লুক 1
1 ১ প্রথম থেকে যাঁরা নিজের চোখে দেখেছেন এবং বাক্যের (ঈশ্বরের সুসমাচারের) সেবা করে আসছেন, তাঁরা আমাদের যেমন সমর্পণ করেছেন,
Seeing that many took in hand to set in order a narration of the matters that have been fully assured among us,
as they delivered to us, who from the beginning became eyewitnesses, and officers of the word,
3 ৩ সেজন্য আমি নিজেও প্রথম থেকে সমস্ত বিষয়ে ভালোভাবে অনুসন্ধান করেছি বলে, মাননীয় থিয়ফিল, আপনাকেও সেই ঘটনা গুলোর বিস্তারিত বিবরণ লেখা ভালো মনে করলাম।
it seemed good also to me, having followed from the first after all things exactly, to write to you in order, most noble Theophilus,
that you may know the certainty of the things wherein you were instructed.
5 ৫ যিহূদিয়ার রাজা হেরোদের দিনের অবিয়ের দলের মধ্যে সখরিয় নামে একজন যাজক ছিলেন; তাঁর স্ত্রী হারোণ বংশের, তাঁর নাম ইলীশাবেৎ।
There was in the days of Herod, the king of Judea, a certain priest, by name Zacharias, of the division of Abijah, and his wife of the daughters of Aaron, and her name Elizabeth;
and they were both righteous before God, going on in all the commands and righteousnesses of the LORD blameless,
and they had no child, because that Elizabeth was barren, and both were advanced in their days.
And it came to pass, in his acting as priest, in the order of his division before God,
9 ৯ তখন যাজকীয় কাজের নিয়ম অনুসারে গুলিবাঁটের মাধ্যমে তাঁকে প্রভুর সন্মুখে ধূপ জ্বালানোর জন্য মনোনীত করা হল।
according to the custom of the priesthood, his lot was to make incense, having gone into the temple of the LORD,
and all the multitude of the people were praying outside, at the hour of the incense.
And there appeared to him a messenger of the LORD standing on the right side of the altar of the incense,
and Zacharias, having seen, was troubled, and fear fell on him;
13 ১৩ কিন্তু দূত তাঁকে বললেন, “সখরিয়, ভয় পেও না, কারণ তোমার প্রার্থনা গ্রহণ করা হয়েছে, তোমার স্ত্রী ইলীশাবেৎ তোমার জন্য পুত্র সন্তানের জন্ম দেবেন ও তুমি তার নাম যোহন রাখবে।
and the messenger said to him, “Do not fear, Zacharias, for your supplication was heard, and your wife Elizabeth will bear a son to you, and you will call his name John,
and there will be joy to you, and gladness, and many will rejoice at his birth,
15 ১৫ কারণ তিনি প্রভুর দৃষ্টিতে মহান হবেন এবং মদ বা মদ জাতীয় কোনও কিছুই পান করবেন না; আর তিনি মায়ের গর্ভ থেকেই পবিত্র আত্মায় পরিপূর্ণ হবেন;
for he will be great before the LORD, and wine and strong drink he may not drink, and he will be full of the Holy Spirit, even from his mother’s womb;
and he will turn many of the sons of Israel to the LORD their God,
17 ১৭ তিনি প্রভুর আগে এলিয়ের আত্মায় ও শক্তিতে চলবেন, যেন পিতাদের হৃদয় সন্তানদের দিকে ফিরিয়ে আনবে ও আজ্ঞাবহ নয় এমন লোকদের ধার্ম্মিকদের বিজ্ঞতায় ফিরিয়ে আনবে। তিনি এসব প্রভুর জন্য লোককে প্রস্তুত করবেন।”
and he will go before Him, in the spirit and power of Elijah, to turn hearts of fathers to children, and disobedient ones to the wisdom of righteous ones, to make ready for the LORD, a people prepared.”
18 ১৮ তখন সখরিয় দূতকে বললেন, “কীভাবে তা জানব? কারণ আমি বৃদ্ধ হয়েছি এবং আমার স্ত্রীরও অনেক বয়স হয়েছে।”
And Zacharias said to the messenger, “Whereby will I know this? For I am aged, and my wife is advanced in her days?”
19 ১৯ এর উত্তরে দূত তাঁকে বললেন, “আমি গাব্রিয়েল, ঈশ্বরের সামনে দাঁড়িয়ে থাকি, তোমার সঙ্গে কথা বলতে ও তোমাকে এসমস্ত বিষয়ের সুসমাচার দেওয়ার জন্য আমাকে পাঠানো হয়েছে।
And the messenger answering said to him, “I am Gabriel, who has been standing near before God, and I was sent to speak to you, and to proclaim this good news to you,
20 ২০ আর দেখ, এসব যেদিন ঘটবে, সেদিন পর্যন্ত তুমি নীরব থাকবে, কথা বলতে পারবে না। কারণ তুমি আমার কথায় বিশ্বাস করলে না কিন্তু আমার সমস্ত কথাই ঠিক দিনের সম্পূর্ণ হবে।”
and behold, you will be silent, and not able to speak, until the day that these things will come to pass, because you did not believe my words that will be fulfilled in their season.”
21 ২১ এদিকে লোকেরা সখরিয়ের জন্য অপেক্ষা করছিল এবং ঈশ্বরের গৃহের মধ্যে তাঁর দেরি হচ্ছে দেখে তারা অবাক হতে লাগলেন।
And the people were waiting for Zacharias, and wondering at his lingering in the temple,
22 ২২ পরে তিনি বাইরে এসে তাদের কাছে কথা বলতে পারলেন না, তখন তারা বুঝল যে, মন্দিরের মধ্যে তিনি নিশ্চয় কোনও দর্শন পেয়েছেন, আর তিনি তাদের কাছে বিভিন্ন ইশারা করতে থাকলেন এবং বোবা হয়ে রইলেন।
and having come out, he was not able to speak to them, and they perceived that he had seen a vision in the temple, and he was beckoning to them, and remained mute.
And it came to pass, when the days of his service were fulfilled, he went away to his house,
24 ২৪ এর পরে তাঁর স্ত্রী ইলীশাবেৎ গর্ভবতী হলেন এবং তিনি পাঁচ মাস পর্যন্ত নিজেকে গোপনে রাখলেন, বললেন,
and after those days, his wife Elizabeth conceived, and hid herself five months, saying,
25 ২৫ “লোকদের মধ্যে থেকে আমার লজ্জা মুছে দেওয়ার জন্য প্রভু এ দিনের আমাকে দয়া করে এমন ব্যবহার করেছেন।”
“Thus the LORD has done to me, in days in which He looked on [me], to take away my reproach among men.”
26 ২৬ ইলীশাবেৎ যখন ছয় মাসের গর্ভবতী তখন ঈশ্বর গাব্রিয়েল দূতকে গালীল দেশের নাসরৎ নামে শহরে একটি কুমারীর কাছে পাঠালেন,
And in the sixth month the messenger Gabriel was sent by God, to a city of Galilee, the name of which [is] Nazareth,
to a virgin, betrothed to a man, whose name [is] Joseph, of the house of David, and the name of the virgin [is] Mary.
28 ২৮ দূত তাঁর কাছে গিয়ে তাঁকে বললেন হে অনুগ্রহের পাত্রী, “তোমার মঙ্গল হোক; প্রভু তোমার সঙ্গে আছেন।”
And the messenger having come in to her, said, “Greetings, favored one, the LORD [is] with you; blessed [are] you among women”;
29 ২৯ কিন্তু তিনি এই কথাতে খুবই দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হলেন এবং এই কথায় তাঁর মন তোলপাড় হতে লাগল, এ কেমন শুভেচ্ছা?
and she, having seen, was troubled at his word, and was reasoning of what kind this salutation may be.
And the messenger said to her, “Do not fear, Mary, for you have found favor with God;
and behold, you will conceive in the womb, and will bring forth a Son, and call His Name Jesus;
32 ৩২ তিনি মহান হবেন ও তাঁকে মহান সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের পুত্র বলা হবে এবং প্রভু ঈশ্বর তাঁর পিতা দায়ূদের সিংহাসন তাঁকে দেবেন;
He will be great, and He will be called Son of the Highest, and the LORD God will give Him the throne of His father David,
and He will reign over the house of Jacob for all ages; and of His kingdom there will be no end.” (aiōn g165)
And Mary said to the messenger, “How will this be, seeing I do not know a husband?”
35 ৩৫ উত্তরে দূত তাঁকে বললেন, “পবিত্র আত্মা তোমার উপরে আসবেন এবং মহান সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের শক্তি তোমার উপরে ছায়া করবে; এ কারণে যে পবিত্র সন্তান জন্মাবেন, তাঁকে ঈশ্বরের পুত্র বলা হবে।”
And the messenger answering said to her, “The Holy Spirit will come on you, and the power of the Highest will overshadow you, therefore also the holy-begotten thing will be called Son of God;
36 ৩৬ আর শোন, “তোমার আত্মীয়া যে ইলীশাবেৎ, তিনিও বৃদ্ধা বয়সে পুত্রসন্তান গর্ভে ধারণ করেছেন; এখন তিনি ছয় মাসের গর্ভবতী।
and behold, Elizabeth, your relative, she also has conceived a son in her old age, and this is the sixth month to her who was called barren;
because nothing will be impossible with God.”
38 ৩৮ তখন মরিয়ম বললেন, “দেখুন, আমি অবশ্যই প্রভুর দাসী; আপনার কথা মতো সমস্তই আমার প্রতি ঘটুক।” পরে দূত তাঁর কাছ থেকে চলে গেলেন।
And Mary said, “Behold, the maidservant of the LORD; let it be to me according to your saying,” and the messenger went away from her.
And Mary having arisen in those days, went into the hill-country, with haste, to a city of Judea,
and entered into the house of Zacharias, and greeted Elizabeth.
41 ৪১ যখন ইলীশাবেৎ মরিয়মের শুভেচ্ছা শুনলেন, তখনই তাঁর গর্ভের শিশুটি নেচে উঠল ও ইলীশাবেৎ পবিত্র আত্মায় পূর্ণ হলেন,
And it came to pass, when Elizabeth heard the salutation of Mary, the baby leapt in her womb; and Elizabeth was filled with the Holy Spirit,
and spoke out with a loud voice and said, “Blessed [are] you among women, and blessed [is] the Fruit of your womb;
and from where [is] this to me, that the mother of my Lord might come to me?
For behold, when the voice of your salutation came to my ears, the baby in my womb leapt in gladness;
45 ৪৫ আর ধন্যা যিনি বিশ্বাস করলেন, কারণ প্রভুর কাছ থেকে যা কিছু তাঁর সমন্ধে বলা হয়েছে, সে সমস্তই সফল হবে।”
and blessed [is] she who believed, for there will be a completion to the things spoken to her from the LORD.”
And Mary said, “My soul magnifies the LORD,
And my spirit was glad on God my Savior,
48 ৪৮ কারণ তিনি আমার মতো তুচ্ছ দাসীকে মনে করেছেন; আর এখন থেকে পুরুষ পরম্পরায় সবাই আমাকে ধন্যা বলবে।
Because He looked on the lowliness of His maidservant, For behold, from now on all the generations will call me blessed,
For He who is mighty did great things to me, And holy [is] His Name,
And His kindness [is] to generations of generations, To those fearing Him;
51 ৫১ তিনি তাঁর বাহু দিয়ে শক্তিশালী কাজ করেছেন, যারা নিজেদের হৃদয়ে অহঙ্কারী, তাদের ছিন্নভিন্ন করেছেন।
He did powerfully with His arm, He scattered abroad the proud in the thought of their heart,
He brought down the mighty from thrones, And He exalted the lowly,
He filled the hungry with good, And the rich He sent away empty;
54 ৫৪ তিনি তাঁর দাস ইস্রায়েলের সাহায্য করেছেন, যেন আমাদের পূর্বপুরুষদের কাছে করা প্রতিজ্ঞা ও নিজের করা প্রতিজ্ঞা অনুযায়ী,
He has taken hold of His servant Israel, To remember kindness,
As He spoke to our fathers, To Abraham and to his seed—throughout the age.” (aiōn g165)
And Mary remained with her about three months, and turned back to her house.
And to Elizabeth was the time fulfilled for her bringing forth, and she bore a son,
58 ৫৮ তখন, তাঁর প্রতিবেশী ও আত্মীয়স্বজনেরা শুনতে পেল যে, প্রভু তাঁর প্রতি মহা দয়া করেছেন, আর তারাও তাঁর সঙ্গে আনন্দ করল।
and the neighbors and her relatives heard that the LORD was making His kindness great with her, and they were rejoicing with her.
59 ৫৯ এর পরে তারা আট দিনের র দিন শিশুটির ত্বকছেদ করতে এলো, আর তার পিতার নাম অনুসারে তার নাম সখরিয় রাখতে চাইল।
And it came to pass, on the eighth day, they came to circumcise the child, and they were calling him by the name of his father, Zacharias,
and his mother answering said, “No, but he will be called John.”
And they said to her, “There is none among your relatives who is called by this name,”
and they were making signs to his father, what he would wish him to be called,
and having asked for a tablet, he wrote, saying, “John is his name”; and they all wondered;
and his mouth was opened immediately, and his tongue, and he was speaking, praising God.
65 ৬৫ এর ফলে আশেপাশের প্রতিবেশীরা সবাই খুব ভয় পেল ও যিহূদিয়ার পাহাড়ী অঞ্চলের সমস্ত জায়গায় লোকেরা এই সব কথা বলাবলি করতে লাগল।
And fear came on all those dwelling around them, and in all the hill-country of Judea were all these sayings spoken of,
66 ৬৬ আর যত লোক শুনল, তারা নিজেদের মনে মনে চিন্তা করতে লাগল, আর বলল “এই শিশুটি বড় হয়ে তবে কি হবে?” কারণ প্রভুর হাত তাঁর উপরে ছিল।
and all who heard laid them up in their hearts, saying, “What then will this child be?” And the hand of the LORD was with him.
And his father Zacharias was filled with the Holy Spirit, and prophesied, saying,
68 ৬৮ “ধন্য প্রভু, ইস্রায়েলের ঈশ্বর কারণ তিনি আমাদের যত্ন নিয়েছেন ও নিজের প্রজাদের জন্য মুক্তি সাধন করেছেন,
“Blessed [is] the LORD, the God of Israel, Because He looked on, And worked redemption for His people,
And raised a horn of salvation to us, In the house of His servant David,
As He spoke by the mouth of His holy prophets, Which have been from the age; (aiōn g165)
Salvation from our enemies, And out of the hand of all hating us,
To do kindness with our fathers, And to be mindful of His holy covenant,
An oath that He swore to Abraham our father,
To give to us, without fear, Having been delivered out of the hand of our enemies,
To serve Him, in holiness and righteousness Before Him, all the days of our life.
76 ৭৬ আর, হে আমার সন্তান, তুমি মহান সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের ভাববাদী বলে পরিচিত হবে, কারণ তাঁর পথ প্রস্তুত করার জন্য, তুমি প্রভুর আগে আগে চলবে,
And you, child, Prophet of the Highest will you be called; For you will go before the face of the LORD, To prepare His ways.
To give knowledge of salvation to His people In forgiveness of their sins,
78 ৭৮ এ সবই আমাদের ঈশ্বরের সেই দয়া জন্যই হবে এবং এই দয়া অনুযায়ী, মুক্তিদাতা যিনি প্রভাতের সূর্য্যের মত স্বর্গ থেকে এসে আমাদের পরিচর্য্যা করবেন,
Through the yearnings of our God, In which the rising from on high looked on us,
79 ৭৯ যারা অন্ধকারেও মৃত্যুর ছায়ায় বসে আছে, তাদের উপরে আলো দেওয়ার জন্য ও আমাদের শান্তির পথে চালানোর জন্য।”
To give light to those sitting in darkness and death-shade, To guide our feet to a way of peace.”
80 ৮০ পরে শিশুটি বড় হয়ে উঠতে লাগল এবং আত্মায় শক্তিশালী হতে লাগল আর সে ইস্রায়েলের জাতির কাছে প্রকাশিত হওয়ার আগে পর্যন্ত মরুপ্রান্তে জীবন যাপন করছিল।
And the child grew, and was strengthened in spirit, and he was in the deserts until the day of his showing to Israel.
