যিরমিয়ের বই 18
ὁ λόγος ὁ γενόμενος παρὰ κυρίου πρὸς Ιερεμιαν λέγων
ἀνάστηθι καὶ κατάβηθι εἰς οἶκον τοῦ κεραμέως καὶ ἐκεῖ ἀκούσῃ τοὺς λόγους μου
καὶ κατέβην εἰς τὸν οἶκον τοῦ κεραμέως καὶ ἰδοὺ αὐτὸς ἐποίει ἔργον ἐπὶ τῶν λίθων
4 ৪ কিন্তু মাটি দিয়ে যে পাত্রটি সে তৈরী করছিল তা তার হাতে নষ্ট হয়ে গেল, তাই সে তার মন পরিবর্তন করলো এবং তার চোখে যা ভালো লাগলো, সেই রকম অন্য একটি পাত্র তৈরী করল।
καὶ διέπεσεν τὸ ἀγγεῖον ὃ αὐτὸς ἐποίει ἐν ταῖς χερσὶν αὐτοῦ καὶ πάλιν αὐτὸς ἐποίησεν αὐτὸ ἀγγεῖον ἕτερον καθὼς ἤρεσεν ἐνώπιον αὐτοῦ τοῦ ποιῆσαι
καὶ ἐγένετο λόγος κυρίου πρός με λέγων
6 ৬ “হে ইস্রায়েল, আমি কি তোমাদের সঙ্গে এই কুমোরের মত ব্যবহার করতে পারি না?” এটি সদাপ্রভুর ঘোষণা। “দেখ! হে ইস্রায়েলের লোকেরা, কুমোরের হাতের কাদার মতই, যেমন তোমরা আমার হাতে আছ।
εἰ καθὼς ὁ κεραμεὺς οὗτος οὐ δυνήσομαι τοῦ ποιῆσαι ὑμᾶς οἶκος Ισραηλ ἰδοὺ ὡς ὁ πηλὸς τοῦ κεραμέως ὑμεῖς ἐστε ἐν ταῖς χερσίν μου
7 ৭ কোন এক দিন, আমি একটি জাতি বা একটি রাজ্যের বিষয়ে ঘোষণা করব, যে আমি তাকে তাড়িয়ে দেব, ছিন্নভিন্ন করব বা ধ্বংস করব।
πέρας λαλήσω ἐπὶ ἔθνος ἢ ἐπὶ βασιλείαν τοῦ ἐξᾶραι αὐτοὺς καὶ τοῦ ἀπολλύειν
8 ৮ কিন্তু যদি সেই জাতি যার সম্মন্ধে আমি ঘোষণা করেছি সে তার মন্দতা থেকে ফেরে, তবে আমি সেই বিপর্যয় ক্ষমা করব যা আমি তার উপর আনবার জন্য পরিকল্পনা করেছিলাম।
καὶ ἐπιστραφῇ τὸ ἔθνος ἐκεῖνο ἀπὸ πάντων τῶν κακῶν αὐτῶν καὶ μετανοήσω περὶ τῶν κακῶν ὧν ἐλογισάμην τοῦ ποιῆσαι αὐτοῖς
9 ৯ অন্য কোন দিন, আমি একটি জাতি বা রাজ্যের বিষয়ে ঘোষণা করব, যে আমি তাকে গড়ে তুলব বা তাকে স্থাপন করব।
καὶ πέρας λαλήσω ἐπὶ ἔθνος καὶ ἐπὶ βασιλείαν τοῦ ἀνοικοδομεῖσθαι καὶ τοῦ καταφυτεύεσθαι
10 ১০ কিন্তু যদি সে আমার কথা না শোনে আমার চোখে মন্দ কাজ করে, তবে তাদের জন্য যে মঙ্গল করার কথা আমি বলেছিলাম তা করব না।
καὶ ποιήσωσιν τὰ πονηρὰ ἐναντίον μου τοῦ μὴ ἀκούειν τῆς φωνῆς μου καὶ μετανοήσω περὶ τῶν ἀγαθῶν ὧν ἐλάλησα τοῦ ποιῆσαι αὐτοῖς
11 ১১ সেইজন্য এখন, যিহূদার লোকদের ও যিরূশালেমের বাসিন্দাদের বল যে, সদাপ্রভু এই কথা বলেন, ‘দেখ, আমি তোমাদের বিরুদ্ধে বিপদের ব্যবস্থা করছি। তোমাদের বিরুদ্ধে একটা পরিকল্পনা করছি। অনুতাপ কর, প্রত্যেক ব্যক্তি মন্দ পথ থেকে ফেরো, তাহলে তোমাদের পথ ও তোমাদের কাজকর্ম ভাল কর।’
καὶ νῦν εἰπὸν πρὸς ἄνδρας Ιουδα καὶ πρὸς τοὺς κατοικοῦντας Ιερουσαλημ ἰδοὺ ἐγὼ πλάσσω ἐφ’ ὑμᾶς κακὰ καὶ λογίζομαι ἐφ’ ὑμᾶς λογισμόν ἀποστραφήτω δὴ ἕκαστος ἀπὸ ὁδοῦ αὐτοῦ τῆς πονηρᾶς καὶ καλλίονα ποιήσετε τὰ ἐπιτηδεύματα ὑμῶν
12 ১২ কিন্তু তারা বলে, ‘আমরা হতাশ। তাই আমাদের পরিকল্পনা মতই আমরা চলব। আমরা প্রত্যেকে নিজের মন্দ অন্তরের ইচ্ছা অনুসারেই চলব’।”
καὶ εἶπαν ἀνδριούμεθα ὅτι ὀπίσω τῶν ἀποστροφῶν ἡμῶν πορευσόμεθα καὶ ἕκαστος τὰ ἀρεστὰ τῆς καρδίας αὐτοῦ τῆς πονηρᾶς ποιήσομεν
13 ১৩ সেইজন্য সদাপ্রভু এই কথা বলেন, “জাতিদের জিজ্ঞাসা কর, কে এই রকম কথা শুনেছে? কুমারী ইস্রায়েল একটি জঘন্য কাজ করেছে।
διὰ τοῦτο τάδε λέγει κύριος ἐρωτήσατε δὴ ἐν ἔθνεσιν τίς ἤκουσεν τοιαῦτα φρικτά ἃ ἐποίησεν σφόδρα παρθένος Ισραηλ
14 ১৪ লিবানোনের তুষার কি কখনও ক্ষেতের শিলাকে ত্যাগ করে? দূর থেকে আসা তার পর্বতের জল বয়ে যাওয়া কি কখনও হারিয়ে যায়?
μὴ ἐκλείψουσιν ἀπὸ πέτρας μαστοὶ ἢ χιὼν ἀπὸ τοῦ Λιβάνου μὴ ἐκκλινεῖ ὕδωρ βιαίως ἀνέμῳ φερόμενον
15 ১৫ কিন্তু আমার লোকেরা আমাকে ভুলে গেছে। তারা অপদার্থ প্রতিমার কাছে ধূপ জ্বালিয়েছে এবং তারা তাদের পথে হোঁচট খেয়েছে; তারা সেই পুরানো পথ ছেড়ে বিপথে চলাফেরা করেছে।
ὅτι ἐπελάθοντό μου ὁ λαός μου εἰς κενὸν ἐθυμίασαν καὶ ἀσθενήσουσιν ἐν ταῖς ὁδοῖς αὐτῶν σχοίνους αἰωνίους τοῦ ἐπιβῆναι τρίβους οὐκ ἔχοντας ὁδὸν εἰς πορείαν
16 ১৬ তাদের দেশ ভয়ঙ্কর হয়ে যাবে, একটি স্থায়ী শিশ শব্দ হবে। যারা তার পাশ দিয়ে যাবে তারা কেঁপে উঠবে এবং তার মাথা নাড়বে।
τοῦ τάξαι τὴν γῆν αὐτῶν εἰς ἀφανισμὸν καὶ σύριγμα αἰώνιον πάντες οἱ διαπορευόμενοι δῑ αὐτῆς ἐκστήσονται καὶ κινήσουσιν τὴν κεφαλὴν αὐτῶν
17 ১৭ আমি পূর্বের বাতাসের মত তাদের শত্রুদের সামনে তাদের ছুঁড়ে ফেলবো। তাদের বিপদের দিনের আমি তাদেরকে আমার পিছন দেখাব, মুখ নয়।”
ὡς ἄνεμον καύσωνα διασπερῶ αὐτοὺς κατὰ πρόσωπον ἐχθρῶν αὐτῶν δείξω αὐτοῖς ἡμέραν ἀπωλείας αὐτῶν
18 ১৮ তাই লোকেরা বলল, “এসো, আমরা যিরমিয়ের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করি, কারণ যাজকের কাছ থেকে ব্যবস্থা, অথবা জ্ঞানীদের কাছ থেকে পরামর্শ ও ভাববাণীদের কাছ থেকে ঈশ্বরের বাক্য কখনো বিনষ্ট হবে না। এসো, আমরা আমাদের কথায় তাকে আক্রমণ করি এবং তার ঘোষণার কোনো কিছুতে মনোযোগ না দিই।”
καὶ εἶπαν δεῦτε λογισώμεθα ἐπὶ Ιερεμιαν λογισμόν ὅτι οὐκ ἀπολεῖται νόμος ἀπὸ ἱερέως καὶ βουλὴ ἀπὸ συνετοῦ καὶ λόγος ἀπὸ προφήτου δεῦτε καὶ πατάξωμεν αὐτὸν ἐν γλώσσῃ καὶ ἀκουσόμεθα πάντας τοὺς λόγους αὐτοῦ
εἰσάκουσόν μου κύριε καὶ εἰσάκουσον τῆς φωνῆς τοῦ δικαιώματός μου
20 ২০ তাদের প্রতি ভালো থাকার জন্য তাদের করা ক্ষয়ক্ষতি কি আমার পুরষ্কার? কারণ তারা আমার জীবনের জন্য গর্ত খুঁড়েছে। স্মরণ কর, তাদের থেকে তোমার রাগ থামানোর চেষ্টায় তোমার সামনে দাঁড়িয়ে তাদের পক্ষে মঙ্গল জনক কথা বলেছি।
εἰ ἀνταποδίδοται ἀντὶ ἀγαθῶν κακά ὅτι συνελάλησαν ῥήματα κατὰ τῆς ψυχῆς μου καὶ τὴν κόλασιν αὐτῶν ἔκρυψάν μοι μνήσθητι ἑστηκότος μου κατὰ πρόσωπόν σου τοῦ λαλῆσαι ὑπὲρ αὐτῶν ἀγαθὰ τοῦ ἀποστρέψαι τὸν θυμόν σου ἀπ’ αὐτῶν
21 ২১ তাই তুমি তাদের সন্তানদের দূর্ভিক্ষের হাতে ছেড়ে দাও এবং তাদের উপরে তরোয়ালকে ক্ষমতা দাও। তাদের স্ত্রীরা সন্তানহীনা ও বিধবা হোক, তাদের পুরুষরা নিহত হোক এবং তাদের যুবকেরা যুদ্ধে তরোয়ালের আঘাতে নিহত হোক।
διὰ τοῦτο δὸς τοὺς υἱοὺς αὐτῶν εἰς λιμὸν καὶ ἄθροισον αὐτοὺς εἰς χεῖρας μαχαίρας γενέσθωσαν αἱ γυναῖκες αὐτῶν ἄτεκνοι καὶ χῆραι καὶ οἱ ἄνδρες αὐτῶν γενέσθωσαν ἀνῃρημένοι θανάτῳ καὶ οἱ νεανίσκοι αὐτῶν πεπτωκότες μαχαίρᾳ ἐν πολέμῳ
22 ২২ তাদের বাড়ি থেকে মর্মান্তিক কান্না শোনা যাক, যেমন তুমি তাদের বিরুদ্ধে হঠাৎ আক্রমণকারী নিয়ে এসো। কারণ আমাকে ধরবার জন্য তারা একটি গর্ত খুঁড়েছে এবং আমার পায়ের জন্য ফাঁদ লুকিয়ে রেখেছে।
γενηθήτω κραυγὴ ἐν ταῖς οἰκίαις αὐτῶν ἐπάξεις ἐπ’ αὐτοὺς λῃστὰς ἄφνω ὅτι ἐνεχείρησαν λόγον εἰς σύλλημψίν μου καὶ παγίδας ἔκρυψαν ἐπ’ ἐμέ
23 ২৩ কিন্তু সদাপ্রভু, তুমি নিজেই আমাকে হত্যা করার জন্য তাদের সব ষড়যন্ত্রের কথা জান। তাদের অপরাধ ও পাপ ক্ষমা কোরো না। তোমার সামনে থেকে তাদের পাপ মুছে ফেলো না। তার পরিবর্তে, তোমার সামনে থেকে তাদের দূর করে দাও। তোমার ক্রোধের দিন তাদের বিরুদ্ধে কাজ করো।
καὶ σύ κύριε ἔγνως ἅπασαν τὴν βουλὴν αὐτῶν ἐπ’ ἐμὲ εἰς θάνατον μὴ ἀθῳώσῃς τὰς ἀδικίας αὐτῶν καὶ τὰς ἁμαρτίας αὐτῶν ἀπὸ προσώπου σου μὴ ἐξαλείψῃς γενέσθω ἡ ἀσθένεια αὐτῶν ἐναντίον σου ἐν καιρῷ θυμοῦ σου ποίησον ἐν αὐτοῖς
