< গণনার বই 5 >
1 ১ সদাপ্রভু মোশিকে বললেন,
সদাপ্রভু মোশিকে বললেন,
2 ২ “তুমি ইস্রায়েল সন্তানদের আদেশ কর, যেন তারা প্রত্যেক কুষ্ঠীকে, প্রত্যেক প্রমেহীকে ও মৃত ব্যক্তির মাধ্যমে অশুচি প্রত্যেক জনকে শিবির থেকে বের করে দেয়।
“ইস্রায়েলীদের আদেশ দাও যেন তারা সংক্রামক চর্মরোগী বা প্রমেহী অথবা শবের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে অশুচি ব্যক্তিকে ছাউনি থেকে বহিষ্কার করে।
3 ৩ তোমরা পুরুষ ও স্ত্রীলোককে বের কর, তাদেরকে শিবির থেকে বের কর। তাদের যে শিবিরের মধ্যে আমি বাস করি, তারা তা অশুচি না করুক।”
পুরুষ ও স্ত্রী নির্বিশেষে, তারা তাদের বহিষ্কার করবে। তাদের ছাউনির বাইরে পাঠাতে হবে যেন যে শিবিরে আমি তাদের মধ্যে অবস্থান করি, সেই শিবির কলুষিত না হয়।”
4 ৪ তখন ইস্রায়েল সন্তানরা সেই রকম কাজ করল, তাদেরকে শিবির থেকে বের করে দিল; সদাপ্রভু মোশিকে যেমন বলেছিলেন, ইস্রায়েল সন্তানরা সেই রকম করল।
ইস্রায়েলীরা সেইরকমই করল; তারা তাদের ছাউনির বাইরে পাঠিয়ে দিল। সদাপ্রভু যে রকম মোশিকে আদেশ দিয়েছিলেন, তারা ঠিক সেই কাজ করল।
5 ৫ সদাপ্রভু মোশিকে বললেন,
সদাপ্রভু মোশিকে বললেন,
6 ৬ “তুমি ইস্রায়েল সন্তানদের বল, ‘পুরুষ কিংবা স্ত্রী হোক, একজন আর একজন মানুষের সাথে যেভাবে পাপ করে যখন কেউ সেরকম করে সদাপ্রভুর আদেশ অমান্য করে, আর সেই ব্যক্তি দণ্ডনীয় হয়, তখন সে যে পাপ করেছে,
“ইস্রায়েলীদের বলো, ‘যখন কোনো পুরুষ বা স্ত্রী, অন্য কোনো ব্যক্তির প্রতি কোনও ধরনের অন্যায় আচরণ করে এবং সে সদাপ্রভুর কাছে অবিশ্বস্ত প্রতিপন্ন হয়, তাহলে সেই ব্যক্তি অপরাধী সাব্যস্ত হবে।
7 ৭ সেটা স্বীকার করবে ও নিজের দোষের জন্য মূল্য ও তার পঞ্চমাংশের এক অংশের বেশি, যার বিরুদ্ধে দোষ করেছে, তাকে দেবে।
সে তার কৃত পাপস্বীকার করবে। তার অন্যায়ের জন্য সে পূর্ণ ক্ষতিপূরণ দেবে, তার সঙ্গে এক-পঞ্চমাংশ বেশি যোগ করবে এবং যার বিরুদ্ধে সে অন্যায় করেছে, সেই ব্যক্তিকে তার সমস্তটাই দেবে।
8 ৮ কিন্তু যাকে দোষের পরিশোধ দেওয়া হবে, এমন মুক্তিকর্তা জ্ঞাতি যদি তার না থাকে, তবে দোষের পরিশোধ সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে যাজককে দিতে হবে; তাছাড়া যার মাধ্যমে তার প্রায়শ্চিত্ত হয়, সেই প্রায়শ্চিত্তের ভেড়াও দিতে হবে।
যদি সেই ব্যক্তির কোনো নিকটাত্মীয় না থাকে, যাকে সেই অন্যায়ের জন্য ক্ষতিপূরণ দেওয়া যেতে পারে, তাহলে তা সদাপ্রভুর অধিকারভুক্ত হবে। তার জন্য কৃত প্রায়শ্চিত্তের মেষের সঙ্গে সেইসব অবশ্যই যাজককে দিতে হবে।
9 ৯ ইস্রায়েল সন্তানরা তাদের পবিত্র বস্তুর মধ্যে যত উপহার যাজকের কাছে আনে, সেই সব কিছু তার হবে।
যাজকের কাছে ইস্রায়েলীদের দ্বারা আনীত সমস্ত পবিত্র উপহার, তাদেরই অধিকারস্বরূপ হবে।
10 ১০ যে কেউ পবিত্র বস্তু দেয়, তা তারই হবে; কোন ব্যক্তি যে কোন বস্তু যাজককে দেয়, তা তার হবে’।”
প্রত্যেক ব্যক্তির পবিত্র দানসকল তার নিজস্ব হলেও, যে সমস্ত সে যাজকের কাছে নিবেদন করে তা যাজকেরই হবে।’”
11 ১১ আর আবার সদাপ্রভু মোশিকে বললেন,
তারপর সদাপ্রভু মোশিকে বললেন,
12 ১২ “তুমি ইস্রায়েল সন্তানদের বল, তাদেরকে বল, কোন ব্যক্তির স্ত্রী যদি বিপথগামিনী হয়ে তার বিরুদ্ধে পাপ করে,
“ইস্রায়েলীদের সঙ্গে আলাপ করে তাদের বলো, ‘যদি কারোর স্ত্রী বিপথগামী ও তার প্রতি অবিশ্বস্ত হয়,
13 ১৩ সে যদি স্বামীর চোখের আড়ালে কোন পুরুষের সঙ্গে সম্পর্ক করে গোপনে অশুচি হয় ও তার বিপক্ষে কোন সাক্ষী না থাকে ও সে ধরা না পড়ে
অন্য পুরুষের সঙ্গে শয়ন করে এবং সেই বিষয় তার স্বামীর নিকট গুপ্ত থাকে, তার অশুদ্ধতা অনাবিষ্কৃত থেকে যায় (যেহেতু তার বিপক্ষে কোনো সাক্ষী নেই, অথবা সেই কাজ কারোর দৃষ্টিগোচর হয়নি),
14 ১৪ এবং স্ত্রী অশুচি হলে স্বামী যদি ঈর্ষান্বিত হয়; অথবা স্ত্রী অশুচি না হলেও যদি সে মিথ্যা ভাবে ঈর্ষান্বিত হয়;
যদি তার স্বামী ঈর্ষান্বিত হয়ে তাকে সন্দেহ করে এবং সে অশুচি হয় অথবা যদি ঈর্ষান্বিত হয়ে স্ত্রীকে সন্দেহ করলেও যদিও সে অশুচি না হয়ে থাকে,
15 ১৫ তবে সেই স্বামী তার স্ত্রীকে যাজকের কাছে আনবে এবং তার জন্য উপহার, অর্থাৎ এক ঐফার দশমাংশ যবের সূজি আনবে, কিন্তু তার উপরে তেল ঢালবে না ও কুন্দুরু দেবে না; কারণ তা ঈর্ষান্বিতর ভক্ষ্য নৈবেদ্য, স্মরণের ভক্ষ্য নৈবেদ্য, যার মাধ্যমে অপরাধ স্মরণ হয়।
সে তার স্ত্রীকে যাজকের কাছে নিয়ে যাবে। সে অবশ্যই তার স্ত্রীর তরফে, এক ঐফার এক-দশমাংশ যবের ময়দা নৈবেদ্যরূপে নিয়ে আসবে। সে তার উপরে জলপাই তেল দেবে না, বা ধূপ নিবেদন করবে না, কারণ এই শস্য-নৈবেদ্য ঈর্ষাজনিত কারণে আনীত, যা অপরাধ চিহ্নিতকরণের অভিপ্রায়ে আনা স্মরণার্থক দানস্বরূপ।
16 ১৬ যাজক সেই স্ত্রীকে নিয়ে সদাপ্রভুর সামনে উপস্থিত করবে।
“‘যাজক সেই স্ত্রীকে সদাপ্রভুর সামনে দাঁড় করাবে।
17 ১৭ যাজক মাটির পাত্রে পবিত্র জল রেখে সমাগম তাঁবুর মেঝের কিছুটা ধূলো নিয়ে সেই জলে দেবে।
তারপর সে একটি মাটির পাত্রে সামান্য পবিত্র জল নেবে এবং উপাসনা-তাঁবুর মেঝে থেকে একটু ধুলো নিয়ে ওই জলের মধ্যে দেবে।
18 ১৮ যাজক সেই স্ত্রীকে সদাপ্রভুর সামনে উপস্থিত করবে ও তার মাথার চুল খুলে দিয়ে ঐ স্মরণের ভক্ষ্য নৈবেদ্য, অর্থাৎ ঈর্ষান্বিতর, তার হাতে দেবে এবং যাজকের হাতে অভিশাপজনক তেতো জল থাকবে।
যাজক সেই স্ত্রীকে সদাপ্রভুর সামনে দাঁড় করিয়ে তার চুল খুলে দেবে ও তার হাতে স্মারক নৈবেদ্য, অর্থাৎ ঈর্ষাজনিত শস্য-নৈবেদ্য দেবে। সে কিন্তু ওই তিক্ত জল নিজের হাতে ধারণ করবে, যা শাপ বহন করে আনবে।
19 ১৯ যাজক ঐ স্ত্রীকে শপথ করে বলবে, কোন পুরুষ যদি তোমার সঙ্গে না শুয়ে থাকে এবং তুমি নিজের স্বামীর অধীনে থাক ও যদি বিপথগামী কোন অশুচি কাজ না করে থাক, তবে এই অভিশাপজনক তেতো জল তোমার ওপর না কাজ করুক।
তারপর যাজক সেই স্ত্রীকে শপথ করিয়ে বলবে, “যদি কোনো পুরুষ তোমার সঙ্গে শয়ন না করে থাকে, তুমি যদি ভ্রষ্টা না হয়ে থাকো এবং যদি তোমার স্বামীর সঙ্গে বিবাহিত হয়েছ, তাই যদি অশুচি না হয়ে থাকো, তাহলে এই তিক্ত জল যা শাপ বহন করে আনে, তা তোমার ক্ষতি না করুক।
20 ২০ কিন্তু তুমি নিজের স্বামীর অধীনে হয়েও যদি বিপথগামী হয়ে থাক, যদি অশুচি কাজ করে থাক ও তোমার স্বামী ছাড়া অন্য কোন পুরুষ যদি তোমার সঙ্গে শুয়ে থাকে,”
কিন্তু তোমার স্বামীর সঙ্গে সম্মিলিত হলেও যদি তুমি ভ্রষ্টা হয়ে থাকো এবং তোমার স্বামী ছাড়াও অন্য ব্যক্তির সঙ্গে শয়ন করে কলুষিত হয়ে থাকো,”
21 ২১ তবে যাজক সেই স্ত্রীকে অভিশাপজনক শপথ করাবে ও যাজক সেই স্ত্রীকে বলবে, সদাপ্রভু তোমার ঊরু অবশ ও তোমার পেট বড় করে তোমার লোকেদের মধ্যে তোমাকে শাপের ও অপবাদের পাত্রী করবেন;
এখানে যাজক, সেই স্ত্রীকে শপথের এই শাপের অধীনে নিয়ে আসবে, “তাহলে সদাপ্রভু তাই করুন যেন তোমার জনগোষ্ঠী তোমাকে অভিশাপ দেয় ও প্রকাশ্যে তোমার নিন্দা করে এবং তিনি তোমার ঊরুদেশ নিশ্চল ও উদর স্ফীত করুন।
22 ২২ এই অভিশাপজনক জল তোমার পেটের মধ্যে গিয়ে তোমার পেট বড় ও ঊরু অবশ করবে। তখন সেই স্ত্রী বলবে, আমেন, আমেন।
এই অভিশপ্ত জল তোমার মধ্যে প্রবেশ করে তোমার উদর স্ফীত ও ঊরুদেশ নিশ্চল করুক।” “‘তখন স্ত্রীলোকটিকে বলতে হবে, “আমেন, হ্যাঁ তাই হোক।”
23 ২৩ যাজক সেই অভিশাপের কথা বইয়ে লিখে ঐ তেতো জলে মুছে ফেলবে।
“‘যাজক এই শাপের বাণীগুলি একটি গোটান পুঁথিতে লিখে ওই তিক্ত জলে সেই লেখা ধুয়ে ফেলবে।
24 ২৪ সেই অভিশাপজনক তেতো জল ঐ স্ত্রীকে পান করাবে; তাতে সেই অভিশাপজনক তেতো জল পান করাবে যেটা তার অভিশাপ স্বরূপ হবে।
সে স্ত্রীলোকটিকে ওই তিক্ত জলপান করাবে, যা শাপ বহন করে আনবে এবং সেই জল তার উদরে প্রবেশ করে দুঃসহ যন্ত্রণা সৃষ্টি করবে।
25 ২৫ যাজক ঐ স্ত্রীর হাত থেকে সে ঈর্ষান্বিতর ভক্ষ্য নৈবেদ্য নেবে এবং সেই ভক্ষ্য নৈবেদ্য সদাপ্রভুর সামনে দেখিয়ে বেদির উপরে উপস্থিত করবে।
যাজক তার হাত থেকে ঈর্ষাজনিত শস্য-নৈবেদ্য গ্রহণ করে সদাপ্রভুর অভিমুখে দোলাবে এবং যজ্ঞবেদির কাছে নিয়ে আসবে।
26 ২৬ যাজক সেটার স্মরণে সেই ভক্ষ্য নৈবেদ্যের এক মুঠো নিয়ে বেদির উপরে পোড়াবে, তারপরে ঐ স্ত্রীকে সেই জল পান করাবে।
তারপর যাজক পূর্ণ একমুঠো ওই শস্য-নৈবেদ্য নিয়ে স্মারক নৈবেদ্যরূপে বেদিতে পোড়াবে; তারপর সে, সেই স্ত্রীকে ওই জলপান করাবে।
27 ২৭ যখন সেই স্ত্রীকে জল পান করাবে, সে যদি তার স্বামীর বিরুদ্ধে পাপ করে অশুচি হয়ে থাকে, তবে সেই অভিশাপজনক জল তার মধ্যে তেতো হয়ে প্রবেশ করবে এবং তার পেট বড় ও ঊরু অবশ হয়ে পড়বে; এই ভাবে সেই স্ত্রী তার লোকেদের মধ্যে অভিশপ্ত হবে।
যদি সে নিজেকে কলুষিত করে থাকে এবং তার স্বামীর প্রতি অবিশ্বস্ত হয়ে থাকে, তাহলে সে যখন শাপবাহী ওই জলপান করবে, সেটি তার উদরে প্রবেশ করে দুঃসহ যন্ত্রণা সৃষ্টি করবে; তার উদর স্ফীত হবে ও ঊরুদেশ নিশ্চল হয়ে যাবে। সে তার গোষ্ঠীর মধ্যে অভিশপ্ত প্রতিপন্ন হবে।
28 ২৮ কিন্তু যদি সেই স্ত্রী অশুচি না হয়ে শুচি থাকে, তবে সে মুক্ত হবে ও সন্তানের জন্ম দেবে।
কিন্তু যদি সেই স্ত্রী নিজেকে অশুচি না করে থাকে এবং নিষ্কলুষ থাকে, তাহলে সে অপরাধ মুক্ত হবে এবং সন্তানের জন্ম দিতে সক্ষম হবে।
29 ২৯ এটা ঈর্ষান্বিত বিষয়ের ব্যবস্থা; স্ত্রীলোক স্বামীর অধীনা থেকেও বিপথে গিয়ে অশুচি হলে,
“‘এই হবে ঈর্ষাপরায়ণতার বিধি, যখন কোনো স্ত্রীলোক ভ্রষ্টাচারী এবং তার স্বামীর সঙ্গে বিবাহিতা হলেও অশুচি হয়।
30 ৩০ কিংবা স্বামী ঈর্ষান্বিত আত্মার মাধ্যমে তার স্ত্রীর প্রতি ঈর্ষান্বিত হলে সে সেই স্ত্রীকে সদাপ্রভুর সামনে উপস্থিত করবে এবং যাজক সেই বিষয়ে এই সমস্ত ব্যবস্থা পালন করবে।
অথবা যখন কোনো ব্যক্তির মনে ঈর্ষার মনোভাব জাগে ও সে তার স্ত্রীর প্রতি সন্ধিগ্ধমনা হয়। যাজক সদাপ্রভুর কাছে তার অবস্থান যাচাই করে দেখবে এবং এই সম্পূর্ণ বিধি তার উপরে প্রয়োগ করবে।
31 ৩১ তাতে স্বামী যাজকের কাছে তার স্ত্রীকে এনে অপরাধ থেকে মুক্ত হবে এবং সেই স্ত্রী তার অপরাধ বহন করবে।
কৃত কোনও অন্যায় কাজের জন্য স্বামী নির্দোষ প্রতিপন্ন হবে, কিন্তু সেই স্ত্রীলোকটি তার পাপের পরিণতি ভোগ করবে।’”