< যিরমিয়ের বিলাপ 3 >
1 ১ আমি সেই লোক, যে সদাপ্রভুর ক্রোধের দণ্ডের মাধ্যমে দুঃখ দেখেছে।
আমিই সেই ব্যক্তি, যে সদাপ্রভুর ক্রোধের দণ্ড দ্বারা কৃত দুঃখকষ্ট দেখেছে।
2 ২ তিনি আমাকে চালিয়েছেন এবং আমাকে আলোর বদলে অন্ধকারে হাঁটিয়েছেন।
তিনি আমাকে তাড়িয়ে নিয়ে গেছেন এবং আলোতে নয় অন্ধকারে গমন করিয়েছেন;
3 ৩ অবশ্যই তিনি আমার বিরুদ্ধে ফিরে গেছেন; তিনি তাঁর হাত আমার বিরুদ্ধে সারা দিন ধরে ফিরিয়ে নেন।
সত্যিই, তিনি সমস্ত দিন, বারংবার আমার বিরুদ্ধে তাঁর হাত তুলেছেন।
4 ৪ তিনি আমার মাংস ও আমার চামড়া ক্ষয়প্রাপ্ত করেছেন; তিনি আমার হাড়গুলি ভেঙে দিয়েছেন।
তিনি আমার চামড়া ও আমার মাংস জীর্ণ হতে দিয়েছেন, তিনি আমার হাড়গুলি ভেঙে ফেলেছেন।
5 ৫ তিনি আমাকে অবরোধ করেছেন এবং আমাকে তিক্ততা ও কঠিন পরিশ্রমের মাধ্যমে ঘিরে রেখেছেন;
তিনি তিক্ততা ও দুর্দশা দিয়ে আমাকে অবরুদ্ধ করেছেন ও ঘিরে ধরেছেন।
6 ৬ তিনি আমাকে অন্ধকার জায়গায় বাস করিয়েছেন, দীর্ঘ দিনের র মৃতদের মতো করেছেন।
যারা অনেক দিন আগে মারা গেছে, তাদের মতো তিনি আমাকে অন্ধকারে বসতি করান।
7 ৭ তিনি আমার চারিদিকে দেওয়াল তুলে দিয়েছেন, যাতে আমি পালাতে না পারি; তিনি আমার শিকল ভারী করে দিয়েছেন।
তিনি আমার চারপাশে বেড়া দিয়েছেন, যেন আমি পালাতে না পারি; তিনি শিকল দিয়ে আমাকে ভারাক্রান্ত করেছেন।
8 ৮ যখন আমি কাঁদি এবং সাহায্যের জন্যে চিত্কার করি, তিনি আমার প্রার্থনা শোনেন না।
এমনকি, যখন আমি সাহায্যের জন্য তাঁকে ডাকি বা কাঁদি, তিনি আমার প্রার্থনা শোনেন না।
9 ৯ তিনি ক্ষোদিত পাথরের দেওয়াল তুলে আমার রাস্তা আঁটকে দিয়েছেন, তিনি সব পথ বাঁকা করেছেন।
বিশাল সব পাথর দিয়ে তিনি আমার পথ অবরুদ্ধ করেছেন, তিনি আমার সব পথ বাঁকা করেছেন।
10 ১০ তিনি আমার কাছে ওৎ পেতে থাকা ভাল্লুকের মতো, একটা লুকিয়ে থাকা সিংহের মতো।
ভালুক যেমন লুকিয়ে ওৎ পাতে, যেভাবে সিংহ গোপনে লুকিয়ে থাকে,
11 ১১ তিনি আমার পথকে অন্য দিকে ঘুরিয়েছেন, তিনি আমাকে টুকরো টুকরো করেছেন এবং আমাকে নিঃসঙ্গ করেছেন।
সেইভাবে তিনি আমাকে পথ থেকে টেনে এনে খণ্ডবিখণ্ড করেছেন এবং আমাকে সহায়হীন করেছেন।
12 ১২ তিনি তাঁর ধনুকে টান দিয়েছেন এবং আমাকে তীরের লক্ষ্য হিসাবে চিহ্নিত করেছেন।
তিনি তাঁর ধনুকে চাড়া দিয়েছেন, এবং আমাকে তাঁর তিরগুলির লক্ষ্যবস্তু করেছেন।
13 ১৩ তিনি তাঁর তূণের তীর আমার হৃদয়ে বিদ্ধ করিয়েছেন।
তাঁর তূণের তির দিয়ে তিনি বিদ্ধ করেছেন আমার হৃদয়।
14 ১৪ আমি আমার সব লোকদের কাছে হাস্যকর ও দিনের পর দিন তাদের উপহাসের গানের বিষয় হয়েছি।
আমার সব লোকজনদের কাছে আমি হাসির খোরাক হয়েছি; তারা সারাদিন আমাকে নিয়ে বিদ্রুপাত্মক গান গায়।
15 ১৫ তিনি তিক্ততায় আমাকে ভরে দিয়েছেন এবং তেতো রস পান করতে বাধ্য করেছেন।
তিনি আমাকে তিক্ততায় পূর্ণ করেছেন, এবং পান করার জন্য আমাকে এক বিষপূর্ণ পানপাত্র দিয়েছেন।
16 ১৬ তিনি কাঁকর দিয়ে আমার দাঁত ভেঙে দিয়েছেন, তিনি আমাকে ছাইয়ের মধ্যে ঠেলে দিয়েছেন।
তিনি কাঁকর দিয়ে আমার দাঁত ভেঙেছেন; তিনি ধুলিতে আমাকে পদদলিত করেছেন।
17 ১৭ তুমি আমার জীবন থেকে শান্তি সরিয়ে নিয়েছ; আনন্দ আমি ভুলে গিয়েছি।
আমি শান্তি থেকে বঞ্চিত হয়েছি, আমি ভুলে গিয়েছি সমৃদ্ধি কাকে বলে।
18 ১৮ তাই আমি বললাম, “আমার শক্তি ও সদাপ্রভুতে আমার আশা নষ্ট হয়েছে।”
তাই আমি বলি, “আমার জৌলুস শেষ হয়ে গেছে, এবং সদাপ্রভুর কাছ থেকে আমার সব প্রত্যাশার অবসান হয়েছে।”
19 ১৯ মনে কর আমার দুঃখ ও আমার বিপথে যাওয়া, তেতো রস এবং বিষ।
আমি আমার কষ্ট ও অস্থির বিচরণ স্মরণ করি, আমার তিক্ততা ও পিত্তের কথা।
20 ২০ আমি অবশ্যই তা মনে রাখছি এবং আমি নিজের কাছে নত হচ্ছি।
সেগুলি আমার ভালোভাবেই স্মরণে আছে, এবং আমার প্রাণ আমারই মধ্যে অবসন্ন হয়েছে।
21 ২১ কিন্তু আমি আবার মনে করি; তাই আমার আশা আছে।
তবুও আমি আবার একথা স্মরণ করি, আর তাই আমার আশা জেগে আছে:
22 ২২ সদাপ্রভুর দয়ার জন্য আমরা নষ্ট হয়নি; কারণ তাঁর দয়া শেষ হয়নি।
সদাপ্রভুর মহৎ প্রেমের জন্য আমরা নষ্ট হইনি, কেননা তাঁর সহানুভূতি কখনও শেষ হয় না।
23 ২৩ প্রতি সকালে সেগুলি নতুন! তোমার বিশ্বস্ততা মহান।
প্রতি প্রভাতে তা নতুন করে দেখা দেয়; তোমার বিশ্বস্ততা মহৎ।
24 ২৪ আমার প্রাণ বলে, “সদাপ্রভুই আমার অধিকার,” তাই আমি তাঁর উপর আশা করব।
আমি নিজেকে বলি, “সদাপ্রভু আমার অধিকার; এজন্য আমি তাঁর প্রতীক্ষায় থাকব।”
25 ২৫ সদাপ্রভু তার জন্যই ভালো যে তার অপেক্ষা করে, সেই জীবনের পক্ষে যা তাকে খোঁজে।
যারা সদাপ্রভুর উপরে তাদের আশা রাখে, এবং যারা তাঁর অন্বেষণ করে, তিনি তাদের পক্ষে মঙ্গলময়;
26 ২৬ সদাপ্রভুর পরিত্রানের জন্য নীরবে অপেক্ষা করাই ভালো।
সদাপ্রভুর পরিত্রাণের জন্য শান্তভাবে অপেক্ষা করা ভালো।
27 ২৭ একজন মানুষের পক্ষে যৌবনকালে যোঁয়ালী বহন করা ভালো।
মানুষের যৌবনকালে জোয়াল বহন করা উত্তম।
28 ২৮ তাকে একা ও নীরবে বসতে দাও, কারণ সদাপ্রভু তার ওপরে যোঁয়ালী চাপিয়েছেন।
নীরবে সে একা বসে থাকুক, কেননা সেই জোয়াল সদাপ্রভু তার উপরে দিয়েছেন।
29 ২৯ সে ধূলোতে মুখ দিক, তবে হয়তো আশা হলেও হতে পারে।
সে ধুলোয় নিজের মুখ ঢেকে রাখুক— হয়তো তখনও আশা থাকতে পারে।
30 ৩০ যে তাকে মারছে তার কাছে গাল পেতে দিক। তাকে অপমানে পরিপূর্ণ হতে দাও।
যে তাকে আঘাত করেছে, তার প্রতি সে গাল পেতে দিক, এবং সে অপমানে পূর্ণ হোক।
31 ৩১ কারণ প্রভু চিরকালের জন্য তাকে ত্যাগ করবেন না!
কারণ প্রভু মানুষকে চিরকালের জন্য পরিত্যাগ করেন না।
32 ৩২ যদিও দুঃখ দেন, তবুও নিজের মহান দয়া অনুসারে করুণা করবেন।
যদিও তিনি তাকে দুঃখ দেন, তাহলেও তিনি করুণা প্রদর্শন করবেন, তাঁর অব্যর্থ ভালোবাসা এমনই মহান।
33 ৩৩ কারণ তিনি হৃদয়ের সঙ্গে দুঃখ দেন না, মানুষের সন্তানদের শোকার্ত করেন না।
কারণ তিনি ইচ্ছা করে মানবসন্তানদের কষ্ট বা মনোদুঃখ দেন না।
34 ৩৪ লোকে যে পৃথিবীর বন্দীদের সবাইকে পায়ের তলায় পিষে দেয়,
দেশের সব বন্দিকে যদি লোকেরা পদতলে দলিত করে,
35 ৩৫ সর্বশক্তিমানের সামনে মানুষের প্রতি অন্যায় করে,
পরাৎপর ঈশ্বরের সামনে যদি মানুষকে তার ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করে,
36 ৩৬ একজন লোক তার অন্যায় চেপে রাখে, তা সদাপ্রভু কি দেখতে পান না?
তারা যদি ন্যায়বিচার না পায়— তাহলে প্রভু কি এসব বিষয় দেখবেন না?
37 ৩৭ প্রভু আদেশ না করলে কার কথা সফল হতে পারে?
প্রভু যদি অনুমতি না দেন তাহলে কে কিছু বলে তা ঘটাতে পারে?
38 ৩৮ সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের মুখ থেকে কি বিপদ ও ভালো বিষয় দুইই বের হয় না?
পরাৎপর ঈশ্বরের মুখ থেকে কি বিপর্যয় ও উত্তমতা দুই-ই নির্গত হয় না?
39 ৩৯ যে কোনো জীবিত লোক তার পাপের শাস্তির জন্য কেমন করে অভিযোগ করতে পারে?
তাহলে তাদের পাপের জন্য শাস্তি পেলে জীবিত মানুষমাত্র কেন অভিযোগ করে?
40 ৪০ এস, আমরা নিজের নিজের রাস্তা বিচার করি ও পরীক্ষা করি এবং সদাপ্রভুর কাছে ফিরে যাই।
এসো আমরা নিজেদের জীবনাচরণ যাচাই ও পরীক্ষা করি, আর এসো, আমরা সদাপ্রভুর পথে ফিরে যাই।
41 ৪১ এস, হাতের সঙ্গে হৃদয়কে ও স্বর্গের নিবাসী ঈশ্বরের দিকে হাত উঠাই এবং প্রার্থনা করি:
এসো, আমরা স্বর্গের ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে আমাদের হৃদয় ও আমাদের হাতগুলি তুলে ধরি, এবং বলি:
42 ৪২ “আমরা তোমার বিরুদ্ধে পাপ ও বিদ্রোহ করেছি; তাই তুমি ক্ষমা করনি।
“আমরা পাপ করেছি ও বিদ্রোহী হয়েছি, এবং তুমি আমাদের ক্ষমা করোনি।
43 ৪৩ তুমি নিজেকে রাগে ঢেকে আমাদেরকে তাড়না করেছ, হত্যা করেছ, দয়া করনি।
“তুমি ক্রোধে নিজেকে আচ্ছাদন করে আমাদের তাড়া করেছ; কোনো মমতা ছাড়াই তুমি হত্যা করেছ।
44 ৪৪ তুমি নিজেকে মেঘে ঢেকে রেখেছ, তাই কোনো প্রার্থনা তা ভেদ করতে পারেনা।
তুমি মেঘ দ্বারা নিজেকে ঢেকেছ, ফলে কোনো প্রার্থনা তা ভেদ করতে পারে না।
45 ৪৫ তুমি জাতিদের মধ্যে আমাদেরকে জঞ্জাল ও আবর্জনা করেছ।
তুমি জাতিগণের মধ্যে আমাদের আবর্জনা ও বর্জ্যপদার্থের মতো অবস্থা করেছ।
46 ৪৬ আমাদের সব শত্রু আমাদের বিরুদ্ধে উপহাসের সঙ্গে মুখ খুলেছে।
“আমাদের সব শত্রু আমাদের বিরুদ্ধে তাদের মুখ হাঁ করে খুলে আছে।
47 ৪৭ ভয় ও ফাঁদ, নির্জনতা ও ধ্বংস আমাদের ওপরে এসেছে।”
আমরা ত্রাস ও ফাঁদ, ধ্বংস ও বিনাশের মুখে পড়েছি।”
48 ৪৮ আমার লোকের মেয়ের ধ্বংসের জন্য আমার চোখে জলের ধারা বয়ে যাচ্ছে।
আমার দু-চোখ দিয়ে অশ্রুধারা বয়ে যাচ্ছে কেননা আমার লোকেরা ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে।
49 ৪৯ আমার চোখে সবদিন জলে বয়ে যাচ্ছে, থামে না,
আমার অশ্রু অবিরাম বয়ে যায়, তার কোনো উপশম হয় না,
50 ৫০ যে পর্যন্ত সদাপ্রভু স্বর্গ থেকে নীচু হয়ে না তাকান।
যতক্ষণ না সদাপ্রভু স্বর্গ থেকে নিচে দৃষ্টিপাত করেন।
51 ৫১ আমার শহরের সমস্ত মেয়ের জন্য আমার চোখ আমার জীবনে কঠিন ব্যথা আনে।
আমার নগরের সমস্ত নারীর যে দশা আমি দেখি, তা আমার প্রাণকে দুঃখ দেয়।
52 ৫২ বিনা কারণে যারা আমার শত্রু, তারা আমাকে পাখির মতো শিকার করেছে।
যারা বিনা কারণে আমার শত্রু হয়েছিল, তারা পাখির মতো আমাকে শিকার করেছে।
53 ৫৩ তারা আমার জীবন কুয়োতে ধ্বংস করেছে এবং আমার ওপরে পাথর ছুঁড়েছে।
তারা গর্তে ফেলে আমার প্রাণ শেষ করতে চেয়েছে, তারা আমার দিকে পাথর ছুঁড়েছে;
54 ৫৪ আমার মাথার ওপর দিয়ে জল বয়ে গেল; আমি বললাম, “আমি ধ্বংস হয়েছি।”
জলরাশি আমার মাথার উপরে উঠেছে, এবং আমি ভেবেছিলাম, আমি প্রায় নিশ্চিহ্ন হতে চলেছি।
55 ৫৫ হে সদাপ্রভু, আমি নীচের গর্তের ভিতর থেকে তোমার নাম ডেকেছি।
গর্তের গভীর তলদেশ থেকে হে সদাপ্রভু, আমি তোমার নামে ডেকেছি।
56 ৫৬ তুমি আমার কন্ঠস্বর শুনেছ; যখন আমি বললাম, “আমার সাহায্যের জন্য তোমার কান লুকিয়ে রেখো না।”
তুমি আমার এই বিনতি শুনেছ: “উপশম লাভের জন্য আমার কান্নার প্রতি তুমি তোমার কান রুদ্ধ কোরো না।”
57 ৫৭ যে দিন আমি তোমাকে ডেকেছি, সেই দিন তুমি আমার কাছে এসেছ এবং আমাকে বলেছ, “ভয় কোরো না।”
আমি তোমাকে ডাকলে তুমি নিকটে এলে, আর তুমি বললে, “ভয় কোরো না।”
58 ৫৮ হে প্রভু, তুমি আমার জীবনের সমস্ত বিবাদগুলি সমাধান করেছ; আমার জীবন মুক্ত করেছ।
হে সদাপ্রভু, তুমি আমার পক্ষ নিয়েছ; তুমি আমার জীবন মুক্ত করেছ।
59 ৫৯ হে সদাপ্রভু, তুমি আমার প্রতি করা অত্যাচার দেখেছ, আমার বিচার ন্যায্যভাবে কর।
হে সদাপ্রভু, আমার প্রতি যে অন্যায় করা হয়েছে, তা তুমি দেখেছ। আমার বিচার করে তুমি আমাকে নির্দোষ প্রতিপন্ন করো!
60 ৬০ ওদের সব প্রতিশোধ ও আমার বিরুদ্ধে করা সমস্ত পরিকল্পনা তুমি দেখেছ।
তাদের প্রতিশোধ গ্রহণের গভীরতা, আমার বিরুদ্ধে তাদের সব ষড়যন্ত্র তুমি দেখেছ।
61 ৬১ হে সদাপ্রভু, তুমি ওদের অবজ্ঞা ও আমার বিরুদ্ধে করা ওদের সকল পরিকল্পনা শুনেছ;
হে সদাপ্রভু, তুমি তাদের টিটকিরি, আমার বিরুদ্ধে তাদের সব ষড়যন্ত্রের কথা শুনেছ,
62 ৬২ যারা আমার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে বলে এবং তারা আমার বিরুদ্ধে তাদের কথাবার্তা শুনেছ।
যা আমার শত্রুরা আমার বিরুদ্ধে সারাদিন ফিসফিস ও বিড়বিড় করে বলে।
63 ৬৩ তাদের বসা ও ওঠা দেখ, হে সদাপ্রভু! আমি তাদের বিদ্রূপের গানের বিষয়।
ওদের দেখো! ওরা দাঁড়িয়ে থাকুক বা বসে থাকুক, ওরা গান গেয়ে আমাকে ঠাট্টা-বিদ্রুপ করে।
64 ৬৪ হে সদাপ্রভু, তুমি তাদের হাতের কাজ অনুসারে প্রতিদান তাদেরকে দেবে।
হে সদাপ্রভু, তাদের হস্তকৃত কাজের যোগ্য প্রতিফল তাদের দাও।
65 ৬৫ তুমি তাদের হৃদয়ে ভয় দেবে, তোমার অভিশাপ তাদের ওপর পড়বে।
তাদের হৃদয়ের উপরে তুমি একটি আবরণ দাও, তোমার অভিশাপ তাদের উপরে বর্তাক।
66 ৬৬ তুমি তাদেরকে রাগে তাড়া করবে এবং সদাপ্রভু স্বর্গের নীচে থেকে তাদেরকে ধ্বংস করবে।
সক্রোধে তাদের পিছনে তাড়া করো ও সদাপ্রভুর স্বর্গের নিচে তাদের ধ্বংস করো।