< লুক 1 >
1 ১ প্রথম থেকে যাঁরা নিজের চোখে দেখেছেন এবং বাক্যের (ঈশ্বরের সুসমাচারের) সেবা করে আসছেন, তাঁরা আমাদের যেমন সমর্পণ করেছেন,
Inasmuch as many took it in hand to present a history concerning these things which have been fulfilled among us,
2 ২ সেই অনুসারে অনেকেই আমাদের মধ্যে সম্পূর্ণ গ্রহণযোগ্য বিষয়গুলোর বিবরণ রচনার পরিকল্পনা নিয়েছেন।
as those being eyewitnesses and ministers of the Word have delivered unto us;
3 ৩ সেজন্য আমি নিজেও প্রথম থেকে সমস্ত বিষয়ে ভালোভাবে অনুসন্ধান করেছি বলে, মাননীয় থিয়ফিল, আপনাকেও সেই ঘটনা গুলোর বিস্তারিত বিবরণ লেখা ভালো মনে করলাম।
it seemed good to me also, having followed carefully all things from the beginning, to write unto thee consecutively, O most noble Theophilus,
4 ৪ যেন, আপনি যেসব সত্য বিষয়ে শিক্ষা পেয়েছেন, সে সকল বিষয়ে নিশ্চিত হতে পারেন।
in order that thou mayest know the certainty of the words concerning which thou hast been instructed.
5 ৫ যিহূদিয়ার রাজা হেরোদের দিনের অবিয়ের দলের মধ্যে সখরিয় নামে একজন যাজক ছিলেন; তাঁর স্ত্রী হারোণ বংশের, তাঁর নাম ইলীশাবেৎ।
There was in the days of Herod, the king of Judea, a certain priest, by name Zacharias, of the course of Ahijah, and his wife of the daughters of Aaron, and her name Elizabeth.
6 ৬ তাঁরা দুই জনেই ঈশ্বরের সামনে ধার্মিক ছিলেন, প্রভুর সমস্ত আদেশ ও চাহিদা মেনে নিখুঁত ভাবে চলতেন।
And they were both righteous before God, walking in all the commandments and ordinances of the Lord, blameless.
7 ৭ তাঁদের সন্তান ছিল না, কারণ ইলীশাবেৎ বন্ধ্যা ছিলেন এবং দুজনেরই অনেক বয়স হয়েছিল।
And there was no child to them, as Elizabeth was barren, and both were advanced in their days.
8 ৮ এক দিন যখন সখরিয়ের নিজের দলের পালা অনুসারে ঈশ্বরের সামনে যাজকীয় কাজ করছিলেন,
And it came to pass, while he was officiating in the order of his course before God,
9 ৯ তখন যাজকীয় কাজের নিয়ম অনুসারে গুলিবাঁটের মাধ্যমে তাঁকে প্রভুর সন্মুখে ধূপ জ্বালানোর জন্য মনোনীত করা হল।
(according to the custom of the priesthood he was chosen by lot to offer incense), having gone into the temple of the Lord;
10 ১০ ঐ ধূপ জ্বালানোর দিনের সমস্ত লোক বাইরে প্রার্থনা করছিল।
and all the multitude of the people were praying without at the hour of incense;
11 ১১ তখন প্রভুর এক দূত তাঁকে দেখা দিলেন যিনি ধূপবেদির ডানদিকে দাঁড়িয়ে ছিলেন।
the angel of the Lord appeared unto him standing on the right hand of the altar of incense:
12 ১২ তাঁকে দেখে সখরিয় প্রচণ্ড অস্থির হয়ে উঠলেন এবং প্রচণ্ড ভয় পেলেন।
and Zacharias was troubled seeing him, and fear fell on him.
13 ১৩ কিন্তু দূত তাঁকে বললেন, “সখরিয়, ভয় পেও না, কারণ তোমার প্রার্থনা গ্রহণ করা হয়েছে, তোমার স্ত্রী ইলীশাবেৎ তোমার জন্য পুত্র সন্তানের জন্ম দেবেন ও তুমি তার নাম যোহন রাখবে।
And the angel said to him; Fear not, Zacharias; because thy prayer has been heard, and thy wife Elizabeth shall bring forth a son to thee, and thou shalt call his name John.
14 ১৪ আর তুমি আনন্দিত ও খুশি হবে এবং তার জন্মে অনেকে আনন্দিত হবে।
And there shall be joy and rejoicing, and many shall rejoice at his birth.
15 ১৫ কারণ তিনি প্রভুর দৃষ্টিতে মহান হবেন এবং মদ বা মদ জাতীয় কোনও কিছুই পান করবেন না; আর তিনি মায়ের গর্ভ থেকেই পবিত্র আত্মায় পরিপূর্ণ হবেন;
For he shall be great before the Lord; and he shall not drink wine and strong drink; and he shall be filled with the Holy Ghost even from the womb of his mother.
16 ১৬ এবং ইস্রায়েল সন্তানদের অনেককে তাদের ঈশ্বর প্রভুর কাছে ফিরিয়ে আনবেন।
And he will turn many of the sons of Israel to the Lord, their God.
17 ১৭ তিনি প্রভুর আগে এলিয়ের আত্মায় ও শক্তিতে চলবেন, যেন পিতাদের হৃদয় সন্তানদের দিকে ফিরিয়ে আনবে ও আজ্ঞাবহ নয় এমন লোকদের ধার্ম্মিকদের বিজ্ঞতায় ফিরিয়ে আনবে। তিনি এসব প্রভুর জন্য লোককে প্রস্তুত করবেন।”
And he will go before Him in the spirit and Power of Elijah, to turn the hearts of the fathers to the children, and the disobedient unto the understanding of the righteous, to prepare a people made ready for the Lord.
18 ১৮ তখন সখরিয় দূতকে বললেন, “কীভাবে তা জানব? কারণ আমি বৃদ্ধ হয়েছি এবং আমার স্ত্রীরও অনেক বয়স হয়েছে।”
And Zacharias said to the angel: According to what shall I know this? for I am old and my wife advanced in her days.
19 ১৯ এর উত্তরে দূত তাঁকে বললেন, “আমি গাব্রিয়েল, ঈশ্বরের সামনে দাঁড়িয়ে থাকি, তোমার সঙ্গে কথা বলতে ও তোমাকে এসমস্ত বিষয়ের সুসমাচার দেওয়ার জন্য আমাকে পাঠানো হয়েছে।
And the angel responding said to him; I am Gabriel standing in the presence of God, and am sent to speak to you and to preach to you these things.
20 ২০ আর দেখ, এসব যেদিন ঘটবে, সেদিন পর্যন্ত তুমি নীরব থাকবে, কথা বলতে পারবে না। কারণ তুমি আমার কথায় বিশ্বাস করলে না কিন্তু আমার সমস্ত কথাই ঠিক দিনের সম্পূর্ণ হবে।”
And behold thou shalt be dumb and unable to speak, unto the day upon which these things may take place; because thou didst not believe my words, which shall be fulfilled in their time.
21 ২১ এদিকে লোকেরা সখরিয়ের জন্য অপেক্ষা করছিল এবং ঈশ্বরের গৃহের মধ্যে তাঁর দেরি হচ্ছে দেখে তারা অবাক হতে লাগলেন।
And the people were waiting for Zacharias, and were wondering because he tarries in the temple.
22 ২২ পরে তিনি বাইরে এসে তাদের কাছে কথা বলতে পারলেন না, তখন তারা বুঝল যে, মন্দিরের মধ্যে তিনি নিশ্চয় কোনও দর্শন পেয়েছেন, আর তিনি তাদের কাছে বিভিন্ন ইশারা করতে থাকলেন এবং বোবা হয়ে রইলেন।
And having come out he was unable to speak to them; and they recognized that he had seen a vision in the temple; and he was beckoning to them and remained dumb.
23 ২৩ তাঁর সেবা কাজের দিন শেষ হওয়ার পরে তিনি নিজের বাড়িতে চলে গেলেন।
And it came to pass when the days of his ministry were fulfilled, he went away to his own house.
24 ২৪ এর পরে তাঁর স্ত্রী ইলীশাবেৎ গর্ভবতী হলেন এবং তিনি পাঁচ মাস পর্যন্ত নিজেকে গোপনে রাখলেন, বললেন,
And after these days Elizabeth, his wife, conceived, and hid herself five months, saying,
25 ২৫ “লোকদের মধ্যে থেকে আমার লজ্জা মুছে দেওয়ার জন্য প্রভু এ দিনের আমাকে দয়া করে এমন ব্যবহার করেছেন।”
That the Lord so hath done unto me, in the days in which He condescended to take away my reproach among men.
26 ২৬ ইলীশাবেৎ যখন ছয় মাসের গর্ভবতী তখন ঈশ্বর গাব্রিয়েল দূতকে গালীল দেশের নাসরৎ নামে শহরে একটি কুমারীর কাছে পাঠালেন,
And in the sixth month the angel Gabriel was sent from God to a city of Galilee, to which was the name
27 ২৭ তিনি দায়ূদ বংশের যোষেফ নামে এক ব্যক্তির বাগদত্তা ছিলেন, সেই কুমারীর নাম মরিয়ম।
Nazareth, to a virgin betrothed to a man, to whom was the name Joseph of the house of David; and the name of the virgin was Mary.
28 ২৮ দূত তাঁর কাছে গিয়ে তাঁকে বললেন হে অনুগ্রহের পাত্রী, “তোমার মঙ্গল হোক; প্রভু তোমার সঙ্গে আছেন।”
And the angel having come to her said; Hail, thou blessed one; the Lord is with thee; blessed art thou among women.
29 ২৯ কিন্তু তিনি এই কথাতে খুবই দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হলেন এবং এই কথায় তাঁর মন তোলপাড় হতে লাগল, এ কেমন শুভেচ্ছা?
And she seeing was troubled over his word, and was reasoning what kind this salutation might be.
30 ৩০ দূত তাঁকে বললেন, “মরিয়ম, ভয় পেয় না, কারণ তুমি ঈশ্বরের কাছে অনুগ্রহ পেয়েছ।
And the angel said to her; Fear not, Mary; for thou didst find favor with God.
31 ৩১ আর দেখ, তুমি গর্ভবতী হয়ে একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দেবে ও তাঁর নাম যীশু রাখবে।
And behold, thou shalt conceive and hear a son, and thou shalt call His name Jesus.
32 ৩২ তিনি মহান হবেন ও তাঁকে মহান সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের পুত্র বলা হবে এবং প্রভু ঈশ্বর তাঁর পিতা দায়ূদের সিংহাসন তাঁকে দেবেন;
He shall be great and shall be called the Son of the Highest; and the Lord God shall give unto Him the throne of His father David:
33 ৩৩ তিনি যাকোবের বংশের উপরে চিরকাল রাজত্ব করবেন ও তাঁর রাজ্যের কখনো শেষ হবে না।” (aiōn )
and He shall reign over the house of Jacob forever, and of His Kingdom there shall be no end. (aiōn )
34 ৩৪ তখন মরিয়ম দূতকে বললেন, “এ কি করে সম্ভব? কারণ আমি তো কুমারী।”
And Mary said to the angel; How shall this be, since I know not man?
35 ৩৫ উত্তরে দূত তাঁকে বললেন, “পবিত্র আত্মা তোমার উপরে আসবেন এবং মহান সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের শক্তি তোমার উপরে ছায়া করবে; এ কারণে যে পবিত্র সন্তান জন্মাবেন, তাঁকে ঈশ্বরের পুত্র বলা হবে।”
And the angel responding said to her; The Holy Ghost shall come upon thee, and the power of the Highest shall overshadow thee; therefore, indeed, that holy thing that is begotten shall be called the Son of God.
36 ৩৬ আর শোন, “তোমার আত্মীয়া যে ইলীশাবেৎ, তিনিও বৃদ্ধা বয়সে পুত্রসন্তান গর্ভে ধারণ করেছেন; এখন তিনি ছয় মাসের গর্ভবতী।
And behold Elizabeth thy kinswoman, indeed, herself having conceived a son in her old age; and this is the sixth month, to her who is called barren.
37 ৩৭ কারণ ঈশ্বরের জন্য কোনও কিছুই অসম্ভব নয়।”
Because no word shall be impossible with God.
38 ৩৮ তখন মরিয়ম বললেন, “দেখুন, আমি অবশ্যই প্রভুর দাসী; আপনার কথা মতো সমস্তই আমার প্রতি ঘটুক।” পরে দূত তাঁর কাছ থেকে চলে গেলেন।
And Mary said; Behold the handmaiden of the Lord; may it be done unto me according to thy word. And the angel went away from her.
39 ৩৯ তারপর মরিয়ম প্রস্তুত হয়ে পাহাড়ী অঞ্চলে অবস্থিত যিহূদার একটা শহরে গেলেন,
And Mary, rising, departed into the mountainous land, with haste, into a city of Judah.
40 ৪০ এবং সখরিয়ের বাড়িতে গিয়ে ইলীশাবেৎকে শুভেচ্ছা জানালেন।
And she came into the house of Zacharias and saluted Elizabeth.
41 ৪১ যখন ইলীশাবেৎ মরিয়মের শুভেচ্ছা শুনলেন, তখনই তাঁর গর্ভের শিশুটি নেচে উঠল ও ইলীশাবেৎ পবিত্র আত্মায় পূর্ণ হলেন,
And it came to pass when Elizabeth heard the salutation of Mary, the infant in her womb leaped; and Elizabeth was filled with the Holy Spirit; and she spoke with a loud voice and said;
42 ৪২ এবং তিনি চেঁচিয়ে বলতে লাগলেন, “নারীদের মধ্যে তুমি ধন্যা এবং ধন্য তোমার গর্ভের ফল।
Blessed art thou among women, and blessed is the fruit of thy womb.
43 ৪৩ আর আমার প্রভুর মা আমার কাছে আসবেন, এমন সৌভাগ্য আমার কি করে হল?
And whence is this to me that the mother of my Lord may come unto me?
44 ৪৪ কারণ দেখ, তোমার কাছ থেকে শুভেচ্ছা শোনার সঙ্গে সঙ্গে আমার গর্ভের শিশুটি আনন্দে নেচে উঠল।
For behold when the voice of your salutation came into my ears, the infant in my womb leaped with joy.
45 ৪৫ আর ধন্যা যিনি বিশ্বাস করলেন, কারণ প্রভুর কাছ থেকে যা কিছু তাঁর সমন্ধে বলা হয়েছে, সে সমস্তই সফল হবে।”
And blessed is she that believeth, because there shall be a perfection to those things having been spoken to her by the Lord.
46 ৪৬ তখন মরিয়ম বললেন, “আমার প্রাণ প্রভুর মহিমা কীর্তন করছে,
And Mary said; My soul doth magnify the Lord,
47 ৪৭ আমার আত্মা আমার ত্রাণকর্ত্তা ঈশ্বরে আনন্দিত হয়েছে।
and my spirit rejoices in God my Saviour,
48 ৪৮ কারণ তিনি আমার মতো তুচ্ছ দাসীকে মনে করেছেন; আর এখন থেকে পুরুষ পরম্পরায় সবাই আমাকে ধন্যা বলবে।
because He looked upon the low state of his handmaiden.
49 ৪৯ কারণ যিনি সর্বশক্তিমান, তিনি আমার জন্য মহান মহান কাজ করেছেন এবং তাঁর নাম পবিত্র।
For behold from now all generations call me blessed; because the Mighty One did great things unto me, and His name is holy;
50 ৫০ আর যারা তাঁকে ভয় করে, তাঁর দয়া তাদের উপরে বংশপরম্পরায় থাকবে।
and His mercy unto generation of generations to them that fear Him.
51 ৫১ তিনি তাঁর বাহু দিয়ে শক্তিশালী কাজ করেছেন, যারা নিজেদের হৃদয়ে অহঙ্কারী, তাদের ছিন্নভিন্ন করেছেন।
He wrought power by his own arm; he dispersed the proud in the thought of their heart.
52 ৫২ তিনি শাসনকর্ত্তাদের সিংহাসন থেকে নামিয়ে দিয়েছেন ও নম্র লোকদের উন্নত করেছেন,
He cast down the mighty from thrones and exalted the humble.
53 ৫৩ তিনি ক্ষুধার্তদের উত্তম উত্তম জিনিস দিয়ে পরিপূর্ণ করেছেন এবং ধনীদের খালি হাতে বিদায় করেছেন।
He filled the poor with good things, and sent away the rich empty.
54 ৫৪ তিনি তাঁর দাস ইস্রায়েলের সাহায্য করেছেন, যেন আমাদের পূর্বপুরুষদের কাছে করা প্রতিজ্ঞা ও নিজের করা প্রতিজ্ঞা অনুযায়ী,
He delivered his son Israel, to remember mercy,
55 ৫৫ অব্রাহাম ও তাঁর বংশের জন্য তাঁর করুণা চিরকাল মনে রাখেন।” (aiōn )
as he spoke to our fathers, to Abraham and his seed forever. (aiōn )
56 ৫৬ আর মরিয়ম প্রায় তিনমাস ইলীশাবেতের কাছে থাকলেন, পরে নিজের বাড়িতে ফিরে গেলেন।
And Mary remained with her about three months, and returned to her own house.
57 ৫৭ এরপর ইলীশাবেতের প্রসবের দিন সম্পূর্ণ হলে তিনি একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দিলেন।
And the time of her parturition was fulfilled unto Elizabeth and she brought forth a son.
58 ৫৮ তখন, তাঁর প্রতিবেশী ও আত্মীয়স্বজনেরা শুনতে পেল যে, প্রভু তাঁর প্রতি মহা দয়া করেছেন, আর তারাও তাঁর সঙ্গে আনন্দ করল।
And the neighbors and her relatives heard, that the Lord was magnifying His mercy with her, and they continued to rejoice with her.
59 ৫৯ এর পরে তারা আট দিনের র দিন শিশুটির ত্বকছেদ করতে এলো, আর তার পিতার নাম অনুসারে তার নাম সখরিয় রাখতে চাইল।
And it came to pass on the eighth day, they came to circumcise the little child; and they were calling him Zacharias, after the name of his father.
60 ৬০ কিন্তু তাঁর মা উত্তরে বললেন, “না, এর নাম হবে যোহন।”
And his mother responding said; No, but he shall be called John.
61 ৬১ তারা তাঁকে বলল, “আপনার বংশের মধ্যে এ নামে তো কাউকেই ডাকা হয়নি।”
And they said to her; That there is no one among thy kindred who is called by this name.
62 ৬২ পরে তারা তাঁর পিতাকে ইশারাতে জিজ্ঞাসা করল, “আপনার ইচ্ছা কি? এর কি নাম রাখা হবে?”
And they were beckoning to his father, what he might wish to call him.
63 ৬৩ তিনি একটি রচনার জিনিস চেয়ে নিয়ে তাতে লিখলেন, ওঁর নাম যোহন। তাতে সবাই খুবই আশ্চর্য্য হল।
And having asked for a writing tablet, he wrote saying; His name is John.
64 ৬৪ আর তখনই তাঁর মুখ ও তাঁর জিভ খুলে গেল, আর তিনি কথা বললেন ও ঈশ্বরের ধন্যবাদ করতে লাগলেন।
And all marveled. And his mouth immediately opened and his tongue loosed, and he continued to speak, praising God.
65 ৬৫ এর ফলে আশেপাশের প্রতিবেশীরা সবাই খুব ভয় পেল ও যিহূদিয়ার পাহাড়ী অঞ্চলের সমস্ত জায়গায় লোকেরা এই সব কথা বলাবলি করতে লাগল।
And fear came upon all of those dwelling around; and all these words were spoken abroad in all the mountainous regions of Judea.
66 ৬৬ আর যত লোক শুনল, তারা নিজেদের মনে মনে চিন্তা করতে লাগল, আর বলল “এই শিশুটি বড় হয়ে তবে কি হবে?” কারণ প্রভুর হাত তাঁর উপরে ছিল।
And all those hearing placed them in their heart, saying; What then shall this little child be? And the hand of the Lord was with him.
67 ৬৭ তখন তাঁর বাবা সখরিয় পবিত্র আত্মায় পূর্ণ হলেন এবং ভাববাণী বললেন, তিনি বললেন,
And Zacharias his father was filled with the Holy Ghost, and prophesied saying;
68 ৬৮ “ধন্য প্রভু, ইস্রায়েলের ঈশ্বর কারণ তিনি আমাদের যত্ন নিয়েছেন ও নিজের প্রজাদের জন্য মুক্তি সাধন করেছেন,
Blessed be the Lord God of Israel, because He looked upon us and wrought redemption to His people, and raised up unto us a horn of salvation
69 ৬৯ আর আমাদের জন্য নিজের দাস দায়ূদের বংশে এক শক্তিশালী উদ্ধারকর্তা দিয়েছেন,
in the house of David His son.
70 ৭০ যেমন তিনি পূর্বকাল থেকেই তাঁর সেই পবিত্র ভাববাদীদের মাধ্যমে বলে আসছেন, (aiōn )
As he spoke through the mouth of His holy prophets from the beginning; (aiōn )
71 ৭১ আমাদের শত্রুদের হাত থেকে ও যারা আমাদের ঘৃণা করে, তাদের সকলের হাত থেকে উদ্ধার করেছেন।
salvation from our enemies, and from the hand of all those who hate us,
72 ৭২ আমাদের পূর্বপুরুষদের উপরে দয়া করার জন্য, তিনি নিজের পবিত্র নিয়ম স্মরণ করার জন্য।
to execute mercy with our fathers, and remember His holy covenant,
73 ৭৩ এ সেই প্রতিজ্ঞা, যা তিনি আমাদের পূর্বপুরুষ অব্রাহামের কাছে শপথ করেছিলেন,
the oath which He swore to Abraham our father:
74 ৭৪ যে, আমরা শত্রুদের হাত থেকে উদ্ধার পেয়ে নির্ভয়ে তাঁকে সেবা করতে পারি,
to grant unto us, having been delivered out of the hand of our enemies, to serve Him without fear,
75 ৭৫ পবিত্রতায় ও ধার্ম্মিকতায় তাঁর সেবা করতে পারব, তাঁর উপস্থিতিতে সারা জীবন করতে পারব।
in holiness and righteousness before Him all the days of our life.
76 ৭৬ আর, হে আমার সন্তান, তুমি মহান সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের ভাববাদী বলে পরিচিত হবে, কারণ তাঁর পথ প্রস্তুত করার জন্য, তুমি প্রভুর আগে আগে চলবে,
And thou, little child, shall be called a prophet of the Highest; for thou shalt go before the face of the Lord to prepare His ways,
77 ৭৭ তাঁর লোকেদের পাপ ক্ষমার জন্য তাদের পাপ থেকে মুক্তির জ্ঞান দেওয়ার জন্য,
to give knowledge of salvation to His people in remission of their sins,
78 ৭৮ এ সবই আমাদের ঈশ্বরের সেই দয়া জন্যই হবে এবং এই দয়া অনুযায়ী, মুক্তিদাতা যিনি প্রভাতের সূর্য্যের মত স্বর্গ থেকে এসে আমাদের পরিচর্য্যা করবেন,
through the bowels of mercy of our God, in which the dayspring from on high looked upon us,
79 ৭৯ যারা অন্ধকারেও মৃত্যুর ছায়ায় বসে আছে, তাদের উপরে আলো দেওয়ার জন্য ও আমাদের শান্তির পথে চালানোর জন্য।”
to appear unto those sitting in darkness and in the shadow of death, to direct our feet in the way of peace.
80 ৮০ পরে শিশুটি বড় হয়ে উঠতে লাগল এবং আত্মায় শক্তিশালী হতে লাগল আর সে ইস্রায়েলের জাতির কাছে প্রকাশিত হওয়ার আগে পর্যন্ত মরুপ্রান্তে জীবন যাপন করছিল।
And the little child continued to grow and waxed strong in spirit; and was in the deserts until the day of his showing unto Israel.