< যিরমিয়ের বই 14 >

1 খরা সম্বন্ধে সদাপ্রভুর এই বাক্য যা যিরমিয়ের কাছে এসেছিল,
كَلِمَةُ ٱلرَّبِّ ٱلَّتِي صَارَتْ إِلَى إِرْمِيَا مِنْ جِهَةِ ٱلْقَحْطِ:١
2 “যিহূদা শোক করছে, তার ফটকগুলি দুর্বল হয়ে পড়েছে। তারা দেশের জন্য শোক করছে, যিরূশালেমের জন্য তাদের কান্না আসছে।
«نَاحَتْ يَهُوذَا وَأَبْوَابُهَا ذَبُلَتْ. حَزِنَتْ إِلَى ٱلْأَرْضِ وَصَعِدَ عَوِيلُ أُورُشَلِيمَ.٢
3 তাদের প্রধানেরা জলের জন্য তাদের চাকরদের পাঠায়। যখন তারা কুয়োর কাছে যায়, তারা জল পেল না। তারা সবাই ব্যর্থ হয়ে ফিরে আসে; তারা লজ্জিত ও হতাশ হয়ে মাথা ঢাকে।
وَأَشْرَافُهُمْ أَرْسَلُوا أَصَاغِرَهُمْ لِلْمَاءِ. أَتَوْا إِلَى ٱلْأَجْبَابِ فَلَمْ يَجِدُوا مَاءً. رَجَعُوا بِآنِيَتِهِمْ فَارِغَةً. خَزُوا وَخَجِلُوا وَغَطَّوْا رُؤُوسَهُمْ٣
4 তার জন্য মাটি ফেটে গেছে, কারণ দেশে কোন বৃষ্টি হয়নি। চাষীরা লজ্জিত হয়ে মাথা ঢাকা দেয়।
مِنْ أَجْلِ أَنَّ ٱلْأَرْضَ قَدْ تَشَقَّقَتْ، لِأَنَّهُ لَمْ يَكُنْ مَطَرٌ عَلَى ٱلْأَرْضِ خَزِيَ ٱلْفَلَّاحُونَ. غَطَّوْا رُؤُوسَهُمْ.٤
5 এমন কি, হরিণী তার বাচ্চাকে মাঠে ছেড়ে দিয়েছে এবং তাদের ত্যাগ করেছে, কারণ সেখানে ঘাস নেই।
حَتَّى أَنَّ ٱلْإِيَّلَةَ أَيْضًا فِي ٱلْحَقْلِ وَلَدَتْ وَتَرَكَتْ، لِأَنَّهُ لَمْ يَكُنْ كَلأٌ.٥
6 বুনো গাধারা ফাঁকা সমভূমিতে দাঁড়িয়ে থাকে এবং তারা শিয়ালের মত বাতাসের জন্য হাঁপায়। তাদের চোখগুলি কাজ করতে ব্যর্থ, কারণ সেখানে ঘাস নেই।”
ٱلْفِرَا وَقَفَتْ عَلَى ٱلْهِضَابِ تَسْتَنْشِقُ ٱلرِّيحَ مِثْلَ بَنَاتِ آوَى. كَلَّتْ عُيُونُهَا لِأَنَّهُ لَيْسَ عُشْبٌ».٦
7 যদিও আমাদের পাপ আমাদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেয়, হে সদাপ্রভু, তবুও তোমার নামের জন্য কিছু কর। কারণ আমাদের অবিশ্বস্ত কাজকর্ম বেড়ে চলছে; আমরা তোমার বিরুদ্ধে পাপ করেছি।
وَإِنْ تَكُنْ آثَامُنَا تَشْهَدُ عَلَيْنَا يَارَبُّ، فَٱعْمَلْ لِأَجْلِ ٱسْمِكَ. لِأَنَّ مَعَاصِيَنَا كَثُرَتْ. إِلَيْكَ أَخْطَأْنَا.٧
8 হে ইস্রায়েলের আশা, কোন একজন যে বিপদের দিন তাকে রক্ষা করে, কেন তুমি এই দেশে পরজাতীয়ের মত, একটি বিদেশী পথিকের মত যে শুধুমাত্র রাত কাটায়?
يَا رَجَاءَ إِسْرَائِيلَ، مُخَلِّصَهُ فِي زَمَانِ ٱلضِّيقِ، لِمَاذَا تَكُونُ كَغَرِيبٍ فِي ٱلْأَرْضِ، وَكَمُسَافِرٍ يَمِيلُ لِيَبِيتَ؟٨
9 কেন তুমি আলাদা হওয়া লোকের মত হবে, একটি যোদ্ধার মত যে কাউকে রক্ষা করতে সক্ষম না? কারণ হে সদাপ্রভু, তুমি আমাদের মধ্যেই আছ! তোমার নাম আমাদের উপরে ঘোষিত আছে। আমাদের ত্যাগ কোরো না।
لِمَاذَا تَكُونُ كَإِنْسَانٍ قَدْ تَحَيَّرَ، كَجَبَّارٍ لَا يَسْتَطِيعُ أَنْ يُخَلِّصَ؟ وَأَنْتَ فِي وَسْطِنَا يَارَبُّ، وَقَدْ دُعِينَا بِٱسْمِكَ. لَا تَتْرُكْنَا!٩
10 ১০ এই লোকদের বিষয়ে সদাপ্রভু এই কথা বলেন, “এই ভাবে তারা ঘুরে বেড়াতে ভালবাসে; তারা তাদের পাকে সেই রকম করার থেকে থামায়নি।” সদাপ্রভু তাদের বিষয়ে সন্তুষ্ট না। এখন তিনি তাদের অপরাধ মনে করবেন এবং তাদের পাপের জন্য শাস্তি দেবেন।
هَكَذَا قَالَ ٱلرَّبُّ لِهَذَا ٱلشَّعْبِ: «هَكَذَا أَحَبُّوا أَنْ يَجُولُوا. لَمْ يَمْنَعُوا أَرْجُلَهُمْ، فَٱلرَّبُّ لَمْ يَقْبَلْهُمْ. اَلْآنَ يَذْكُرُ إِثْمَهُمْ وَيُعَاقِبُ خَطَايَاهُمْ».١٠
11 ১১ সদাপ্রভু আমাকে বললেন, “এই লোকদের মঙ্গলের জন্য প্রার্থনা কোরো না।
وَقَالَ ٱلرَّبُّ لِي: «لَا تُصَلِّ لِأَجْلِ هَذَا ٱلشَّعْبِ لِلْخَيْرِ.١١
12 ১২ কারণ যদিও তারা উপবাস করে, আমি তাদের কান্না শুনব না এবং যদি তারা হোমবলি ভক্ষ্য নৈবেদ্য উত্সর্গ করে, আমি তার আনন্দ গ্রহণ করব না। কারণ আমি তরোয়াল, দূর্ভিক্ষ ও মহামারী দিয়ে তাদের হত্যা করব।”
حِينَ يَصُومُونَ لَا أَسْمَعُ صُرَاخَهُمْ، وَحِينَ يُصْعِدُونَ مُحْرَقَةً وَتَقْدِمَةً لَا أَقْبَلُهُمْ، بَلْ بِٱلسَّيْفِ وَٱلْجُوعِ وَٱلْوَبَإِ أَنَا أُفْنِيهِمْ».١٢
13 ১৩ তখন আমি বললাম, “হায়, প্রভু সদাপ্রভু! দেখ! ভাববাদীরা তাদের বলছে, ‘তোমরা যুদ্ধ দেখবে না; তোমাদের জন্য দূর্ভিক্ষ হবে না, কারণ আমি এই জায়গায় তোমাদের সঠিক নিরাপত্তা দেব’।”
فَقُلْتُ: «آهِ، أَيُّهَا ٱلسَّيِّدُ ٱلرَّبُّ! هُوَذَا ٱلْأَنْبِيَاءُ يَقُولُونَ لَهُمْ لَا تَرَوْنَ سَيْفًا، وَلَا يَكُونُ لَكُمْ جُوعٌ بَلْ سَلَامًا ثَابِتًا أُعْطِيكُمْ فِي هَذَا ٱلْمَوْضِعِ».١٣
14 ১৪ সদাপ্রভু আমাকে বললেন, ভাববাদীরা আমার নামে মিথ্যা ভবিষ্যদ্বাণী বলছে। আমি তাদের পাঠাই নি, তাদের আদেশও দিইনি কিংবা তাদের কিছু বলি নি। কিন্তু মিথ্যা দর্শন, অনর্থক ও মিথ্যা অনুমান তাদের নিজেদের অন্তর থেকে আসছে, সেগুলিই তারা তোমাদের কাছে ভবিষ্যদ্বাণী করছে।
فَقَالَ ٱلرَّبُّ لِي: «بِٱلْكَذِبِ يَتَنَبَّأُ ٱلْأَنْبِيَاءُ بِٱسْمِي. لَمْ أُرْسِلْهُمْ، وَلَا أَمَرْتُهُمْ، وَلَا كَلَّمْتُهُمْ. بِرُؤْيَا كَاذِبَةٍ وَعِرَافَةٍ وَبَاطِلٍ وَمَكْرِ قُلُوبِهِمْ هُمْ يَتَنَبَّأُونَ لَكُمْ».١٤
15 ১৫ তাই সদাপ্রভু এই কথা বলেন, “যে সব ভাববাদীরা আমার নামে ভবিষ্যদ্বাণী করছে, কিন্তু যাদের আমি পাঠাই নি, তারা যারা বলে, ‘এই দেশে যুদ্ধ বা দূর্ভিক্ষ হবে না।’ ঐ সব ভাববাদীরা যুদ্ধ বা দূর্ভিক্ষে ধ্বংস হয়ে যাবে।
«لِذَلِكَ هَكَذَا قَالَ ٱلرَّبُّ عَنِ ٱلْأَنْبِيَاءِ ٱلَّذِينَ يَتَنَبَّأُونَ بِٱسْمِي وَأَنَا لَمْ أُرْسِلْهُمْ، وَهُمْ يَقُولُونَ: لَا يَكُونُ سَيْفٌ وَلَا جُوعٌ فِي هَذِهِ ٱلْأَرْضِ: «بِٱلسَّيْفِ وَٱلْجُوعِ يَفْنَى أُولَئِكَ ٱلْأَنْبِيَاءُ.١٥
16 ১৬ সেই লোকেরা, যাদের কাছে তারা ভবিষৎবাণী করেছে, দূর্ভিক্ষ ও যুদ্ধের ফলে তাদের যিরূশালেমের রাস্তায় ছুঁড়ে ফেলে দেওয়া হবে, কারণ কবর দেবার জন্য কেউ থাকবে না; তারা, তাদের স্ত্রীরা, তাদের ছেলেরা, তাদের মেয়েরা; কারণ আমি তাদের দুষ্টতা তাদের উপরেই ঢেলে দেব।
وَٱلشَّعْبُ ٱلَّذِي يَتَنَبَّأُونَ لَهُ يَكُونُ مَطْرُوحًا فِي شَوَارِعِ أُورُشَلِيمَ مِنْ جَرَى ٱلْجُوعِ وَٱلسَّيْفِ، وَلَيْسَ مَنْ يَدْفِنُهُمْ هُمْ وَنِسَاؤُهُمْ وَبَنَوُهُمْ وَبَنَاتُهُمْ، وَأَسْكُبُ عَلَيْهِمْ شَرَّهُمْ.١٦
17 ১৭ তাদের কাছে এই কথা বল, আমার চোখে দিন রাত জল বয়ে যাক। তাদের বাধা দিয়ো না, কারণ আমার প্রজার কুমারী মেয়ে আরো ভয়ঙ্কর ও দুরারোগ্য ক্ষতের মাধ্যমে বিনষ্ট হবে।
وَتَقُولُ لَهُمْ هَذِهِ ٱلْكَلِمَةَ: لِتَذْرِفْ عَيْنَايَ دُمُوعًا لَيْلًا وَنَهَارًا وَلَا تَكُفَّا، لِأَنَّ ٱلْعَذْرَاءَ بِنْتَ شَعْبِي سُحِقَتْ سَحْقًا عَظِيمًا، بِضَرْبَةٍ مُوجِعَةٍ جِدًّا.١٧
18 ১৮ যদি আমি বের হয়ে ক্ষেতে যাই, তবে দেখি! তরোয়াল দিয়ে নিহত হওয়া লোকেরা; আর যদি আমি শহরে আসি, তবে দেখি! দূর্ভিক্ষের জন্য পীড়িত। এমনকি কোনো জ্ঞান ছাড়াই ভাববাদী ও যাজকেরা সেই দেশে ঘুরে বেড়ায়।
إِذَا خَرَجْتُ إِلَى ٱلْحَقْلِ، فَإِذَا ٱلْقَتْلَى بِٱلسَّيْفِ. وَإِذَا دَخَلْتُ ٱلْمَدِينَةَ، فَإِذَا ٱلْمَرْضَى بِٱلْجُوعِ، لِأَنَّ ٱلنَّبِيَّ وَٱلْكَاهِنَ كِلَيْهِمَا يَطُوفَانِ فِي ٱلْأَرْضِ وَلَا يَعْرِفَانِ شَيْئًا».١٨
19 ১৯ তুমি কি যিহূদাকে সম্পূর্ণভাবে অগ্রাহ্য করেছ? তুমি কি সিয়োনকে ঘৃণা কর? কেন তুমি আমাদের এমন কষ্ট দেবে যখন আমাদের জন্য সুস্থতা নেই? আমরা শান্তির আশা করেছিলাম, কিন্তু কিছুই ভালো হল না এবং সুস্থ হবার আশা করেছিলাম, কিন্তু সেখানে শুধুই আতঙ্ক।
هَلْ رَفَضْتَ يَهُوذَا رَفْضًا، أَوْ كَرِهَتْ نَفْسُكَ صِهْيَوْنَ؟ لِمَاذَا ضَرَبْتَنَا وَلَا شِفَاءَ لَنَا؟ ٱنْتَظَرْنَا ٱلسَّلَامَ فَلَمْ يَكُنْ خَيْرٌ، وَزَمَانَ ٱلشِّفَاءِ فَإِذَا رُعْبٌ.١٩
20 ২০ হে সদাপ্রভু, আমরা আমাদের অপরাধ, আমাদের পূর্বপুরুষদের পাপ কাজ স্বীকার করছি; কারণ আমরা সত্যিই তোমার বিরুদ্ধে পাপ করেছি।
قَدْ عَرَفْنَا يَارَبُّ شَرَّنَا، إِثْمَ آبَائِنَا، لِأَنَّنَا قَدْ أَخْطَأْنَا إِلَيْكَ.٢٠
21 ২১ আমাদের অগ্রাহ্য কোরো না! তোমার নামের জন্য, তোমার গৌরবময় সিংহাসনকে অপমানিত হতে দিয়ো না। আমাদের জন্য স্থাপন করা চুক্তির কথা স্মরণ কর এবং তা ভেঙে ফেল না।
لَا تَرْفُضْ لِأَجْلِ ٱسْمِكَ. لَا تَهِنْ كُرْسِيَّ مَجْدِكَ. اُذْكُرْ. لَا تَنْقُضْ عَهْدَكَ مَعَنَا.٢١
22 ২২ জাতিদের মধ্যে কোনো মূর্ত্তি কি আকাশমণ্ডল থেকে বসন্তের বৃষ্টি আনতে পারে? তুমিই কি সেই জন না, আমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু, যিনি তা পারেন। আমরা তোমাতেই আশা রাখি, কারণ তুমিই এই সমস্ত কিছু করে থাক।”
هَلْ يُوجَدُ فِي أَبَاطِيلِ ٱلْأُمَمِ مَنْ يُمْطِرُ، أَوْ هَلْ تُعْطِي ٱلسَّمَاوَاتُ وَابِلًا؟ أَمَا أَنْتَ هُوَ ٱلرَّبُّ إِلَهُنَا؟ فَنَرْجُوكَ، لِأَنَّكَ أَنْتَ صَنَعْتَ كُلَّ هَذِهِ.٢٢

< যিরমিয়ের বই 14 >