< যিহোশূয়ের বই 17 >
1 ১ আর গুলিবাঁটের মাধ্যমে মনঃশি বংশের অংশ ঠিক করা হল, সে যোষেফের বড় ছেলে। কিন্তু গিলিয়দের পিতা, অর্থাৎ মনঃশির বড় ছেলে মাখীর যোদ্ধা বলে গিলিয়দ ও বাশন পেয়েছিল।
যোষেফের প্রথম সন্তানরূপে মনঃশি বংশের জন্য বরাদ্দ অংশটি এইরকম। গিলিয়দীয়দের পূর্বপুরুষ, মনঃশির বড়ো ছেলে মাখীর, গিলিয়দ ও বাশন লাভ করলেন, কারণ মাখিরীয়েরা মহাযোদ্ধা ছিল।
2 ২ আর [ঐ অংশ] নিজের নিজের গোষ্ঠী অনুসারে মনঃশির অন্য অন্য সন্তানদের হল; তারা এই এই, অবীয়েষরের সন্তানেরা, হেলকের সন্তানেরা, অস্রীয়েলের সন্তানেরা, শেখমের সন্তানেরা, হেফরের সন্তানেরা ও শমীদার সন্তানেরা; এরা নিজের নিজের গোষ্ঠী অনুসারে যোষেফের সন্তান, মনঃশির পুত্রসন্তান।
অতএব এই অংশটি মনঃশি বংশের অবশিষ্ট লোকদের জন্য—অবীয়েষর, হেলক, অস্রীয়েল, শেখম, হেফর ও শমীদা গোষ্ঠীর জন্য বরাদ্দ হল। গোষ্ঠী অনুসারে এরাই যোষেফের ছেলে মনঃশির অন্যান্য পুরুষ বংশধর।
3 ৩ কিন্তু মনঃশির সন্তান মাখীরের সন্তান গিলিয়দের সন্তান হেফরের ছেলে সল্ফাদের কোন ছেলে ছিল না; শুধু কতগুলি মেয়ে ছিল; তার মেয়েদের নাম মহলা, নোয়া, হগ্লা, মিল্কা ও তির্সা।
এদিকে মনঃশির ছেলে মাখীর, তার ছেলে গিলিয়দ, তার ছেলে হেফর, তার ছেলে সল্ফাদের কোনও পুত্রসন্তান ছিল না, কিন্তু শুধু এই কয়েকটি মেয়ে ছিল, যাদের নাম মহলা, নোয়া, হগ্লা, মিল্কা ও তির্সা।
4 ৪ তারা ইলীয়াসর যাজকের, নূনের ছেলে যিহোশূয়ের সামনে ও নেতাদের সামনে এসে বলল, “আমাদের ভাইদের অধিকারের মধ্যে আমাদের এক অংশ দিতে সদাপ্রভু মোশিকে আদেশ করেছিলেন।” অতএব সদাপ্রভুর আদেশ অনুসারে তিনি তাদের বাবার ভাইদের মধ্যে তাদেরকে এক অধিকার দিলেন।
তারা যাজক ইলীয়াসর, নূনের ছেলে যিহোশূয় ও নেতাব্যক্তিদের কাছে গিয়ে বলল, “সদাপ্রভু মোশিকে আদেশ দিয়েছিলেন যেন আমাদের আত্মীয়স্বজনদের মধ্যে আমাদেরও এক উত্তরাধিকার দেওয়া হয়।” তাই সদাপ্রভুর আদেশানুসারে যিহোশূয়, তাদের কাকাদের সঙ্গে তাদেরও এক উত্তরাধিকার দিলেন।
5 ৫ তাতে যর্দ্দনের পূর্ব পাড়ে গিলিয়দ ও বাশন দেশ ছাড়াও মনঃশির দিকে দশ ভাগ পড়ল;
জর্ডনের পূর্বপাড়ে গিলিয়দ ও বাশন ছাড়াও মনঃশি বংশের ভাগে আরও দশ খণ্ড জমি এল,
6 ৬ কারণ মনঃশির ছেলেদের মধ্যে তার মেয়েদেরও অধিকার ছিল এবং মনঃশির অবশিষ্ট ছেলেরা গিলিয়দ দেশ পেল।
কারণ মনঃশি বংশের মেয়েরাও ছেলেদের মধ্যে এক উত্তরাধিকার লাভ করল। গিলিয়দ দেশটি মনঃশির অবশিষ্ট বংশধরদের অধিকারভুক্ত হল।
7 ৭ মনঃশির সীমা আশের থেকে শিখিমের সামনে মিক্মথৎ পর্যন্ত ছিল; পরে ঐ সীমা দক্ষিণ দিকে ঐন্-তপূহে বসবাসকারীদের সীমানা পর্যন্ত গেল।
মনঃশির এলাকা আশের থেকে শিখিমের পূর্বদিকে অবস্থিত মিক্মথৎ পর্যন্ত বিস্তৃত হল। সীমানাটি সেখান থেকে দক্ষিণ দিকে এগিয়ে গিয়ে ঐন-তপূহে বসবাসকারী লোকদেরও যুক্ত করল।
8 ৮ মনঃশি তপূহ দেশ পেল, কিন্তু মনঃশির সীমানায় তপূহ [নগর] ইফ্রয়িম-সন্তানদের অধিকার হল;
(মনঃশির সন্তানেরা তপূহ দেশটি পেয়েছিল, কিন্তু মনঃশির সীমানায় অবস্থিত তপূহ নগরটি ইফ্রয়িমের অধিকারভুক্ত থেকে গেল)
9 ৯ ঐ সীমা কান্না স্রোত পর্যন্ত, স্রোতের দক্ষিণ তীরে নেমে গেল; মনঃশির নগরগুলির মধ্যে অবস্থিত এই নগরগুলি ইফ্রয়িমের ছিল; মনঃশির সীমা স্রোতের উত্তরদিকে ছিল এবং তার শেষ সীমানা মহাসমুদ্রে ছিল।
পরে সেই সীমানা দক্ষিণ দিকে কানা গিরিখাত পর্যন্ত এগিয়ে গেল। সেখানে মনঃশির নগরগুলির মধ্যে ইফ্রয়িমের অধিকারভুক্ত নগরগুলিও পড়ে গেল, কিন্তু মনঃশির সীমানা ছিল সেই গিরিখাতের উত্তর দিকে এবং তা ভূমধ্যসাগরে গিয়ে শেষ হল।
10 ১০ দক্ষিণ দিকে ইফ্রয়িমের ও উত্তরদিকে মনঃশির অধিকার ছিল এবং মহাসমুদ্র তার সীমা ছিল; তারা উত্তর দিকে আশেরের ও পূর্ব দিকে ইশাখরের পাশে ছিল।
দক্ষিণ দিকের দেশটি ছিল ইফ্রয়িমের অধিকারভুক্ত, যা মনঃশির উত্তর দিকে অবস্থিত ছিল। মনঃশির এলাকা ভূমধ্যসাগর পর্যন্ত পৌঁছাল এবং উত্তর দিকে আশের ও পূর্বদিকে ইষাখর তার সীমানা হল।
11 ১১ আর ইষাখরের ও আশেরের মধ্যে অবস্থিত উপনগরগুলির সঙ্গে বৈৎ-শান ও এর উপনগরগুলির সঙ্গে যিব্লিয়ম ও এর উপনগরগুলির সঙ্গে দোর-নিবাসীরা এবং এর উপনগরগুলির সঙ্গে ঐন্-দোর-নিবাসীরা ও এর উপনগরগুলির সঙ্গে তানক-নিবাসীরা ও এর উপনগরগুলির সঙ্গে মগিদ্দোনিবাসীরা, এই তিনটি পাহাড়ে মনঃশির অধিকার ছিল।
ইষাখর ও আশেরের সীমার মধ্যে মনঃশি চারপাশের উপনিবেশ সমেত বেথ-শান, যিব্লিয়ম এবং দোরের, ঐনদোরের, তানকের ও মগিদ্দোর অধিবাসীদেরও লাভ করল। (তালিকায় অন্তর্ভুক্ত তৃতীয় নগরটি হল নাফোৎ)।
12 ১২ তবুও মনঃশি-সন্তানেরা সেই সমস্ত নগরের অধিবাসীদের অধিকার থেকে বঞ্চিত করতে পারল না; কারণ কনানীয়েরা সেই দেশে বাস করার জন্য দৃঢ় সঙ্কল্প ছিল।
তবুও, মনঃশির সন্তানেরা এসব নগর দখল করতে পারেনি, কারণ কনানীয়েরা ওইসব অঞ্চলে বসবাস করার জন্য বদ্ধপরিকর হয়েই ছিল।
13 ১৩ পরে ইস্রায়েল-সন্তানেরা যখন শক্তিশালী হয়ে উঠল, তখন কনানীয়দের তাদের দাস করল, কিন্তু সম্পূর্ণভাবে অধিকার থেকে বঞ্চিত করল না।
অবশ্য, ইস্রায়েলীরা যখন আরও শক্তিশালী হল, তখন তারা কনানীয়দের বেগার শ্রমিক হতে বাধ্য করল, কিন্তু সেখান থেকে তাদের সম্পূর্ণরূপে তাড়িয়ে দিল না।
14 ১৪ পরে যোষেফের সন্তানেরা যিহোশূয়কে বলল, “আপনি অধিকার করার জন্য আমাদেরকে এক অংশ ও এক ভাগ কেন দিলেন? এখনও পর্যন্ত সদাপ্রভু আমাকে আশীর্বাদ করাতে আমি বড় জাতি হয়েছি।”
যোষেফের সন্তানেরা যিহোশূয়কে বলল, “আপনি কেন এক উত্তরাধিকাররূপে আমাদের শুধু একটি অংশ ও একটি ভাগ দিয়েছেন? আমরা বহুসংখ্যক এক জাতি, এবং সদাপ্রভু আমাদের প্রচুর পরিমাণে আশীর্বাদ করেছেন।”
15 ১৫ যিহোশূয় তাদেরকে বললেন, “যদি তুমি বড় জাতি হয়ে থাক, তবে ঐ জঙ্গলের দিকে উঠে যাও; ঐ জায়গায় পরিষীয়দের ও রফায়ীয়দের দেশে নিজেদের জন্য বন কেটে ফেল, কারণ পার্বত্য ইফ্রয়িম প্রদেশ তোমার পক্ষে সঙ্কীর্ণ।”
“তোমরা যদি এতই বহুসংখ্যক,” যিহোশূয় উত্তর দিলেন, “এবং ইফ্রয়িমের পার্বত্য প্রদেশ তোমাদের জন্য খুব ছোটো হয়ে যাচ্ছে, তবে অরণ্যে উঠে যাও এবং সেই পরিষীয় ও রফায়ীয়দের দেশে গিয়ে সেখানে নিজেদের জন্য তোমরা জমিজায়গা পরিষ্কার করে নাও।”
16 ১৬ যোষেফের সন্তানরা বলল, “এই পার্বত্য দেশ আমাদের জন্য যথেষ্ট নয় এবং যে সমস্ত কনানীয় উপত্যকায় বাস করে, বিশেষভাবে বৈৎ-শানে ও সেই জায়গার নগরগুলিতে এবং যিষ্রিয়েল উপত্যকায় বাস করে, তাদের লোহার রথ আছে।”
যোষেফের সন্তানেরা উত্তর দিল, “সেই পার্বত্য প্রদেশ আমাদের জন্য যথেষ্ট নয়, আর সমতলে, বিশেষত, বেথ-শানে ও সেখানকার উপনিবেশগুলিতে এবং যিষ্রিয়েল উপত্যকায় বসবাসকারী কনানীয়দের কাছে লৌহরথ আছে।”
17 ১৭ তখন যিহোশূয় যোষেফের গোষ্ঠীকে অর্থাৎ ইফ্রয়িম ও মনঃশিকে বললেন, “তুমি বড় জাতি, তোমার ক্ষমতাও অনেক বেশি; তুমি শুধুমাত্র একটি অংশই পাবে না;
কিন্তু যিহোশূয় যোষেফ বংশকে—ইফ্রয়িম ও মনঃশিকে—বললেন, “তোমরা বহুসংখ্যক ও খুব শক্তিশালী। তোমরা শুধুমাত্র একটি অংশ পাবে না
18 ১৮ কিন্তু পার্বত্য অঞ্চলও তোমার হবে; যদিও সেটা গাছে পরিপূর্ণ, কিন্তু সেই বন কেটে ফেললে তার নীচের ভাগ তোমার হবে; কারণ কনানীয়দের লোহার রথ থাকলেও এবং তারা শক্তিশালী হলেও তুমি তাদেরকে অধিকার থেকে বঞ্চিত করবে।”
কিন্তু তোমরা বনাকীর্ণ পার্বত্য প্রদেশও পাবে। সেটি পরিষ্কার করে নাও, এবং এর সর্বাধিক দূরবর্তী সীমানা তোমাদেরই হবে; যদিও কনানীয়দের লৌহরথ আছে ও তারা যদিও শক্তিশালী, তোমরা কিন্তু তাদের তাড়িয়ে দিতে পারবে।”