< গণনার বই 11 >

1 এখন (ইস্রায়েলী) লোকেরা অভিযোগকারীদের মত সদাপ্রভুর কানের কাছে খারাপ কথা বলতে লাগল; আর সদাপ্রভু তা শুনলেন ও প্রচণ্ড রেগে গেলেন; তাতে তাদের মধ্যে সদাপ্রভুর আগুন জ্বলে উঠে শিবিরের শেষের অংশ গিলে ফেলতে লাগল।
এরপর জনগণ সদাপ্রভুর কর্ণগোচরে তাদের ক্লেশের জন্য অভিযোগ করল এবং তিনি যখন তা শুনলেন তখন তিনি রুষ্ট হলেন। তখন সদাপ্রভুর কাছ থেকে আগুন বের হয়ে ছাউনির প্রান্তসীমার কিছু অংশ পুড়িয়ে দিল।
2 তখন লোকেরা মোশির কাছে কাঁদতে লাগলেন; তাতে মোশি সদাপ্রভুর কাছে প্রার্থনা করলে সেই আগুন থেমে গেল।
যখন সেই লোকেরা মোশির কাছে কাঁদল, তিনি সদাপ্রভুর কাছে বিনতি করলেন এবং আগুন নিবে গেল।
3 তখন তিনি ঐ স্থানের নাম তবেরা [জ্বলন] রাখলেন, কারণ সদাপ্রভুর আগুন তাদের মধ্যে জ্বলেছিল।
এজন্য সেই স্থানের নাম তবেরা রাখা হল, কারণ সদাপ্রভুর কাছ থেকে আগুন বেরিয়ে এসে তাদের পুড়িয়ে দিয়েছিল।
4 তাদের মধ্যে থাকা কিছু বিদেশী লোকেরা ইস্রায়েলের সন্তানদের সাথে শিবির করলো। তারা ভালো খাবার খেতে চাইল। তখন ইস্রায়েল সন্তানরা আবার অভিযোগ করে কাঁদতে লাগলো এবং বলল, “কে আমাদেরকে খাওয়ার জন্য মাংস দেবে?
তাদের মধ্যে বসবাসকারী উচ্ছৃঙ্খল লোকেরা, বিকল্প খাবারের জন্য অনুনয় করল এবং ইস্রায়েলীরা পুনরায় বিলাপ করে বলতে লাগল, “আমাদের খাবারের জন্য যদি একটু মাংস পেতাম!
5 আমরা মিশর দেশে বিনা পয়সায় যে যে মাছ খেতাম, সেগুলো এবং শশা, খরমুজ, পেঁয়াজ জাতীয় সব্জি, পেঁয়াজ ও রসুনের কথা মনে পড়ছে।
স্মরণে আসছে, মিশরে আমরা বিনামূল্যে মাছ খেতাম, সেই সঙ্গে শসা, তরমুজ, সবজি, পিঁয়াজ, রসুনও খেতাম।
6 এখন আমরা দুর্বল; আমাদের কাছে এই মান্না ছাড়া আর কিছু নেই।”
কিন্তু এখন আমাদের ক্ষুধার অবলুপ্তি ঘটেছে; এই মান্না ছাড়া অন্য কিছু দেখা যায় না।”
7 ঐ মান্না ধনিয়া বীজের মত ও সেটা দেখতে ধুনার মত ছিল।
মান্না, ধনে বীজের মতো আকৃতি এবং দেখতে কিশমিশের মতো ছিল।
8 লোকেরা ঘুরে ঘুরে করে তা কুড়িয়ে জড়ো করত এবং যাঁতায় পিষে কিংবা হামালদিস্তায় ভেঙে পানপাত্রে সিদ্ধ করত ও সেটা দিয়ে পিঠে তৈরী করত। এটার স্বাদ ছিল অলিভ তেলের মত।
লোকেরা চতুর্দিকে ভ্রমণ করে তা সংগ্রহ করত, তারপর যাঁতায় পেষণ অথবা হামানদিস্তায় চূর্ণ করত। তারা কোনো পাত্রে সেই মান্না রান্না করত, নতুবা তা দিয়ে পিঠে তৈরি করত। জলপাই তেলে প্রস্তুত কোনো পদের মতোই তার স্বাদ ছিল।
9 রাত্রিতে শিবিরের উপরে শিশির পড়লে ঐ মান্না তার উপরে পড়ে থাকত।
রাত্রিবেলা, ছাউনিতে শিশিরের সঙ্গে মান্না পড়ত।
10 ১০ মোশি লোকেদের কান্না শুনলেন, তারা সমস্ত গোষ্ঠীর মধ্যে নিজেদের তাঁবুর প্রবেশপথে কাঁদছিল। সদাপ্রভুর খুব রেগে গেলেন এবং মোশির কাছেও তাদের অভিযোগ ভুল ছিল।
মোশি প্রত্যেক পরিবারের বিলাপ শুনতে পেলেন। তারা প্রত্যেকে নিজেদের তাঁবুর প্রবেশ মুখে ছিল। সদাপ্রভু ভয়ংকর রুষ্ট হওয়াতে, মোশি উদ্বিগ্ন হলেন।
11 ১১ মোশি সদাপ্রভুকে বললেন, “তুমি কি জন্য তোমার দাসকে এত কষ্ট দিয়েছ? কি জন্যই বা আমি তোমার কাছে অনুগ্রহ পাই নি যে, তুমি এইসব লোকের ভার আমার উপরে দিচ্ছ?
তিনি সদাপ্রভুকে জিজ্ঞাসা করলেন, “তোমার দাসকে এই সমস্যার সম্মুখীন কেন করেছ? আমি কোন কাজ করতে তোমাকে অসন্তুষ্ট করেছি যে তুমি এই সমস্ত লোকের ভার আমার উপর চাপিয়ে দিলে?
12 ১২ আমি কি এই সমস্ত লোককে গর্ভে ধারণ করেছি? আমি কি এদেরকে জন্ম দিয়েছি? সেই জন্য তুমি এদের পূর্বপুরুষদের কাছে যে দেশের বিষয়ে শপথ করেছিলে, সেই দেশ পর্যন্ত আমাকে কি ‘দুধ পান করা শিশু বহনকারী বাবার মত এদেরকে বুকে করে বহন করতে বলছ?’
এদের সবাইকে কি আমি গর্ভে ধারণ করেছিলাম? আমি কি তাদের জন্ম দিয়েছি? ধাত্রী যেমন শিশুসন্তান বহন করে, সেভাবে, কেন তুমি আমাকে বলেছিলে, তাদের বহন করে, পূর্বপুরুষদের কাছে করা শপথ অনুসারে প্রতিজ্ঞাত দেশে নিয়ে যেতে?
13 ১৩ এই সমস্ত লোককে দেবার জন্য আমি কোথায় মাংস পাব? এরা তো আমার কাছে কেঁদে কেঁদে বলছে, ‘আমাদেরকে মাংস দাও, আমরা খাব’।
এই সমস্ত লোকের জন্য আমি এখন কোথায় মাংস পাব? তারা আমার কাছে কেঁদে বলছে, ‘আমাদের খাবারের জন্য মাংস দাও!’
14 ১৪ এতো লোকের ভার একা সহ্য করা আমার অসম্ভব; কারণ সেটা আমার জন্য অতিরিক্ত।
আমি এককভাবে, এই সমস্ত লোকের দায়িত্ব বহন করতে পারব না। তা আমার শক্তির অতিরিক্ত।
15 ১৫ তুমি যদি আমার প্রতি এরকম ব্যবহার কর, তবে অনুরোধ করি, আমি তোমার কাছে যদি অনুগ্রহ পেয়ে থাকি, তবে আমাকে মেরে ফেল এবং আমার দুর্দশা সরিয়ে নাও।”
আমার সঙ্গে অনুরূপ ব্যবহার যদি তোমার অভিপ্রেত হয়, তাহলে এই মুহূর্তেই আমাকে বধ করো, যদি তোমার দৃষ্টিতে কৃপা লাভ করে থাকি, আমাকে ধ্বংসের সম্মুখীন হতে দিয়ো না।”
16 ১৬ তখন সদাপ্রভু মোশিকে বললেন, “তুমি যাদেরকে লোকেদের প্রাচীন ও শাসনকর্ত্তা বলে জান, ইস্রায়েলের এমন সত্তর জন প্রাচীন লোককে আমার কাছে নিয়ে এস; তাদেরকে সমাগম তাঁবুর কাছে আন; তারা তোমার সঙ্গে সেখানে দাঁড়াবে।
সদাপ্রভু মোশিকে বললেন, “আমার কাছে ইস্রায়েলের সত্তরজন প্রবীণ ব্যক্তিকে, যারা জনসমাজের নেতা ও কর্মকর্তারূপে তোমার কাছে পরিচিত, তাদের নিয়ে এসো। তারা সমাগম তাঁবুতে সমাগত হোক, যেন তারা সেই জায়গায় তোমার সঙ্গে দাঁড়ায়।
17 ১৭ পরে আমি সেখানে নেমে তোমার সঙ্গে কথা বলব এবং তোমার উপরে যে আত্মা অধিষ্ঠান করেন, তার কিছুটা অংশ নিয়ে তাদের উপরে দেব, তাতে তুমি যেন একা লোকদের ভার বহন না কর, এই জন্য তারাও তোমার সঙ্গে লোকদের ভার বহন করবে।
আমি নেমে এসে তোমার সঙ্গে আলাপ করব এবং তোমার উপরে যে আত্মা বিদ্যমান, সেই আত্মা আমি তাদের উপরেও অধিষ্ঠান করাব। তারা তোমার সঙ্গে জনসমাজের দায়িত্ব বহন করবে, যেন তোমাকে এককভাবে সমস্ত ভারবহন করতে না হয়।
18 ১৮ আর তুমি লোকদেরকে বল, ‘তোমরা কালকের জন্য নিজেদের পবিত্র কর,’ মাংস খেতে পাবে; কারণ তোমরা সদাপ্রভুর কাছে কেঁদে বলেছ, ‘আমাদেরকে মাংস খেতে কে দেবে? বরং মিশর দেশই আমাদের ভালো ছিল’।” অতএব সদাপ্রভু তোমাদেরকে মাংস দেবেন, তোমরা খাবে।
“লোকদের বলো, ‘আগামীকালের জন্য প্রস্তুত হও, নিজেদের পবিত্র করো, যখন তোমরা মাংস ভোজন করতে পারবে। তোমরা যখন বিলাপ করে বলেছিলে, “যদি আহার করার জন্য মাংস পেতাম! মিশরেই আমরা অপেক্ষাকৃত ভালো ছিলাম!” সেই কথা সদাপ্রভু শুনেছিলেন। এইবার, সদাপ্রভু তোমাদের মাংস জোগাবেন, তোমরা তা ভোজন করবে।
19 ১৯ একদিন কি দুদিন কি পাঁচদিন কি দশদিন কি কুড়িদিন তা খাবে,
মাত্র একদিন, দু-দিন, পাঁচ, দশ কি কুড়ি দিনের জন্য তোমরা ভোজন করবে, তা নয়;
20 ২০ এমন নয়; সম্পূর্ণ এক মাস পর্যন্ত, যতদিন তা তোমাদের নাক থেকে বের না হয় ও তোমরা সেটা ঘৃণা না কর, ততদিন খাবে; কারণ তোমরা তোমাদের মধ্যে থাকা সদাপ্রভুকে অগ্রাহ্য করেছ এবং তাঁর কাছে কেঁদে কেঁদে এই কথা বলেছ, আমরা কেন মিশর থেকে বেরিয়ে এসেছি?
সম্পূর্ণ এক মাস অবধি, যতক্ষণ না মাংস তোমাদের নাক থেকে বহির্গত হয় ও তোমাদের বিরাগ জন্মে, কারণ যিনি তোমাদের মধ্যে অবস্থানকারী, তোমরা সেই সদাপ্রভুকে প্রত্যাখ্যান করেছ, বলেছ, “কেন আমরা সম্পূর্ণরূপে মিশর পরিত্যাগ করে এলাম?”’”
21 ২১ তখন মোশি বললেন, “আমি যে লোকেদের মধ্যে আছি, তারা ছয় লক্ষ জন; আর তুমি বলছ, ‘আমি সম্পূর্ণ একমাস তাদেরকে খাবার মাংস দেব’।
কিন্তু মোশি বললেন, “এখানে আমি ছয় লক্ষ পদাতিকের মধ্যে অবস্থান করছি এবং তুমি বলছ, ‘আমি তাদের এক মাস পর্যন্ত মাংস ভোজন করতে দেব!’
22 ২২ তাদের সন্তুষ্ট করার জন্য কি ভেড়ার পাল ও গরুর পাল মারতে হবে? না তাদের সন্তুষ্ট করার জন্য সমুদ্রের সমস্ত মাছ ধরতে হবে?”
যদি পাল পাল গবাদি পশু ও মেষ হনন করা হয়, তা হলেও তাদের জন্য পরিমাণে কি তা পর্যাপ্ত হবে? যদি সমুদ্রের সমস্ত মাছ ধরা হয়, তাও কি তাদের জন্য যথেষ্ট হবে?”
23 ২৩ সদাপ্রভু মোশিকে বললেন, “আমার হাত কি ছোট? আমার বাক্য সত্যি হয় কি না, তা তুমি এখন দেখবে।”
সদাপ্রভু মোশিকে উত্তর দিলেন, “সদাপ্রভুর হাত কি নিতান্তই সংকুচিত হয়েছে? তুমি এবার দেখবে, আমি যা বলি, তা তোমাদের জন্য বাস্তব হয় কি না!”
24 ২৪ মোশি বাইরে গিয়ে সদাপ্রভুর বাক্য লোকেদেরকে বললেন এবং লোকেদের প্রাচীনদের মধ্যে থেকে সত্তর জনকে জড়ো করে তাঁবুর চারপাশে উপস্থিত করলেন।
অতএব মোশি বাইরে গিয়ে সদাপ্রভু যে সমস্ত কথা বলেছিলেন, তা লোকদেরকে বললেন। তাদের সত্তরজন প্রবীণকে একত্র করে, সেই শিবিরের চতুর্দিকে দাঁড় করালেন।
25 ২৫ সদাপ্রভু মেঘে নেমে এসে তাঁর সঙ্গে কথা বললেন এবং যে আত্মা তাঁর উপরে ছিলেন, তাঁর কিছুটা অংশ নিয়ে সেই সত্তর জন প্রাচীনের উপরে দিলেন; তাতে আত্মা তাঁদের উপরে অধিষ্ঠান করলে তাঁরা ভাববাণী প্রচার করলেন, কিন্তু সেই দিন ছাড়া পরে আর করলেন না।
তখন সদাপ্রভু মেঘের মধ্যে অবতীর্ণ হলেন এবং তাঁর সঙ্গে কথা বললেন; তিনি ঈশ্বরের সেই আত্মা সত্তরজন প্রবীণের উপর অধিষ্ঠান করালেন, যে আত্মা মোশির উপর ছিলেন। যখন আত্মা তাঁদের উপর অধিষ্ঠান করলেন, তাঁরা ভাববাণী বলতে লাগলেন, অবশ্য পরে তাঁরা আর তা করেননি।
26 ২৬ কিন্তু শিবিরের মধ্যে দুইটি লোক বাকি ছিলেন, এক জনের নাম ইলদদ, আর এক জনের নাম মেদদ। আত্মা তাদের উপরে এলেন। তাঁদের নাম ঐ লেখা লোকেদের মধ্যে ছিল, কিন্তু বাইরে তাঁবুর কাছে যান নি। তবুও তাঁরা শিবিরের মধ্যে ভাববাণী প্রচার করতে লাগলেন।
কিন্তু, ইল্‌দদ ও মেদদ নামক দুজন ব্যক্তি ছাউনিতেই থেকে গিয়েছিলেন। তাঁরাও প্রবীণদের মধ্যে গণিত হয়েছিলেন, যদিও বের হয়ে সেই শিবিরের কাছে যাননি। তা সত্ত্বেও আত্মা তাঁদের উপরে অধিষ্ঠিত হলেন এবং তাঁরা ছাউনির মধ্যেই ভাববাণী বলা শুরু করলেন।
27 ২৭ তাতে এক যুবক দৌড়ে গিয়ে মোশিকে বলল, “ইলদদ ও মেদদ শিবিরে ভাববাণী প্রচার করছে।”
একজন যুবক দৌড়ে গিয়ে মোশিকে বলল, “ইল্‌দদ ও মেদদ, ছাউনির মধ্যেই ভাববাণী বলছেন।”
28 ২৮ তখন নূনের ছেলে যিহোশূয়, মোশির পরিচারক, যিনি তাঁর একজন মনোনীত লোক, তিনি বললেন, “হে আমার প্রভু মোশি, তাদেরকে বারণ করুন।”
নূনের ছেলে যিহোশূয়, যিনি যৌবনকাল থেকে মোশির পরিচারক ছিলেন, তিনি বললেন, “আমার প্রভু, মোশি, ওদের বারণ করুন!”
29 ২৯ মোশি তাদেরকে বললেন, “তুমি কি আমার ওপর ঈর্ষা করছ? সদাপ্রভুর যাবতীয় প্রজা ভাববাদী হোক ও সদাপ্রভু তাদের উপরে তাঁর আত্মা দিন।”
কিন্তু মোশি উত্তরে বললেন, “আমার জন্য তুমি কি ঈর্ষান্বিত হয়েছ? আমার বাসনা, সদাপ্রভুর প্রত্যেকজন ব্যক্তি ভাববাদী হোন এবং তিনি তাদের সকলের উপর আত্মাকে অধিষ্ঠিত করুন।”
30 ৩০ পরে মোশি ও ইস্রায়েলের প্রাচীনেরা শিবিরে ফিরে গেলেন।
তারপর মোশি ও ইস্রায়েলের প্রবীণেরা ছাউনিতে ফিরে গেলেন।
31 ৩১ তখন সদাপ্রভুর কাছ থেকে বায়ু এসে সমুদ্র থেকে ভারুই পাখি এনে শিবিরের উপরে ফেলল; শিবিরের চারিদিকে একপাশে এক দিনের র পথ, ওপাশে এক দিনের র পথ পর্যন্ত ফেলল, সেগুলি ভূমির উপরে দুহাত উঁচু হয়ে রইল।
তখন সদাপ্রভুর কাছ থেকে এক ঝড় বের হয়ে সমুদ্র থেকে ভারুই পাখিদের তুলে নিয়ে এল। সেই ঝড়, ছাউনির চতুর্দিকে তাদের উড়িয়ে নিয়ে এল। তারা ভূমি থেকে তিন ফুট উঁচুতে অবস্থান করল এবং যে কোনো দিশায়, একদিনের চলার পথ পর্যন্ত বিস্তৃত হয়ে রইল।
32 ৩২ আর লোকেরা সেই সমস্ত দিন রাত ও পরের দিন সমস্ত দিন উঠে ভারুই পাখি সংগ্রহ করল; তাদের মধ্যে কেউ দশ হোমরের কম জড়ো করল না; পরে নিজেদের জন্য শিবিরের চারিদিকে তা ছড়িয়ে রাখল।
সেদিন, সম্পূর্ণ দিন ও রাত এবং তার পরেরও সম্পূর্ণ দিন সবাই ভারুই পাখি সংগ্রহ করল। কোনো ব্যক্তিই দশ হোমারের কম সংগ্রহ করল না। তারা সেই সমস্ত পাখি ছাউনির চতুর্দিকে ছড়িয়ে রাখল।
33 ৩৩ যখন মাংস তাদের দাঁতের মধ্যে ছিল, যখন তারা এটা চিবাচ্ছিল, সদাপ্রভু তাদের উপর খুব রেগে গেলেন। তিনি লোকেদেরকে ভারী মহামারী দিয়ে আঘাত করলেন।
মাংস তাদের দাঁতে থাকতে থাকতেই এবং সব সমাপ্ত হবার আগেই লোকেদের বিপক্ষে সদাপ্রভুর রোষ বহ্নিমান হল। তিনি ভয়ংকর এক মহামারি দ্বারা তাদের আঘাত করলেন।
34 ৩৪ আর সেই স্থান কিব্রোৎ-হত্তাবা [লোভের কবর] নামে পরিচিত হল, কারণ সেই স্থানে তারা লোভীদেরকে কবর দিল।
অতএব সেই স্থানের নাম রাখা হল কিব্রোৎ-হত্তাবা, কারণ যারা ভিন্নতর খাবারের জন্য লোভাতুর হয়েছিল, তাদের সেখানেই তারা সমাধি দিল।
35 ৩৫ কিব্রোৎ-হত্তাবা থেকে লোকেরা হৎসেরোতে যাত্রা করল এবং তারা হৎসেরোতে থাকলো।
কিব্রোৎ-হত্তাবা থেকে সেই জনতা, হৎসেরোতে যাত্রা করল এবং সেই জায়গায় অবস্থান করল।

< গণনার বই 11 >