< গণনার বই 16 >
1 ১ লেবির সন্তান কহাৎ, তাঁর সন্তান যিষ্হর, সেই যিষ্হরের সন্তান যে কোরহ, সে এবং রূবেণ সন্তানদের মধ্যে ইলীয়াবের ছেলে দাথন ও অবীরাম এবং পেলতের ছেলে ওন দল বাঁধলো;
লেবির ছেলে কহাৎ, তার ছেলে যিষ্হর, তার ছেলে কোরহ এবং কয়েকজন রূবেণ গোষ্ঠীর ব্যক্তি—ইলীয়াবের ছেলে দাথন ও অবীরাম এবং পেলতের ছেলে ওন—উদ্ধত হল
2 ২ আর ইস্রায়েল সন্তানদের দুশো পঞ্চাশ জনের সঙ্গে মোশির সামনে উঠল; এরা মণ্ডলীর শাসনকর্ত্তা, সমাজে ভালো ভাবে পরিচিত ও বিখ্যাত লোক ছিল।
এবং মোশির বিপক্ষতা করল। তাদের সঙ্গে 250 জন ইস্রায়েলী পুরুষ ছিল, যারা প্রত্যেকে সমাজের সুপরিচিত নেতা ছিল, যাদের মন্ত্রণা-সভার সদস্য নিযুক্ত করা হয়েছিল।
3 ৩ তারা মোশি ও হারোণের বিরুদ্ধে জড়ো হয়ে তাঁদেরকে বলল, “তোমরা বড়ই অভিমানী; কারণ সমস্ত মণ্ডলীর প্রত্যেক জনই পবিত্র এবং সদাপ্রভু তাহাদের মধ্যে আছেন; তবে তোমরা কেন সদাপ্রভুর সমাজের উপরে নিজেদেরকে উন্নত করছ?”
তারা দলবদ্ধ হয়ে মোশি ও হারোণের বিরোধিতা করতে এল এবং তাঁদের বলল, “তোমাদের স্পর্ধা বহুদূর বিস্তৃত হয়েছে! সমস্ত সমাজ পবিত্র, প্রত্যেক ব্যক্তিই পবিত্র এবং সদাপ্রভু তাদের সহবর্তী আছেন। তাহলে কেন তোমরা নিজেদের অবস্থান সদাপ্রভুর সমাজের ঊর্ধ্বে উন্নীত করেছ?”
4 ৪ তখন মোশি তা শুনে উপুড় হয়ে পড়লেন।
মোশি এই কথা শুনে ভূমিতে উপুড় হয়ে পড়লেন।
5 ৫ তিনি কোরহকে ও তার দলের সবাইকে বললেন, “কে সদাপ্রভুর লোক ও কে পবিত্র, কাকে তিনি নিজের কাছাকাছি রাখেন, তা সদাপ্রভু সকালে জানাবেন; তিনি যাকে মনোনীত করবেন, তাকেই নিজের কাছাকাছি রাখবেন।
তিনি কোরহ ও তার অনুগামীদের বললেন, “সকালবেলায় সদাপ্রভু প্রকাশ করবেন, কে তাঁর অধিকারভুক্ত এবং কে পবিত্র। তিনি সেই ব্যক্তিকে তাঁর নিকটবর্তী করবেন। যে ব্যক্তিকে তিনি মনোনীত করেন, সেই তাঁর নিকটবর্তী হবে।
6 ৬ হে কোরহ ও কোরহের দলের সকলে, এক কাজ কর; তোমরা ধুনুচি নাও
কোরহ, তুমি ও তোমার অনুগামী সবাই এই কাজ করো, অঙ্গারধানী নাও
7 ৭ এবং তাতে আগুন দিয়ে কাল সদাপ্রভুর সামনে তার উপরে ধূপ দাও; তাতে সদাপ্রভু যাকে মনোনীত করবেন, সেই ব্যক্তি পবিত্র হবে; হে লেবির সন্তানরা, তোমরা বড়ই অভিমানী।”
এবং আগামীকাল তার মধ্যে আগুন ও ধূপ দিয়ে, সদাপ্রভুর সামনে নিবেদন করো। যে ব্যক্তিকে সদাপ্রভু মনোনীত করেন, সেই ব্যক্তি পবিত্র গণ্য হবে। লেবীয়রা, তোমাদের স্পর্ধা সীমা ছাড়িয়ে গেছে!”
8 ৮ মোশি কোরহকে আবার বললেন, “হে লেবির সন্তানরা, অনুরোধ করি, আমার কথা শোনো।
মোশি কোরহকে এই কথাও বললেন, “লেবীয়েরা তোমরা এই কথা শোনো!
9 ৯ এটা কি তোমাদের কাছে খুব ছোট বিষয় যে, ইস্রায়েলের ঈশ্বর তোমাদেরকে ইস্রায়েল মণ্ডলী থেকে আলাদা করে সদাপ্রভুর সমাগম তাঁবুর সেবা কাজ করার জন্য ও মণ্ডলীর সামনে দাঁড়িয়ে তাঁর পরিচর্য্যা করার জন্য নিজের কাছাকাছি এনেছেন?
ইস্রায়েলের ঈশ্বর, অবশিষ্ট সমাজ থেকে তোমাদের পৃথক করে, তাঁর সান্নিধ্যে নিয়ে এসেছেন, যেন তোমরা সদাপ্রভুর আবাস তাঁবুর কাজকর্ম করো এবং সমাজের সামনে দাঁড়িয়ে থেকে তাদের পরিচর্যা করো, এই কি তোমাদের জন্য যথেষ্ট ছিল না?
10 ১০ তিনি তোমাকে ও তোমার সঙ্গে তোমার সমস্ত ভাইকে অর্থাৎ লেবির সন্তানদের নিজের কাছাকাছি এনেছেন, তোমরা কি যাজক হওয়ারও চেষ্টা করছ?
তিনি তোমাদের ও তোমাদের সহচর লেবীয়দের তাঁর নিকটস্থ করেছেন, কিন্তু এখন তোমরা যাজকত্ব পদের জন্যও চেষ্টা করছ।
11 ১১ তার জন্য তুমি ও তোমার সমস্ত দল সদাপ্রভুরই বিরুদ্ধে জড়ো হয়েছ; আর হারোণ কে যে, তোমরা তার বিরুদ্ধে অভিযোগ কর?”
তোমরা ও তোমাদের অনুগামী সবাই, সদাপ্রভুর বিপক্ষেই জোটবদ্ধ হয়েছ। হারোণ কে যে তোমরা তার বিপক্ষে বচসা করো?”
12 ১২ তখন মোশি ইলীয়াবের ছেলে দাথন ও অবীরামকে ডাকতে লোক পাঠালেন, কিন্তু তারা বলল, “আমরা যাব না।
মোশি ইলীয়াবের ছেলে দাথন ও অবীরামকে ডেকে পাঠালেন, কিন্তু তারা বলল, “আমরা যাব না।
13 ১৩ এটা কি খুব ছোট বিষয় যে, তুমি আমাদেরকে মরুপ্রান্তে মারবার জন্য দুধ মধু প্রবাহিত দেশ থেকে এনেছ? তুমি কি আমাদের উপরে কর্তৃত্বও করবে?
তুমি এক দুধ ও মধু প্রবাহী দেশ থেকে, এই প্রান্তরে আমাদের মেরে ফেলতে এনেছ, এই কি যথেষ্ট নয়? এখন আমাদের উপর প্রভুত্ব করতে চাইছ?
14 ১৪ আর, তুমি তো আমাদেরকে দুধ মধু প্রবাহিত দেশে আন নি, ভূমি ও আঙ্গুর ক্ষেতের অধিকারও দাও নি। তুমি কি মিথ্যা প্রতিজ্ঞা করে আমাদের অন্ধ করতে চাও? আমরা যাব না।”
এছাড়াও, এখনও তুমি আমাদের কোনো দুধ ও মধু প্রবাহী দেশে নিয়ে যাওনি অথবা শস্যক্ষেত্র ও দ্রাক্ষাকুঞ্জের কোনো অধিকার দান করোনি। তুমি কি এই সমস্ত ব্যক্তির সঙ্গে ক্রীতদাসের মতো ব্যবহার করবে? না, আমরা যাব না!”
15 ১৫ মোশি খুব রেগে গিয়ে সদাপ্রভুকে বললেন, “ওদের নৈবেদ্য গ্রহণ কোরো না; আমি ওদের থেকে একটি গাধাও নিই নি এবং আমি তাদের হিংসা করি নি।”
মোশি তখন অত্যন্ত ক্রুদ্ধ হয়ে সদাপ্রভুকে বললেন, “ওই ব্যক্তিদের নৈবেদ্য গ্রহণ কোরো না। আমি তাদের কাছ থেকে, সর্বাধিক একটি গাধাও গ্রহণ করিনি অথবা তাদের কারও প্রতি কোনো অন্যায় আচরণ করিনি।”
16 ১৬ তখন মোশি কোরহকে বললেন, “তুমি ও তোমার দলের সবাই, তোমরা কাল হারোণের সঙ্গে সদাপ্রভুর সামনে উপস্থিত হবে।
মোশি কোরহকে বললেন, “তুমি ও তোমার সমস্ত অনুগামী, আগামীকাল সদাপ্রভুর সামনে উপস্থিত হবে—তুমি, তারা সবাই এবং হারোণ।
17 ১৭ প্রত্যেক জন ধুনুচি নিয়ে তার উপরে ধূপ দিয়ে সদাপ্রভুর সামনে নিজেদের ধুনুচি আনবে; দুশো পঞ্চাশটি ধুনুচি নিয়ে আসবে। তুমি ও হারোণ নিজেদের ধুনুচি আনবে।”
প্রত্যেক ব্যক্তি অঙ্গারধানী নেবে—সর্বমোট 250-টি অঙ্গারধানী—এবং সদাপ্রভুর সামনে নিবেদন করতে হবে।” তুমি ও হারোণ তোমাদের অঙ্গারধানীও সদাপ্রভুর সামনে নিবেদন করবে।
18 ১৮ সুতরাং তারা প্রত্যেকে নিজেদের ধুনুচি নিয়ে তার মধ্যে আগুন রেখে ধূপ দিয়ে মোশি ও হারোণের সঙ্গে সমাগম তাঁবুর প্রবেশপথে দাঁড়াল।
অতএব তারা প্রত্যেকে তাদের অঙ্গারধানী নিল ও তার মধ্যে আগুন ও ধূপ রাখল। তারপর তারা মোশি ও হারোণের সঙ্গে সমাগম তাঁবুর প্রবেশপথে দাঁড়াল।
19 ১৯ কোরহ সমাগম তাঁবুর প্রবেশপথে মোশি ও হারোণের বিরুদ্ধে সমস্ত মণ্ডলীকে জড়ো করল। তখন সদাপ্রভুর মহিমা সমস্ত মণ্ডলীতে প্রকাশিত হল।
যখন কোরহ তার অনুগামীদের, তাঁদের বিপক্ষে সমাগম তাঁবুর প্রবেশপথে একত্র করল, তখন সদাপ্রভুর মহিমা সমস্ত সমাজের কাছে প্রত্যক্ষ হল।
20 ২০ তখন সদাপ্রভু মোশি ও হারোণকে বললেন, “তোমরা এই মণ্ডলীর মধ্যে থেকে আলাদা হও;
সদাপ্রভু মোশি ও হারোণকে বললেন,
21 ২১ আমি এক্ষুনি এদেরকে হত্যা করি।”
“তোমরা নিজেদের এই সমাজ থেকে পৃথক করো, যেন এক মুহূর্তে আমি তাদের বিলুপ্ত করি।”
22 ২২ মোশি ও হারোণ উপুড় হয়ে পড়লেন ও বললেন, “হে ঈশ্বর, সমস্ত মানুষ জাতির আত্মার ঈশ্বর, একজন পাপ করলে তুমি কি সমস্ত মণ্ডলীর উপরে প্রচণ্ড রাগ দেখাবে?”
কিন্তু মোশি ও হারোণ ভূমিতে উপুড় হয়ে উচ্চস্বরে বললেন, “হে ঈশ্বর, সমস্ত জীবিত বস্তুর আত্মাদের ঈশ্বর, যখন কোনো একজন ব্যক্তি পাপ করে, তখন তাঁর জন্য কি তুমি সমস্ত সমাজের প্রতি রুষ্ট হবে?”
23 ২৩ সদাপ্রভু মোশিকে বললেন,
সদাপ্রভু মোশিকে বললেন,
24 ২৪ “তুমি মণ্ডলীকে বল, ‘তোমরা কোরহের, দাথনের ও অবীরামের তাঁবুর চারদিক থেকে উঠে যাও’।”
“তুমি সমাজকে বলো, ‘তোমরা কোরহ, দাথন ও অবীরামের তাঁবুর কাছ থেকে সরে যাও।’”
25 ২৫ তখন মোশি উঠে দাথনের ও অবীরামের কাছে গেলেন এবং ইস্রায়েলের প্রাচীনেরা তাঁর পিছু পিছু গেলেন।
মোশি উঠে দাথন ও অবীরামের কাছে গেলেন এবং ইস্রায়েলের প্রবীণেরা তাঁকে অনুসরণ করল।
26 ২৬ তিনি মণ্ডলীকে বললেন, “অনুরোধ করি, তোমরা এই দুষ্টু লোকেদের তাঁবুর কাছ থেকে উঠে যাও, এদের কিছুই স্পর্শ কোরো না, না হলে এদের সমস্ত পাপে বিনষ্ট হও।”
তিনি সমাজকে সাবধান করে দিয়ে বললেন, “এই দুষ্ট ব্যক্তিদের তাঁবু থেকে সরে যাও! তাদের কোনো জিনিস স্পর্শ করো না, তা না হলে, তাদের পাপের জন্য তোমরাও বিনষ্ট হবে।”
27 ২৭ তাতে তারা কোরহের, দাথনের ও অবীরামের তাঁবুর চারদিক থেকে উঠে গেল, আর দাথন ও অবীরাম বের হয়ে নিজের স্ত্রী, ছেলে ও শিশুদের সঙ্গে তাদের তাঁবুর প্রবেশপথে দাঁড়িয়ে থাকল।
অতএব তারা কোরহ, দাথন ও অবীরামের তাঁবুর কাছ থেকে সরে গেল। দাথন ও অবীরাম, তাদের স্ত্রী, সন্তান ও শিশুসহ তাঁবু থেকে বের হয়ে প্রবেশপথে দাঁড়িয়ে রইল।
28 ২৮ পরে মোশি বললেন, সদাপ্রভু আমাকে এই সমস্ত কাজ করতে পাঠিয়েছেন, আমি নিজের ইচ্ছায় করি নি, সেটা তোমরা এতেই জানতে পারবে।
মোশি তখন বললেন, “এবার তোমরা অবগত হবে যে সদাপ্রভু এই সমস্ত কাজ করবার জন্য আমাকেই প্রেরণ করেছেন এবং কোনোটিই আমার কল্পনাপ্রসূত নয়।
29 ২৯ সাধারণ লোকেদের মারা যাবার মত যদি এই মানুষরা মারা যায়, কিংবা সাধারণ লোকেদের শাস্তির মত যদি এদের শাস্তি হয়, তবে সদাপ্রভু আমাকে পাঠান নি।
যদি এই ব্যক্তিরা স্বাভাবিক মৃত্যুবরণ করে ও মানুষমাত্রের প্রতি যা ঘটে থাকে, তাই ভোগ করে, তাহলে সদাপ্রভু আমাকে পাঠাননি।
30 ৩০ কিন্তু সদাপ্রভু যদি খারাপ কিছু ঘটান এবং ভূমিতার মুখ খুলে এদেরকে ও এদের সবকিছু গিলে ফেলে, আর এরা জীবন্ত অবস্থায় পাতালে নামে, তবে এরা যে সদাপ্রভুকে অবজ্ঞা করেছে, তা তোমরা জানতে পারবে। (Sheol )
কিন্তু সদাপ্রভু যদি সম্পূর্ণ নতুন কিছু করেন, ভূমি মুখ বিদীর্ণ করে সমস্ত দ্রব্য সমেত তাদের গ্রাস করে এবং যদি তারা জীবিত অবস্থায় সমাধিপ্রাপ্ত হয়, তাহলে তোমরা অবগত হবে যে এই ব্যক্তিরা সদাপ্রভুর অবমাননা করেছে।” (Sheol )
31 ৩১ খুব তাড়াতাড়ি মোশি তাঁর সমস্ত কথা শেষ করলেন, তাদের নিচের ভূমি খুলে গেল।
যে মুহূর্তে তিনি এই সমস্ত কথা সমাপ্ত করলেন, তাদের নিম্নস্থ ভূমি বিদীর্ণ হল,
32 ৩২ পৃথিবী তার মুখ খুলে তাদেরকে, তাদের আত্মীয়দেরকে ও কোরহের পক্ষের সমস্ত লোককে এবং তাদের সমস্ত সম্পত্তি গিলে ফেলল।
ভূমি তার মুখ বিদীর্ণ করে কোরহ, তার সব অনুগামী ও তার আত্মীয়স্বজনদের, সমস্ত বিষয়সম্পত্তি গ্রাস করল।
33 ৩৩ তাতে তারা ও তাদের সমস্ত আত্মীয় জীবন্ত অবস্থায় পাতালে নেমে গেল এবং পৃথিবী তাদের উপরে চেপে পড়ল এবং এই ভাবে তারা সমাজের মধ্যে থেকে লুপ্ত হল। (Sheol )
তাদের অধিকারভুক্ত সমস্ত দ্রব্যসহ তারা জীবিত অবস্থায় সমাধিপ্রাপ্ত হল। ভূমি তাদের অবরুদ্ধ করল। তারা বিনাশপ্রাপ্ত হয়ে সমাজ থেকে অবলুপ্ত হল। (Sheol )
34 ৩৪ তাদের চিত্কারে চারদিকের সমস্ত ইস্রায়েল পালিয়ে গেল, কারণ তারা বলল, “না হলে পৃথিবী আমাদেরকে গিলে ফেলে।”
তাদের আর্তস্বর শুনে, চতুর্দিকের ইস্রায়েলীরা পলায়ন করল। তারা চিৎকার করে বলে উঠল, “ভূমি আমাদেরও গ্রাস করবে!”
35 ৩৫ তখন সদাপ্রভুর থেকে আগুন বেরিয়ে যারা ধূপ নিবেদন করেছিল, সেই দুশো পঞ্চাশ জন লোককে গিলে ফেলল।
সদাপ্রভুর কাছ থেকে আগুন নির্গত হয়ে, যারা ধূপ নিবেদন করেছিল, সেই 250 জন ব্যক্তিকেও পুড়িয়ে দিল।
36 ৩৬ সদাপ্রভু মোশিকে বললেন,
সদাপ্রভু মোশিকে বললেন,
37 ৩৭ “তুমি হারোণ যাজকের ছেলে ইলীয়াসরকে বল, সেই পোড়ানো স্থান থেকে ঐ সমস্ত ধুনুচি উঠিয়ে নিক এবং তার আগুন দূরে ঝেড়ে ফেলুক, কারণ সেই সব ধুনুচি পবিত্র।
“যাজক হারোণের ছেলে ইলীয়াসরকে বলো, সব অঙ্গারধানী নিয়ে, তাদের অবশিষ্ট অঙ্গার, দূরে কোথাও ফেলে দিতে, কারণ ওইসব অঙ্গারধানী পবিত্র।
38 ৩৮ ঐ যে পাপীরা নিজেদের প্রাণের বিরুদ্ধে পাপ করেছিল, তাদের ধুনুচিগুলি পিটিয়ে যজ্ঞবেদির ঢাকা দেবার পাত তৈরী করা হোক, কারণ তারা সদাপ্রভুর সামনে সে সমস্ত নিবেদন করেছিল, সুতরাং সেই সমস্ত পবিত্র। আর সেই সব ইস্রায়েল সন্তানদের পক্ষে চিহ্ন হবে।”
সেই লোকদের অঙ্গারধানী যারা নিজেদের জীবনের প্রতিকূলে পাপ করেছিল। অঙ্গারধানীগুলি হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে বেদির আচ্ছাদনের জন্য পাত প্রস্তুত করো, কারণ সেসব সদাপ্রভুর উদ্দেশে নিবেদিত হয়েছিল, তাই পবিত্র। সেগুলি ইস্রায়েলীদের জন্য নিদর্শনস্বরূপ হোক।”
39 ৩৯ তাতে যারা পুড়ে মারা গেল, তারা পিতলের যে যে ধুনুচি নিবেদন করেছিল, ইলীয়াসর যাজক সে সব গ্রহণ করলেন এবং তা পিটিয়ে যজ্ঞবেদির ঢাকা দেবার জন্য পাত প্রস্তুত করা হল;
অতএব যাজক ইলীয়াসর, যারা পুড়ে মরেছিল, তাদের আনা পিতলের সেইসব অঙ্গারধানী নিলেন এবং সেগুলি পিটিয়ে বেদির আচ্ছাদনের জন্য পাত প্রস্তুত করলেন,
40 ৪০ ওটা ইস্রায়েল সন্তানদের স্মরণের জন্য হল, যেন হারোণ বংশ ছাড়া অন্য গোষ্ঠীর কোন মানুষ সদাপ্রভুর সামনে ধূপ উৎসর্গ করতে কাছে না যায় এবং কোরহের ও তার দলের মত না হয়; সদাপ্রভু মোশির মাধ্যমে তাকে এইরকম আদেশ দিয়েছিলেন।
যে রকম সদাপ্রভু, মোশির মাধ্যমে, তাঁকে নির্দেশ দিয়েছিলেন। এই নিদর্শন ছিল ইস্রায়েলীদের স্মরণার্থক, যেন হারোণের উত্তরসূরি ব্যতীত অন্য কেউ সদাপ্রভুর উদ্দেশে ধূপদাহ না করে; তা না হলে, তার পরিণতি কোরহ ও তার অনুগামীদের মতোই হবে।
41 ৪১ কিন্তু তারপরের দিনের ইস্রায়েল সন্তানদের সমস্ত মণ্ডলী মোশির ও হারোণের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলল, “তোমরাই সদাপ্রভুর প্রজাদেরকে হত্যা করলে।”
পরদিন, সমস্ত ইস্রায়েলী সমাজ, মোশি ও হারোণের বিপক্ষে বচসা করল। তারা বলল, “আপনারাই সদাপ্রভুর প্রজাদের হত্যা করলেন।”
42 ৪২ তখন এটা হল, মণ্ডলী মোশির হারোণের বিরুদ্ধে জড়ো হলে তারা সমাগম তাঁবুর দিকে মুখ ফেরাল, আর তারা দেখল, মেঘ সমাগম তাঁবু ঢেকে দিয়েছে এবং সদাপ্রভুর মহিমা প্রকাশিত হয়েছে।
যখন সেই সমাজ মোশি ও হারোণের বিপক্ষে একত্র হল এবং সমাগম তাঁবুর অভিমুখে ফিরল, হঠাৎ মেঘ তা আবৃত করল এবং সদাপ্রভুর মহিমা প্রত্যক্ষ হল।
43 ৪৩ তখন মোশি ও হারোণ সমাগম তাঁবুর সামনে উপস্থিত হলেন।
তখন মোশি ও হারোণ, সমাগম তাঁবুর সামনে গেলেন
44 ৪৪ সদাপ্রভু মোশিকে বললেন,
এবং সদাপ্রভু মোশিকে বললেন,
45 ৪৫ “তোমরা এই মণ্ডলীর মধ্যে থেকে উঠে যাও, আমি এক্ষুনি এদেরকে হত্যা করব।” তখন মোশি ও হারোণ উপুড় হয়ে পড়লেন।
“এই সমাজ থেকে পৃথক হও যেন আমি এক নিমেষেই এদের বিলুপ্ত করি।” তাঁরা ভূমিতে উপুড় হয়ে পড়লেন।
46 ৪৬ মোশি হারোণকে বললেন, “তোমার ধুনুচি নাও ও যজ্ঞবেদির উপর থেকে আগুন নিয়ে তার মধ্যে দাও এবং তাতে ধূপ দিয়ে তাড়াতাড়ি মণ্ডলীর কাছে গিয়ে তাদের জন্য প্রায়শ্চিত্ত কর; কারণ সদাপ্রভুর সামনে থেকে রোষ নির্গত হল, মহামারী আরম্ভ হল।”
মোশি তারপর হারোণকে বললেন, “তোমার অঙ্গারধানী নাও, বেদি থেকে অঙ্গার নিয়ে তার মধ্যে আগুন ও ধূপ দাও এবং তাড়াতাড়ি সমাজের মধ্যে গিয়ে তাদের জন্য প্রায়শ্চিত্ত করো। সদাপ্রভুর রোষ নির্গত হয়েছে; মহামারি শুরু হয়ে গিয়েছে।”
47 ৪৭ সুতরাং মোশি যেমন বললেন, তেমনি হারোণ ধুনুচি নিয়ে সমাজের মধ্যে দৌড়ে গেলেন; আর দেখ, লোকেদের মধ্যে মহামারী আরম্ভ হয়েছিল, কিন্তু তিনি ধূপ দিয়ে লোকেদের জন্য প্রায়শ্চিত্ত করলেন।
মোশি যে রকম বললেন, হারোণ ঠিক তাই করলেন, তিনি সমাজের মধ্যে দৌড়ে গেলেন। ততক্ষণে জনতার মধ্যে মহামারি ছড়িয়ে পড়েছিল, কিন্তু হারোণ ধূপ দিয়ে তাদের জন্য প্রায়শ্চিত্ত করলেন।
48 ৪৮ তিনি মৃত ও জীবিত লোকেদের মধ্যে দাঁড়ালেন; তাতে মহামারী থেমে গেল।
তিনি জীবিত ও মৃত, এই উভয় দলের মধ্যে দণ্ডায়মান হলেন এবং মহামারি নিবৃত্ত হল।
49 ৪৯ যারা কোরহের ব্যাপারে মারা গেছে, তারা ছাড়া আর চৌদ্দ হাজার সাতশো লোক ঐ মহামারীতে মারা গেল।
কোরহের জন্য যারা নিহত হয়েছিল, তাদের অতিরিক্ত, ওই মহামারিতে নিহতের সংখ্যা 14,700।
50 ৫০ হারোণ সমাগম তাঁবুর প্রবেশপথে মোশির কাছে ফিরে আসলেন। এই ভাবে মহামারী শেষ হল।
পরে হারোণ সমাগম তাঁবুর প্রবেশপথে, মোশির কাছে ফিরে গেলেন, কারণ মহামারি নিবৃত্ত হয়েছিল।