< ইয়োবের বিবরণ 29 >
1 ১ ইয়োব আবার কথা বলা শুরু করলেন এবং বললেন,
Addidit quoque Iob, assumens parabolam suam, et dixit:
2 ২ আহা, যেমন আমি গত মাসগুলোতে ছিলাম সেই দিন গুলোর মত যখন ঈশ্বর আমার নজর রাখতেন,
Quis mihi tribuat, ut sim iuxta menses pristinos secundum dies, quibus Deus custodiebat me?
3 ৩ যখন তাঁর প্রদীপ আমার মাথা আলো করত এবং যখন আমি তাঁর আলোয় অন্ধকারের মধ্যে দিয়ে হাঁটতাম।
Quando splendebat lucerna eius super caput meum, et ad lumen eius ambulabam in tenebris?
4 ৪ আহা, আমি যেমন আমার পূর্ণ অবস্থার দিনের ছিলাম, যখন ঈশ্বরের বন্ধুত্ব আমার তাঁবুতে ছিল।
Sicut fui in diebus adolescentiae meae, quando secreto Deus erat in tabernaculo meo?
5 ৫ যখন সর্বশক্তিমান তখনও আমার সঙ্গে ছিলেন এবং আমার সন্তানেরা আমার চারিদিকে ছিল।
Quando erat Omnipotens mecum: et in circuitu meo pueri mei?
6 ৬ যখন আমার পায়ের চিহ্ন দুধ দিয়ে ধোয়া হত এবং পাথর আমার জন্য তেলের ঝরনা বইয়ে দিত!
Quando lavabam pedes meos butyro, et petra fundebat mihi rivos olei?
7 ৭ যখন আমি শহরের দরজায় গেলাম, যখন আমি শহরের চকে আমার জায়গায় বসলাম,
Quando procedebam ad portam civitatis, et in platea parabant cathedram mihi?
8 ৮ যুবকেরা আমায় দেখল এবং তারা সম্মানে আমার থেকে দূরত্ব বজায় রাখত এবং বৃদ্ধেরা আমার জন্য উঠে দাঁড়াত।
Videbant me iuvenes, et abscondebantur: et senes assurgentes stabant.
9 ৯ যখন আমি আসতাম অধিকারীরা কথা বলা থেকে বিরত থাকত; তারা তাদের হাত মুখের ওপর রাখত।
Principes cessabant loqui, et digitum superponebant ori suo.
10 ১০ অভিজাত লোকেদের আওয়াজ নীরব থাকত এবং তাদের জিভ তাদের মুখের তালুতে লেগে থাকত।
Vocem suam cohibebant duces, et lingua eorum gutturi suo adhaerebat.
11 ১১ যখন তারা কানে শুনত আমার প্রশংসা করত, আর যখন চোখে দেখত তখন পছন্দ করত।
Auris audiens beatificabat me, et oculus videns testimonium reddebat mihi.
12 ১২ কারণ আমি দরিদ্র লোকদের উদ্ধার করতাম যারা কষ্টে চিত্কার করত এবং যার কেউ নেই সেই পিতৃহীনকেও সাহায্য করতাম।
Eo quod liberassem pauperem vociferantem, et pupillum, cui non esset adiutor.
13 ১৩ যে ধ্বংস হতে চলেছে তার আর্শীবাদ আমার কাছে আসত; আমি বিধবাদের হৃদয়ে আনন্দ গান করাতাম।
Benedictio perituri super me veniebat, et cor viduae consolatus sum.
14 ১৪ আমি ধার্ম্মিকতা পরতাম এবং এটা আমায় ঢাকত; আমার ন্যায়বিচার কাপড়ের মত ছিল এবং একটা পাগড়ির মত ছিল।
Iustitia indutus sum: et vestivi me, sicut vestimento et diademate, iudicio meo.
15 ১৫ আমি অন্ধের চোখ ছিলাম; আমি খোঁড়ার পা ছিলাম।
Oculus fui caeco, et pes claudo.
16 ১৬ আমি দরিদ্রদের পিতা ছিলাম; আমি এমনকি তাদের অভিযোগও পরীক্ষা করে দেখতাম যাকে আমি চিনি না।
Pater eram pauperum: et causam quam nesciebam, diligentissime investigabam.
17 ১৭ আমি অধার্মিকদের চোয়াল ভাঙ্গতাম; আমি তার দাঁতের মধ্যে থেকে ক্ষতিগ্রস্তকে বার করে নিয়ে আসতাম।
Conterebam molas iniqui, et de dentibus illius auferebam praedam.
18 ১৮ তখন আমি বলতাম, আমি আমার বাসায় মরব; আমি আমার দিন বালির মত বৃদ্ধি করব।
Dicebamque: In nidulo meo moriar, et sicut palma multiplicabo dies.
19 ১৯ আমার মূল জলের দিকে ছড়িয়েছে এবং সারা রাত আমার শাখায় শিশির থাকে।
Radix mea aperta est secus aquas, et ros morabitur in messione mea.
20 ২০ আমার গৌরব সবদিন আমাতে তাজা থাকে এবং আমার ধনুকের শক্তি সবদিন নতুন থাকে আমার হাতে।
Gloria mea semper innovabitur, et arcus meus in manu mea instaurabitur.
21 ২১ লোকেরা আমার কথা শুনত; তারা আমার জন্য অপেক্ষা করত; তারা নিরব থাকত আমার পরামর্শ শোনার জন্য।
Qui me audiebant, expectabant sententiam, et intenti tacebant ad consilium meum.
22 ২২ আমার কথা বলার পরে, তারা আর কথা বলত না; আমার কথা তাদের ওপর জলের ফোঁটার মত পড়ত।
Verbis meis addere nihil audebant, et super illos stillabat eloquium meum.
23 ২৩ তারা যেমন বৃষ্টির জন্য, তেমনি আমার জন্যও সবদিন অপেক্ষা করত; শেষের বর্ষার মত তারা আমার কথা পান করত।
Expectabant me sicut pluviam, et os suum aperiebant quasi ad imbrem serotinum.
24 ২৪ আমি তাদের ওপর হাঁসতাম যখন তারা এটা আশা করত না; তারা আমার মুখের আলো প্রত্যাখান করত না।
Siquando ridebam ad eos, non credebant, et lux vultus mei non cadebat in terram.
25 ২৫ আমি তাদের পথ ঠিক করতাম এবং তাদের প্রধানের মত বসতাম; আমি রাজার মত বাঁচতাম তার সৈন্যদলে, ঠিক একজন ব্যক্তির মত যে শোক সভায় শোকার্তদের সান্ত্বনা দেয়।
Si voluissem ire ad eos, sedebam primus: cumque sederem quasi rex, circumstante exercitu, eram tamen moerentium consolator.