< হিতোপদেশ 13 >

1 জ্ঞানবান ছেলে বাবার শাসন মানে, কিন্তু ব্যঙ্গকারী ভর্ত্সনা শোনে না।
জ্ঞানবান ছেলে বাবার নির্দেশ মানে, কিন্তু বিদ্রুপকারী ভর্ৎসনায় কান দেয় না।
2 মানুষ নিজের মুখের ফলের মাধ্যমে ভালো জিনিস ভোগ করে; কিন্তু বিশ্বাসঘাতকদের অভিলাষ উত্পীড়ন ভোগ করে।
মানুষ তাদের মুখের ফল দ্বারাই মঙ্গল উপভোগ করে, কিন্তু বিশ্বাসঘাতক হিংস্রতার প্রবৃত্তি রাখে।
3 যে মুখ সাবধানে রাখে, সে প্রাণ রক্ষা করে; যে ঠোঁট বড় করে খুলে দেয়, তার সর্বনাশ হয়।
যারা ঠোঁট নিয়ন্ত্রণে রাখে তারা তাদের প্রাণরক্ষা করে, কিন্তু যারা বেপরোয়াভাবে কথাবার্তা বলে তাদের সর্বনাশ হয়।
4 অলসের অভিলাষ লালসা করে, কিছুই পায় না; কিন্তু পরিশ্রমীদের অভিলাষ প্রচুর পরিমাণে সন্তুষ্ট হয়।
অলসের খিদে কখনও মেটে না, কিন্তু পরিশ্রমীদের বাসনাগুলি পুরোপুরি চরিতার্থ হয়।
5 ধার্মিক মিথ্যা কথা ঘৃণা করে; কিন্তু দুষ্ট লোক আপত্তিকর, সে লজ্জা সৃষ্টি করে।
ধার্মিকেরা মিথ্যাচারিতা ঘৃণা করে, কিন্তু দুষ্টেরা নিজেদের এক দুর্গন্ধে পরিণত করে ও নিজেদের উপরে লজ্জা ডেকে আনে।
6 ধার্ম্মিকতা সততাকে রক্ষা করে; কিন্তু দুষ্ট তার পাপের জন্য নিপাতিত হয়।
ধার্মিকতা ন্যায়পরায়ণ মানুষদের রক্ষা করে, কিন্তু দুষ্টতা পাপীদের উৎখাত করে।
7 কেউ নিজেকে ধনবান দেখায়, কিন্তু তার কিছুই নেই; কেউ বা নিজেকে গরিব দেখায়, কিন্তু তার মহাধন আছে।
কেউ ধনী হওয়ার ভান করে, অথচ তার কাছে কিছুই নেই; অন্যজন দরিদ্র হওয়ার ভান করে, অথচ তার কাছে মহাধন আছে।
8 মানুষের ধন তার প্রাণের প্রায়শ্চিত্ত; কিন্তু গরিব লোক ধমক শোনে না।
মানুষের ধন হয়তো তাদের প্রাণের প্রায়শ্চিত্ত করতে পারে, কিন্তু দরিদ্রকে ভয় দেখানো যায় না।
9 ধার্ম্মিকের আলো আনন্দ করে; কিন্তু দুষ্টদের প্রদীপ নিভে যায়।
ধার্মিকদের আলো উজ্জ্বলভাবে জ্বলজ্বল করে, কিন্তু দুষ্টদের প্রদীপ নিভে যায়।
10 ১০ অহঙ্কারে কেবল বিবাদ সৃষ্টি হয়; কিন্তু যারা পরামর্শ মানে, প্রজ্ঞা তাদের সঙ্গে।
যেখানে বিবাদ থাকে, সেখানে অহংকারও থাকে, কিন্তু যারা পরামর্শ নেয় তাদের অন্তরে প্রজ্ঞা পাওয়া যায়।
11 ১১ অনেক অসারতায় অর্জন করা ধন ক্ষয় পায়; কিন্তু যে ব্যক্তি হাতের মাধ্যমে কাজ করে সঞ্চয় করে, সে অনেক পায়।
অসাধু উপায়ে অর্জিত অর্থ কমে যায়, কিন্তু যে অল্প অল্প করে অর্থ সংগ্রহ করে, তার অর্থ বাড়তে থাকে।
12 ১২ আশার বিলম্ব হৃদয়ের পীড়াজনক; কিন্তু আকাঙ্খার পূর্ণতা জীবনবৃক্ষ।
বিলম্বিত আশা হৃদয়কে অসুস্থ করে তোলে, কিন্তু পূর্ণ আকাঙ্ক্ষা এক জীবনবৃক্ষ।
13 ১৩ যে বাক্য তুচ্ছ করে, সে নিজের সর্বনাশ ঘটায়; যে সম্মানের আজ্ঞা মানে, সে পুরষ্কার পায়।
যে নির্দেশ অবজ্ঞা করে তাকে এর মূল্য চোকাতে হয়, কিন্তু যে আজ্ঞাকে সম্মান করে সে পুরস্কৃত হয়।
14 ১৪ জ্ঞানবানের শিক্ষা জীবনের ঝরনা, তা মৃত্যুর ফাঁদ থেকে দূরে যাবার পথ।
জ্ঞানবানের শিক্ষা জীবনের উৎস, তা মানুষকে মৃত্যুর ফাঁদ থেকে ফিরিয়ে আনে।
15 ১৫ সুবুদ্ধি অনুগ্রহজনক, কিন্তু বিশ্বাসঘাতকদের পথ অন্তহীন।
সুবিবেচনা অনুগ্রহজনক হয়, কিন্তু বিশ্বাসঘাতকদের পথ তাদের বিনাশের দিকে নিয়ে যায়।
16 ১৬ যে কেউ সতর্ক, সে জ্ঞানের সঙ্গে কাজ করে; কিন্তু নির্বোধ তার মূর্খতা প্রদর্শন করে।
যারা বিচক্ষণ তারা সবাই জ্ঞানপূর্বক কাজ করে, কিন্তু মূর্খেরা তাদের মূর্খতাই প্রকাশ করে ফেলে।
17 ১৭ দুষ্ট দূত বিপদে পড়ে, কিন্তু বিশ্বস্ত দূত পুনর্মিলন আনে।
দুষ্ট দূত অসুবিধায় পড়ে, কিন্তু বিশ্বস্ত দূত আরোগ্য দান করে।
18 ১৮ যে শাসন অমান্য করে, সে দরিদ্রতা ও লজ্জা পায়; কিন্তু যে সংশোধন শেখে, সে সম্মানিত হয়।
যে শাসন উপেক্ষা করে তাকে দারিদ্র ও লজ্জা ভোগ করতে হয়, কিন্তু যে সংশোধনে মনোযোগ দেয় সে সম্মানিত হয়।
19 ১৯ প্রাণে মধুর আকাঙ্খার উপলব্ধি হয়; কিন্তু মন্দ থেকে সরে যাওয়া নির্বোধদের ঘৃণিত।
পূর্ণ আকাঙ্ক্ষা প্রাণের পক্ষে তৃপ্তিদায়ক, কিন্তু মূর্খেরা মন্দ পথ থেকে ফিরতে চায় না।
20 ২০ জ্ঞানীদের সঙ্গে চল, জ্ঞানী হবে; কিন্তু যে নির্বোধদের বন্ধু, সে অপকার ভোগ করবে।
জ্ঞানবানদের সঙ্গে সঙ্গে চলো ও জ্ঞানবান হও, কারণ মূর্খদের সহচর ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
21 ২১ বিপর্যয় পাপীদের পরে দৌড়ায়; কিন্তু ধার্ম্মিকদেরকে ভালোর পুরষ্কার দেওয়া হয়।
বিপত্তি পাপীর পশ্চাদ্ধাবন করে, কিন্তু ধার্মিককে মঙ্গল দিয়ে পুরস্কৃত করা হয়।
22 ২২ সৎ লোক তার নাতিদের জন্য উত্তরাধিকার রেখে যায়; কিন্তু পাপীর ধন ধার্ম্মিকের জন্যে সঞ্চিত হয়।
সৎলোক তাদের নাতি-নাতনিদের জন্য উত্তরাধিকার ছেড়ে যায়, কিন্তু পাপীর ধন ধার্মিকদের জন্য মজুত হয়।
23 ২৩ গরিবদের ভূমির চাষে প্রচুর খাদ্য হয়; কিন্তু অবিচারের দ্বারা তা দূরে সরে যায়।
অকর্ষিত জমি দরিদ্রদের জন্য খাদ্য উৎপাদন করে, কিন্তু অবিচার তা নিশ্চিহ্ন করে দেয়।
24 ২৪ যে শাসন না করে, সে ছেলেকে ঘৃণা করে; কিন্তু যে তাকে ভালবাসে, সে সযত্নে শাসন করে।
যারা লাঠির ব্যবহার করে না, তারা তাদের সন্তানদের ঘৃণা করে, কিন্তু যারা তাদের সন্তানদের ভালোবাসে, তারা সযত্নে তাদের শাসনও করে।
25 ২৫ ধার্মিক প্রাণের তৃপ্তি পর্যন্ত আহার করে, কিন্তু দুষ্টদের পেট সবদিন ক্ষুর্ধাত থাকে।
ধার্মিকেরা তাদের প্রাণের তৃপ্তি পর্যন্ত খাবার খায়, কিন্তু দুষ্টেরা ক্ষুধার্ত পেটেই থেকে যায়।

< হিতোপদেশ 13 >