< মথি 27 >

1 সকাল হলে প্রধান যাজকেরা ও প্রাচীনেরা সবাই যীশুকে বধ করার জন্য তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করল,
Πρωΐας δὲ γενομένης συμβούλιον ἔλαβον πάντες οἱ ἀρχιερεῖς καὶ οἱ πρεσβύτεροι τοῦ λαοῦ κατὰ τοῦ Ἰησοῦ ὥστε θανατῶσαι αὐτόν·
2 আর তাঁকে বেঁধে নিয়ে গিয়ে দেশাধ্যক্ষ পীলাতের কাছে সমর্পণ করল।
καὶ δήσαντες αὐτὸν ἀπήγαγον καὶ παρέδωκαν Πειλάτῳ τῷ ἡγεμόνι.
3 তখন যিহূদা, যে তাঁকে সমর্পণ করেছিল, সে যখন বুঝতে পারল যে, যীশুকে শাস্তি দেওয়া হয়েছে, তখন অনুশোচনা করে সেই ত্রিশটা রূপার মুদ্রা প্রধান যাজক ও প্রাচীনদের কাছে ফিরিয়ে দিল।
Τότε ἰδὼν Ἰούδας ὁ παραδοὺς αὐτὸν ὅτι κατεκρίθη, μεταμεληθεὶς ἔστρεψεν τὰ τριάκοντα ἀργύρια τοῖς ἀρχιερεῦσιν καὶ πρεσβυτέροις
4 আর বলল, “আমি নির্দোষ ব্যক্তির রক্তমাংসের বিরুদ্ধে পাপ করেছি।” তারা বলল, “আমাদের কি? তা তুমি বুঝবে।”
λέγων Ἥμαρτον παραδοὺς αἷμα ἀθῷον. οἱ δὲ εἶπαν Τί πρὸς ἡμᾶς; σὺ ὄψῃ.
5 তখন সে ঐ সমস্ত মুদ্রা মন্দিরের মধ্যে ফেলে দিয়ে চলে গেল এবং গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করল।
καὶ ῥίψας τὰ ἀργύρια εἰς τὸν ναὸν ἀνεχώρησεν, καὶ ἀπελθὼν ἀπήγξατο.
6 পরে প্রধান যাজকেরা সেই টাকাগুলো নিয়ে বলল, “এই টাকা ভান্ডারে রাখা উচিত না, কারণ এটা রক্তের মূল্য।”
οἱ δὲ ἀρχιερεῖς λαβόντες τὰ ἀργύρια εἶπαν Οὐκ ἔξεστιν βαλεῖν αὐτὰ εἰς τὸν κορβανᾶν, ἐπεὶ τιμὴ αἵματός ἐστιν.
7 পরে তারা পরামর্শ করে বিদেশীদের কবর দাও য়ার জন্য ঐ টাকায় কুমরের জমি কিনল।
συμβούλιον δὲ λαβόντες ἠγόρασαν ἐξ αὐτῶν τὸν ἀγρὸν τοῦ κεραμέως εἰς ταφὴν τοῖς ξένοις.
8 এই জন্য আজও সেই জমিকে “রক্তের জমি” বলা হয়।
διὸ ἐκλήθη ὁ ἀγρὸς ἐκεῖνος Ἀγρὸς αἵματος ἕως τῆς σήμερον.
9 তখন যিরমিয় ভাববাদী যে ভাববাণী বলেছিলেন তা পূর্ণ হল, “আর তারা সেই ত্রিশটা রূপার টাকা নিল, এটা তাঁর (যীশুর) মূল্য, যাঁর মূল্য ঠিক করা হয়েছিল এবং ইস্রায়েল-সন্তানদের মধ্য কিছু লোক যাঁর মূল্য ঠিক করেছিল,
τότε ἐπληρώθη τὸ ῥηθὲν διὰ Ἱερεμίου τοῦ προφήτου λέγοντος Καὶ ἔλαβον τὰ τριάκοντα ἀργύρια, τὴν τιμὴν τοῦ τετιμημένου ὃν ἐτιμήσαντο ἀπὸ υἱῶν Ἰσραήλ,
10 ১০ তারা সেগুলি নিয়ে কুমরের জমির জন্য দিল, যেমন প্রভু আমার প্রতি আদেশ করেছিলেন।”
καὶ ἔδωκαν αὐτὰ εἰς τὸν ἀγρὸν τοῦ κεραμέως, καθὰ συνέταξέν μοι Κύριος.
11 ১১ ইতিমধ্যে যীশুকে শাসনকর্ত্তার কাছে দাঁড় কারণ হল। শাসনকর্ত্তা তাঁকে জিজ্ঞাসা করলেন, “তুমি কি ইহূদিদের রাজা?” যীশু তাঁকে বললেন, “তুমিই বললে।”
Ὁ δὲ Ἰησοῦς ἐστάθη ἔμπροσθεν τοῦ ἡγεμόνος· καὶ ἐπηρώτησεν αὐτὸν ὁ ἡγεμὼν λέγων Σὺ εἶ ὁ Βασιλεὺς τῶν Ἰουδαίων; ὁ δὲ Ἰησοῦς ἔφη Σὺ λέγεις.
12 ১২ কিন্তু প্রধান যাজকেরা ও প্রাচীনেরা তাঁর উপরে মিথ্যা দোষ দিতে লাগল, তিনি সে বিষয়ে কোনো প্রতিবাদ করলেন না।
καὶ ἐν τῷ κατηγορεῖσθαι αὐτὸν ὑπὸ τῶν ἀρχιερέων καὶ πρεσβυτέρων οὐδὲν ἀπεκρίνατο.
13 ১৩ তখন পীলাত তাঁকে বললেন, “তুমি কি শুনছ না, ওরা তোমার বিরুদ্ধে কত বিষয়ে সাক্ষ দিচ্ছে?”
τότε λέγει αὐτῷ ὁ Πειλᾶτος Οὐκ ἀκούεις πόσα σου καταμαρτυροῦσιν;
14 ১৪ তিনি তাঁকে একটি কথারও উত্তর দিলেন না, তাই দেখে শাসনকর্ত্তা খুবই আশ্চর্য্য হলেন।
καὶ οὐκ ἀπεκρίθη αὐτῷ πρὸς οὐδὲ ἓν ῥῆμα, ὥστε θαυμάζειν τὸν ἡγεμόνα λίαν.
15 ১৫ আর শাসনকর্ত্তার এই রীতি ছিল, পর্বের দিনের তিনি লোকদের জন্য এমন একজন বন্দিকে মুক্ত করতেন, যাকে লোকেরা নির্বাচন করত।
Κατὰ δὲ ἑορτὴν εἰώθει ὁ ἡγεμὼν ἀπολύειν ἕνα τῷ ὄχλῳ δέσμιον ὃν ἤθελον.
16 ১৬ সেই দিনের তাদের একজন কুখ্যাত বন্দী ছিল, তার নাম বারাব্বা।
εἶχον δὲ τότε δέσμιον ἐπίσημον λεγόμενον Βαραββᾶν.
17 ১৭ তাই তারা একত্র হলে পীলাত তাদের বললেন, “তোমাদের ইচ্ছা কি, আমি তোমাদের জন্য কাকে মুক্ত করব? বারাব্বাকে, না যীশুকে, যাকে খ্রীষ্ট বলে?”
συνηγμένων οὖν αὐτῶν εἶπεν αὐτοῖς ὁ Πειλᾶτος Τίνα θέλετε ἀπολύσω ὑμῖν, Βαραββᾶν ἢ Ἰησοῦν τὸν λεγόμενον Χριστόν;
18 ১৮ কারণ তিনি জানতেন, তারা হিংসার জন্যই তাঁকে সমর্পণ করেছিল।
ᾔδει γὰρ ὅτι διὰ φθόνον παρέδωκαν αὐτόν.
19 ১৯ তিনি বিচারাসনে বসে আছেন, এমন দিনের তাঁর স্ত্রী তাঁকে বলে পাঠালেন, “সেই ধার্ম্মিকের প্রতি তুমি কিছুই কোর না, কারণ আমি আজ স্বপ্নে তাঁর জন্য অনেক দুঃখ পেয়েছি।”
Καθημένου δὲ αὐτοῦ ἐπὶ τοῦ βήματος ἀπέστειλεν πρὸς αὐτὸν ἡ γυνὴ αὐτοῦ λέγουσα Μηδὲν σοὶ καὶ τῷ δικαίῳ ἐκείνῳ· πολλὰ γὰρ ἔπαθον σήμερον κατ’ ὄναρ δι’ αὐτόν.
20 ২০ আর প্রধান যাজকেরা ও প্রাচীনেরা লোকদেরকে বোঝাতে লাগল, যেন তারা বারাব্বাকে নির্বাচন করে ও যীশুকে মৃত্যুদন্ড দেওয়া হয়।
Οἱ δὲ ἀρχιερεῖς καὶ οἱ πρεσβύτεροι ἔπεισαν τοὺς ὄχλους ἵνα αἰτήσωνται τὸν Βαραββᾶν, τὸν δὲ Ἰησοῦν ἀπολέσωσιν.
21 ২১ তখন শাসনকর্ত্তা তাদের বললেন, “তোমাদের ইচ্ছা কি? সেই দুইজনের মধ্যে কাকে মুক্ত করব?” তারা বলল, “বারাব্বাকে।”
ἀποκριθεὶς δὲ ὁ ἡγεμὼν εἶπεν αὐτοῖς Τίνα θέλετε ἀπὸ τῶν δύο ἀπολύσω ὑμῖν; οἱ δὲ εἶπαν Τὸν Βαραββᾶν.
22 ২২ পীলাত তাদের বললেন, “তবে যীশু, যাকে খ্রীষ্ট বলে, তাকে কি করব?” তারা সবাই বলল, “ওকে ক্রুশে দাও”
λέγει αὐτοῖς ὁ Πειλᾶτος Τί οὖν ποιήσω Ἰησοῦν τὸν λεγόμενον Χριστόν; λέγουσιν πάντες Σταυρωθήτω.
23 ২৩ তিনি বললেন, “কেন? সে কি অপরাধ করেছে?” কিন্তু তারা আরও চেঁচিয়ে বলল, “ওকে ক্রুশে দাও।”
ὁ δὲ ἔφη Τί γὰρ κακὸν ἐποίησεν; οἱ δὲ περισσῶς ἔκραζον λέγοντες Σταυρωθήτω.
24 ২৪ পীলাত যখন দেখলেন যে, তাঁর চেষ্টা বিফল, বরং আরও গন্ডগোল বাড়ছে, তখন জল নিয়ে লোকদের সামনে হাত ধুয়ে বললেন, “এই ধার্মিক ব্যক্তির রক্তপাতের সম্বন্ধে আমি নির্দোষ, তোমরাই তা বুঝবে।”
ἰδὼν δὲ ὁ Πειλᾶτος ὅτι οὐδὲν ὠφελεῖ ἀλλὰ μᾶλλον θόρυβος γίνεται, λαβὼν ὕδωρ ἀπενίψατο τὰς χεῖρας κατέναντι τοῦ ὄχλου λέγων Ἀθῷός εἰμι ἀπὸ τοῦ αἵματος τούτου· ὑμεῖς ὄψεσθε.
25 ২৫ তাতে সমস্ত লোক এর উত্তরে বলল, “ওর রক্তের জন্য আমারা ও আমাদের সন্তানেরা দায়ী থাকব।”
καὶ ἀποκριθεὶς πᾶς ὁ λαὸς εἶπεν Τὸ αἷμα αὐτοῦ ἐφ’ ἡμᾶς καὶ ἐπὶ τὰ τέκνα ἡμῶν.
26 ২৬ তখন তিনি তাদের জন্য বারাব্বাকে ছেড়ে দিলেন এবং যীশুকে কোড়া (চাবুক) মেরে ক্রুশে দেবার জন্য জনসাধারণের হাতে সমর্পণ করলেন।
τότε ἀπέλυσεν αὐτοῖς τὸν Βαραββᾶν, τὸν δὲ Ἰησοῦν φραγελλώσας παρέδωκεν ἵνα σταυρωθῇ.
27 ২৭ তখন শাসনকর্ত্তার সেনারা যীশুকে রাজবাড়িতে নিয়ে গিয়ে তাঁর কাছে সমস্ত সেনাদের একত্র করল।
Τότε οἱ στρατιῶται τοῦ ἡγεμόνος παραλαβόντες τὸν Ἰησοῦν εἰς τὸ πραιτώριον συνήγαγον ἐπ’ αὐτὸν ὅλην τὴν σπεῖραν.
28 ২৮ আর তারা তাঁর বস্ত্র খুলে নিয়ে তাঁকে একটি লাল পোশাক পরিয়ে দিল।
καὶ ἐκδύσαντες αὐτὸν χλαμύδα κοκκίνην περιέθηκαν αὐτῷ,
29 ২৯ আর কাঁটার মুকুট গেঁথে তাঁর মাথায় সেটা পরিয়ে দিল ও তাঁর হাতে একটি লাঠি দিল, পরে তাঁর সামনে হাঁটু পেতে বসে, তাঁকে ঠাট্টা করে বলল, “ইহূদি রাজ, নমস্কার!”
καὶ πλέξαντες στέφανον ἐξ ἀκανθῶν ἐπέθηκαν ἐπὶ τῆς κεφαλῆς αὐτοῦ καὶ κάλαμον ἐν τῇ δεξιᾷ αὐτοῦ, καὶ γονυπετήσαντες ἔμπροσθεν αὐτοῦ ἐνέπαιξαν αὐτῷ λέγοντες Χαῖρε, Βασιλεῦ τῶν Ἰουδαίων,
30 ৩০ আর তারা তাঁর গায়ে থুথু দিল ও সেই লাঠি নিয়ে, তাঁর মাথায় আঘাত করতে থাকলো।
καὶ ἐμπτύσαντες εἰς αὐτὸν ἔλαβον τὸν κάλαμον καὶ ἔτυπτον εἰς τὴν κεφαλὴν αὐτοῦ.
31 ৩১ আর তাঁকে ঠাট্টা করার পর পোশাকটি খুলে নিল ও তারা আবার তাঁকে তাঁর নিজের পোশাক পরিয়ে দিল এবং তাঁকে ক্রুশে দেবার জন্য তাঁকে বাইরে নিয়ে গেল।
καὶ ὅτε ἐνέπαιξαν αὐτῷ, ἐξέδυσαν αὐτὸν τὴν χλαμύδα καὶ ἐνέδυσαν αὐτὸν τὰ ἱμάτια αὐτοῦ, καὶ ἀπήγαγον αὐτὸν εἰς τὸ σταυρῶσαι.
32 ৩২ আর যখন তারা বাইরে এলো, তারা শিমোন নামে একজন কুরীনীয় লোকের দেখা পেল, তারা তাকেই, তাঁর ক্রুশ বহন করার জন্য বাধ্য করল।
Ἐξερχόμενοι δὲ εὗρον ἄνθρωπον Κυρηναῖον, ὀνόματι Σίμωνα· τοῦτον ἠγγάρευσαν ἵνα ἄρῃ τὸν σταυρὸν αὐτοῦ.
33 ৩৩ পরে গলগথা নামে এক জায়গায়, অর্থাৎ যাকে “মাথার খুলি” বলা হয়,
Καὶ ἐλθόντες εἰς τόπον λεγόμενον Γολγοθᾶ, ὅ ἐστιν κρανίου τόπος λεγόμενος,
34 ৩৪ সেখানে উপস্থিত হয়ে তারা তাঁকে পিত্তমিশ্রিত তেতো আঙ্গুরের রস পান করতে দিল, তিনি তা একটু পান করেই আর পান করতে চাইলেন না।
ἔδωκαν αὐτῷ πιεῖν οἶνον μετὰ χολῆς μεμιγμένον· καὶ γευσάμενος οὐκ ἠθέλησεν πιεῖν.
35 ৩৫ পরে তারা তাঁকে ক্রুশে দিয়ে তাঁর পোশাক নিয়ে, গুটি চেলে ভাগ করে নিল,
σταυρώσαντες δὲ αὐτὸν διεμερίσαντο τὰ ἱμάτια αὐτοῦ βάλλοντες κλῆρον,
36 ৩৬ আর সেখানে বসে তাঁকে পাহারা দিতে লাগল।
καὶ καθήμενοι ἐτήρουν αὐτὸν ἐκεῖ.
37 ৩৭ আর তারা তাঁর মাথার উপরে তাঁর বিরুদ্ধে এই দোষের কথা লিখে লাগিয়ে দিল, এ ব্যক্তি যীশু, ইহূদিদের রাজা।
καὶ ἐπέθηκαν ἐπάνω τῆς κεφαλῆς αὐτοῦ τὴν αἰτίαν αὐτοῦ γεγραμμένην ΟΥΤΟΣ ΕΣΤΙΝ ΙΗΣΟΥΣ Ο ΒΑΣΙΛΕΥΣ ΤΩΝ ΙΟΥΔΑΙΩΝ.
38 ৩৮ তখন দুই জন দস্যুকেও তাঁর সঙ্গে ক্রুশে বিদ্ধ করা হল, একজন ডান পাশে আর একজন বাঁপাশে।
Τότε σταυροῦνται σὺν αὐτῷ δύο λῃσταί, εἷς ἐκ δεξιῶν καὶ εἷς ἐξ εὐωνύμων.
39 ৩৯ তখন যারা সেই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করছিল, তারা মাথা নেড়ে নেড়ে খ্রীষ্টকে নিন্দা করে বলল,
Οἱ δὲ παραπορευόμενοι ἐβλασφήμουν αὐτὸν κινοῦντες τὰς κεφαλὰς αὐτῶν
40 ৪০ “এই যে, তুমি না মন্দির ভেঙে ফেল, আর তিন দিনের র মধ্যে তা গাঁথবে! নিজেকে রক্ষা কর, যদি ঈশ্বরের পুত্র হও, ক্রুশ থেকে নেমে এস।”
καὶ λέγοντες Ὁ καταλύων τὸν ναὸν καὶ ἐν τρισὶν ἡμέραις οἰκοδομῶν, σῶσον σεαυτόν, εἰ Υἱὸς εἶ τοῦ Θεοῦ, καὶ κατάβηθι ἀπὸ τοῦ σταυροῦ.
41 ৪১ আর একইভাবে প্রধান যাজকেরা, ব্যবস্থার শিক্ষকেরা ও প্রাচীনেরা একসঙ্গে ঠাট্টা করে বলল,
ὁμοίως οἱ ἀρχιερεῖς ἐμπαίζοντες μετὰ τῶν γραμματέων καὶ πρεσβυτέρων ἔλεγον
42 ৪২ “ঐ ব্যক্তি অন্য অন্য লোককে রক্ষা করত, আর নিজেকে রক্ষা করতে পারে না ও তো ইস্রায়েলের রাজা! এখন ক্রুশ থেকে নেমে আসুক, তাহলে আমরা ওর উপরে বিশ্বাস করব,
Ἄλλους ἔσωσεν, ἑαυτὸν οὐ δύναται σῶσαι· Βασιλεὺς Ἰσραήλ ἐστιν, καταβάτω νῦν ἀπὸ τοῦ σταυροῦ καὶ πιστεύσομεν ἐπ’ αὐτόν.
43 ৪৩ ও ঈশ্বরে বিশ্বাস রাখে, এখন তিনি ওকে বাঁচান, যদি ওকে রক্ষা করতে চান, কারণ ও তো বলেছে, আমি ঈশ্বরের পুত্র।”
πέποιθεν ἐπὶ τὸν Θεόν, ῥυσάσθω νῦν εἰ θέλει αὐτόν· εἶπεν γὰρ ὅτι Θεοῦ εἰμι Υἱός.
44 ৪৪ আর যে দুই জন দস্যু তাঁর সঙ্গে ক্রুশে বিদ্ধ হয়েছিল, তারাও তেমন ভাবে তাঁকে ঠাট্টা করল।
τὸ δ’ αὐτὸ καὶ οἱ λῃσταὶ οἱ συνσταυρωθέντες σὺν αὐτῷ ὠνείδιζον αὐτόν.
45 ৪৫ পরে বেলা বারোটা থেকে বিকাল তিনটে পর্যন্ত সমস্ত দেশ অন্ধকার হয়ে থাকল।
Ἀπὸ δὲ ἕκτης ὥρας σκότος ἐγένετο ἐπὶ πᾶσαν τὴν γῆν ἕως ὥρας ἐνάτης.
46 ৪৬ আর বিকাল তিনটের দিন যীশু উঁচুস্বরে চীৎকার করে বললেন, “এলী এলী লামা শবক্তানী, অর্থাৎ ঈশ্বর আমার, ঈশ্বর আমার, তুমি কেন আমায় পরিত্যাগ করেছ?”
περὶ δὲ τὴν ἐνάτην ὥραν ἀνεβόησεν ὁ Ἰησοῦς φωνῇ μεγάλῃ λέγων Ἡλεὶ Ἡλεὶ λεμὰ σαβαχθανεί; τοῦτ’ ἔστιν Θεέ μου θεέ μου, ἵνα τί με ἐγκατέλιπες;
47 ৪৭ তাতে যারা সেখানে দাঁড়িয়েছিল, তাদের মধ্যে কেউ কেউ সেই কথা শুনে বলল, “এ ব্যক্তি এলিয়কে ডাকছে।”
τινὲς δὲ τῶν ἐκεῖ ἑστηκότων ἀκούσαντες ἔλεγον ὅτι Ἡλείαν φωνεῖ οὗτος.
48 ৪৮ আর তাদের একজন অমনি দৌড়ে গেল, একটি স্পঞ্জ নিয়ে সিরকায় ডুবিয়ে নিয়ে এলো এবং একটা লাঠিতে লাগিয়ে তাঁকে পান করতে দিল।
καὶ εὐθέως δραμὼν εἷς ἐξ αὐτῶν καὶ λαβὼν σπόγγον πλήσας τε ὄξους καὶ περιθεὶς καλάμῳ ἐπότιζεν αὐτόν.
49 ৪৯ কিন্তু অন্য সবাই বলল, “থাক, দেখি এলিয় ওকে রক্ষা করতে আসেন কি না।”
οἱ δὲ λοιποὶ εἶπαν Ἄφες ἴδωμεν εἰ ἔρχεται Ἡλείας σώσων αὐτόν.
50 ৫০ পরে যীশু আবার উঁচুস্বরে চীৎকার করে নিজের আত্মাকে সমর্পণ করলেন।
ὁ δὲ Ἰησοῦς πάλιν κράξας φωνῇ μεγάλῃ ἀφῆκεν τὸ πνεῦμα.
51 ৫১ আর তখনি, মন্দিরের তিরস্করিনী (পর্দা) উপর থেকে নীচ পর্যন্ত চিরে দুভাগ হল, ভূমিকম্প হল ও পাথরের চাঁই ফেটে গেল,
Καὶ ἰδοὺ τὸ καταπέτασμα τοῦ ναοῦ ἐσχίσθη ἀπ’ ἄνωθεν ἕως κάτω εἰς δύο, καὶ ἡ γῆ ἐσείσθη, καὶ αἱ πέτραι ἐσχίσθησαν,
52 ৫২ আর অনেক কবর খুলে গেল ও অনেক পবিত্র লোকের মৃতদেহ জীবিত হল,
καὶ τὰ μνημεῖα ἀνεῴχθησαν καὶ πολλὰ σώματα τῶν κεκοιμημένων ἁγίων ἠγέρθησαν·
53 ৫৩ আর তাঁর পুনরুত্থানের পর তাঁরা কবর থেকে বের হয়ে পবিত্র শহরে প্রবেশ করলেন, আর অনেক লোককে তাঁরা দেখা দিলেন।
καὶ ἐξελθόντες ἐκ τῶν μνημείων μετὰ τὴν ἔγερσιν αὐτοῦ εἰσῆλθον εἰς τὴν ἁγίαν πόλιν καὶ ἐνεφανίσθησαν πολλοῖς.
54 ৫৪ শতপতি এবং যারা তাঁর সঙ্গে যীশুকে পাহারা দিচ্ছিল, তারা ভূমিকম্প ও আর যা যা ঘটছিল, তা দেখে খুবই ভয় পেয়ে বলল, “সত্যই, ইনি ঈশ্বরের পুত্র ছিলেন।”
Ὁ δὲ ἑκατόνταρχος καὶ οἱ μετ’ αὐτοῦ τηροῦντες τὸν Ἰησοῦν ἰδόντες τὸν σεισμὸν καὶ τὰ γινόμενα ἐφοβήθησαν σφόδρα, λέγοντες Ἀληθῶς Θεοῦ Υἱὸς ἦν οὗτος.
55 ৫৫ আর সেখানে অনেক মহিলারা ছিলেন, তাঁরা দূর থেকে দেখছিলেন, তাঁরা যীশুর সেবা করতে করতে গালীল থেকে তাঁকে অনুসরণ করে এখানে এসেছিলেন।
Ἦσαν δὲ ἐκεῖ γυναῖκες πολλαὶ ἀπὸ μακρόθεν θεωροῦσαι, αἵτινες ἠκολούθησαν τῷ Ἰησοῦ ἀπὸ τῆς Γαλιλαίας διακονοῦσαι αὐτῷ·
56 ৫৬ তাঁদের মধ্যে মগ্দলীনী মরিয়ম, যাকোবের ও যোষেফ মা মরিয়ম এবং সিবদিয়ের ছেলে যোহন ও যাকোবের মা ছিলেন।
ἐν αἷς ἦν Μαρία ἡ Μαγδαληνή, καὶ Μαρία ἡ τοῦ Ἰακώβου καὶ Ἰωσὴφ μήτηρ, καὶ ἡ μήτηρ τῶν υἱῶν Ζεβεδαίου.
57 ৫৭ পরে সন্ধ্যা হলে অরিমাথিয়ার একজন ধনী ব্যক্তি এলো, তাঁর নাম যোষেফ, তিনি নিজেও যীশুর শিষ্য হয়েছিলেন।
Ὀψίας δὲ γενομένης ἦλθεν ἄνθρωπος πλούσιος ἀπὸ Ἀριμαθαίας, τοὔνομα Ἰωσήφ, ὃς καὶ αὐτὸς ἐμαθητεύθη τῷ Ἰησοῦ·
58 ৫৮ তিনি পীলাতের কাছে গিয়ে যীশুর মৃতদেহ চাইলেন। তখন পীলাত তাঁকে তা নিয়ে যেতে আদেশ দিলেন।
οὗτος προσελθὼν τῷ Πειλάτῳ ᾐτήσατο τὸ σῶμα τοῦ Ἰησοῦ. τότε ὁ Πειλᾶτος ἐκέλευσεν ἀποδοθῆναι.
59 ৫৯ তাতে যোষেফ মৃতদেহটি নিয়ে পরিষ্কার কমল কাপড়ে জড়ালেন,
καὶ λαβὼν τὸ σῶμα ὁ Ἰωσὴφ ἐνετύλιξεν αὐτὸ ἐν σινδόνι καθαρᾷ,
60 ৬০ এবং তাঁর নতুন কবরে রাখলেন, যেই কবর তিনি পাহাড় কেটে বানিয়ে ছিলেন, আর সেই কবরের মুখে একটি বড় পাথর গড়িয়ে দিয়ে চলে গেলেন।
καὶ ἔθηκεν αὐτὸ ἐν τῷ καινῷ αὐτοῦ μνημείῳ ὃ ἐλατόμησεν ἐν τῇ πέτρᾳ, καὶ προσκυλίσας λίθον μέγαν τῇ θύρᾳ τοῦ μνημείου ἀπῆλθεν.
61 ৬১ মগ্দলীনী মরিয়ম ও অন্য মরিয়ম সেখানে ছিলেন, তাঁরা কবরের সামনে বসে থাকলেন।
Ἦν δὲ ἐκεῖ Μαριὰμ ἡ Μαγδαληνὴ καὶ ἡ ἄλλη Μαρία, καθήμεναι ἀπέναντι τοῦ τάφου.
62 ৬২ পরের দিন, অর্থাৎ আয়োজন-দিনের র পরের দিন, প্রধান যাজকেরা ও ফরীশীরা পীলাতের কাছে একত্র হয়ে বলল,
Τῇ δὲ ἐπαύριον, ἥτις ἐστὶν μετὰ τὴν Παρασκευήν, συνήχθησαν οἱ ἀρχιερεῖς καὶ οἱ Φαρισαῖοι πρὸς Πειλᾶτον
63 ৬৩ “আমাদের মনে আছে, সেই প্রতারক জীবিত থাকতে বলেছিল, তিন দিনের পরে আমি জীবিত হয়ে উঠব।
λέγοντες Κύριε, ἐμνήσθημεν ὅτι ἐκεῖνος ὁ πλάνος εἶπεν ἔτι ζῶν Μετὰ τρεῖς ἡμέρας ἐγείρομαι.
64 ৬৪ অতএব তিনদিন পর্যন্ত তার কবর পাহারা দিতে আদেশ করুন, না হলে তার শিষ্যেরা এসে তাকে চুরি করে নিয়ে যাবে, আর লোকদেরকে বলবে, তিনি মৃতদের মধ্য থেকে জীবিত হয়েছেন, তাহলে প্রথম ছলনার থেকে শেষ ছলনায় আরও ক্ষতি হবে।”
κέλευσον οὖν ἀσφαλισθῆναι τὸν τάφον ἕως τῆς τρίτης ἡμέρας, μή ποτε ἐλθόντες οἱ μαθηταὶ κλέψωσιν αὐτὸν καὶ εἴπωσιν τῷ λαῷ Ἠγέρθη ἀπὸ τῶν νεκρῶν, καὶ ἔσται ἡ ἐσχάτη πλάνη χείρων τῆς πρώτης.
65 ৬৫ পীলাত তাদের বললেন, “আমার পাহারাদারদের নিয়ে যাও এবং তোমরা গিয়ে তা তোমাদের সাধ্যমত রক্ষা কর।”
ἔφη αὐτοῖς ὁ Πειλᾶτος Ἔχετε κουστωδίαν· ὑπάγετε ἀσφαλίσασθε ὡς οἴδατε.
66 ৬৬ তাতে তারা গিয়ে পাহারাদারদের সঙ্গে সেই পাথরে মুদ্রাঙ্ক দিয়ে কবর রক্ষা করতে লাগল।
οἱ δὲ πορευθέντες ἠσφαλίσαντο τὸν τάφον σφραγίσαντες τὸν λίθον μετὰ τῆς κουστωδίας.

< মথি 27 >