< হবককূক ভাববাদীর বই 1 >
1 ১ হবককূক ভাববাদীর ভাববাণী, তিনি এই দর্শন পেয়ে ছিলেন।
হবক্কূক ভাববাদী যিনি ভাববাণী পেয়েছিলেন।
2 ২ “হে সদাপ্রভু, সাহায্যের জন্য আর কতদিন আমি সাহায্যের জন্য কাঁদব? এবং তুমি শুনবে না? আমি ভয়ঙ্কর অত্যাচারের বিষয়ে কাঁদছি, কিন্তু তুমি আমাকে রক্ষা করছ না!
হে সদাপ্রভু, আর কত কাল আমি সাহায্য চাইব, কিন্তু তুমি শোনো না? অথবা তোমাকে কেঁদে বলি, “অত্যাচার সর্বত্রই!” কিন্তু তুমি উদ্ধার করো না?
3 ৩ তুমি কেন আমায় অন্যায় দেখাচ্ছ ও অপরাধের উপর দৃষ্টি রেখেছ? ধ্বংস ও অত্যাচার আমার সামনে, বচসা ও বিবাদ জেগে উঠছে।
কেন তুমি আমাকে অন্যায় দেখতে বাধ্য করছ? আর কেন তুমি অপরাধ সহ্য করছ? ধ্বংস আর অত্যাচার আমার সামনে ঘটছে; বিবাদ আর মতবিরোধ চারিদিকে ছড়িয়ে রয়েছে।
4 ৪ সুতরাং ব্যবস্থা দুর্বল হয়ে পড়ছে এবং ন্যায়বিচার কোন দিন হয় না; অধার্মিকেরা ধার্ম্মিকদের ঘিরে থাকে, তাই মিথ্যা বিচার বের হয়।”
সুতরাং, বিধান শক্তিহীন হয়েছে, এবং ন্যায়বিচার কখনোই প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে না। দুষ্টরা বিচার নিয়ন্ত্রণ করছে, যেন ন্যায়বিচার বিকৃত হয়।
5 ৫ “জাতিদের দিকে তাকাও এবং পরীক্ষা কর, বিস্মিত ও অবাক হও, কারণ আমি তোমাদের দিন নিশ্চয়ই এমন কিছু করব যা তোমাদের জানানো হলেও তোমরা বিশ্বাস করবে না।
“জাতিগণদের দিকে তাকিয়ে দেখো এবং সম্পূর্ণরূপে আশ্চর্য হও। কারণ আমি তোমাদের দিনে এমন কিছু করব যা তোমাদের বলা হলেও, তোমরা বিশ্বাস করবে না।
6 ৬ দেখ, আমি কলদীয়দের ওঠাব, সে জাতি হিংস্র এবং দ্রুতগামী, যে সব বসবাসের জায়গা তাদের নিজের নয় সেইগুলো অধিকার করার জন্য তারা পৃথিবীর সব জায়গায় ঘুরে বেড়ায়।
দেখো আমি ব্যাবিলনীয়দের উত্থান ঘটাচ্ছি, এক নিষ্ঠুর ও দুর্দমনীয় জাতি, যারা অন্যদের বাসস্থান অধিকার করার জন্য সমগ্র পৃথিবীতে অগ্রসর হয়।
7 ৭ তারা আতঙ্কজনক ও ভয়ঙ্কর, তারা তাদের নিজেদের জন্য বিচার ও উন্নতি উত্পন্ন করে।
তারা ভয়ানক এবং ভয়ংকর প্রকৃতির লোক; তারা নিজেরাই আইন তৈরি করে এবং নিজেদের গৌরব নিজেরাই করে।
8 ৮ তাদের ঘোড়াগুলো চিতাবাঘের চেয়ে ও বেগে দৌড়ায়, সন্ধ্যাবেলায় নেকড়ের চেয়েও দ্রুত, তাই তাদের ঘোড়া চালকেরা দ্রুতগামী, তাদের ঘোড়াচালকেরা অনেক দূর থেকে আসে, একটি ঈগল যেমন খাওয়ার জন্য দ্রুত উড়ে বেড়ায় তারাও তেমনি উড়ে বেড়ায়।
তাদের ঘোড়া চিতাবাঘের থেকেও দ্রুতগামী, সন্ধ্যাকালের নেকড়ের থেকেও ভয়ানক। তাদের অশ্বারোহী বাহিনী গর্বের সঙ্গে এগিয়ে যায়; তাদের ঘোড়সত্তয়ার অনেক দূরদূরান্ত থেকে আসে। তারা তাদের শিকারকে গ্রাস করতে ঈগল পাখির মতো ছোঁ মারে,
9 ৯ তারা আক্রমণের জন্য আসে, তাদের লোকেরা মরুপ্রান্তের বাতাসের মত যায় এবং তারা বালির মত বন্দীদের জড়ো করে।
তারা সবাই অত্যাচার করতে আসে, তাদের দলবল মরুভূমির বায়ুর মতো অগ্রসর হয় তারা বন্দিদের বালির কণার মতো একত্রিত করে।
10 ১০ তাই তারা রাজাদের উপহাস করে এবং শাসকেরা শুধুমাত্র উপহাসের পাত্র; তারা প্রতিটি দুর্গের প্রতি উপহাস করে এবং তারা ধূলোরাশি জড়ো করে এবং তাদের নেয়।
তারা রাজাদের বিদ্রুপ করে আর শাসকদের অবজ্ঞা করে। তারা সব উঁচু প্রাচীরে সুরক্ষিত নগরের উপহাস করে; মাটি স্তূপ করে সেইসব নগর অধিকার করে।
11 ১১ তারপর বাতাস দ্রুতবেগে যাবে, এটা আগে সরানো হবে, দোষী ব্যক্তি, যাদের শক্তি হল তাদের দেবতা।”
তখন তারা প্রচণ্ড বাতাসের মতো বয়ে যায় ও এগিয়ে চলে, কিন্তু তারা অপরাধী; কারণ তাদের শক্তিই তাদের দেবতা।”
12 ১২ “তুমি কি প্রাচীনকাল থেকে নও, হে সদাপ্রভু, আমার ঈশ্বর, আমার পবিত্রতম ঈশ্বর? আমরা মারা যাব না, সদাপ্রভু তাদের বিচারের জন্য নিযুক্ত করেছ এবং তুমি, শিলা, সংশোধনের জন্য তাদের প্রতিষ্ঠিত করেছ।
হে সদাপ্রভু, তুমি কি অনন্তকাল থেকে নও? আমার ঈশ্বর, আমার পবিত্র ঈশ্বর, তোমার কখনও মৃত্যু নেই। তুমি, হে সদাপ্রভু, বিচার করার জন্য এই ব্যাবিলনীয়দের নিযুক্ত করেছ; তুমি, হে আমার শৈল, শাস্তি দেবার জন্য তাদের নিরূপিত করেছ।
13 ১৩ তোমার চোখ মন্দতার উপরে খুব পবিত্র এবং তুমি মন্দ কাজ সহ্য করতে পারো না, কেন তুমি বিশ্বাসঘাতকদের প্রতি দয়া করেছ? আর দুষ্টরা ধার্মিক লোককে যখন গ্রাস করে তখন কেন তুমি চুপ করে থাকো?
তোমার চোখ এত পবিত্র যে মন্দ দেখতে পারে না; তুমি দুষ্কর্ম সহ্য করতে পারো না। তবে কেন তুমি বিশ্বাসঘাতকদের সহ্য করছ? কেন তুমি নীরব রয়েছ যখন দুষ্টরা তাদের থেকে যারা ধার্মিক তাদের গ্রাস করছে?
14 ১৪ তুমি মানুষকে সমুদ্রের মাছের মত করে, সামুদ্রিক প্রাণীর মত করে বানাও, যাদের উপর কোন শাসক নেই।
তুমি মানুষদের সমুদ্রের মাছের মতো করেছ, সামুদ্রিক জীবের মতো যাদের কোনও শাসক নেই।
15 ১৫ তাদের সবাইকে বঁড়শি করে উপরে তোলা হয়, তাদের মাছ ধরা জালে তাদের ধরে, নিজেরদের জালের মধ্যে তাদের জড়ো করে, এই কারণে তারা আনন্দিত ও উল্লাসিত হয়।
দুষ্ট শত্রু তাদের সকলকে বড়শিতে তোলে, সে তাদেরকে নিজের জালে ধরে, তারপর টানা-জালে তাদের একত্রিত করে; তাই সে আনন্দ করে ও উল্লসিত হয়।
16 ১৬ এই জন্য তারা মাছ ধরা জালের উদ্দেশ্যে বলিদান করে ও নিজেদের জালের উদ্দেশ্যে ধূপ জ্বালায়, কারণ চর্বিযুক্ত পশুরা তাদের অংশ এবং মেদযুক্ত মাংস তাদের খাদ্য হয়।
সেই কারণে সে তার জালের উদ্দ্যেশ্যে বলি উৎসর্গ করে এবং টানা-জালের প্রতি ধূপ জ্বালায়, কারণ তার জালের কারণেই সে বিলাসিতায় বাস করে এবং পছন্দতম খাবার উপভোগ করে।
17 ১৭ এই জন্য তারা কি তাদের জাল খালি করে এবং করুণা না করে জাতিদের প্রতিনিয়ত হত্যা করে?”
এই জন্য কি সে নিজের জাল খালি করতে থাকবে, নির্দয়ভাবে জাতিগণকে ধ্বংস করতে থাকবে?