< ইয়োবের বিবরণ 30 >
1 ১ এখন যারা আমার থেকে ছোট, তাদের কাছে আমার জন্য উপহাস ছাড়া কিছুই নেই আমি তাদের পিতাদের আমার পালরক্ষা করা কুকুরদের সঙ্গে কাজ করার অনুমতি দিতাম না।
Nunc autem derident me iuniores tempore, quorum non dignabar patres ponere cum canibus gregis mei:
2 ২ সত্যি, তাদের পিতাদের হাতের শক্তি, কীভাবে আমায় সাহায্য করতে পারে লোকেদের শক্তি তাদের প্রাপ্ত বয়েসে ধ্বংস হয়ে গেছে?
Quorum virtus manuum mihi erat pro nihilo, et vita ipsa putabantur indigni.
3 ৩ তারা দারিদ্রতায় এবং খিদেয় রোগা হয়ে গেছে; তারা প্রান্তরের অন্ধকারে এবং নির্জনতায় শুকনো মাটি চিবোত।
Egestate et fame steriles, qui rodebant in solitudine, squallentes calamitate, et miseria.
4 ৪ তারা লতা জাতীয় শাক এবং ঝোপের পাতা তুলত; গুল্ম জাতীয় গাছের শিকড় তাদের খাবার ছিল।
Et mandebant herbas, et arborum cortices, et radix iuniperorum erat cibus eorum.
5 ৫ তারা লোকেদের মধ্যে থেকে বিতাড়িত হয়েছিল, যারা তাদের পিছনে চিত্কার করত যেমন একজন চোরের পিছনে চিত্কার করে।
Qui de convallibus ista rapientes, cum singula reperissent, ad ea cum clamore currebant.
6 ৬ তাই তাদের নদীর তীরে বাস করতে হত, মাটির গর্তে এবং পাথরের গুহায় বাস করতে হত।
In desertis habitabant torrentium, et in cavernis terrae, vel super glaream.
7 ৭ ঝোপের মধ্যে তারা গাধার মত আওয়াজ করত; ঝোপের নিচে তারা একসঙ্গে জড়ো হত।
Qui inter huiuscemodi laetabantur, et esse sub sentibus delicias computabant.
8 ৮ সত্যি, তারা মূর্খদের বংশধর, বেকার লোকেদের বংশধর; তারা চাবুকের আঘাতে দেশ থেকে বিতাড়িত হয়েছিল।
Filii stultorum et ignobilium, et in terra penitus non parentes.
9 ৯ কিন্তু এখন, আমি তাদের ছেলেদের জন্য উপহাসের গানের বিষয় হয়েছি; সত্যি, আমি এখন তাদের কাছে একটা মজার বিষয়।
Nunc in eorum canticum versus sum, et factus sum eis in proverbium.
10 ১০ তারা আমায় ঘৃণা করে এবং আমার থেকে দূরে দাঁড়ায়; তাদের আমার মুখে থুতু দিতে আটকায় না।
Abominantur me, et longe fugiunt a me, et faciem meam conspuere non verentur.
11 ১১ কারণ ঈশ্বর আমার ধনুকের দড়ি খুলে দিতেন এবং আমায় কষ্ট দিতেন এবং তাই এই লোকেরা আমার সামনে তাদের সমস্ত আত্মসংযম হারাত।
Pharetram enim suam aperuit, et afflixit me, et frenum posuit in os meum.
12 ১২ আমার দক্ষিণে বিশৃঙ্খল জনতা ওঠে; তারা আমায় তাড়িয়ে দেয় এবং আমার বিরুদ্ধে তাদের ধ্বংসের পথ উঁচু করে তোলে।
Ad dexteram orientis calamitatis meae illico surrexerunt: pedes meos subverterunt, et oppresserunt quasi fluctibus semitis suis.
13 ১৩ তারা আমার পথ ধ্বংস করে; তারা আমার জন্য দুর্যোগ নিয়ে আসে, সেই লোকেদের এমন কেউ নেই যে তাদের ধরে রাখতে পারে।
Dissipaverunt itinera mea, insidiati sunt mihi, et praevaluerunt, et non fuit qui ferret auxilium.
14 ১৪ তারা শহরের দেওয়ালের বড় ফাটল দিয়ে সৈন্যদলের মত আমার বিরুদ্ধে আসে; বিনাশের মধ্যে তারা আমার ওপর গড়িয়ে পড়ে।
Quasi rupto muro, et aperta ianua, irruerunt super me, et ad meas miserias devoluti sunt.
15 ১৫ আতঙ্ক আমার ওপরে আসে; আমার সম্মান বাতাসের মত উড়ে গেছে; আমার সমৃদ্ধি মেঘের মত দূর হয়েছে।
Redactus sum in nihilum: abiit quasi ventus desiderium meum: et velut nubes pertransiit salus mea.
16 ১৬ এখন আমার প্রাণ আমার মধ্যে ঢালা হচ্ছে; অনেক দুঃখের দিন আমাকে আকঁড়ে ধরে রেখেছে।
Nunc autem in memetipso marcescit anima mea, et possident me dies afflictionis.
17 ১৭ রাতে আমার হাড় যন্ত্রণায় ক্লিষ্ট হয়; সেই ব্যথা যা আমায় কখন বিশ্রাম নেয় না।
Nocte os meum perforatur doloribus: et qui me comedunt, non dormiunt.
18 ১৮ ঈশ্বরের মহা শক্তি আমার পরিচ্ছদ ছিনিয়ে নেন; জামার গলার মত এটা আমায় চারিদিক দিয়ে জড়ায়।
In multitudine eorum consumitur vestimentum meum, et quasi capito tunicae succinxerunt me.
19 ১৯ তিনি আমায় কাদায় ছুঁড়ে ফেলেন; আমি ধূলো ও ছাইয়ে মত হয়ে পড়ি।
Comparatus sum luto, et assimilatus sum favillae et cineri.
20 ২০ হে ঈশ্বর, আমি তোমার কাছে কাঁদি, কিন্তু তুমি আমায় উত্তর দাও না; আমি দাঁড়ায়ে থাকি এবং তুমি নামমাত্র আমাকে দেখ।
Clamo ad te, et non exaudis me: sto, et non respicis me.
21 ২১ তুমি পরিবর্তিত হয়েছ এবং আমার প্রতি নিষ্ঠুর হয়েছ; তোমার হাতের শক্তিতে তুমি আমায় অত্যাচার করেছ।
Mutatus es mihi in crudelem, et in duritia manus tuae adversaris mihi.
22 ২২ তুমি বাতাসে আমাকে তুলেছ এবং আমায় উড়িয়ে নিয়ে গেছ; তুমি আমায় ঝড়ে বিলীন করেছ।
Elevasti me, et quasi super ventum ponens elisisti me valide.
23 ২৩ কারণ আমি জানি যে তুমি আমায় মৃত্যুর সম্মুখে নিয়ে যাচ্ছ, সেই পূর্ব্ব নির্ধারিত ঘরে যা সমস্ত জীবিত বস্তুর জন্য নিরূপিত আছে।
Scio quia morti trades me, ubi constituta est domus omni viventi.
24 ২৪ যাইহোক, যখন সে পড়ে তখন কি সে তার হাত বাড়ায় না সাহায্যের জন্য অথবা বিপদে কি সে চিত্কার করে না?
Verumtamen non ad consumptionem meam emittis manum tuam: et si corruerim, ipse salvabis.
25 ২৫ আমি কি তার জন্য কাঁদি নি যে বিপদের মধ্যে ছিল? আমার হৃদয় কি দরিদ্রের জন্য দুঃখ করে নি?
Flebam quondam super eo, qui afflictus erat, et compatiebatur anima mea pauperi.
26 ২৬ যখন আমি ভাল খুঁজতাম, তখন মন্দ আসত; যখন আমি আলোর জন্য অপেক্ষা করি, পরিবর্তে অন্ধকার আসে।
Expectabam bona, et venerunt mihi mala: praestolabar lucem, et eruperunt tenebrae.
27 ২৭ যখন আমার হৃদয় অস্থির এবং তার বিশ্রাম নেই; কষ্টের দিন আমার ওপরে আসে।
Interiora mea efferbuerunt absque ulla requie, praevenerunt me dies afflictionis.
28 ২৮ আমি বিনা রৌদ্রে ধীরে ধীরে কালো হয়ে যাচ্ছি, আমি সমাজে দাঁড়াই এবং সাহায্যের জন্য চিত্কার করি।
Moerens incedebam, sine furore, consurgens, in turba clamabam.
29 ২৯ আমি শিয়ালের ভাই, উঠ পাখিদের সঙ্গী হয়ে গেছি।
Frater fui draconum, et socius struthionum.
30 ৩০ আমার চামড়া কালো এবং তা খসে পড়ছে; আমার হাড়গুলো তাপে পুড়ে গেছে।
Cutis mea denigrata est super me, et ossa mea aruerunt prae caumate.
31 ৩১ এই জন্য, আমার বীণার শব্দ যেন হাহাকারের সুর, আমার সানাইয়ের সুর যেন বিলাপের গান।
Versa est in luctum cithara mea, et organum meum in vocem flentium.