< মথি 26 >
1 ১ তখন যীশু এই সমস্ত কথা শেষ করলেন এবং তিনি তাঁর শিষ্যদের বললেন,
και εγενετο οτε ετελεσεν ο ιησους παντας τους λογους τουτους ειπεν τοις μαθηταις αυτου
2 ২ “তোমরা জান, দুই দিন পরে নিস্তারপর্ব্ব আসছে, আর মনুষ্যপুত্র ক্রুশে বিদ্ধ হবার জন্য সমর্পিত হবেন।”
οιδατε οτι μετα δυο ημερας το πασχα γινεται και ο υιος του ανθρωπου παραδιδοται εις το σταυρωθηναι
3 ৩ তখন প্রধান যাজকেরা ও লোকদের প্রাচীনেরা কায়াফা মহাযাজকের বাড়ির প্রাঙ্গণে একত্র হল,
τοτε συνηχθησαν οι αρχιερεις και οι πρεσβυτεροι του λαου εις την αυλην του αρχιερεως του λεγομενου καιαφα
4 ৪ আর এই ষড়যন্ত্র করল, যেন ছলে যীশুকে ধরে বধ করতে পারে।
και συνεβουλευσαντο ινα τον ιησουν δολω κρατησωσιν και αποκτεινωσιν
5 ৫ কিন্তু তারা বলল, “পর্বের দিন নয়, যদি লোকদের মধ্যে গন্ডগোল বাধে।”
ελεγον δε μη εν τη εορτη ινα μη θορυβος γενηται εν τω λαω
6 ৬ যীশু তখন বৈথনিয়ায় শিমোনের বাড়িতে ছিলেন, যে একজন কুষ্ঠরোগী ছিল,
του δε ιησου γενομενου εν βηθανια εν οικια σιμωνος του λεπρου
7 ৭ তখন একটি মহিলা শ্বেত পাথরের পাত্রে খুব মূল্যবান সুগন্ধি তেল নিয়ে তাঁর কাছে এলো এবং তিনি খেতে বসলে তাঁর মাথায় সেই তেল ঢেলে দিল।
προσηλθεν αυτω γυνη εχουσα αλαβαστρον μυρου βαρυτιμου και κατεχεεν επι της κεφαλης αυτου ανακειμενου
8 ৮ কিন্তু এই সব দেখে শিষ্যেরা বিরক্ত হয়ে বললেন, “এ অপচয়ের কারণ কি?
ιδοντες δε οι μαθηται ηγανακτησαν λεγοντες εις τι η απωλεια αυτη
9 ৯ এই তেল অনেক টাকায় বিক্রি করে তা দরিদ্রদেরকে দেওয়া যেত।”
εδυνατο γαρ τουτο πραθηναι πολλου και δοθηναι πτωχοις
10 ১০ কিন্তু যীশু, এই সব বুঝতে পেরে তাঁদের বললেন, “এই মহিলাটিকে কেন দুঃখ দিচ্ছ? এ তো আমার জন্য ভালো কাজ করল।
γνους δε ο ιησους ειπεν αυτοις τι κοπους παρεχετε τη γυναικι εργον γαρ καλον ηργασατο εις εμε
11 ১১ কারণ দরিদ্ররা তোমাদের কাছে সব দিন ই আছে, কিন্তু তোমরা আমাকে সবদিন পাবে না।
παντοτε γαρ τους πτωχους εχετε μεθ εαυτων εμε δε ου παντοτε εχετε
12 ১২ তাই আমার দেহের উপরে এই সুগন্ধি তেল ঢেলে দেওয়াতে এ আমার সমাধির উপযোগী কাজ করল।
βαλουσα γαρ αυτη το μυρον τουτο επι του σωματος μου προς το ενταφιασαι με εποιησεν
13 ১৩ আমি তোমাদের সত্যি বলছি, সমস্ত জগতে যে কোন জায়গায় এই সুসমাচার প্রচারিত হবে, সেই জায়গায় এর এই কাজের কথাও একে মনে রাখার জন্য বলা হবে।”
αμην λεγω υμιν οπου εαν κηρυχθη το ευαγγελιον τουτο εν ολω τω κοσμω λαληθησεται και ο εποιησεν αυτη εις μνημοσυνον αυτης
14 ১৪ তখন বারো জনের মধ্যে একজন, যাকে ঈষ্করিয়োতীয় যিহূদা বলা হয়, সে প্রধান যাজকদের কাছে গিয়ে বলল,
τοτε πορευθεις εις των δωδεκα ο λεγομενος ιουδας ισκαριωτης προς τους αρχιερεις
15 ১৫ “আমাকে কি দিতে চান, বলুন, আমি তাঁকে আপনাদের হাতে সমর্পণ করব।” তারা তাকে ত্রিশটা রূপার মুদ্রা গুনে দিল।
ειπεν τι θελετε μοι δουναι καγω υμιν παραδωσω αυτον οι δε εστησαν αυτω τριακοντα αργυρια
16 ১৬ আর সেই দিন থেকে সে তাঁকে ধরিয়ে দাওয়ার জন্য সুযোগ খুঁজতে লাগল।
και απο τοτε εζητει ευκαιριαν ινα αυτον παραδω
17 ১৭ পরে তাড়ীশূন্য (খামির বিহীন) রুটি র পর্বের প্রথম দিন শিষ্যেরা যীশুর কাছে এসে জিজ্ঞাসা করলেন, “আপনার জন্য আমরা কোথায় নিস্তারপর্ব্বের ভোজ প্রস্তুত করব? আপনার ইচ্ছা কি?”
τη δε πρωτη των αζυμων προσηλθον οι μαθηται τω ιησου λεγοντες που θελεις ετοιμασωμεν σοι φαγειν το πασχα
18 ১৮ তিনি বললেন, “তোমরা শহরের অমুক ব্যক্তির কাছে যাও, আর তাকে বল, গুরু বলছেন, আমার দিন সন্নিকট, আমি তোমারই বাড়িতে আমার শিষ্যদের সঙ্গে নিস্তারপর্ব্ব পালন করব।”
ο δε ειπεν υπαγετε εις την πολιν προς τον δεινα και ειπατε αυτω ο διδασκαλος λεγει ο καιρος μου εγγυς εστιν προς σε ποιω το πασχα μετα των μαθητων μου
19 ১৯ তাতে শিষ্যেরা যীশুর আদেশ মতো কাজ করলেন, ও নিস্তারপর্ব্বের ভোজ প্রস্তুত করলেন।
και εποιησαν οι μαθηται ως συνεταξεν αυτοις ο ιησους και ητοιμασαν το πασχα
20 ২০ পরে সন্ধ্যা হলে তিনি সেই বারো জন শিষ্যের সঙ্গে খেতে বসলেন।
οψιας δε γενομενης ανεκειτο μετα των δωδεκα {VAR1: [μαθητων] }
21 ২১ আর তাঁদের খাওয়ার দিনের বললেন, “আমি তোমাদের সত্যি বলছি, তোমাদের মধ্যে একজন আমার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করবে।”
και εσθιοντων αυτων ειπεν αμην λεγω υμιν οτι εις εξ υμων παραδωσει με
22 ২২ তখন তাঁরা অত্যন্ত দুঃখিত হলো এবং প্রত্যেক জন তাঁকে বলতে লাগলেন, “প্রভু, সে কি আমি?”
και λυπουμενοι σφοδρα ηρξαντο λεγειν αυτω εις εκαστος μητι εγω ειμι κυριε
23 ২৩ তিনি বললেন, “যে আমার সঙ্গে খাবারপাত্রে হাত ডুবাল, সেই আমার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করবে।”
ο δε αποκριθεις ειπεν ο εμβαψας μετ εμου την χειρα εν τω τρυβλιω ουτος με παραδωσει
24 ২৪ মনুষ্যপুত্রের বিষয়ে যেমন লেখা আছে, তেমনি তিনি যাবেন, কিন্তু ধিক সেই ব্যক্তিকে, যার মাধ্যমে মনুষ্যপুত্রকে ধরিয়ে দেওয়া হবে, সেই মানুষের জন্ম না হলেই তার পক্ষে ভাল ছিল।
ο μεν υιος του ανθρωπου υπαγει καθως γεγραπται περι αυτου ουαι δε τω ανθρωπω εκεινω δι ου ο υιος του ανθρωπου παραδιδοται καλον ην αυτω ει ουκ εγεννηθη ο ανθρωπος εκεινος
25 ২৫ তখন যে তাঁকে ধরিয়ে দেবে, সেই যিহূদা বলল, “গুরু, সে কি আমি?” তিনি বললেন, “তুমিই বললে।”
αποκριθεις δε ιουδας ο παραδιδους αυτον ειπεν μητι εγω ειμι ραββι λεγει αυτω συ ειπας
26 ২৬ পরে তাঁরা খাবার খাচ্ছেন, এমন দিনের যীশু রুটি নিয়ে ধন্যবাদ দিয়ে ভাঙলেন এবং শিষ্যদের দিলেন, আর বললেন, “নাও, খাও, এটা আমার শরীর।”
εσθιοντων δε αυτων λαβων ο ιησους αρτον και ευλογησας εκλασεν και δους τοις μαθηταις ειπεν λαβετε φαγετε τουτο εστιν το σωμα μου
27 ২৭ পরে তিনি পানপাত্র নিয়ে ধন্যবাদ দিয়ে তাঁদের দিয়ে বললেন, “তোমরা সবাই এর থেকে পান কর,
και λαβων ποτηριον {VAR1: [και] } {VAR2: και } ευχαριστησας εδωκεν αυτοις λεγων πιετε εξ αυτου παντες
28 ২৮ কারণ এটা আমার রক্ত, নতুন নিয়মের রক্ত, যা অনেকের জন্য, পাপ ক্ষমার জন্য ঝরবে।”
τουτο γαρ εστιν το αιμα μου της διαθηκης το περι πολλων εκχυννομενον εις αφεσιν αμαρτιων
29 ২৯ আর আমি তোমাদের বলছি, “এখন থেকে সেই দিন পর্যন্ত আমি এই আঙুরের রস পান করব না, যত দিন না আমি আমার পিতার রাজ্যে প্রবেশ করি ও তোমাদের সাথে নতুন আঙুরের রস পান করি।”
λεγω δε υμιν ου μη πιω απ αρτι εκ τουτου του γενηματος της αμπελου εως της ημερας εκεινης οταν αυτο πινω μεθ υμων καινον εν τη βασιλεια του πατρος μου
30 ৩০ পরে তাঁরা প্রশংসা গান করতে করতে, জৈতুন পর্বতে গেলেন।
και υμνησαντες εξηλθον εις το ορος των ελαιων
31 ৩১ তখন যীশু তাঁদের বললেন, “এই রাতে তোমরা সবাই আমাতে বাধা পাবে (অর্থাৎ তোমরা আমাকে ত্যাগ করবে),” কারণ লেখা আছে, “আমি মেষ পালককে আঘাত করব, তাতে মেষেরা চারিদিকে ছড়িয়ে পড়বে।”
τοτε λεγει αυτοις ο ιησους παντες υμεις σκανδαλισθησεσθε εν εμοι εν τη νυκτι ταυτη γεγραπται γαρ παταξω τον ποιμενα και διασκορπισθησονται τα προβατα της ποιμνης
32 ৩২ কিন্তু আমি মৃত্যু থেকে জীবিত হবার পরে আমি তোমাদের আগে গালীলে যাব।
μετα δε το εγερθηναι με προαξω υμας εις την γαλιλαιαν
33 ৩৩ পিতর তাঁকে বললেন, “যদি সবাই আপনাকে ছেড়েও চলে যায়, আমি কখনও ছাড়বনা।”
αποκριθεις δε ο πετρος ειπεν αυτω ει παντες σκανδαλισθησονται εν σοι εγω ουδεποτε σκανδαλισθησομαι
34 ৩৪ যীশু তাঁকে বললেন, “আমি তোমাকে সত্যি বলছি, এই রাতে মোরগ ডাকার আগে তুমি তিনবার আমাকে অস্বীকার করবে।”
εφη αυτω ο ιησους αμην λεγω σοι οτι εν ταυτη τη νυκτι πριν αλεκτορα φωνησαι τρις απαρνηση με
35 ৩৫ পিতর তাঁকে বললেন, “যদি আপনার সঙ্গে মরতেও হয়, তবু কোন মতেই আপনাকে অস্বীকার করব না।” সেই রকম সব শিষ্যই বললেন।
λεγει αυτω ο πετρος καν δεη με συν σοι αποθανειν ου μη σε απαρνησομαι ομοιως και παντες οι μαθηται ειπαν
36 ৩৬ তখন যীশু তাঁদের সঙ্গে গেৎশিমানী নামে এক জায়গায় গেলেন, আর তাঁর শিষ্যদের বললেন, “আমি যতক্ষণ ওখানে গিয়ে প্রার্থনা করি, ততক্ষণ তোমরা এখানে বসে থাক।”
τοτε ερχεται μετ αυτων ο ιησους εις χωριον λεγομενον γεθσημανι και λεγει τοις μαθηταις καθισατε αυτου εως [ου] απελθων εκει προσευξωμαι
37 ৩৭ পরে তিনি পিতরকে ও সিবদিয়ের দুই ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে গেলেন, আর দুঃখার্ত্ত ও ব্যাকুল হতে লাগলেন।
και παραλαβων τον πετρον και τους δυο υιους ζεβεδαιου ηρξατο λυπεισθαι και αδημονειν
38 ৩৮ তখন তিনি তাঁদের বললেন, “আমার প্রাণ মরণ পর্যন্ত দুঃখার্ত্ত হয়েছে, তোমরা এখানে থাক, আমার সঙ্গে জেগে থাক।”
τοτε λεγει αυτοις περιλυπος εστιν η ψυχη μου εως θανατου μεινατε ωδε και γρηγορειτε μετ εμου
39 ৩৯ পরে তিনি একটু আগে গিয়ে উপুড় হয়ে পড়ে প্রার্থনা করে বললেন, “হে আমার পিতা, যদি এটা সম্ভব হয়, তবে এই দুঃখের পানপাত্র আমার কাছে থেকে দূরে যাক, আমার ইচ্ছামত না হোক, কিন্তু তোমার ইচ্ছামত হোক।”
και προελθων μικρον επεσεν επι προσωπον αυτου προσευχομενος και λεγων πατερ μου ει δυνατον εστιν παρελθατω απ εμου το ποτηριον τουτο πλην ουχ ως εγω θελω αλλ ως συ
40 ৪০ পরে তিনি সেই শিষ্যদের কাছে গিয়ে দেখলেন, তাঁরা ঘুমিয়ে পড়েছেন, আর তিনি পিতরকে বললেন, “একি? এক ঘন্টাও কি আমার সঙ্গে জেগে থাকতে তোমাদের শক্তি হল না?”
και ερχεται προς τους μαθητας και ευρισκει αυτους καθευδοντας και λεγει τω πετρω ουτως ουκ ισχυσατε μιαν ωραν γρηγορησαι μετ εμου
41 ৪১ জেগে থাক ও প্রার্থনা কর, যেন পরীক্ষায় না পড়, আত্মা ইচ্ছুক, কিন্তু শরীর দুর্বল।
γρηγορειτε και προσευχεσθε ινα μη εισελθητε εις πειρασμον το μεν πνευμα προθυμον η δε σαρξ ασθενης
42 ৪২ আবার তিনি দ্বিতীয়বার গিয়ে এই প্রার্থনা করলেন, “হে আমার পিতা, আমি পান না করলে যদি এই দুঃখকা পানপাত্র দূরে যেতে না পারে, তবে তোমার ইচ্ছা পূর্ণ হোক।”
παλιν εκ δευτερου απελθων προσηυξατο {VAR1: [λεγων] } {VAR2: λεγων } πατερ μου ει ου δυναται τουτο παρελθειν εαν μη αυτο πιω γενηθητω το θελημα σου
43 ৪৩ পরে তিনি আবার এসে দেখলেন, তাঁরা ঘুমিয়ে পড়েছেন, কারণ তাঁদের চোখ ঘুমে ভারী হয়ে পড়েছিল।
και ελθων παλιν ευρεν αυτους καθευδοντας ησαν γαρ αυτων οι οφθαλμοι βεβαρημενοι
44 ৪৪ আর তিনি আবার তাঁদের ছেড়ে তৃতীয় বার আগের মতো কথা বলে প্রার্থনা করলেন।
και αφεις αυτους παλιν απελθων προσηυξατο εκ τριτου τον αυτον λογον ειπων παλιν
45 ৪৫ তখন তিনি শিষ্যদের কাছে এসে বললেন, “এখনও কি তোমরা ঘুমাচ্ছ এবং বিশ্রাম করছ?, দেখ, দিন উপস্থিত, মনুষ্যপুত্রকে পাপীদের হাতে ধরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।”
τοτε ερχεται προς τους μαθητας και λεγει αυτοις καθευδετε {VAR2: [το] } λοιπον και αναπαυεσθε ιδου ηγγικεν η ωρα και ο υιος του ανθρωπου παραδιδοται εις χειρας αμαρτωλων
46 ৪৬ উঠ, আমরা যাই, এই দেখ, যে ব্যক্তি আমাকে সমর্পণ করবে, সে কাছে এসেছে।
εγειρεσθε αγωμεν ιδου ηγγικεν ο παραδιδους με
47 ৪৭ তিনি যখন কথা বলছিলেন, দেখ, যিহূদা, সেই বারো জনের একজন, এল এবং তার সঙ্গে অনেক লোক, তরোয়াল ও লাঠি নিয়ে প্রধান যাজকদের ও প্রাচীনদের কাছ থেকে এলো।
και ετι αυτου λαλουντος ιδου ιουδας εις των δωδεκα ηλθεν και μετ αυτου οχλος πολυς μετα μαχαιρων και ξυλων απο των αρχιερεων και πρεσβυτερων του λαου
48 ৪৮ যে তাঁকে সমর্পণ করছিল, সে তাদের এই সংকেত বলেছিল, “আমি যাকে চুমু দেব, তিনিই সেই ব্যক্তি, তোমরা তাকে ধরবে।”
ο δε παραδιδους αυτον εδωκεν αυτοις σημειον λεγων ον αν φιλησω αυτος εστιν κρατησατε αυτον
49 ৪৯ সে তখনই যীশুর কাছে গিয়ে বলল, “গুরু, নমস্কার, আর সে তাঁকে চুমু দিল।”
και ευθεως προσελθων τω ιησου ειπεν χαιρε ραββι και κατεφιλησεν αυτον
50 ৫০ যীশু তাকে বললেন, “বন্ধু, যা করতে এসেছ, তা কর।” তখন তারা কাছে এসে যীশুর উপরে হস্তক্ষেপ করল ও তাঁকে ধরল।
ο δε ιησους ειπεν αυτω εταιρε εφ ο παρει τοτε προσελθοντες επεβαλον τας χειρας επι τον ιησουν και εκρατησαν αυτον
51 ৫১ আর দেখ, যীশুর সঙ্গীদের মধ্যে এক ব্যক্তি হাত বাড়িয়ে তরোয়াল বার করলেন এবং মহাযাজকের দাসকে আঘাত করে তার একটা কান কেটে ফেললেন।
και ιδου εις των μετα ιησου εκτεινας την χειρα απεσπασεν την μαχαιραν αυτου και παταξας τον δουλον του αρχιερεως αφειλεν αυτου το ωτιον
52 ৫২ তখন যীশু তাঁকে বললেন, “তোমার তরোয়াল যেখানে ছিল সেখানে রাখ, কারণ যারা তরোয়াল ব্যবহার করে, তারা তরোয়াল দিয়েই ধ্বংস হবে।”
τοτε λεγει αυτω ο ιησους αποστρεψον την μαχαιραν σου εις τον τοπον αυτης παντες γαρ οι λαβοντες μαχαιραν εν μαχαιρη απολουνται
53 ৫৩ আর তুমি কি মনে কর যে, যদি আমি আমার পিতার কাছে অনুরোধ করি তবে তিনি কি এখনই আমার জন্য বারোটা বাহিনীর থেকেও বেশি দূত পাঠিয়ে দেবেন না?
η δοκεις οτι ου δυναμαι παρακαλεσαι τον πατερα μου και παραστησει μοι αρτι πλειω δωδεκα λεγιωνας αγγελων
54 ৫৪ কিন্তু তা করলে কেমন করে শাস্ত্রের এই বাণীগুলি পূর্ণ হবে যে, এমন অবশ্যই হবে?
πως ουν πληρωθωσιν αι γραφαι οτι ουτως δει γενεσθαι
55 ৫৫ সেই দিনে যীশু লোকদেরকে বললেন, “লোকে যেমন দস্যু ধরতে যায়, তেমনি কি তোমরা তরোয়াল ও লাঠি নিয়ে আমাকে ধরতে এসেছো? আমি প্রতিদিন ঈশ্বরের মন্দিরে বসে উপদেশ দিয়েছি, তখন তো আমাকে ধরলে না।”
εν εκεινη τη ωρα ειπεν ο ιησους τοις οχλοις ως επι ληστην εξηλθατε μετα μαχαιρων και ξυλων συλλαβειν με καθ ημεραν εν τω ιερω εκαθεζομην διδασκων και ουκ εκρατησατε με
56 ৫৬ কিন্তু এ সমস্ত ঘটল, যেন ভাববাদীদের লেখা ভাববাণীগুলি পূর্ণ হয়। তখন শিষ্যেরা সবাই তাঁকে ছেড়ে পালিয়ে গেলেন।
τουτο δε ολον γεγονεν ινα πληρωθωσιν αι γραφαι των προφητων τοτε οι μαθηται παντες αφεντες αυτον εφυγον
57 ৫৭ আর যারা যীশুকে ধরেছিল, তারা তাঁকে মহাযাজক কায়াফার কাছে নিয়ে গেল, সেই জায়গায় ব্যবস্থার শিক্ষকেরা ও প্রাচীনেরা সমবেত হয়েছিল।
οι δε κρατησαντες τον ιησουν απηγαγον προς καιαφαν τον αρχιερεα οπου οι γραμματεις και οι πρεσβυτεροι συνηχθησαν
58 ৫৮ আর পিতর দূরে থেকে তাঁর পিছনে পিছনে মহাযাজকের প্রাঙ্গণ পর্যন্ত গেলেন এবং শেষে কি হয়, তা দেখার জন্য ভিতরে গিয়ে পাহারাদারদের সঙ্গে বসলেন।
ο δε πετρος ηκολουθει αυτω {VAR1: [απο] } {VAR2: απο } μακροθεν εως της αυλης του αρχιερεως και εισελθων εσω εκαθητο μετα των υπηρετων ιδειν το τελος
59 ৫৯ তখন প্রধান যাজকরা এবং সমস্ত মহাসভা যীশুকে বধ করার জন্য তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রমাণ খুঁজতে লাগল,
οι δε αρχιερεις και το συνεδριον ολον εζητουν ψευδομαρτυριαν κατα του ιησου οπως αυτον θανατωσωσιν
60 ৬০ কিন্তু অনেক মিথ্যাসাক্ষী এসে জুটলেও, তারা কিছুই পেল না।
και ουχ ευρον πολλων προσελθοντων ψευδομαρτυρων υστερον δε προσελθοντες δυο
61 ৬১ অবশেষে দুই জন এসে বলল, “এই ব্যক্তি বলেছিল, আমি ঈশ্বরের মন্দির ভেঙে, তা আবার তিন দিনের র মধ্যে গেঁথে তুলতে পারি।”
ειπαν ουτος εφη δυναμαι καταλυσαι τον ναον του θεου και δια τριων ημερων οικοδομησαι
62 ৬২ তখন মহাযাজক উঠে দাঁড়িয়ে তাঁকে বললেন, “তুমি কি কিছুই উত্তর দেবে না? তোমার বিরুদ্ধে এরা কিসব বলছে?”
και αναστας ο αρχιερευς ειπεν αυτω ουδεν αποκρινη τι ουτοι σου καταμαρτυρουσιν
63 ৬৩ কিন্তু যীশু চুপ করে থাকলেন। মহাযাজক তাঁকে বললেন, “আমি তোমাকে জীবন্ত ঈশ্বরের নামে দিব্যি করছি, আমাদেরকে বল দেখি, তুমি কি সেই খ্রীষ্ট, ঈশ্বরের পুত্র?”
ο δε ιησους εσιωπα και ο αρχιερευς ειπεν αυτω εξορκιζω σε κατα του θεου του ζωντος ινα ημιν ειπης ει συ ει ο χριστος ο υιος του θεου
64 ৬৪ যীশু এর উত্তরে বললেন, “তুমি নিজেই বললে, আর আমি তোমাদের বলছি, এখন থেকে তোমরা মনুষ্যপুত্রকে পরাক্রমের (সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের) ডান পাশে বসে থাকতে এবং আকাশের মেঘরথে আসতে দেখবে।”
λεγει αυτω ο ιησους συ ειπας πλην λεγω υμιν απ αρτι οψεσθε τον υιον του ανθρωπου καθημενον εκ δεξιων της δυναμεως και ερχομενον επι των νεφελων του ουρανου
65 ৬৫ তখন মহাযাজক তাঁর বস্ত্র ছিঁড়ে বললেন, “এ ঈশ্বরনিন্দা করল, আর প্রমাণে আমাদের কি প্রয়োজন? দেখ, এখন তোমরা ঈশ্বরনিন্দা শুনলে,
τοτε ο αρχιερευς διερρηξεν τα ιματια αυτου λεγων εβλασφημησεν τι ετι χρειαν εχομεν μαρτυρων ιδε νυν ηκουσατε την βλασφημιαν
66 ৬৬ তোমরা কি মনে কর?” তারা বলল, “এ মৃত্যুর যোগ্য।”
τι υμιν δοκει οι δε αποκριθεντες ειπαν ενοχος θανατου εστιν
67 ৬৭ তখন তারা তাঁর মুখে থুথু দিল ও তাঁকে ঘুষি মারল,
τοτε ενεπτυσαν εις το προσωπον αυτου και εκολαφισαν αυτον οι δε εραπισαν
68 ৬৮ আর কেউ কেউ তাঁকে আঘাত করে বলল, “রে খ্রীষ্ট, আমাদের কাছে ভাববাণী বল, কে তোকে মারল?”
λεγοντες προφητευσον ημιν χριστε τις εστιν ο παισας σε
69 ৬৯ এদিকে পিতর যখন বাইরে উঠোনে বসেছিলেন, তখন আর একজন দাসী তাঁর কাছে এসে বলল, “তুমিও সেই গালীলীয় যীশুর সঙ্গে ছিলে।”
ο δε πετρος εκαθητο εξω εν τη αυλη και προσηλθεν αυτω μια παιδισκη λεγουσα και συ ησθα μετα ιησου του γαλιλαιου
70 ৭০ কিন্তু তিনি সবার সামনে অস্বীকার করে বললেন, “তুমি কি বলছ আমি বুঝতে পারছি না।”
ο δε ηρνησατο εμπροσθεν παντων λεγων ουκ οιδα τι λεγεις
71 ৭১ তিনি দরজার কাছে গেলে আর এক দাসী তাঁকে দেখতে পেয়ে লোকদেরকে বলল, “এ ব্যক্তি সেই নাসরতীয় যীশুর সঙ্গে ছিল।”
εξελθοντα δε εις τον πυλωνα ειδεν αυτον αλλη και λεγει τοις εκει ουτος ην μετα ιησου του ναζωραιου
72 ৭২ তিনি আবার অস্বীকার করলেন, দিব্যি করে বললেন, “আমি সে ব্যক্তিকে চিনি না।”
και παλιν ηρνησατο μετα ορκου οτι ουκ οιδα τον ανθρωπον
73 ৭৩ আরও কিছুক্ষণ পরে, যারা কাছে দাঁড়িয়েছিল, তারা এসে পিতরকে বলল, “সত্যিই তুমিও তাদের একজন, কারণ তোমার ভাষাই তোমার পরিচয় দিচ্ছে।”
μετα μικρον δε προσελθοντες οι εστωτες ειπον τω πετρω αληθως και συ εξ αυτων ει και γαρ η λαλια σου δηλον σε ποιει
74 ৭৪ তখন তিনি অভিশাপের সঙ্গে শপথ করে বলতে লাগলেন, “আমি সেই ব্যক্তিকে চিনি না।” তখনই মোরগ ডেকে উঠল।
τοτε ηρξατο καταθεματιζειν και ομνυειν οτι ουκ οιδα τον ανθρωπον και ευθεως αλεκτωρ εφωνησεν
75 ৭৫ তাতে যীশু এই যে কথা বলেছিলেন, মোরগ ডাকার আগে তুমি তিনবার আমাকে অস্বীকার করবে, তা পিতরের মনে পড়ল এবং তিনি বাইরে গিয়ে অত্যন্ত করুন ভাবে কাঁদলেন।
και εμνησθη ο πετρος του ρηματος ιησου ειρηκοτος οτι πριν αλεκτορα φωνησαι τρις απαρνηση με και εξελθων εξω εκλαυσεν πικρως