< আদিপুস্তক 10 >
1 ১ নোহের ছেলে শেম, হাম ও যেফতের বংশ বৃত্তান্ত এই। বন্যার পরে তাঁদের ছেলেমেয়ে জন্মাল।
এই হল নোহের ছেলে শেম, হাম ও যেফতের বিবরণ, যারা স্বয়ং বন্যার পর সন্তান লাভ করলেন।
2 ২ যেফতের ছেলে গোমর, মাগোগ, মাদয়, যবন, তূবল, মেশক ও তীরস।
যেফতের ছেলেরা: গোমর, মাগোগ, মাদয়, যবন, তূবল, মেশক ও তীরস।
3 ৩ গোমরের ছেলে অস্কিনস, রীফৎ ও
গোমরের ছেলেরা: অস্কিনস, রীফৎ, এবং তোগর্ম।
4 ৪ তোগর্ম। যবনের ছেলে ইলীশা, তর্শীশ,
যবনের ছেলেরা: ইলীশা, তর্শীশ, কিত্তীম এবং রোদানীম।
5 ৫ কিত্তীম ও দোদানীম। এই সমস্ত থেকে জাতিদের দ্বীপনিবাসীরা নিজের নিজের দেশে নিজের নিজের ভাষানুসারে নিজের নিজের জাতির নানা গোষ্ঠীতে বিভক্ত হল।
(এদের থেকেই সমুদ্র-উপকূল নিবাসী লোকেরা, প্রত্যেকে তাদের নিজস্ব ভাষা সমেত নিজেদের বংশানুসারে, তাদের এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছিল।)
6 ৬ আর হামের ছেলে কূশ, মিশর, পুট ও কনান।
হামের ছেলেরা: কূশ, মিশর, পূট ও কনান।
7 ৭ কূশের ছেলে সবা, হবীলা, সপ্তা, রয়মা ও সপ্তকা। রয়মার ছেলে শিবা ও দদান।
কূশের ছেলেরা: সবা, হবীলা, সব্তা, রয়মা ও সব্তেকা। রয়মার ছেলেরা: শিবা ও দদান।
8 ৮ নিম্রদ কূশের ছেলে; তিনি পৃথিবীতে শক্তিশালী হতে লাগলেন।
কূশ সেই নিম্রোদের বাবা, যিনি পৃথিবীতে এক বলশালী যোদ্ধা হয়ে উঠলেন।
9 ৯ তিনি সদাপ্রভুর সামনে শক্তিশালী শিকারী হলেন; তার জন্য লোকে বলে, সদাপ্রভুর সামনে শক্তিশালী শিকারী নিম্রোদের তুল্য।
সদাপ্রভুর সামনে তিনি বলশালী এক শিকারি হলেন; তাই বলা হয়ে থাকে, “সদাপ্রভুর সামনে নিম্রোদের মতো বলশালী এক শিকারি।”
10 ১০ শিনিয়র দেশে বাবিল, এরক, অক্কদ ও কলনী, এই সব জায়গা তাঁর রাজ্যের প্রথম অংশ ছিল।
শিনারে অবস্থিত ব্যাবিলন, এরক, অক্কদ, ও কল্নী তাঁর রাজ্যের মূলকেন্দ্র হল।
11 ১১ সেই দেশ থেকে তিনি অশূরে গিয়ে নীনবী,
সেই দেশ থেকে তিনি সেই আসিরিয়া দেশে গেলেন, যেখানে তিনি নীনবী, রহোবোৎ ঈর, কেলহ
12 ১২ রহবোৎপুরী, কেলহ এবং নীনবী ও কেলহের মাঝখানে রেষন পত্তন করলেন; ওটা মহানগর।
ও সেই রেষণ নগরটি গড়ে তুললেন যা নীনবী ও কেলহের মাঝখানে অবস্থিত; সেটিই সেই মহানগর।
13 ১৩ আর লূদীয়, অনামীয়,
মিশর ছিলেন সেই লূদীয়, অনামীয়, লহাবীয়, নপ্তুহীয়,
14 ১৪ লহাবীয়, নপ্তুহীয়, পথ্রোষীয়, পলেষ্টীয়দের পূর্বপুরুষ কসলূহীয় এবং কপ্তরীয়, এই সব মিশরের সন্তান।
পথ্রোষীয়, কস্লূহীয় (যাদের থেকে ফিলিস্তিনীরা উৎপন্ন হয়েছে) ও কপ্তোরীয়দের বাবা।
15 ১৫ এবং কনানের বড় ছেলে সীদন, তারপর হেৎ,
কনান ছিলেন তাঁর বড়ো ছেলে সীদোনের, ও হিত্তীয়,
16 ১৬ যিবূষীয়, ইমোরীয়, গির্গাশীয়,
যিবূষীয়, ইমোরীয়, গির্গাশীয়,
17 ১৭ হিব্বীয়, অর্কীয়, সীনীয়,
হিব্বীয়, অর্কীয়, সীনীয়,
18 ১৮ অর্বদীয়, সমারীয় ও হমাতীয়। পরে কনানীয়দের গোষ্ঠী সকল বিস্তারিত হল।
অর্বদীয়, সমারীয় ও হমাতীয়দের বাবা। (পরবর্তীকালে কনানীয় বংশ ইতস্তত ছড়িয়ে পড়ল
19 ১৯ সীদোন থেকে গরারের দিকে ঘসা পর্যন্ত এবং সদোম, ঘমোরা, অদমা ও সবোয়ীমের দিকে লাশা পর্যন্ত কনানীয়দের সীমা ছিল।
এবং কনানের সীমানা সীদোন থেকে গরারের দিকে গাজা পর্যন্ত, ও পরে লাশার দিকে সদোম, ঘমোরা, অদ্মা, ও সবোয়ীম পর্যন্ত বিস্তৃত হল)
20 ২০ নিজের নিজের গোষ্ঠী, ভাষা, দেশ ও জাতি অনুসারে এই সব হামের ছেলে।
তাদের এলাকা ও জাতি ধরে এরাই হল বংশ ও ভাষা অনুসারে হামের সন্তান।
21 ২১ যে শেম এবারের সব লোকদের পূর্বপুরুষ, আর যেফতের বড় ভাই, তাঁরও ছেলেমেয়ে ছিল।
সেই শেমেরও কয়েকটি ছেলে জন্মাল, যাঁর দাদা ছিলেন যেফৎ; শেম হলেন এবরের সব সন্তানের পূর্বপুরুষ।
22 ২২ শেমের এই সকল ছেলে এলম, অশূর, অর্ফকষদ, লূদ ও অরাম।
শেমের ছেলেরা: এলম, অশূর, অর্ফক্ষদ, লূদ ও অরাম।
23 ২৩ অরামের সন্তান ঊষ, হূল, গেথর ও মশ।
অরামের ছেলেরা: ঊষ, হূল, গেথর, ও মেশক।
24 ২৪ আর অর্ফকষদ শেলহের জন্ম দিলেন ও শেলহ এবারের জন্ম দিলেন।
অর্ফক্ষদ হলেন শেলহের বাবা, এবং শেলহ এবরের বাবা।
25 ২৫ এবারের দুই ছেলে; একের নাম পেলগ [বিভাগ], কারণ সেই দিনের পৃথিবী ভাগ হল। তাঁর ভাইয়ের নাম যক্তন।
এবরের দুটি ছেলের জন্ম হল: একজনের নাম দেওয়া হল পেলগ, কারণ তাঁর সময়কালেই পৃথিবী বিভিন্ন ভাষাবাদী জাতির আধারে বিভক্ত হল; তাঁর ভাইয়ের নাম দেওয়া হল যক্তন।
26 ২৬ যক্তন অলমোদদ, শেলফ, হৎসর্মাবৎ, যেরহ,
যক্তন হলেন অলমোদদ, শেলফ, হৎসর্মাবৎ, যেরহ,
27 ২৭ হদোরাম, উষল, দিক্ল,
হদোরাম, ঊষল, দিক্ল,
28 ২৮ ওবল, অবীমায়েল, শিবা,
ওবল, অবীমায়েল, শিবা,
29 ২৯ ওফীর, হবীলা ও যোববের বাবা হলেন। এরা সবাই যক্তনের ছেলে।
ওফীর, হবীলা ও যোববের বাবা। তারা সবাই যক্তনের বংশধর ছিলেন।
30 ৩০ মেষা থেকে পূর্বদিকের সফার পর্বত পর্যন্ত তাদের বসতি ছিল।
(পূর্বদিকের পার্বত্য দেশের যে এলাকায় তারা বসবাস করতেন, সেটি মেষা থেকে সফার পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল)
31 ৩১ নিজের নিজের গোষ্ঠী, ভাষা, দেশ ও জাতি অনুসারে এই সকল শেমের ছেলে।
তাদের এলাকা ও জাতি ধরে বংশ ও ভাষা অনুসারে এরাই শেমের সন্তান।
32 ৩২ নিজের নিজের বংশ ও জাতি অনুসারে এরা নোহের ছেলেদের গোষ্ঠী এবং বন্যার পরে এদের থেকে তৈরী নানা জাতি পৃথিবীতে ভাগ হল।
তাদের জাতিগুলির মধ্যে, বংশানুক্রমিকভাবে এরাই নোহের ছেলেদের বংশধর। বন্যার পর এদের থেকেই বিভিন্ন জাতি সমগ্র পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়ল।