< যিরমিয়ের বই 39 >
1 ১ যিহূদার রাজা সিদিকিয়ের নবম বছরের দশম মাসে বাবিলের রাজা নবূখদনিৎসর তাঁর সমস্ত সৈন্যদল নিয়ে যিরূশালেমের বিরুদ্ধে আসেন এবং সেটি দখল করেন।
যিহূদার রাজা সিদিকিয়ের রাজত্বের নবম বছরের দশম মাসে, ব্যাবিলনের রাজা নেবুখাদনেজার তাঁর সমস্ত সৈন্য নিয়ে জেরুশালেমের বিরুদ্ধে সমরাভিযান করেন ও তা অবরোধ করেন।
2 ২ সিদিকিয়ের এগারো বছরের চতুর্থ মাসের নবম দিনের শহরটি ভেঙে গেল।
সিদিকিয়ের রাজত্বের এগারোতম বছরের চতুর্থ মাসের নবম দিনে, নগরের প্রাচীর ভেঙে ফেলা হল।
3 ৩ তখন বাবিলের রাজার সব রাজকর্মচারীরা এলেন এবং মাঝের ফটকে বসলেন: নের্গল-শরেৎসর, সমগরনবো, শর্সখীম নামে একজন নপুংসক, নের্গল-শরেৎসর নামে প্রধান রাজকর্মচারী এবং বাবিলের রাজার অবশিষ্ট সমস্ত কর্মচারী।
তারপর ব্যাবিলনের রাজার সমস্ত কর্মকর্তা এসে মধ্যম-দ্বারে আসন গ্রহণ করল। তারা ছিল সমগরের নের্গল-শরেৎসর, একজন প্রধান আধিকারিক নেবো-সার্সেকিম, একজন উচ্চ পদাধিকারী নের্গল-শরেৎসর এবং ব্যাবিলনের রাজার অন্যান্য সমস্ত কর্মচারী।
4 ৪ এটি ঘটল, যখন যিহূদার রাজা সিদিকিয় ও তাঁর সমস্ত সৈন্য তাঁদের দেখলেন এবং তারা পালিয়ে গেলেন। তাঁরা রাতের বেলা রাজার বাগানের পথ ধরে দুই দেয়ালের মাঝের ফটক দিয়ে শহরের বাইরে গেলেন। রাজা অরাবার পথ ধরে চলে গেলেন।
যখন যিহূদার রাজা সিদিকিয় ও সমস্ত সৈন্য তাদের দেখলেন, তারা পলায়ন করলেন। রাজার উদ্যানের পথ দিয়ে তারা রাত্রিবেলা নগর ত্যাগ করলেন। সেই ফটকটি ছিল দুটি প্রাচীরের মাঝখানে এবং পথ ছিল অরাবা অভিমুখী।
5 ৫ কিন্তু কলদীয়দের সৈন্যেরা তাঁদের পিছনে তাড়া করে যিরীহোর সমভূমিতে সিদিকিয়কে ধরে ফেলল। তারা তাঁকে ধরে হমাৎ দেশের রিব্লাতে বাবিলের রাজা নবূখদনিৎসরের কাছে নিয়ে গেল, যেখানে নবূখদনিৎসর তাঁর বিধান দিলেন।
কিন্তু ব্যাবিলনীয় সৈন্যেরা তাদের পশ্চাদ্ধাবন করল এবং যিরীহোর সমভূমিতে সিদিকিয়ের নাগাল পেল। তারা তাঁকে বন্দি করল এবং হমাৎ দেশের রিব্লাতে ব্যাবিলনের রাজা নেবুখাদনেজারের কাছে তাঁকে নিয়ে গেল। সেখানে তিনি তাঁর দণ্ডাদেশ ঘোষণা করলেন।
6 ৬ বাবিলের রাজা রিব্লাতে সিদিকিয়ের চোখের সামনেই তাঁর ছেলেদের হত্যা করলেন; তিনি যিহূদার সমস্ত মহান ব্যক্তিদেরও হত্যা করলেন।
সেখানে ব্যাবিলনের রাজা রিব্লায়, সিদিকিয়ের চোখের সামনেই তাঁর পুত্রদের হত্যা করলেন এবং যিহূদার সমস্ত সম্ভ্রান্ত ব্যক্তিকেও হত্যা করলেন।
7 ৭ তারপর তিনি সিদিকিয়ের চোখ তুলে নিলেন এবং তাঁকে বাবিলে নিয়ে যাবার জন্য ব্রোঞ্জের শেকল দিয়ে বাঁধলেন।
তারপর তিনি সিদিকিয়ের দুই চোখ উপড়ে নিলেন এবং তাঁকে ব্যাবিলনে নিয়ে যাওয়ার জন্য পিতলের শিকল দিয়ে বাঁধলেন।
8 ৮ তখন কলদীয়েরা রাজবাড়ী ও লোকেদের বাড়ি পুড়িয়ে দিল। তারা যিরূশালেমের দেয়ালগুলিও ভেঙে ফেলল।
ব্যাবিলনীয়েরা রাজপ্রাসাদে ও লোকদের সমস্ত গৃহে আগুন লাগিয়ে দিল এবং জেরুশালেমের প্রাচীরগুলি ভেঙে ফেলল।
9 ৯ নবূষরদন, রাজার দেহরক্ষীদলের সেনাপতি, সেই শহরে যারা অবশিষ্ট ছিল, তাদের ও যারা বাবিলের পক্ষে গিয়েছিল, তাদেরকে এবং অন্য অবশিষ্ট লোকেদেরকে বন্দী করে বাবিলে নিয়ে গেলেন।
রাজরক্ষীবাহিনীর সেনাপতি নবূষরদন নগরের অবশিষ্ট লোকেদের এবং যারা তাদের পক্ষ অবলম্বন করেছিল তাদের ও অবশিষ্ট অন্য সব লোককে ব্যাবিলনে নির্বাসিত করলেন।
10 ১০ কিন্তু দেহরক্ষীদলের সেনাপতি নবূষরদন নিঃস্ব কিছু গরিব লোককে যিহূদা দেশে অবশিষ্ট রাখলেন। সেই একই দিনের তিনি তাদের আঙ্গুর ক্ষেত ও ভূমি দান করলেন।
কিন্তু রক্ষীদলের সেনাপতি নবূষরদন যিহূদায় কিছু দীনদরিদ্র ব্যক্তিকে ছেড়ে দিলেন, তাদের কাছে কিছুই ছিল না। সেই সময় তিনি তাদের দ্রাক্ষাকুঞ্জ ও কৃষিজমি দান করলেন।
11 ১১ বাবিলের রাজা নবূখদনিৎসর যিরমিয়ের বিষয়ে রাজার দেহরক্ষীদলের সেনাপতি নবূষরদনকে আদেশ দিয়েছিলেন। তিনি বললেন,
এরপর, ব্যাবিলনের রাজা নেবুখাদনেজার তাঁর রাজরক্ষীদলের সেনাপতি নবূষরদনের মাধ্যমে যিরমিয়ের জন্য এই আদেশ দিলেন,
12 ১২ “তাঁকে গ্রহণ কর এবং তাঁর যত্ন কর। তাঁর কোন ক্ষতি করবে না। তিনি তোমাকে যা বলেন, তাঁর জন্য সব কিছু করবে।”
“তাঁকে গ্রহণ করো ও তাঁর তত্ত্বাবধান করো। তাঁর কোনো ক্ষতি করবে না, বরং তিনি যা চান, তাঁর প্রতি তাই করবে।”
13 ১৩ তাই দেহরক্ষীদলের সেনাপতি নবূষরদন, নবূশস্বন নামে একজন নপুংসক, নের্গল-শরেৎসর নামে একজন প্রধান কর্মচারী ও বাবিলের রাজার অন্য সমস্ত প্রধান কর্মচারীরা লোক পাঠালেন।
তাই রক্ষীদলের সেনাপতি নবূষরদন, একজন প্রধান আধিকারিক নবুশাস্বন, একজন উচ্চপদস্থ কর্মচারী নের্গল-শরেৎসর ও ব্যাবিলনের রাজার অন্যান্য সমস্ত কর্মচারীকে
14 ১৪ সেই লোকেরা পাহারাদারদের উঠান থেকে যিরমিয়কে বের করে আনলেন এবং তাঁকে বাড়িতে নিয়ে যাবার জন্য শাফনের নাতি অহীকামের ছেলে গদলিয়ের কাছে সমর্পণ করলেন। তাতে যিরমিয় তাঁর নিজের লোকদের মধ্যেই থাকলেন।
যিরমিয়ের কাছে প্রেরণ করে, তাঁকে রক্ষীদের প্রাঙ্গণ থেকে মুক্ত করে আনলেন। তারা তাঁকে শাফনের পুত্র অহীকামের পুত্র গদলিয়ের হাতে সমর্পণ করলেন, যেন তিনি তাঁকে তাঁর গৃহে ফেরত নিয়ে যান। এভাবেই তিনি তাঁর আপনজনদের কাছে থেকে গেলেন।
15 ১৫ এখন সদাপ্রভুর এই বাক্য তাঁর কাছে এল যখন যিরমিয় পাহারাদারদের উঠানে বন্দী ছিলেন। এটি হল,
যখন যিরমিয় রক্ষীদের প্রাঙ্গণে অবরুদ্ধ ছিলেন, সদাপ্রভুর বাক্য তাঁর কাছে উপস্থিত হল:
16 ১৬ “কূশীয় এবদ-মেলকের কাছে গিয়ে বল, বাহিনীগণের সদাপ্রভু, ইস্রায়েলের ঈশ্বর এই কথা বলেন, মঙ্গলের জন্য নয়, বরং অমঙ্গলের জন্যই আমি এই শহরের বিরুদ্ধে আমার বাক্য সফল করব। কারণ সেই দিনের তোমার সামনে তা সফল হবে।
“তুমি যাও ও গিয়ে কূশীয় এবদ-মেলককে বলো, ‘বাহিনীগণের সদাপ্রভু, ইস্রায়েলের ঈশ্বর এই কথা বলেন, আমি এই নগরের বিরুদ্ধে আমার বচন, সমৃদ্ধির নয়, কিন্তু বিপর্যয়ের মাধ্যমে পূর্ণ করতে চলেছি। সেই সময়, সেগুলি তোমার চোখের সামনে পূর্ণ হবে।
17 ১৭ কিন্তু আমি সেই দিনের তোমাকে উদ্ধার করব।” এটা সদাপ্রভুর ঘোষণা। “যাদের তুমি ভয় পাও, তাদের হাতে তুমি সমর্পিত হবে না।
কিন্তু সেদিন, আমি তোমাকে উদ্ধার করব, সদাপ্রভু এই কথা বলেন; তুমি যাদের ভয় করো, তাদের হাতে তোমাকে সমর্পণ করা হবে না।
18 ১৮ আমি তোমাকে অবশ্যই রক্ষা করব; তুমি তরোয়ালের মাধ্যমে পতিত হবে না, বরং তুমি কোনমতে তোমার প্রাণ রক্ষা করবে। লুট করা দ্রব্যের মত তোমার প্রাণরক্ষা হবে; কারণ তুমি আমাকে বিশ্বাস করেছ” এটাই ছিল সদাপ্রভুর ঘোষণা।
আমি তোমাকে রক্ষা করব; তুমি তরোয়ালের আঘাতে পতিত হবে না, কিন্তু তোমার প্রাণরক্ষা পাবে, কারণ তুমি আমাকে বিশ্বাস করেছ, সদাপ্রভু এই কথা বলেন।’”