< ইয়োবের বিবরণ 8 >
1 ১ পরে শূহীয় বিলদদ উত্তর দিল এবং বলল,
পরে শূহীয় বিল্দদ উত্তর দিলেন:
2 ২ “কতদিন তুমি এইসব কথা বলবে? কতদিন তোমার মুখের কথা ঝড়ো বাতাসের মত বয়ে চলবে?
“তুমি আর কতক্ষণ এসব কথা বলবে? তোমার কথাবার্তা তো প্রচণ্ড ঝড়ের মতো।
3 ৩ ঈশ্বর কি ন্যায়বিচার পরিবর্তন করবেন? সর্বশক্তিমান কি ধার্মিকতার পরিবর্তন করবেন?
ঈশ্বর কি ন্যায়বিচার বিকৃত করেন? সর্বশক্তিমান কি যা ন্যায্য তা বিকৃত করেন?
4 ৪ তোমার সন্তানরা তাঁর বিরুদ্ধে পাপ করেছে; আমরা জানি তা, তিনি তাদেরকে তাদের পাপের হাতে সমর্পণ করেছেন।
তোমার সন্তানেরা যখন তাঁর বিরুদ্ধে পাপ করেছিল, তখন তিনি তাদের পাপের উপযুক্ত শাস্তি তাদের দিয়েছিলেন।
5 ৫ কিন্তু যদি তুমি স্বযত্নে ঈশ্বরকে ডাক এবং তোমার অনুরোধ সর্বশক্তিমানের সামনে রাখো।
কিন্তু তুমি যদি আন্তরিকভাবে ঈশ্বরের অন্বেষণ করো, ও সর্বশক্তিমানের কাছে সনির্বন্ধ মিনতি জানাও,
6 ৬ যদি তুমি শুদ্ধ এবং সরল হও; তাহলে তিনি অবশ্যই তোমার জন্য কাজ করবেন এবং তোমায় পুরস্কৃত করবেন একটি বাড়ি দিয়ে যা সত্যিই তোমারই হবে।
তুমি যদি পবিত্র ও সৎ হও, এখনও তিনি তোমার হয়ে উঠে দাঁড়াবেন ও তোমাকে তোমার সমৃদ্ধশালী দশায় ফিরিয়ে নিয়ে যাবেন।
7 ৭ এমনকি যদিও তোমার শুরু ছোট ছিল, তবুও তোমার শেষ অবস্থা খুব ভালো হবে।
তোমার সূত্রপাত নিরহঙ্কার বলে মনে হবে, তোমার ভবিষ্যতও খুব সমৃদ্ধশালী হবে।
8 ৮ আমি প্রার্থনা করি, আগেকার লোকেদেরকে জিজ্ঞাসা কর; আমাদের পূর্বপুরুষ যা আবিষ্কার করেছেন তা শিখতে যত্ন কর।
“সাবেক প্রজন্মকে জিজ্ঞাসা করো ও খুঁজে বের করো তাদের পূর্বপুরুষেরা কী শিখেছিলেন,
9 ৯ আমরা গতকাল জন্মেছি এবং কিছুই জানি না কারণ আমাদের আয়ু পৃথিবীতে ছায়ার মত।
কারণ আমরা তো মাত্র কালই জন্মেছি ও কিছুই জানি না, ও পৃথিবীতে আমাদের দিনগুলি তো এক ছায়ামাত্র।
10 ১০ তারা কি তোমায় শেখাবে না এবং বলবে না? তারা কি তাদের হৃদয় থেকে কথা বলবে না?
তারা কি তোমাদের শিক্ষা দেবেন না ও বলবেন না? তারা কি তাদের বুদ্ধিভাণ্ডার থেকে বাণী বের করে আনবেন না?
11 ১১ জলাভূমি ছাড়া কি নলখাগড়া বাড়তে পারে? জল ছাড়া কি উলুখাগড়া বাড়তে পারে?
যেখানে কোনও জলাভূমি নেই সেখানে কি নলখাগড়া বেড়ে ওঠে? জল ছাড়া কি নলবন মাথা চাড়া দেয়?
12 ১২ যখন সেগুলো সতেজ থাকে, তা কাটা হয় না, তারা অন্য যে কোন ঘাসের থেকে আগে শুকিয়ে যায়।
বাড়তে বাড়তেই ও আকাটা অবস্থাতেই, সেগুলি ঘাসের চেয়েও দ্রুত শুকিয়ে যায়।
13 ১৩ যারা ঈশ্বরকে ভুলে যায় তাদের রাস্তাও সেই রকম, অধার্ম্মিক লোকের আশা নষ্ট হবে,
যারা ঈশ্বরকে ভুলে যায়, তাদেরও এই গতি হয়; অধার্মিকদের আশাও এভাবে বিনষ্ট হয়।
14 ১৪ তাদের যাদের আস্থা ভেঙে যায় এবং তাদের যাদের বিশ্বাস দুর্বল যেমন একটা মাকড়সার জালের মত।
তারা যার উপরে নির্ভর করে তা ভঙ্গুর; যার উপরে তারা ভরসা করে তা মাকড়সার এক জাল।
15 ১৫ সেই রকম লোক নিজের বাড়ির ওপর নির্ভর করবে, কিন্তু তা দাঁড়াবে না; সে শক্ত করে ধরবে, কিন্তু তা টিকবে না।
তারা জালের উপরে হেলান দেয়, কিন্তু তা সরে যায়; তারা তা জড়িয়ে ধরে থাকে, কিন্তু তা ধরে রাখতে পারে না।
16 ১৬ সূর্য্যের নিচে সে সতেজ এবং তার কান্ড পুরো বাগানে ছড়িয়ে পরে।
তারা রোদ পাওয়া জলসেচিত এক চারাগাছের মতো, যা বাগানের সর্বত্র শাখাপ্রশাখা বিস্তার করে;
17 ১৭ তার শিকড় পাথরের ঢিবি জড়িয়ে ধরে; পাথরের মধ্যে তারা ভালো জায়গা খোঁজে।
সেটির মূল পাষাণ-পাথরের গাদায় জড়িয়ে যায় ও তা পাথরের মধ্যে এক স্থান খুঁজে নেয়।
18 ১৮ কিন্তু যদি এই লোকটি নিজের জায়গায় ধ্বংস হয়, তাহলে সেই জায়গা তাকে অস্বীকার করবে এবং বলবে, আমি কখনও তোমায় দেখিনি।
কিন্তু যখন সেটিকে তার অকুস্থল থেকে উপড়ে ফেলা হয়, তখন সেই স্থানটিই তাকে অস্বীকার করে বলে, ‘আমি তোমাকে কখনও দেখিনি।’
19 ১৯ দেখ, এই হয় সেই রকম ব্যক্তির আচরণের আনন্দ, অন্য উদ্ভিদ সেই একই মাটি থেকে অঙ্কুরিত হবে তার জায়গায়।
নিঃসন্দেহে তার প্রাণ শুকিয়ে যায়, ও সেই মাটি থেকে অন্যান্য চারাগাছ উৎপন্ন হয়।
20 ২০ দেখ, ঈশ্বর নিরীহ মানুষকে তাড়িয়ে দেবেন না; না তিনি পাপীদের হাত গ্রহণ করবেন।
“নিঃসন্দেহে ঈশ্বর তাকে কখনও প্রত্যাখ্যান করেন না যে অনিন্দনীয়, বা অনিষ্টকারীদের হাতও শক্তিশালী করেন না।
21 ২১ তিনি এখনও তোমার মুখ হাঁসিতে পূর্ণ করবেন, তোমার ঠোঁট আনন্দে পূর্ণ করবেন।
তিনি এখনও তোমার মুখ হাসিতে ও তোমার ঠোঁট আনন্দধ্বনিতে পূর্ণ করতে পারেন।
22 ২২ যারা তোমায় ঘৃণা করবে তারা লজ্জায় পরবে; পাপীদের তাঁবু আর থাকবে না।”
তোমার শত্রুরা লজ্জায় আচ্ছন্ন হবে, ও দুষ্টদের তাঁবু আর থাকবে না।”