বলে মনে করা হয়।