< ইয়োবের বিবরণ 5 >
1 ১ এখন ডাক, এখানে কি কেউ আছে যে তোমায় উত্তর দেবে? কোন পবিত্র ব্যক্তির দিকে তুমি ফিরবে?
“ডাকতে চাইলে ডাকো, কিন্তু কে তোমায় উত্তর দেবে? পবিত্রজনেদের মধ্যে তুমি কার শরণাপন্ন হবে?
2 ২ কারণ রাগ বোকা মানুষকে মেরে ফেলে; হিংসা বোকা মানুষকে মারে।
বিরক্তিভাব মূর্খকে হত্যা করে, আর হিংসা সরল লোককে বধ করে।
3 ৩ আমি একজন বোকা মানুষকে দৃঢ় প্রতিষ্ঠিত হতে দেখেছি, কিন্তু তক্ষুনি আমি তার ঘরকে অভিশাপ দিলাম।
আমি স্বয়ং এক মূর্খকে মূল বিস্তার করতে দেখেছি, কিন্তু হঠাৎ তার বাড়ি অভিশপ্ত হয়ে গেল।
4 ৪ তার সন্তানেরা নিরাপদ জায়গা থেকে অনেক দূরে; তারা শহরের দরজায় চূর্ণ হয়েছে। তাদের উদ্ধার করার কেউ নেই,
তার সন্তানেরা নিরাপত্তাহীন হল, রক্ষক বিনা কাছারিতে নিষ্পেষিত হল।
5 ৫ তাদের শস্য অন্যরা খেয়ে নিয়েছে যারা ক্ষুধার্ত ছিল, লোকেরা এমনকি কাঁটার বেড়ার মধ্যে থেকেও নেয়; যারা তাদের সম্পত্তির জন্য আকুল আকাঙ্খী, লোকেরা তাদের সম্পত্তি গ্রাস করেছে।
ক্ষুধার্ত লোক তার ফসল খেয়ে ফেলে, কাঁটাঝোপ থেকেও সেগুলি তুলে নেয়, আর তৃষ্ণার্তরা তার সম্পত্তির জন্য আকাঙ্ক্ষিত হয়।
6 ৬ কারণ সমস্যা মাটি থেকে বেরিয়ে আসে না; না ঝামেলা মাটি থেকে জন্মায়;
কারণ মাটি থেকে কষ্ট উৎপন্ন হয় না, জমি থেকেও অনিষ্ট অঙ্কুরিত হয় না।
7 ৭ কিন্তু মানবজাতি নিজের ঝামেলা নিজে তৈরী করে, ঠিক যেমন আগুনের ফুলকি উপরে ওড়ে।
তবুও মানুষ অসুবিধা ভোগ করার জন্যই জন্মায়, ঠিক যেভাবে অগ্নিস্ফুলিঙ্গ উপরের দিকে উঠে যায়।
8 ৮ কিন্তু আমার জন্য, আমি ঈশ্বরের দিকে ফিরব; তাঁর কাছে আমি আমার অভিযোগ সমর্পণ করব,
“কিন্তু আমি যদি তোমার জায়গায় থাকতাম, আমি ঈশ্বরের কাছে আবেদন জানাতাম; তাঁর কাছেই আমার উদ্দেশ্য ব্যক্ত করতাম।
9 ৯ তিনি যিনি মহান এবং অসামান্য কাজ করেছেন, অসংখ্য আশ্চর্য্য জিনিস করেছেন।
তিনি এমন সব আশ্চর্য কাজ করেন যা অনুভব করা যায় না, এমন সব অলৌকিক কাজ করেন যা গুনে রাখা যায় না।
10 ১০ তিনি পৃথিবীতে বৃষ্টি দেন এবং মাঠে জল পাঠান।
তিনি ধরণীতে বৃষ্টির জোগান দেন; তিনি গ্রামাঞ্চলে জল পাঠান।
11 ১১ তিনি এটা করেছেন যাতে যারা নিচু তাদের উঁচু করতে এবং যারা ছাইয়ে বসে শোক করছিল তাদের নিরাপত্তা দিতে তোলেন।
সহজসরল লোককে তিনি উন্নত করেন, আর শোকার্তদের নিরাপত্তা দেন।
12 ১২ তিনি ধূর্তদের পরিকল্পনা বিফল করেন, যাতে তাদের হাত তাদের ষড়যন্ত্র বয়ে না নিয়ে যেতে পারে।
ধূর্তদের পরিকল্পনা তিনি ব্যর্থ করেন, যেন তাদের হাত কোনও সাফল্য লাভ না করে।
13 ১৩ তিনি জ্ঞানীদের তাদের ধূর্ততায় ধরেন; চালাক লোকের পরিকল্পনা তাড়াতাড়ি শেষ হবে।
জ্ঞানীদের তিনি তাদের ধূর্ততায় ধরে ফেলেন, আর শঠের ফন্দি দ্রুত নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়।
14 ১৪ তারা দিনের রবেলায় অন্ধকারের সঙ্গে মিলিত হয় এবং দুপুরে তারা রাতের মত হাতড়ায়।
দিনের বেলাতেই তাদের উপর অন্ধকার নেমে আসে, মধ্যাহ্নে তারা রাতের মতো হাতড়ে বেড়ায়।
15 ১৫ কিন্তু তিনি গরিবদের রক্ষা করেছেন তাদের মুখের তলোয়ার থেকে এবং অতি দরিদ্রদের শক্তিশালীদের হাত থেকে রক্ষা করেছেন।
অভাবগ্রস্তকে তিনি শব্দবাণ থেকে রক্ষা করেন; তিনি তাদের শক্তিশালীদের খপ্পর থেকে রক্ষা করেন।
16 ১৬ তাই গরিবের আশা আছে এবং অন্যায়ী সে তার নিজের মুখ বন্ধ করেছে।
তাই দরিদ্র আশায় বুক বাঁধে, আর অবিচার নিজের মুখে কুলুপ আঁটে।
17 ১৭ দেখ, সেই মানুষ ধন্য সেই ব্যক্তি যাকে ঈশ্বর সংশোধন করেন; এই জন্য, সর্বশক্তিমানের সংশোধন করার উদ্দেশ্যে দেওয়া শাস্তিকে তুচ্ছ করো না।
“ধন্য সেই জন যাকে ঈশ্বর সংশোধন করেন; তাই সর্বশক্তিমানের শাস্তি তুচ্ছজ্ঞান কোরো না।
18 ১৮ কারণ তিনি আঘাত করেন এবং তারপর বেঁধে দেন; তিনি আঘাত করেন এবং তারপর তাঁর হাত সুস্থ করেন।
কারণ তিনি আঘাত দেন, কিন্তু শুশ্রুষাও করেন; তিনি ক্ষতিগ্রস্ত করেন, কিন্তু তাঁর হাত সুস্থও করে তোলে।
19 ১৯ তিনি তোমায় ছয়টি সমস্যা থেকে উদ্ধার করবেন; প্রকৃত পক্ষে, সাতটি সমস্যা থেকে, কোন মন্দ তোমায় স্পর্শ করবে না।
ছয়টি বিপর্যয় থেকে তিনি তোমাকে রক্ষা করবেন; সপ্তমটিতেও কোনও অনিষ্ট তোমাকে স্পর্শ করবে না।
20 ২০ দূর্ভিক্ষে তিনি তোমায় মৃত্যু থেকে উদ্ধার করবেন; যুদ্ধে তলোয়ারের শক্তি থেকে উদ্ধার করবেন।
দুর্ভিক্ষের সময় তিনি তোমাকে মৃত্যু থেকে, আর যুদ্ধের সময় তরোয়ালের আঘাত থেকে রক্ষা করবেন।
21 ২১ তুমি জিভের চাবুক থেকে গুপ্ত থাকবে এবং যখন বিনাশক আসবে তখন তুমি ভয় পাবে না।
জিভের কশাঘাত থেকে তুমি সুরক্ষিত থাকবে, আর বিনাশকালেও ভয় পাবে না।
22 ২২ তুমি বিনাশ ও দূর্ভিক্ষে হাঁসবে এবং তুমি জঙ্গলের পশুদের থেকে ভয় পাবে না।
ধ্বংস ও দুর্ভিক্ষ দেখে তুমি হাসবে, আর বুনো পশুদেরও ভয় পাবে না।
23 ২৩ কারণ তোমার মাঠের পাথরের সঙ্গে তোমার এক চুক্তি থাকবে; তুমি জঙ্গলের পশুদের সঙ্গে শান্তিতে থাকবে।
কারণ জমির পাথরগুলির সঙ্গে তুমি চুক্তিবদ্ধ হবে, আর বুনো পশুরাও তোমার সঙ্গে শান্তিতে থাকবে।
24 ২৪ তুমি জানবে যে তোমার তাঁবু নিরাপত্তায় আছে; তুমি তোমার ভেড়ার পাল দেখতে যাবে এবং দেখবে কিছুই হারায়নি।
তুমি জানবে যে তোমার তাঁবু নিরাপদ; তুমি তোমার সম্পত্তির পরিমাণ যাচাই করবে ও দেখবে একটিও হারায়নি।
25 ২৫ তুমি আরও জানবে যে তোমার বংশ মহান হবে, তোমার সন্তানসন্ততি মাঠের ঘাসের মত হবে।
তুমি জানবে যে তোমার সন্তানেরা অসংখ্য হবে, ও তোমার বংশধরেরা মাটির ঘাসের মতো হবে।
26 ২৬ তুমি তোমার কবরে আসবে পূর্ণ বয়সে, যেমন শস্যের আঁটি তুলে নিয়ে যাওয়া হয় খামারে।
পূর্ণ প্রাণশক্তি নিয়ে তুমি কবরে যাবে, যেভাবে শস্যের আঁটিগুলি যথাসময়ে সংগৃহীত হয়।
27 ২৭ দেখ, আমরা এ বিষয়ে পরীক্ষা করে দেখেছি; এটা এরকম, এটা শোন এবং এটা জানো নিজের জন্য।
“আমরা এর পরীক্ষা করেছি, আর তা সত্যি। তাই একথা শোনো ও নিজের জীবনে প্রয়োগ করো।”