< মথি 8 >
1 ১ তিনি পাহাড় থেকে নামলে প্রচুর লোক তাঁকে অনুসরণ করল।
Καταβάντι δὲ αὐτῷ ἀπὸ τοῦ ὄρους, ἠκολούθησαν αὐτῷ ὄχλοι πολλοί·
2 ২ আর দেখো, একজন কুষ্ঠরোগী কাছে এসে তাঁকে প্রণাম করে বলল, হে প্রভু, যদি আপনার ইচ্ছা হয়, আমাকে শুদ্ধ করতে পারেন।
καὶ ἰδού, λεπρὸς ἐλθὼν προσεκύνει αὐτῷ, λέγων, Κύριε, ἐὰν θέλῃς, δύνασαί με καθαρίσαι.
3 ৩ তখন তিনি হাত বাড়িয়ে তাকে স্পর্শ করলেন, তিনি বললেন, “আমার ইচ্ছা, তুমি শুদ্ধ হয়ে যাও,” আর তখনই সে কুষ্ঠরোগ থেকে ভালো হয়ে গেল।
Καὶ ἐκτείνας τὴν χεῖρα, ἥψατο αὐτοῦ ὁ Ἰησοῦς, λέγων, Θέλω, καθαρίσθητι. Καὶ εὐθέως ἐκαθαρίσθη αὐτοῦ ἡ λέπρα.
4 ৪ পরে যীশু তাকে বললেন, “দেখ, এই কথা কাউকেও কিছু বলো না; কিন্তু যাজকের কাছে গিয়ে নিজেকে দেখাও এবং লোকদের কাছে তোমার বিশুদ্ধ হওয়ার জন্য মোশির দেওয়া আদেশ অনুযায়ী নৈবেদ্য উৎসর্গ কর, তাদের কাছে সাক্ষ্য হওয়ার জন্য যে তুমি সুস্থ হয়েছ।”
Καὶ λέγει αὐτῷ ὁ Ἰησοῦς, Ὅρα μηδενὶ εἴπῃς· ἀλλὰ ὕπαγε, σεαυτὸν δεῖξον τῷ ἱερεῖ, καὶ προσένεγκε τὸ δῶρον ὃ προσέταξε Μωσῆς, εἰς μαρτύριον αὐτοῖς.
5 ৫ আর তিনি কফরনাহূমে প্রবেশ করলে একজন শতপতি তাঁর কাছে এসে বিনতি করে বললেন,
Εἰσελθόντι δὲ αὐτῷ εἰς Καπερναούμ, προσῆλθεν αὐτῷ ἑκατόνταρχος παρακαλῶν αὐτόν,
6 ৬ হে প্রভু, আমার দাস ঘরে পক্ষাঘাতে পড়ে আছে, ভীষণ যন্ত্রণা পাচ্ছে।
καὶ λέγων, Κύριε, ὁ παῖς μου βέβληται ἐν τῇ οἰκίᾳ παραλυτικός, δεινῶς βασανιζόμενος.
7 ৭ যীশু তাকে বললেন, আমি গিয়ে তাকে সুস্থ করব।
Καὶ λέγει αὐτῷ ὁ Ἰησοῦς, Ἐγὼ ἐλθὼν θεραπεύσω αὐτόν.
8 ৮ শতপতি উত্তর করলেন, হে প্রভু, আমি এমন যোগ্য নই যে, আপনি আমার ছাদের নীচে আসেন; কেবল কথায় বলুন, তাতেই আমার দাস সুস্থ হবে।
Καὶ ἀποκριθεὶς ὁ ἑκατόνταρχος ἔφη, Κύριε, οὐκ εἰμὶ ἱκανὸς ἵνα μου ὑπὸ τὴν στέγην εἰσέλθῃς· ἀλλὰ μόνον εἰπὲ λόγῳ, καὶ ἰαθήσεται ὁ παῖς μου.
9 ৯ কারণ আমি একজন মানুষ যিনি ক্ষমতা সম্পন্ন, আবার সেনারা আমার আদেশমত চলে; আমি তাদের এক জনকে যাও বললে সে যায় এবং অন্যকে এস বললে সে আসে, আর আমার দাসকে এই কাজ কর বললে সে তা করে।
Καὶ γὰρ ἐγὼ ἄνθρωπός εἰμι ὑπὸ ἐξουσίαν, ἔχων ὑπ᾽ ἐμαυτὸν στρατιώτας· καὶ λέγω τούτῳ, Πορεύθητι, καὶ πορεύεται· καὶ ἄλλῳ, Ἔρχου, καὶ ἔρχεται· καὶ τῷ δούλῳ μου, Ποίησον τοῦτο, καὶ ποιεῖ.
10 ১০ এই কথা শুনে যীশু অবাক হলেন এবং যারা পিছন পিছন আসছিল, তাদের বললেন, আমি তোমাদের সত্যিই বলছি, ইস্রায়েলের মধ্যে এত বড় বিশ্বাস কখনো দেখতে পাইনি।
Ἀκούσας δὲ ὁ Ἰησοῦς ἐθαύμασε, καὶ εἶπε τοῖς ἀκολουθοῦσιν, Ἀμὴν λέγω ὑμῖν, οὐδὲ ἐν τῷ Ἰσραὴλ τοσαύτην πίστιν εὗρον.
11 ১১ আর আমি তোমাদের বলছি, অনেকে পূর্ব ও পশ্চিম দিক থেকে আসবে এবং অব্রাহাম, ইসহাক, যাকোবের সাথে স্বর্গরাজ্যে একসঙ্গে মেজ এর সামনে আরাম করবে;
Λέγω δὲ ὑμῖν ὅτι πολλοὶ ἀπὸ ἀνατολῶν καὶ δυσμῶν ἥξουσι, καὶ ἀνακλιθήσονται μετὰ Ἀβραὰμ καὶ Ἰσαὰκ καὶ Ἰακὼβ ἐν τῇ βασιλείᾳ τῶν οὐρανῶν·
12 ১২ কিন্তু রাজ্যের সন্তানদের বাইরের অন্ধকারে ফেলে দেওয়া যাবে; সেই জায়গায় কান্নাকাটি করবে ও দাঁতে দাঁতে ঘষবে।
οἱ δὲ υἱοὶ τῆς βασιλείας ἐκβληθήσονται εἰς τὸ σκότος τὸ ἐξώτερον· ἐκεῖ ἔσται ὁ κλαυθμὸς καὶ ὁ βρυγμὸς τῶν ὀδόντων.
13 ১৩ পরে যীশু সেই শতপতিকে বললেন, চলে যাও, যেমন বিশ্বাস করলে, তেমনি তোমার প্রতি হোক। আর সেই দিনেই তার দাস সুস্থ হল।
Καὶ εἶπεν ὁ Ἰησοῦς τῷ ἑκατοντάρχῃ, Ὕπαγε, καὶ ὡς ἐπίστευσας γενηθήτω σοι. Καὶ ἰάθη ὁ παῖς αὐτοῦ ἐν τῇ ὥρᾳ ἐκείνῃ.
14 ১৪ আর যীশু পিতরের ঘরে এসে দেখলেন, তাঁর শাশুড়ী বিছানায় শুয়ে আছে কারণ তাঁর জ্বর হয়েছে।
Καὶ ἐλθὼν ὁ Ἰησοῦς εἰς τὴν οἰκίαν Πέτρου, εἶδε τὴν πενθερὰν αὐτοῦ βεβλημένην καὶ πυρέσσουσαν,
15 ১৫ পরে তিনি তাঁর হাত স্পর্শ করলেন, আর জ্বর ছেড়ে গেল; তখন তিনি উঠে যীশুর সেবা করতে লাগলেন।
καὶ ἥψατο τῆς χειρὸς αὐτῆς, καὶ ἀφῆκεν αὐτὴν ὁ πυρετός· καὶ ἠγέρθη, καὶ διηκόνει αὐτῷ.
16 ১৬ সন্ধ্যা হলে লোকেরা অনেক ভূতগ্রস্তকে তাঁর কাছে আনল, তাতে তিনি বাক্যের মাধ্যমে সেই আত্মাদেরকে ছাড়ালেন এবং সব অসুস্থ লোককে সুস্থ করলেন;
Ὀψίας δὲ γενομένης προσήνεγκαν αὐτῷ δαιμονιζομένους πολλούς· καὶ ἐξέβαλε τὰ πνεύματα λόγῳ, καὶ πάντας τοὺς κακῶς ἔχοντας ἐθεράπευσεν·
17 ১৭ যেন যিশাইয় ভাববাদীর দ্বারা বলা কথা পূর্ণ হয়, “তিনি নিজে আমাদের দুর্বলতা সব গ্রহণ করলেন ও রোগ সব বহন করলেন।”
ὅπως πληρωθῇ τὸ ῥηθὲν διὰ Ἠσαΐου τοῦ προφήτου, λέγοντος, Αὐτὸς τὰς ἀσθενείας ἡμῶν ἔλαβε, καὶ τὰς νόσους ἐβάστασεν.
18 ১৮ আর যীশু নিজের চারদিকে প্রচুর লোক দেখে হ্রদের অন্য পারে যেতে আদেশ দিলেন।
Ἰδὼν δὲ ὁ Ἰησοῦς πολλοὺς ὄχλους περὶ αὐτόν, ἐκέλευσεν ἀπελθεῖν εἰς τὸ πέραν.
19 ১৯ তখন একজন ধর্মশিক্ষক এসে তাঁকে বললেন, হে গুরু, আপনি যে কোনো জায়গায় যাবেন, আমি আপনার পিছন পিছন যাব।
Καὶ προσελθὼν εἷς γραμματεὺς εἶπεν αὐτῷ, Διδάσκαλε, ἀκολουθήσω σοι ὅπου ἐὰν ἀπέρχῃ.
20 ২০ যীশু তাঁকে বললেন, শিয়ালদের গর্ত আছে এবং আকাশের পাখিদের বাসা আছে; কিন্তু মনুষ্যপুত্রের মাথা রাখার কোন জায়গা নেই।
Καὶ λέγει αὐτῷ ὁ Ἰησοῦς, Αἱ ἀλώπεκες φωλεοὺς ἔχουσι, καὶ τὰ πετεινὰ τοῦ οὐρανοῦ κατασκηνώσεις· ὁ δὲ υἱὸς τοῦ ἀνθρώπου οὐκ ἔχει ποῦ τὴν κεφαλὴν κλίνῃ.
21 ২১ শিষ্যদের মধ্যে আর একজন তাঁকে বললেন, হে প্রভু, আগে আমার পিতাকে কবর দিয়ে আসতে অনুমতি দিন।
Ἕτερος δὲ τῶν μαθητῶν αὐτοῦ εἶπεν αὐτῷ, Κύριε, ἐπίτρεψόν μοι πρῶτον ἀπελθεῖν καὶ θάψαι τὸν πατέρα μου.
22 ২২ কিন্তু যীশু তাঁকে বললেন, আমার পিছনে এস; মৃতরাই নিজের নিজের মৃতদের কবর দিক।
Ὁ δὲ Ἰησοῦς εἶπεν αὐτῷ, Ἀκολούθει μοι, καὶ ἄφες τοὺς νεκροὺς θάψαι τοὺς ἑαυτῶν νεκρούς.
23 ২৩ আর যীশু নৌকায় উঠলে তাঁর শিষ্যরা তাঁর পিছনে গেলেন।
Καὶ ἐμβάντι αὐτῷ εἰς τὸ πλοῖον, ἠκολούθησαν αὐτῷ οἱ μαθηταὶ αὐτοῦ.
24 ২৪ আর দেখ, সমুদ্রে ভীষণ ঝড় উঠল, এমনকি, নৌকার উপর ঢেউ; কিন্তু যীশু তখন ঘুমোছিলেন।
Καὶ ἰδού, σεισμὸς μέγας ἐγένετο ἐν τῇ θαλάσσῃ, ὥστε τὸ πλοῖον καλύπτεσθαι ὑπὸ τῶν κυμάτων· αὐτὸς δὲ ἐκάθευδε.
25 ২৫ তখন শিষ্যরা তাঁর কাছে গিয়ে তাঁকে জাগিয়ে বললেন, হে প্রভু, আমাদের উদ্ধার করুন, আমরা মারা গেলাম।
Καὶ προσελθόντες οἱ μαθηταὶ ἤγειραν αὐτόν, λέγοντες, Κύριε, σῶσον ἡμᾶς, ἀπολλύμεθα.
26 ২৬ তিনি তাদের বললেন, হে অল্প বিশ্বাসীরা, কেন তোমরা এত ভয় পাচ্ছ? তখন তিনি উঠে বাতাস ও সমুদ্রকে ধমক দিলেন; তাতে থেমে গেল।
Καὶ λέγει αὐτοῖς, Τί δειλοί ἐστε, ὀλιγόπιστοι; Τότε ἐγερθεὶς ἐπετίμησε τοῖς ἀνέμοις καὶ τῇ θαλάσσῃ, καὶ ἐγένετο γαλήνη μεγάλη.
27 ২৭ আর সেই লোকেরা অবাক হয়ে বললেন, আঃ! ইনি কেমন লোক, বাতাস ও সমুদ্রও যে এর আদেশ মানে!
Οἱ δὲ ἄνθρωποι ἐθαύμασαν, λέγοντες, Ποταπός ἐστιν οὗτος, ὅτι καὶ οἱ ἄνεμοι καὶ ἡ θάλασσα ὑπακούουσιν αὐτῷ;
28 ২৮ পরে তিনি অন্য পারে গাদারীয়দের দেশে গেলে দুই জন ভূতগ্রস্ত লোক কবরস্থান থেকে বের হয়ে তাঁর সামনে উপস্থিত হল; তারা এত ভয়ঙ্কর ছিল যে, ঐ পথ দিয়ে কেউই যেতে পারত না।
Καὶ ἐλθόντι αὐτῷ εἰς τὸ πέραν εἰς τὴν χώραν τῶν Γεργεσηνῶν, ὑπήντησαν αὐτῷ δύο δαιμονιζόμενοι ἐκ τῶν μνημείων ἐξερχόμενοι, χαλεποὶ λίαν, ὥστε μὴ ἰσχύειν τινὰ παρελθεῖν διὰ τῆς ὁδοῦ ἐκείνης·
29 ২৯ আর দেখ, তারা চেঁচিয়ে উঠল, বলল, হে ঈশ্বরের পুত্র, আপনার সাথে আমাদের সম্পর্ক কি? আপনি কি নির্দিষ্ট দিনের র আগে আমাদের যন্ত্রণা দিতে এখানে এলেন?
καὶ ἰδού, ἔκραξαν λέγοντες, Τί ἡμῖν καὶ σοί, Ἰησοῦ υἱὲ τοῦ Θεοῦ; Ἦλθες ὧδε πρὸ καιροῦ βασανίσαι ἡμᾶς;
30 ৩০ তখন তাদের থেকে কিছু দূরে বড় এক শূকর পাল চরছিল।
Ἦν δὲ μακρὰν ἀπ᾽ αὐτῶν ἀγέλη χοίρων πολλῶν βοσκομένη.
31 ৩১ তাতে ভূতেরা বিনতি করে তাঁকে বলল, যদি আমাদেরকে ছাড়ান, তবে ঐ শূকর পালে পাঠিয়ে দিন।
Οἱ δὲ δαίμονες παρεκάλουν αὐτόν, λέγοντες, Εἰ ἐκβάλλεις ἡμᾶς, ἐπίτρεψον ἡμῖν ἀπελθεῖν εἰς τὴν ἀγέλην τῶν χοίρων.
32 ৩২ তিনি তাদের বললেন, চলে যাও। তখন তারা বের হয়ে সেই শূকর পালের মধ্যে প্রবেশ করল; আর দেখ, সমস্ত শূকর খুব জোরে ঢালু পাড় দিয়ে দৌড়িয়ে গিয়ে সমুদ্রে পড়ল, ও জলে ডুবে মারা গেল।
Καὶ εἶπεν αὐτοῖς, Ὑπάγετε. Οἱ δὲ ἐξελθόντες ἀπῆλθον εἰς τὴν ἀγέλην τῶν χοίρων· καὶ ἰδού, ὥρμησε πᾶσα ἡ ἀγέλη τῶν χοίρων κατὰ τοῦ κρημνοῦ εἰς τὴν θάλασσαν, καὶ ἀπέθανον ἐν τοῖς ὕδασιν.
33 ৩৩ তখন পালকেরা পালিয়ে গেল এবং শহরে গিয়ে সব বিষয়, বিশেষভাবে সেই ভূতগ্রস্তের বিষয় বর্ণনা করল।
Οἱ δὲ βόσκοντες ἔφυγον, καὶ ἀπελθόντες εἰς τὴν πόλιν ἀπήγγειλαν πάντα, καὶ τὰ τῶν δαιμονιζομένων.
34 ৩৪ আর দেখো, শহরের সব লোক যীশুর সাথে দেখা করবার জন্য বের হয়ে এলো এবং তাঁকে দেখে নিজেদের জায়গা থেকে চলে যেতে বিনতি করল।
Καὶ ἰδού, πᾶσα ἡ πόλις ἐξῆλθεν εἰς συνάντησιν τῷ Ἰησοῦ· καὶ ἰδόντες αὐτόν, παρεκάλεσαν ὅπως μεταβῇ ἀπὸ τῶν ὁρίων αὐτῶν.