< লেবীয় বই 25 >
1 ১ আর সদাপ্রভু সীনয় পর্বতে মোশিকে বললেন,
সদাপ্রভু সীনয় পর্বতে মোশিকে বললেন,
2 ২ তুমি ইস্রায়েল-সন্তানদেরকে বল, তাদেরকে বল, আমি তোমাদিগকে যে দেশ দেব, তোমরা সেই দেশে প্রবেশ করলে সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে জমি বিশ্রাম ভোগ করবে।
“ইস্রায়েলীদের সঙ্গে তুমি কথা বলো, তাদের জানাও, ‘আমি যে দেশ তাদের দিতে যাচ্ছি, যখন তারা সেই দেশে প্রবেশ করবে, তখন সদাপ্রভুর উদ্দেশে যেন ভূমি বিশ্রাম ভোগ করে।
3 ৩ ছয় বছর তুমি নিজের জমিতে বীজ বপন করবে, ছয় বছর নিজের আঙ্গুরফল পাড়বে ও তার ফল সংগ্রহ করবে।
ছয় বছর ধরে তোমরা ক্ষেতে বীজবপন করবে এবং ছয় বছর ধরে দ্রাক্ষাক্ষেতের অপ্রয়োজনীয় ডালপালা ছাঁটবে ও দ্রাক্ষাফল সংগ্রহ করবে।
4 ৪ কিন্তু সপ্তম বছরে জমির বিশ্রামের জন্য বিশ্রামকাল, সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে বিশ্রামকাল হবে; তুমি নিজের জমিতে বীজ বপন কোরো না ও নিজের আঙ্গুরফল পেড়ো না;
কিন্তু সপ্তম বছরে ভূমি বিশ্রাম, সদাপ্রভুর উদ্দেশে এক বিশ্রাম ভোগ করবে। এই বছরে তোমাদের ক্ষেত্রগুলি বীজবপন করবে না, অথবা দ্রাক্ষাক্ষেতের অনর্থক ডালপালাগুলি ছেঁটে ফেলবে না।
5 ৫ তুমি জমির নিজে থেকে উৎপন্ন শস্য কাটবে না ও না পাড়া আঙ্গুরফল ফল সংগ্রহ করবে না; ওটা জমির বিশ্রামের জন্য বছর হবে।
ক্ষেতগুলি থেকে যে শস্য এমনি এমনি উৎপন্ন হয়েছে তা কাটবে না, অথবা আঝোড়া দ্রাক্ষাফল সংগ্রহ করবে না। ভূমির জন্য বিশ্রামের বছর রাখতে হবে।
6 ৬ আর জমির বিশ্রাম তোমাদের খাবারের জন্য হবে; জমির সব জিনিসই তোমার, তোমার দাসের ও দাসীর, তোমার বেতনভোগী ভৃত্যের ও তোমার সহবাসী বিদেশীর
বিশ্রাম বছর চলাকালীন ভূমির খাদ্যশস্য তোমাদের জন্য—তোমার নিজের, তোমার দাস-দাসী, বেতনজীবী কর্মী, তোমার মাঝে অস্থায়ীভাবে বসবাসকারী মানুষের জন্য
7 ৭ এবং তোমার পশুর ও তোমার দেশের বনপশুর খাবারের জন্য হবে।
এবং তোমার গৃহপালিত সমস্ত পশু ও তোমার দেশের বন্য পশুরাও এই খাদ্যশস্যের অংশীদার। ভূমিতে উৎপন্ন যাবতীয় খাদ্যশস্য ভোজন করতে হবে।
8 ৮ আর তুমি নিজের জন্য সাত বিশ্রামবছর, সাত গুণ সাত বছর, গণনা করবে; তাতে তোমার গণিত সেই সাত গুণ সাত বিশ্রামবছরে ঊনপঞ্চাশ বছর হবে।
“‘সাতটি বিশ্রাম বছর—সাতগুণ সাত বছর—গণনা করবে, যেন সাত বিশ্রাম বছরের মোট সংখ্যা উনপঞ্চাশ বছর হয়।
9 ৯ তখন সপ্তম মাসের দশম দিনের তুমি জয়ধ্বনির তূরী বাজাবে; প্রায়শ্চিত্তদিনের তোমাদের সব দেশে তূরী বাজাবে।
এরপর সপ্তম মাসের দশম দিনে সর্বত্র তূরী বাজাতে হবে; প্রায়শ্চিত্ত দিনে তোমার সারা দেশে তূরী বাজবে।
10 ১০ আর তোমরা পঞ্চাশতম বছরকে পবিত্র করবে এবং সব দেশে সেখানকার সব অধিবাসীর কাছে মুক্তি ঘোষণা করবে; ওটি তোমাদের জন্য যোবেল [তূরীধ্বনির মহোৎসব] হবে এবং তোমরা প্রত্যেকে নিজের নিজের অধিকারে ফিরে যাবে ও প্রত্যেকে নিজের নিজের বংশের কাছে ফিরে যাবে।
পঞ্চাশতম বছর পবিত্র করবে ও সারা দেশে সব বসবাসকারীদের জন্য মুক্তি ঘোষণা করবে। তোমাদের পক্ষে এটি অর্ধশতবার্ষিক মহোৎসব হবে; তোমরা প্রত্যেকজন নিজের নিজের পারিবারিক অধিকারে ও গোষ্ঠীতে ফিরে যাবে।
11 ১১ তোমাদের জন্য পঞ্চাশত্তম বছর যোবেল হবে; তোমরা বীজ বুনো না, নিজে থেকে উৎপন্ন শস্য কেটো না এবং ঝোড়ে না পড়া আঙ্গুরফলের ফল সংগ্রহ কোরো না।
পঞ্চাশতম বছরটি তোমাদের পক্ষে আনন্দ উৎসবের বছর হবে। এসময় কোনো বীজবপন করবে না, ভূমিতে আপনা-আপনি উৎপন্ন শস্যচয়ন অথবা আঝোড়া দ্রাক্ষাফল সংগ্রহ করবে না।
12 ১২ কারণ ওটাই যোবেল, ওটা তোমাদের পক্ষে পবিত্র হবে; তোমরা জমিতে উৎপন্ন শস্য গুলো খেতে পারবে।
কেননা তখন মহোৎসবের সময়, যা তোমাদের জন্য পবিত্র হবে; কেবল ক্ষেতগুলি থেকে সরাসরি তুলে আনা ভক্ষ্য তোমরা ভোজন করবে।
13 ১৩ ঐ যোবেল বছরে তোমরা প্রতিদিন নিজের নিজের অধিকারে ফিরে যাবে।
“‘এই অর্ধশতবার্ষিক অনুষ্ঠানে প্রত্যেকজনকে নিজের নিজের অধিকারে ফিরে আসতে হবে।
14 ১৪ তুমি যদি প্রতিবেশীর কাছে কোনো কিছু বিক্রয় কর, কিংবা নিজের প্রতিবেশীর হাত থেকে কেনো; তবে তোমরা পরস্পর অন্যায় কোরো না।
“‘যদি তোমার কোনো দেশবাসীর কাছে তুমি জমি বিক্রি করো অথবা তার কাছ থেকে জমি কেনো, তাহলে পরস্পর সুযোগ নিও না।
15 ১৫ তুমি যোবেলের পরের বছর-সংখ্যানুসারে প্রতিবেশীর কাছ থেকে কিনবে এবং ফল উৎপত্তির বছর-সংখ্যা অনুসারে তোমার কাছে সে বিক্রি করবে।
অর্ধশতবর্ষের পরে বছর অতিবাহিত হওয়ার ভিত্তিতে তুমি দেশবাসীর নিকট থেকে কিনবে এবং শস্য সংগ্রহের জন্য অবশিষ্ট বছরগুলির ভিত্তিতে সে বিক্রি করবে।
16 ১৬ তুমি বছরের বেশী অনুসারে মূল্যবেশী করবে ও বছরের কম অনুসারে মূল্য কম করবে; কারণ সে তোমার কাছে ফল উৎপত্তির দিনের সংখ্যা অনুসারে বিক্রি করে।
বছর-সংখ্যার আধিক্য অনুসারে তুমি মূল্য বৃদ্ধি করবে ও বছর সংখ্যা কম হলে তুমি মূল্য কম করবে, কারণ আসলে সে তোমার কাছে ফলোৎপাদক সংখ্যা অনুসারে বিক্রি করবে।
17 ১৭ তোমরা তোমাদের প্রতিবেশীর প্রতি অন্যায় কোরো না, কিন্তু নিজের ঈশ্বরকে ভয় কোরো, কারণ আমি সদাপ্রভু তোমাদের ঈশ্বর।
তোমরা পরস্পর সুযোগ নিও না, কিন্তু ঈশ্বরকে ভয় কোরো। আমি তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু।
18 ১৮ আর তোমরা আমার ব্যবস্থা অনুসারে আচরণ করবে, আমার শাসন সব মানবে ও তা পালন করবে; তাতে দেশে নির্ভয়ে বাস করবে।
“‘আমার অনুশাসনের অনুগামী হও এবং আমার সব বিধান মেনে চলতে যত্নশীল থেকো, তাহলে তোমরা দেশে নিরাপদে বসবাস করবে।
19 ১৯ আর জমি নিজে ফল উৎপন্ন করবে, তাতে তোমরা তৃপ্তি পর্যন্ত খাবে ও দেশে নির্ভয়ে বাস করবে।
ভূমি ফল উৎপন্ন করবে এবং তৃপ্তি অবধি তোমরা ভোজন করবে ও তোমাদের নিরাপত্তা থাকবে।
20 ২০ আর যদি তোমরা বল, দেখ, আমরা সপ্তম বছরে কি খাব? দেখ, আমরা ত জমিতে বপন করব না ও উৎপন্ন ফল সংগ্রহ করব না;
তোমাদের প্রশ্ন থাকতে পারে, “সপ্তম বছরে আমরা কী ভোজন করব, যদি আমরা বীজবপন ও শস্য সংগ্রহ না করি?”
21 ২১ তবে আমি ষষ্ট বছরে তোমাদেরকে আশীর্বাদ করব; তাতে তিন বছরের জন্য শস্য উৎপন্ন হবে।
ষষ্ঠ বছরে আমি এমন আশীর্বাদ বর্ষণ করব যে তিন বছরের জন্য জমিতে প্রচুর ফসল উৎপন্ন হবে।
22 ২২ পরে অষ্টম বছরে তোমরা বপন করবে ও নবম বছর পর্যন্ত পুরানো শস্য খাবে; যতক্ষণ ফল না হয়, ততক্ষণ পুরানো শস্য খাবে।
অষ্টম বছরে বীজ বপনকালের আগে সংগৃহীত ফসল থেকে তোমরা ভোজন করবে এবং নবম বছরে ফসল সংগৃহীত না হওয়া পর্যন্ত তোমরা পুরোনো খাদ্য ভোজন করবে।
23 ২৩ আর জমি চিরদিনের র জন্য বিক্রি হবে না, কারণ জমি আমারই; তোমরা ত আমার সঙ্গে বিদেশী ও প্রবাসী।
“‘চিরদিনের জন্য ভূমি বিক্রি করা যাবে না, কেননা ভূমি আমার এবং তোমরা প্রবাসী ও ভাড়াটিয়া ব্যতীত আর কিছু নও।
24 ২৪ আর তোমরা নিজেদের অধিকার করা দেশের সব জমি মুক্ত করতে দিও।
সারা দেশে তোমরা যে ভূমির অধিকারী হয়েছ, তা মুক্ত করতে তোমরা অবশ্যই সুযোগ দিয়ো।
25 ২৫ তোমার ভাই যদি গরিব হয়ে নিজের অধিকারের কিছু বিক্রি করে, তবে তার মুক্তিকর্তার কাছে আত্মীয় এসে নিজের ভাইয়ের বিক্রি করা জমি মুক্ত করে নেবে।
“‘যদি তোমার স্বদেশবাসীর মধ্যে কেউ দরিদ্র হয় এবং সে তার কিছু জমি বিক্রি করে, তাহলে তার নিকটতম আত্মীয় আসবে ও স্বদেশবাসীর বিক্রীত ভূমি মুক্ত করবে।
26 ২৬ যার মুক্তিকর্তা নেই, সে যদি ধনবান্ হয়ে নিজে তা মুক্ত করতে সমর্থ হয়,
অন্যদিকে, যদি এমন কেউ থাকে, যার ভূমির মুক্তিকর্তা কেউ নেই, কিন্তু সে নিজে সমৃদ্ধিশালী হয় এবং ভূমি মুক্ত করতে তার যথেষ্ট সঙ্গতি থাকে,
27 ২৭ তবে সে তার বিক্রির বছরে গণনা করে সেই অনুসারে অতিরিক্ত মূল্য ক্রেতাকে ফিরিয়ে দেবে; এভাবে সে নিজের অধিকারে ফিরে যাবে।
তাহলে বিক্রি করার সময় থেকে পরবর্তী বছরগুলির জন্য সে মূল্য নির্ধারণ করবে ও বিক্রীত মূল্য ক্রেতাকে ফেরত দেবে; পরে সে নিজের অধিকারে ফিরে যাবে।
28 ২৮ কিন্তু যদি সে তা ফিরিয়ে নিতে অসমর্থ হয়, তবে সেই বিক্রীত অধিকার যোবেল বছর পর্যন্ত ক্রেতার হাতে থাকবে; যোবেলে তা মুক্ত হবে এবং সে নিজের অধিকারে ফিরে যাবে।
কিন্তু ক্রেতার পাওনা মেটাতে যদি তার সামর্থ্য না থাকে, তাহলে অর্ধশতবার্ষিক পর্যন্ত বিক্রীত সম্পদ ক্রেতার কাছে থাকবে। অর্ধশতবার্ষিকীর সময় তা ফিরিয়ে দেওয়া হবে এবং সে নিজের অধিকারে ফিরে যাবে।
29 ২৯ আর যদি কেউ প্রাচীরে ঘেরা নগরের মাঝখানে বাসগৃহ বিক্রয় করে, তবে সে বিক্রয়-বছরের শেষ পর্যন্ত তা মুক্ত করতে পারবে, পূর্ণ এক বছরের মধ্যে তা মুক্ত করবার অধিকারী থাকবে।
“‘যদি কোনো ব্যক্তি প্রাচীরবেষ্টিত নগরে তার বাড়ি বিক্রি করে তাহলে বিক্রি করার সময় থেকে সম্পূর্ণ এক বছর পর্যন্ত তার মুক্ত করার অধিকার থাকবে। ওই সময়ের মধ্যে বিক্রেতা মুক্ত করতে পারবে।
30 ৩০ কিন্তু যদি সম্পূর্ণ এক বছর দিনের র মধ্যে তা মুক্ত না হয়, তবে প্রাচীরে ঘেরা নগরের মধ্যে সেই গৃহ পুরুষপরম্পরায় ক্রয়কর্তার চিরস্থায়ী অধিকার হবে; তা যোবেলে মুক্ত হবে না।
যদি সম্পূর্ণ এক বছরের আগে তা মুক্ত করা না হয়, তাহলে প্রাচীরবেষ্টিত নগরের বাড়িটি চিরদিনের জন্য ক্রেতার ও তার বংশধরদের হয়ে যাবে। অর্ধশতবর্ষে এই সম্পত্তি ফেরত দেওয়া হবে না।
31 ৩১ কিন্তু প্রাচীরছাড়া গ্রামে অবস্থিত গৃহ দেশের জমির মধ্যে গণনা হবে; তা মুক্ত করা যেতে পারে এবং যোবেলে তা মুক্ত হবে।
কিন্তু প্রাচীরহীন গ্রামগুলিতে নির্মিত বাড়িগুলি দেশের সার্বিক সম্পত্তিরূপে বিবেচিত হবে। এগুলি মুক্ত করা যাবে এবং অর্ধশতবর্ষে ফেরত দেওয়া হবে।
32 ৩২ কিন্তু লেবীয়দের নগর সব, তাদের অধিকারে নগরের গৃহ সব মুক্ত করবার অধিকার লেবীয়দের সব দিন ই থাকবে।
“‘লেবীয় অধ্যুষিত নগরগুলিতে নির্মিত লেবীয়দের বাড়িগুলি মুক্ত করতে লেবীয়দের সবসময় অধিকার থাকবে, যেগুলি তাদের অধিকৃত।
33 ৩৩ যদি লেবীয়দের কেউ মুক্ত করে, তবে সেই বিক্রীত গৃহ এবং তার অধিকারের নগর যোবেলে মুক্ত হবে; কারণ ইস্রায়েল-সন্তানদের মধ্যে লেবীয়দের নগরের গৃহ সব তাদের অধিকার।
সুতরাং লেবীয়দের সম্পত্তি মুক্তিযোগ্য অর্থাৎ যে কোনো নগরে তাদের অধিকৃত বাড়ি বিক্রীত হলে অর্ধশতবর্ষে তা ফেরত দিতে হবে, কারণ লেবীয়দের নগরগুলিতে নির্মিত বাড়িগুলি ইস্রায়েলীদের মাঝে লেবীয়দের সম্পত্তি।
34 ৩৪ আর তাদের নগরের চরাণিভূমি বিক্রীত হবে না; কারণ তাই তাদের চিরস্থায়ী অধিকার।
কিন্তু তাদের নগরগুলির চারণভূমি বিক্রি করা যাবে না; এটি তাদের চিরস্থায়ী অধিকার।
35 ৩৫ আর তোমার ভাই যদি গরিব হয় ও তোমার কাছে শূন্যহাত হয়, তবে তুমি তার উপকার করবে; সে বিদেশী ও প্রবাসীর মত তোমার সঙ্গে জীবন ধারণ করবে।
“‘যদি তোমাদের দেশবাসীর মধ্যে কেউ দরিদ্র ও তোমাদের মাঝে নিজের ভরণ-পোষণ চালাতে অসমর্থ হয়, তাহলে তাকে সাহায্য করো, যেমন তোমরা বিদেশি এবং অপরিচিতদের প্রতি করে থাকো; যেন তোমাদের মাঝে সে বসবাস করতে পারে।
36 ৩৬ তুমি তা থেকে সুদ কিংবা বৃদ্ধি নেবে না, কিন্তু নিজের ঈশ্বরকে ভয় করবে, তোমার ভাইকে তোমার সঙ্গে জীবন ধারণ করতে দেবে।
তার কাছ থেকে কোনোরকম সুদ অথবা সুবিধা গ্রহণ করবে না, কিন্তু তোমাদের ঈশ্বরকে ভয় করবে, যেন তোমাদের দেশবাসী তোমাদের মাঝে বসবাস করতে পারে।
37 ৩৭ তুমি সুদের জন্য তাকে টাকা দেবে না ও বৃদ্ধির জন্য তাকে অন্ন দেবে না।
সুদ গ্রহণের শর্তে তুমি তাকে অর্থ ধার দিতে পারবে না, অথবা লাভের আশায় তার কাছে খাদ্য বিক্রি করবে না।
38 ৩৮ আমি সদাপ্রভু তোমাদের সেই ঈশ্বর, যিনি তোমাদেরকে কনান দেশ দেবার জন্য ও তোমাদের ঈশ্বর হবার জন্য তোমাদেরকে মিশর দেশ থেকে বের করে এনেছেন।
আমি তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু, যিনি মিশর দেশ থেকে তোমাদের বের করে এনেছেন, যেন কনান দেশ তোমাদের দেন ও তোমাদের ঈশ্বর হন।
39 ৩৯ আর তোমার ভাই যদি গরিব হয়ে তোমার কাছে নিজেকে বিক্রয় করে, তবে তুমি তাকে দাসের মত কাজ কোরো না।
“‘যদি তোমার দেশবাসীর মধ্যে কেউ দরিদ্র হয় ও তোমার কাছে নিজেকে বিক্রি করে, এক ক্রীতদাসরূপে তাকে কাজ করতে দিয়ো না।
40 ৪০ সে বেতনজীবী মজুরের মত কিংবা প্রবাসীর মত তোমার সঙ্গে থাকবে, যোবেল বছর পর্যন্ত তোমার দাস্যকর্ম্ম করবে।
এক বেতনজীবী কর্মী অথবা তোমার মাঝে এক অস্থায়ী বাসিন্দারূপে তার প্রতি আচরণ করতে হবে। অর্ধশত বছর পর্যন্ত তোমার জন্য সে কাজটি করবে।
41 ৪১ পরে সে নিজের সন্তানদের সঙ্গে তোমার কাছ থেকে মুক্ত হয়ে নিজের বংশের কাছে ফিরে যাবে ও নিজের পৈতৃক অধিকারে ফিরে যাবে।
পরে সে ও তার সন্তানেরা মুক্ত হবে এবং সে তার গোষ্ঠীতে ও তার পিতৃপুরুষদের অধিকারে ফিরে যাবে।
42 ৪২ কারণ তারা আমারই দাস, যাদেরকে আমি মিশর দেশ থেকে বের করে এনেছি; তাদের দাসের মত বিক্রি করা হবে না।
যেহেতু ইস্রায়েলীরা আমার ভৃত্য, আমি মিশর থেকে যাদের বের করেছিলাম; তারা কোনোমতে ক্রীতদাসরূপে বিক্রীত হবে না।
43 ৪৩ তুমি তার উপরে কঠিন কর্তৃত্ব কোরো না, কিন্তু নিজের ঈশ্বরকে ভয় কোরো।
নির্দয়ভাবে তাদের শাসন করবে না, কিন্তু তোমাদের ঈশ্বরকে ভয় কোরো।
44 ৪৪ তোমাদের চারদিকে জাতিগণের মধ্য থেকে তোমরা দাস ও দাসী রাখতে পারবে; তাদের থেকেই তোমরা দাস ও দাসী ক্রয় কোরো।
“‘তোমাদের ক্রীতদাস ও দাসীরা তোমাদের চারপাশের দেশ থেকে আসবে; তাদের মধ্যে থেকে তোমরা দাস ও দাসী কিনতে পারবে।
45 ৪৫ আর তোমাদের মধ্য প্রবাসী বিদেশীদের সন্তানদের থেকে এবং তোমাদের দেশে তাদের উৎপন্ন তাদের যে যে বংশ তোমাদের সঙ্গে আছে, তাদের থেকেও ক্রয় কোরো; তারা তোমাদের অধিকার হবে।
তোমাদের মাঝে বসবাসকারী অস্থায়ী বাসিন্দাদের মধ্য থেকে কয়েকজনকে ও তোমাদের দেশে তাদের গোষ্ঠীজাত সদস্যদের তোমরা কিনতে পারো এবং তারা তোমাদের সম্পদ হবে।
46 ৪৬ আর তোমরা নিজের নিজের ভাবী সন্তানদের অধিকারের জন্য দায়ভাগ দ্বারা তাদেরকে দিতে পার এবং নিত্য নিজেদের দাস্যকর্ম তাদেরকে দিয়ে করাতে পার; কিন্তু তোমাদের ভাই ইস্রায়েল-সন্তানদের মধ্যে তোমরা কেউ কারও কঠিন কর্তৃত্ব করবে না।
তোমাদের সন্তানদের পক্ষে অধিকৃত সম্পদরূপে তোমরা তাদেরকে দিতে পারো এবং সারা জীবনের জন্য তাদের ক্রীতদাস করে রাখতে পারো, কিন্তু তোমাদের সঙ্গী ইস্রায়েলীদের ওপরে নির্দয়ভাবে শাসন করতে পারবে না।
47 ৪৭ আর যদি তোমাদের মধ্যে কোন বিদেশী কিংবা প্রবাসী ধনবান হয় এবং তার কাছাকাছি তোমার ভাই গরিব হয়ে যদি তোমার কাছাকাছি প্রবাসী, বিদেশী কিংবা বিদেশীয় গোত্রের কোনো লোকের কাছে নিজেকে বিক্রয় করে,
“‘তোমাদের মাঝে বসবাসকারী কোনো বিদেশি যদি ধনী হয় এবং তোমাদের কোনো একজন ইস্রায়েলী দেশবাসী দরিদ্র হয় ও সেই বিদেশির অথবা প্রবাসীগোষ্ঠীর কোনো এক সদস্যের কাছে নিজেকে বিক্রি করে,
48 ৪৮ তবে সে বিক্রীত হবার পরে মুক্ত হতে পারবে; তার আত্মীয়ের মধ্যে কেউ তাকে মুক্ত করতে পারবে;
বিক্রীত হওয়ার পরে তার মুক্তিলাভের অধিকার থাকবে; তার কোনো এক আত্মীয় তাকে মুক্ত করতে পারবে।
49 ৪৯ তার কাকা কিংবা কাকার ছেলে তাকে মুক্ত করবে, কিংবা তার বংশের কাছের কোন আত্মীয় তাকে মুক্ত করবে; কিংবা যদি সে ধনবান্ হয়ে উঠে, তবে নিজেকে মুক্ত করবে।
তার জ্যাঠা, কাকা অথবা জ্ঞাতিভাই বা বোন কিংবা তার গোষ্ঠীর রক্তের সম্পর্কযুক্ত কেউ তাকে মুক্ত করতে পারবে। অথবা যদি সে সম্পদশালী হয়, তাহলে নিজেই নিজেকে মুক্ত করবে।
50 ৫০ তাতে তার বিক্রয় বছর থেকে যোবেল বছর পর্যন্ত ক্রেতার সঙ্গে হিসাব হলে বছরের সংখ্যা অনুসারে তার মূল্য হবে; ওর কাছে তার থাকবার দিন বেতনজীবী দিনের র মত হবে।
বিক্রি করার বছর থেকে পঞ্চাশ বছর পর্যন্ত সে ও তার ক্রেতা সময় গণনা করবে। বছরগুলির সংখ্যা সাপেক্ষে বেতনজীবী মানুষের প্রতি বেতন দেওয়ার হারের ভিত্তিতে তার মুক্তির মূল্য ধার্য হবে।
51 ৫১ যদি অনেক বছর বাকি থাকে, তবে সেই অনুসারে সে ক্রয়-মূল্য থেকে নিজের মুক্তির মূল্য ফিরিয়ে দেবে।
যদি অনেক বছর অবশিষ্ট থাকে, তাহলে ক্রয় মূল্য থেকে বেশিরভাগটাই সে নিজের মুক্তির জন্য অবশ্যই দেবে।
52 ৫২ যদি যোবেল বৎসরের অল্প বৎসর বাকি থাকে, তবে সে তার সঙ্গে হিসাব করে সেই কয়েক বছর অনুসারে নিজের মুক্তির মূল্য ফিরিয়ে দেবে।
যদি অর্ধশত বছর না আসা পর্যন্ত কেবল কয়েক বছর অবশিষ্ট থাকে, তাহলে সে তা গণনা করবে ও তদনুসারে নিজের মুক্তির জন্য মূল্য দেবে।
53 ৫৩ বছরের পর বছর ভাড়া করা মজুরের মত সে তার সঙ্গে থাকবে; তোমার সাক্ষাৎে সে তার উপরে কঠিন কর্তৃত্ব করবে না।
বছরের পর বছর ধরে এক ভাড়া করা মানুষরূপে তার প্রতি আচরণ করা হবে; তুমি অবশ্যই নজর রাখবে, যেন তার মালিক তাকে নির্দয়ভাবে শাসন না করে।
54 ৫৪ আর যদি সে ঐ সব বছরে মুক্ত না হয়, তবে যোবেল বছরে নিজের সন্তানদের সঙ্গে মুক্ত হয়ে যাবে।
“‘যদি এই উপায়গুলির কোনো উপায়ে সে মুক্তি না পায়, তাহলে সে ও তার সন্তানেরা পঞ্চাশতম বছরে মুক্ত হবে,
55 ৫৫ কারণ ইস্রায়েল-সন্তানরা আমারই দাস; তারা আমার দাস, যাদেরকে আমি মিশর দেশ থেকে বের করে এনেছি; আমি সদাপ্রভু তোমাদের ঈশ্বর।
কেননা ইস্রায়েলীরা দাসরূপে আমার অধিকার। ওরা আমার দাস-দাসী, আমি মিশর থেকে যাদের বের করে এনেছি। আমি তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু।