< যিহোশূয়ের বই 10 >

1 যিরুশালেমের রাজা অদোনী-ষেদক যখন শুনলেন, যিহোশূয় অয় অধিকার করে সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করেছেন, যিরীহো ও সেখানকার রাজার প্রতি যেমন করেছিলেন, অয়ের ও সেখানের রাজার প্রতিও একই করেছেন এবং গিবিয়োন-নিবাসীরা ইস্রায়েলের সঙ্গে সন্ধি করে তাদের মধ্য বসবাস করছে;
এদিকে জেরুশালেমের রাজা অদোনী-ষেদক শুনতে পেলেন যে যিহোশূয় অয় দখল করে তা সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করে ফেলেছেন, যিরীহো ও সেখানকার রাজার প্রতি তিনি যেমন করেছিলেন, অয় ও সেখানকার রাজার প্রতিও সেরকমই করেছেন, এবং গিবিয়োন-নিবাসীরা ইস্রায়েলের সঙ্গে এক মৈত্রীচুক্তি করেছে ও তাদের মিত্রশক্তি হয়ে উঠেছে।
2 তখন লোকেরা খুবই ভয় পেল, কারণ গিবিয়োন নগর রাজধানীর মত বড় এবং অয়ের থেকেও বড়, আর সেই জায়গার সমস্ত লোক বলবান ছিল।
রাজা ও তাঁর প্রজারা এতে ভীষণ উদ্‌ভ্রান্ত হয়ে গেলেন, কারণ যে কোনো রাজকীয় নগরের মতো গিবিয়োনও ছিল গুরুত্বপূর্ণ এক নগর; সেটি আকারে অয়ের থেকেও বড়ো ছিল এবং সেখানকার সব লোকজন ছিল ভালো যোদ্ধা।
3 আর যিরুশালেমের রাজা অদোনী-ষেদক হিব্রোণের রাজা হোহমের, যর্মূতের রাজা পিরামের, লাখীশের রাজা যাফিয়ের ও ইগ্লোনের রাজা দবীরের কাছে দূত পাঠিয়ে এই কথা বললেন;
তাই জেরুশালেমের রাজা অদোনী-ষেদক হিব্রোণের রাজা হোহমের, যর্মূতের রাজা পিরামের, লাখীশের রাজা যাফিয়ের ও ইগ্লোনের রাজা দবীরের কাছে আবেদন জানালেন।
4 “আমার কাছে উঠে আসুন, আমাকে সাহায্য করুন, চলুন আমরা গিবিয়োনীয়দেরকে আঘাত করি; কারণ তারা যিহোশূয়ের ও ইস্রায়েল-সন্তানদের সঙ্গে সন্ধি করেছে।”
“আপনারা আমার কাছে আসুন এবং গিবিয়োন আক্রমণ করার জন্য আমাকে সাহায্য করুন,” তিনি বললেন, “কারণ তারা যিহোশূয় ও ইস্রায়েলের সঙ্গে সন্ধি করেছে।”
5 অতএব ইমোরীয়দের ঐ পাঁচ রাজা, অর্থাৎ যিরুশালেমের রাজা, হিব্রোণের রাজা, যর্মূতের রাজা, লাখীশের রাজা ও ইগ্লোনের রাজা তারা তাদের সমস্ত সৈন্যের সঙ্গে একত্র হলেন এবং উঠে গিয়ে গিবিয়োনের সামনে শিবির স্থাপন করে তার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করলেন।
তখন ইমোরীয়দের এই পাঁচজন রাজা—জেরুশালেমের, হিব্রোণের, যর্মূতের, লাখীশের ও ইগ্লোনের রাজা—তাঁদের সৈন্যদল সমবেত করলেন। তাঁদের সমগ্র সৈন্যদল নিয়ে তাঁরা এগিয়ে গেলেন ও গিবিয়োনের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে সেটি আক্রমণ করলেন।
6 তাতে গিবিয়োনীয়েরা গিল্‌গলে অবস্থিত শিবিরে যিহোশূয়ের কাছে লোক পাঠিয়ে বলল, “আপনার এই দাসদের থেকে আপনার হাত সরিয়ে নেবেন না, তাড়াতাড়ি এসে আমাদের রক্ষা ও সাহায্য করুন, কারণ পাহাড়ি অঞ্চলে বসবাসকারী ইমোরীয়দের সমস্ত রাজা আমাদের বিরুদ্ধে একত্র হয়েছেন।”
গিবিয়োনীয়েরা তখন গিল্‌গলের শিবিরে যিহোশূয়ের কাছে খবর পাঠাল: “আপনার দাসদের ছেড়ে যাবেন না। তাড়াতাড়ি আমাদের কাছে আসুন ও আমাদের রক্ষা করুন! আমাদের সাহায্য করুন, কারণ পার্বত্য প্রদেশের ইমোরীয় রাজারা সবাই আমাদের বিরুদ্ধে জোট বেঁধেছেন।”
7 তখন যিহোশূয় সমস্ত যোদ্ধা ও সমস্ত বলবান বীর সঙ্গে নিয়ে গিল্‌গল থেকে যাত্রা করলেন।
অতএব যিহোশূয় তাঁর সমগ্র সৈন্যদল ও সেরা যোদ্ধাদের সবাইকে সাথে নিয়ে গিল্‌গল থেকে কুচকাওয়াজ করে এগিয়ে গেলেন।
8 তখন সদাপ্রভু যিহোশূয়কে বললেন, “তুমি তাদেরকে ভয় কর না; কারণ আমি তোমার হাতে তাদেরকে সমর্পণ করেছি, তাদের কেউই তোমার সামনে দাঁড়াতে পারবে না।”
সদাপ্রভু যিহোশূয়কে বললেন, “ওদের ভয় পেয়ো না; ওদের আমি তোমার হাতে সমর্পণ করেছি। ওদের কেউই তোমার সামনে দাঁড়াতে পারবে না।”
9 পরে যিহোশূয় হঠাৎ তাদের কাছে উপস্থিত হলেন; তিনি সমস্ত রাত গিল্‌গল থেকে উপরের দিকে উঠছিলেন।
গিল্‌গল থেকে বেরিয়ে সারারাত কুচকাওয়াজ করে এগিয়ে যাওয়ার পর, যিহোশূয় হঠাৎ তাঁদের সামনে উপস্থিত হয়ে তাঁদের চমকে দিলেন।
10 ১০ তখন সদাপ্রভু ইস্রায়েলের সাক্ষাৎে তাদেরকে হতভম্ভ করলেন, তাতে তিনি গিবিয়োনে মহাসংহারে তাদেরকে আঘাত করে বৈৎ-হোরোণের আরোহণ-পথ দিয়ে তাদেরকে তাড়া করলেন এবং অসেকা ও মক্কেদা পর্যন্ত তাদেরকে আঘাত করলেন।
ইস্রায়েলের সামনে সদাপ্রভু তাদের বিহ্বল করে তুললেন, তাই যিহোশূয় ও ইস্রায়েলীরা গিবিয়োনে তাদের সম্পূর্ণরূপে পরাজিত করলেন। বেথ-হোরোণ পর্যন্ত উঠে যাওয়া পথটি ধরে ইস্রায়েল তাদের পশ্চাদ্ধাবন করল এবং অসেকা ও মক্কেদা পর্যন্ত এগিয়ে গিয়ে তাদের হত্যা করল।
11 ১১ আর ইস্রায়েলের সামনে থেকে পালানোর দিনের যখন তারা বৈৎ-হোরোণের উপরে ওঠার-পথে ছিল, তখন সদাপ্রভু অসেকা পর্যন্ত আকাশ থেকে তাদের উপরে বড় বড় পাথর (শিলা বৃষ্টি) ফেলতে লাগলেন, তাতে তারা মারা পড়ল; ইস্রায়েল-সন্তানেরা যাদেরকে তরোয়াল দিয়ে হত্যা করল, তার থেকে বেশি লোক শিলাবৃষ্টির জন্য মারা গেল।
তারা যখন বেথ-হোরোণ থেকে অসেকা পর্যন্ত বিস্তৃত পথে নামতে নামতে ইস্রায়েলের কাছ থেকে পালিয়ে যাচ্ছিল, তখন সদাপ্রভু তাদের উপরে বড়ো বড়ো শিলা বর্ষণ করলেন এবং ইস্রায়েলীদের তরোয়ালের আঘাতে যতজন না নিহত হল, তার থেকেও বেশি সংখ্যক লোক শিলাবৃষ্টিতে নিহত হল।
12 ১২ সেই দিনের যে দিন সদাপ্রভু ইস্রায়েল-সন্তানদের সামনে ইমোরীয়দিগকে সমর্পণ করেন, সেই দিন যিহোশূয় সদাপ্রভুর কাছে অনুরোধ করলেন; আর তিনি ইস্রায়েলের সামনে বললেন, “সূর্য্য, তুমি স্থির হও গিবিয়োনে, আর চন্দ্র, তুমি অয়ালোন উপত্যকায়।”
যেদিন সদাপ্রভু ইমোরীয়দের ইস্রায়েলের হাতে সমর্পণ করলেন, যিহোশূয় সমস্ত ইস্রায়েলের সামনে সদাপ্রভুর কাছে প্রার্থনা করলেন। তিনি বললেন: “সূর্য, তুমি গিবিয়োনে স্থির হয়ে দাঁড়াও, আর চাঁদ, তুমি দাঁড়াও অয়ালোন উপত্যকায়।”
13 ১৩ তখন সূর্য্য স্থির হল ও চন্দ্র স্থির থাকল, যতক্ষণ না সেই জাতি শত্রুদের উপর প্রতিশোধ নিল। এই কথা কি যাশের বইতে লেখা নেই? আর মধ্য আকাশে সূর্য্য স্থির থাকল, অস্ত যেতে প্রায় সম্পূর্ণ এক দিন দেরি করল।
তাই সূর্য স্থির হয়ে দাঁড়াল, চাঁদও থেমে রইল, যতক্ষণ না সেই জাতি তার শত্রুদের উপর প্রতিশোধ নিল, যেমনটি যাশেরের পুস্তকে লেখা আছে। সূর্য মধ্যাকাশে থেমে রইল ও অস্ত যেতে প্রায় সম্পূর্ণ একদিন দেরি করল।
14 ১৪ তার আগে কি পরে সদাপ্রভু যে মানুষের কথা এমনভাবে শুনেছেন, এমন আর আগে কোন দিন ও হয়নি; কারণ সদাপ্রভু ইস্রায়েলের পক্ষে যুদ্ধ করছিলেন।
এর আগে বা এযাবৎ আর কখনও এমন কোনও দিন হয়নি, যেদিন সদাপ্রভু কোনো মানুষের কথা এভাবে শুনেছেন। নিঃসন্দেহে সদাপ্রভু ইস্রায়েলের হয়ে যুদ্ধ করছিলেন!
15 ১৫ পরে যিহোশূয় সমস্ত ইস্রায়েলকে সঙ্গে নিয়ে গিল্‌গলের শিবিরে ফিরে এলেন।
পরে যিহোশূয় সমগ্র ইস্রায়েলকে সঙ্গে নিয়ে গিল্‌গলের শিবিরে ফিরে এলেন।
16 ১৬ আর ঐ পাঁচ রাজা পালিয়ে মক্কেদার গুহাতে লুকিয়েছিলেন।
এদিকে সেই পাঁচজন রাজা পালিয়ে গিয়ে মক্কেদায় একটি গুহাতে লুকিয়েছিলেন।
17 ১৭ পরে সেই পাঁচ রাজাকে মক্কেদার গুহাতে লুকানো অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে, এই সংবাদ যিহোশূয়কে দেওয়া হল।
যিহোশূয়কে যখন বলা হল যে সেই পাঁচজন রাজাকে মক্কেদায় একটি গুহাতে লুকিয়ে থাকতে দেখা গিয়েছে,
18 ১৮ যিহোশূয় বললেন, “তোমরা সেই গুহার মুখে কয়েকটি বড় বড় পাথর গড়িয়ে দিয়ে সেগুলি রক্ষা করার জন্য সেখানে লোক নিযুক্ত কর,
তখন তিনি বললেন, “সেই গুহাটির মুখে বড়ো বড়ো পাষাণ-পাথর গড়িয়ে দাও ও সেটি পাহারা দেওয়ার জন্য কয়েকজন লোক মোতায়েন করে দাও।
19 ১৯ কিন্তু তোমরা দেরি কর না, শত্রুদের তাড়া কর ও তাদের সৈন্যদের পিছনের দিক থেকে আঘাত কর, তাদেরকে তাদের নগরে প্রবেশ করতে দিও না; কারণ তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু তাদেরকে তোমাদের হাতে সমর্পণ করেছেন।”
কিন্তু তোমরা থেমে থেকো না; তোমাদের শত্রুদের পশ্চাদ্ধাবন করে যাও! পিছন দিক থেকে তাদের আক্রমণ করো ও তাদের নিজেদের নগরগুলিতে পৌঁছাতে দিয়ো না, কারণ তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু তাদের তোমাদের হাতে সমর্পণ করে দিয়েছেন।”
20 ২০ পরে যিহোশূয় ও ইস্রায়েল-সন্তানেরা তাদের সর্বনাশ পর্যন্ত মহাসংহারে তাদেরকে আঘাত করলেন, তাদের মধ্য থেকে কিছু অবশিষ্ট লোক পালিয়ে দেওয়ালে ঘেরা কিছু নগরে প্রবেশ করল।
অতএব যিহোশূয় ও ইস্রায়েলীরা সম্পূর্ণরূপে তাদের পরাজিত করলেন, কিন্তু প্রাণে বাঁচা কয়েকজন লোক তাদের প্রাচীরবেষ্টিত নগরগুলিতে পৌঁছে যেতে পারল।
21 ২১ পরে সমস্ত লোক মক্কেদায় যিহোশূয়ের কাছে শিবিরে ভালোভাবে ফিরে এল; ইস্রায়েল-সন্তানদের মধ্যে কারো বিরুদ্ধে কেউ জিভ নাড়ালো না (কোনো কথা বলতে সাহস পেল না)।
সমগ্র সৈন্যদল নিরাপদে মক্কেদার শিবিরে যিহোশূয়ের কাছে ফিরে এল, এবং কেউই ইস্রায়েলীদের বিরুদ্ধে একটি শব্দও উচ্চারণ করতে পারল না।
22 ২২ পরে যিহোশূয় বললেন, “তোমরা ঐ গুহার মুখ খোল এবং সেখান থেকে সেই পাঁচ জন রাজাকে বের করে আমার কাছে আন।”
যিহোশূয় বললেন, “গুহার মুখটি খোলো এবং সেই পাঁচজন রাজাকে আমার কাছে নিয়ে এসো।”
23 ২৩ তখন তারা সেই রকম করল, যিরুশালেমের রাজা, হিব্রোণের রাজা, যর্মূতের রাজা, লাখীশের রাজা ও ইগ্লোনের রাজা, এই পাঁচ জন রাজাকে সেই গুহা থেকে বের করে তার কাছে আনল।
অতএব তারা সেই পাঁচজন রাজাকে—জেরুশালেমের, হিব্রোণের, যর্মূতের, লাখীশের ও ইগ্লোনের রাজাকে গুহা থেকে বের করে আনল।
24 ২৪ এই ভাবে তারা ঐ রাজাদের যিহোশূয়ের কাছে নিয়ে আসলে পর, যিহোশূয় ইস্রায়েলের সমস্ত পুরুষকে ডাকলেন এবং যারা তার সঙ্গে যুদ্ধে গিয়েছিল, তাদের নেতাদেরকে বললেন, “তোমরা কাছে এস, এই রাজাদের ঘাড়ে পা দাও,” তাতে তারা কাছে এসে তাদের ঘাড়ে পা দিল।
তারা যখন এসব রাজাকে যিহোশূয়ের কাছে আনল, তখন তিনি ইস্রায়েলের সব লোকজনকে ডেকে পাঠালেন এবং তাঁর সঙ্গে আসা সৈন্যদলের সেনাপতিদের বললেন, “তোমরা এখানে এসো ও এই রাজাদের ঘাড়ে নিজেদের পা রাখো।” তাই তাঁরা এগিয়ে এলেন ও সেই রাজাদের ঘাড়ে নিজেদের পা রাখলেন।
25 ২৫ আর যিহোশূয় তাদেরকে বললেন, “ভয় পেয়ো না ও নিরাশ হয়ো না, বলবান হও, ও সাহস কর; কারণ তোমরা যে শত্রুদের সঙ্গে যুদ্ধ করবে, তাদের সবার প্রতি সদাপ্রভু এমনই করবেন।”
যিহোশূয় তাদের বললেন, “তোমরা ভয় পেয়ো না; নিরাশও হোয়ো না। তোমরা বলবান ও সাহসী হও। তোমরা যেসব শত্রুর সঙ্গে যুদ্ধ করতে যাচ্ছ, সদাপ্রভু তাদের সবারই প্রতি এরকম করবেন।”
26 ২৬ তারপরে যিহোশূয় আঘাত করে সেই পাঁচ জন রাজাকে বধ করলেন ও পাঁচটি গাছে ঝুলিয়ে দিলেন; তাতে তারা সন্ধ্যা পর্যন্ত গাছে টাঙ্গান অবস্থায় থাকলেন।
পরে যিহোশূয় সেই রাজাদের হত্যা করলেন ও পাঁচটি শূলে তাঁদের মৃতদেহ টাঙিয়ে দিলেন, এবং সন্ধ্যা পর্যন্ত তাঁদের মৃতদেহ ওই শূলগুলিতে ঝুলে রইল।
27 ২৭ পরে সূর্যাস্তের দিনের লোকেরা যিহোশূয়ের আদেশে তাদেরকে গাছ থেকে নামিয়ে, যে গুহাতে তারা লুকিয়েছিলেন, সেই গুহার মধ্যে ফেলে দিল ও গুহার মুখে কয়েকটি বড় বড় পাথর দিয়ে রাখল; তা আজও আছে।
সূর্যাস্তের সময় যিহোশূয় আদেশ দিলেন ও তারা ওই রাজাদের মৃতদেহ শূল থেকে নামাল এবং তাঁরা যেখানে লুকিয়েছিলেন, সেই গুহায় তাঁদের শবগুলি ছুঁড়ে ফেলে দিল। গুহার মুখে তারা বড়ো বড়ো পাষাণ-পাথর রেখে দিল, যা আজও পর্যন্ত সেখানে রাখা আছে।
28 ২৮ আর সেই দিন যিহোশূয় মক্কেদা অধিকার করলেন এবং মক্কেদা ও সেখানের রাজাকে তরোয়াল দিয়ে আঘাত করলেন; সেই জায়গার সমস্ত প্রাণীকে সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করলেন, কাউকেই অবশিষ্ট রাখলেন না; যেমন যিরীহোর রাজার প্রতি করেছিলেন, মক্কেদার রাজার প্রতিও তেমনই করলেন।
সেদিন যিহোশূয় মক্কেদা দখল করলেন। তিনি সেই নগরের ও সেখানকার রাজার উপর তরোয়াল চালালেন ও সেটির মধ্যে বসবাসকারী প্রত্যেককে সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করলেন। তিনি কাউকেই প্রাণে বাঁচতে দিলেন না। আর যিরীহোর রাজার প্রতি তিনি যেমন করেছিলেন, মক্কেদার রাজার প্রতিও তিনি তেমনই করলেন।
29 ২৯ পরে যিহোশূয় সমস্ত ইস্রায়েলকে সঙ্গে করে মক্কেদা থেকে লিব্‌নাতে গিয়ে লিব্‌নার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করলেন।
পরে যিহোশূয় ও সমগ্র ইস্রায়েল মক্কেদা থেকে লিব্‌নার দিকে এগিয়ে গেলেন ও তা আক্রমণ করলেন।
30 ৩০ তাতে সদাপ্রভু লিব্‌না ও সেই জায়গার রাজাকে ইস্রায়েলের হাতে সমর্পণ করলেন; তারা লিব্‌না ও সেই জায়গার সমস্ত প্রাণীকে তরোয়াল দিয়ে আঘাত করল, তার মধ্যে কাউকেই অবশিষ্ট রাখল না; যেমন যিরীহোর রাজার প্রতি করেছিল, সেই জায়গার রাজার প্রতিও একই রকম করলেন।
সদাপ্রভু সেই নগরটি ও তার রাজাকেও ইস্রায়েলের হাতে সমর্পণ করলেন। সেই নগরের ও সেখানে বসবাসকারী প্রত্যেকের উপর যিহোশূয় তরোয়াল চালালেন। সেখানে কাউকে তিনি প্রাণে বাঁচতে দিলেন না। আর যিরীহোর রাজার প্রতি তিনি যেমন করেছিলেন, এখানকার রাজার প্রতিও তিনি তেমনই করলেন।
31 ৩১ পরে যিহোশূয় সমস্ত ইস্রায়েলকে সঙ্গে নিয়ে লিব্‌না থেকে লাখীশে গিয়ে তার বিরুদ্ধে শিবির স্থাপন করে যুদ্ধ করলেন।
পরে যিহোশূয় ও তাঁর সঙ্গে থাকা সমগ্র ইস্রায়েল লিব্‌না থেকে লাখীশের দিকে এগিয়ে গেলেন; তিনি সেই নগরের বিরুদ্ধে অবস্থান নিলেন ও তা আক্রমণ করলেন।
32 ৩২ আর সদাপ্রভু লাখীশকে ইস্রায়েলের হাতে সমর্পণ করলেন ও তারা দ্বিতীয় দিনের তা অধিকার করে যেমন লিব্‌নার প্রতি করেছিল, তেমন লাখীশ ও সেই জায়গার সমস্ত প্রাণীকে তরোয়াল দিয়ে আঘাত করল।
সদাপ্রভু ইস্রায়েলের হাতে লাখীশ সমর্পণ করলেন, এবং দ্বিতীয় দিনে যিহোশূয় তা দখল করলেন। সেই নগরের ও সেখানে বসবাসকারী প্রত্যেকের উপরে তিনি তরোয়াল চালালেন, ঠিক যেমনটি তিনি লিব্‌নার প্রতি করেছিলেন।
33 ৩৩ সেই দিন গেষরের রাজা হোরম লাখীশের সাহায্য করতে এসেছিলেন; আর যিহোশূয় তাকে ও তার লোকদেরকে আঘাত করলেন; তার কাউকেই অবশিষ্ট রাখলেন না।
ইতিমধ্যে, গেষরের রাজা হোরম লাখীশকে সাহায্য করতে এলেন, কিন্তু যিহোশূয় তাঁকে ও তাঁর সৈন্যদলকেও পরাজিত করলেন—কাউকে প্রাণে বাঁচতে দিলেন না।
34 ৩৪ পরে যিহোশূয় সমস্ত ইস্রায়েলকে সঙ্গে নিয়ে লাখীশ থেকে ইগ্লোনে যাত্রা করলেন, আর তারা সেই জায়গার সামনে শিবির স্থাপন করে তার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করল।
পরে যিহোশূয় ও তাঁর সঙ্গে থাকা সমগ্র ইস্রায়েল লাখীশ থেকে ইগ্লোনের দিকে এগিয়ে গেলেন; তাঁরা নগরের বিরুদ্ধে অবস্থান নিলেন ও তা আক্রমণ করলেন।
35 ৩৫ আর সেই দিন তা অধিকার করে, যেমন লাখীশের প্রতি করেছিল, তেমনি তরোয়াল দিয়ে তা আঘাত করে সেই দিন সেই জায়গার সমস্ত প্রাণীকে সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করল।
সেদিনই তাঁরা তা দখল করে নিলেন এবং সেটির উপরে তরোয়াল চালিয়ে সেখানে বসবাসকারী প্রত্যেককে সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করলেন, ঠিক যেমনটি তাঁরা লাখীশের প্রতি করেছিলেন।
36 ৩৬ পরে যিহোশূয় সমস্ত ইস্রায়েলকে সঙ্গে নিয়ে ইগ্লোন থেকে হিব্রোণে যাত্রা করলেন, আর তারা তার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করল।
পরে যিহোশূয় ও তাঁর সঙ্গে থাকা সমগ্র ইস্রায়েল ইগ্লোন থেকে হিব্রোণের দিকে এগিয়ে গিয়ে তা আক্রমণ করলেন।
37 ৩৭ আর তা অধিকার করে সেই নগর ও সেই জায়গার রাজাকে ও সমস্ত অধীন নগর ও সমস্ত প্রাণীকে তরোয়াল দিয়ে আঘাত করল; যেমন তিনি ইগ্লোনের প্রতি করেছিলেন, সেই রকম কাউকেই অবশিষ্ট রাখলেন না; হিব্রোণ ও সেইজায়গার সমস্ত প্রাণীকে সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করলেন।
তাঁরা নগরটি দখল করলেন এবং সেটির উপরে ও সেখানকার রাজার, সেখানকার গ্রামগুলির এবং সেখানে বসবাসকারী প্রত্যেকের উপরে তরোয়াল চালিয়ে দিলেন। কাউকেই তাঁরা প্রাণে বাঁচতে দিলেন না। ইগ্লোনের প্রতি যেমন করেছিলেন, সেভাবে সেই নগর ও সেখানে বসবাসকারী প্রত্যেককে তাঁরা সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করলেন।
38 ৩৮ পরে যিহোশূয় ফিরে সমস্ত ইস্রায়েলকে সঙ্গে নিয়ে দবীরে গিয়ে তার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করলেন।
পরে যিহোশূয় ও তাঁর সঙ্গে থাকা সমগ্র ইস্রায়েল পিছনে ফিরে দবীর আক্রমণ করলেন।
39 ৩৯ আর সেই নগর ও সেখানের রাজা ও তার অধীনে সমস্ত নগরগুলি অধিকার করলেন এবং তারা তরোয়াল দিয়ে আঘাত করে সেখানের সমস্ত প্রাণীকে সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করল; তিনি কাউকেই অবশিষ্ট রাখলেন না; যেমন তিনি হিব্রোণের প্রতি এবং লিব্‌নার ও সেই জায়গার রাজার প্রতি করেছিলেন, দবীরের ও সেই জায়গার রাজার প্রতিও একই রকম করলেন।
তাঁরা নগরটির রাজা ও গ্রামগুলি সমেত সেটি দখল করে নিলেন এবং তাদের উপরে তরোয়াল চালিয়ে দিলেন। সেখানে বসবাসকারী প্রত্যেককে তাঁরা সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করলেন। কাউকেই তাঁরা প্রাণে বাঁচতে দিলেন না। লিব্‌না ও সেখানকার রাজার এবং হিব্রোণের প্রতি তাঁরা যেমন করেছিলেন, দবীর ও সেখানকার রাজার প্রতিও তাঁরা তেমনই করলেন।
40 ৪০ এই ভাবে যিহোশূয় সমস্ত দেশ, পাহাড়ি অঞ্চল, দক্ষিণ অঞ্চল, নিম্নভূমি, পাহাড়ের পাদদেশ এবং সেই সকল অঞ্চলের সমস্ত রাজাকে আঘাত করলেন, কাউকেই অবশিষ্ট রাখলেন না; তিনি ইস্রায়েলের ঈশ্বর সদাপ্রভুর আজ্ঞা অনুসারে শ্বাসবিশিষ্ট সবাইকেই সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করলেন।
অতএব যিহোশূয় পার্বত্য প্রদেশ, নেগেভ, পশ্চিমী পাহাড়ের পাদদেশ ও পর্বতের ঢাল সমেত সমগ্র অঞ্চলটি, এবং তাদের সব রাজাকে পদানত করলেন। তাদের কাউকেই তিনি প্রাণে বাঁচতে দিলেন না। শ্বাসবিশিষ্ট সকলকেই তিনি সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করলেন, ঠিক যেমনটি ইস্রায়েলের ঈশ্বর সদাপ্রভু আদেশ দিয়েছিলেন।
41 ৪১ এই ভাবে যিহোশূয় কাদেশ-বর্ণেয় থেকে ঘসা পর্যন্ত তাদেরকে এবং গিবিয়োন পর্যন্ত গোশনের সমস্ত দেশকে আঘাত করলেন।
কাদেশ-বর্ণেয় থেকে গাজা পর্যন্ত এবং গোশনের সমগ্র অঞ্চল থেকে গিবিয়োন পর্যন্ত, যিহোশূয় তাদের পদানত করলেন।
42 ৪২ যিহোশূয় এই সমস্ত দেশ ও রাজাদের এক দিনের ই পরাজিত করলেন, কারণ ইস্রায়েলের ঈশ্বর সদাপ্রভু ইস্রায়েলের পক্ষে যুদ্ধ করছিলেন।
একই সামরিক অভিযানে যিহোশূয় এসব রাজা ও তাঁদের দেশগুলির উপর জয়লাভ করলেন, কারণ ইস্রায়েলের ঈশ্বর সদাপ্রভু ইস্রায়েলের হয়ে যুদ্ধ করছিলেন।
43 ৪৩ পরে যিহোশূয় সমস্ত ইস্রায়েলকে সঙ্গে নিয়ে গিল্‌গলে অবস্থিত শিবিরে ফিরে এলেন।
পরে যিহোশূয় সমগ্র ইস্রায়েলকে সঙ্গে নিয়ে গিল্‌গলের শিবিরে ফিরে এলেন।

< যিহোশূয়ের বই 10 >