যাত্রাপুস্তক 2
Υπήγε δε άνθρωπός τις εκ του οίκου Λευΐ, και έλαβεν εις γυναίκα μίαν εκ των θυγατέρων Λευΐ.
Και συνέλαβεν η γυνή και εγέννησεν υιόν· ιδούσα δε αυτόν ότι ήτο εύμορφος, έκρυψεν αυτόν τρεις μήνας.
3 ৩ পরে আর লুকাতে না পেরে তিনি এক নলের ঝুড়ি নিয়ে পিচ তেল ও আলকাতরা মাখিয়ে তার মধ্যে ছেলেটিকে রাখলেন ও নদীর তীরে নলবনে সেটি রাখলেন।
Μη δυναμένη δε να κρύπτη αυτόν πλέον, έλαβε δι' αυτόν κιβώτιον σπάρτινον και κατέχρισεν αυτό με άσφαλτον και πίσσαν και ενέβαλε το παιδίον εις αυτό και έθεσεν εις το ελώδες μέρος παρά το χείλος του ποταμού.
Η δε αδελφή αυτού παρεμόνευε μακρόθεν, διά να ίδη το αποβησόμενον εις αυτό.
5 ৫ পরে ফরৌণের মেয়ে স্নানের জন্য নদীতে আসলেন এবং তাঁর সঙ্গীরা নদীর তীরে বেড়াচ্ছিল; আর তিনি নল বনের মধ্যে ঐ ঝুড়ি দেখে তাঁর দাসীকে সেটা আনতে পাঠালেন।
Και κατέβη η θυγάτηρ του Φαραώ διά να λουσθή εις τον ποταμόν, αι δε θεράπαιναι αυτής περιεπάτουν επί την όχθην του ποταμού· και ότε είδε το κιβώτιον εις το ελώδες μέρος, έστειλε την παιδίσκην αυτής και έλαβεν αυτό·
6 ৬ তারপর ঝুড়ি খুলে শিশুটিকে দেখলেন যে, ছেলেটি কাঁদছে; তার প্রতি তিনি দয়া দেখিয়ে বললেন, “এটা ইব্রীয়দের ছেলে।”
και ανοίξασα βλέπει το παιδίον και ιδού, το νήπιον έκλαιε· και ελυπήθη αυτό, λέγουσα, Εκ των παιδίων των Εβραίων είναι τούτο.
7 ৭ তখন তার দিদি ফরৌণের মেয়েকে বলল, “আমি গিয়ে কি আপনার জন্য এই ছেলেকে দুধ দেবার জন্য একটি ইব্রীয় স্ত্রীলোককে আপনার কাছে ডেকে আনব?”
Τότε είπεν η αδελφή αυτού προς την θυγατέρα του Φαραώ, Θέλεις να υπάγω να καλέσω εις σε γυναίκα θηλάζουσαν εκ των Εβραίων, διά να σοι θηλάση το παιδίον;
Και είπε προς αυτήν η θυγάτηρ του Φαραώ, Ύπαγε. Και υπήγε το κοράσιον και εκάλεσε την μητέρα του παιδίου.
9 ৯ ফরৌণের মেয়ে তাঁকে বললেন, “তুমি এই ছেলেটিকে নিয়ে আমার হয়ে দুধ পান করাও; আমি তোমাকে বেতন দেব।” তাতে সেই স্ত্রী ছেলেটিকে নিয়ে দুধ পান করাতে লাগলেন।
Και είπε προς αυτήν η θυγάτηρ του Φαραώ, Λάβε το παιδίον τούτο και θήλασόν μοι αυτό, και εγώ θέλω σοι δώσει τον μισθόν σου.
10 ১০ পরে ছেলেটি বড় হলে তিনি তাকে নিয়ে ফরৌণের মেয়েকে দিলেন; তাতে সে তাঁরই ছেলে হল; আর তিনি তার নাম মোশি [টানিয়া তোলা] রাখলেন, কারণ তিনি বললেন, “আমি তাকে জল থেকে টেনে তুলেছি।”
Έλαβε δε η γυνή το παιδίον και εθήλαζεν αυτό. Και αφού εμεγάλωσε το παιδίον, έφερεν αυτό προς την θυγατέρα του Φαραώ, και έγεινεν υιός αυτής· και εκάλεσε το όνομα αυτού Μωϋσήν, λέγουσα, Ότι εκ του ύδατος ανέσυρα αυτό.
11 ১১ যখন মোশি বড় হলেন, তিনি এক দিন তাঁর ভাইদের কাছে গিয়ে তাদের কঠিন পরিশ্রম দেখতে লাগলেন; আর তিনি দেখলেন, একজন মিশরীয় একজন ইব্রীয়কে, তাঁর ভাইদের মধ্যে এক জনকে মারছে।
Κατά δε τας ημέρας εκείνας, αφού ο Μωϋσής εμεγάλωσεν, εξήλθε προς τους αδελφούς αυτού· και παρατηρών τα βάρη αυτών, βλέπει άνθρωπον Αιγύπτιον τύπτοντα Εβραίον τινά εκ των αδελφών αυτού.
Περιβλέψας δε εδώ και εκεί και ιδών ότι δεν ήτο ουδείς, επάταξε τον Αιγύπτιον και έκρυψεν αυτόν εν τη άμμω.
13 ১৩ পরের দিন তিনি বাইরে গিয়ে দেখলেন, দুইজন ইব্রীয় একে অপরের সঙ্গে মারপিট করছে; তিনি দোষী ব্যক্তিকে বললেন, “তোমার ভাইকে কেন মারছ?”
Και εξήλθε την ακόλουθον ημέραν και ιδού, δύο άνδρες Εβραίοι διεπληκτίζοντο· και λέγει προς τον αδικούντα, Διά τι τύπτεις τον πλησίον σου;
14 ১৪ সে বলল, “তোমাকে শাসনকর্ত্তা ও বিচারকর্ত্তা করে আমাদের উপরে কে নিযুক্ত করেছে? তুমি যেমন সেই মিশরীয়কে হত্যা করেছে, সেইভাবে কি আমাকেও হত্যা করতে চাও?” তখন মোশি ভয় পেয়ে বললেন, “কথাটা তাহলে জানাজানি হয়ে গেছে?”
Ο δε είπε, Τις σε κατέστησεν άρχοντα και κριτήν εφ' ημάς; Μήπως θέλεις συ να με φονεύσης, καθώς εφόνευσας τον Αιγύπτιον; Και εφοβήθη ο Μωϋσής και είπε, Βεβαίως το πράγμα τούτο έγεινε γνωστόν.
15 ১৫ তারপর ফরৌণ এই কথা শুনে মোশিকে হত্যা করতে চেষ্টা করলেন। কিন্তু মোশি ফরৌণের সামনে থেকে পালিয়ে গেলেন এবং মিদিয়ন দেশে বাস করতে গেলেন, সেখানে একটি কুয়োর কাছে এসে বসলেন।
Ακούσας δε ο Φαραώ το πράγμα τούτο, εζήτει να θανατώση τον Μωϋσήν· αλλ' ο Μωϋσής έφυγεν από προσώπου του Φαραώ και κατώκησεν εν τη γη Μαδιάμ· εκάθισε δε πλησίον του φρέατος.
16 ১৬ মিদিয়নীয় যাজকের সাতটি মেয়ে ছিল; তারা সেখানে এসে বাবার ভেড়ার পাল কে জল পান করাবার জন্য জল তুলে পাত্রগুলি ভর্তি করল।
Ο δε ιερεύς της Μαδιάμ είχεν επτά θυγατέρας, αίτινες ελθούσαι ήντλησαν ύδωρ και εγέμισαν τας ποτίστρας διά να ποτίσωσι τα πρόβατα του πατρός αυτών.
17 ১৭ তখন ভেড়ার পালকেরা এসে তাদেরকে তাড়িয়ে দিল, কিন্তু মোশি উঠে তাদের সাহায্য করলেন ও তাদের ভেড়ার পাল কে জল পান করালেন।
Ελθόντες δε οι ποιμένες εδίωξαν αυτάς· και σηκωθείς ο Μωϋσής εβοήθησεν αυτάς και επότισε τα πρόβατα αυτών.
18 ১৮ পরে তারা তাদের বাবা রূয়েলের কাছে গেলে তিনি তাদেরকে জিজ্ঞাসা করলেন, “আজ তোমরা কি করে এত তাড়াতাড়ি আসলে?”
Και ότε ήλθον προς Ραγουήλ τον πατέρα αυτών, είπε προς αυτάς, Διά τι τόσον ταχέως ήλθετε σήμερον;
19 ১৯ তারা বলল, “একজন মিশরীয় আমাদেরকে ভেড়ার পালকদের হাত থেকে উদ্ধার করলেন, আর তিনি আমাদের জন্য যথেষ্ট জল তুলে ভেড়ার পাল কে জল পান করালেন।”
Αι δε είπον, Άνθρωπος Αιγύπτιος ελύτρωσεν ημάς εκ των χειρών των ποιμένων και προσέτι ήντλησεν εις ημάς ύδωρ και επότισε τα πρόβατα.
20 ২০ তখন তিনি তাঁর মেয়েদেরকে বললেন, “সে লোকটি কোথায়? তোমরা তাঁকে ছেড়ে কেন আসলে? তাঁকে ডাক; তিনি আহার করুন।”
Ο δε είπε προς τας θυγατέρας αυτού, Και που είναι; διά τι αφήκατε τον άνθρωπον; καλέσατε αυτόν διά να φάγη άρτον.
21 ২১ পরে মোশি ঐ ব্যক্তির সঙ্গে থাকতে রাজি হলেন, আর তিনি মোশির সঙ্গে নিজের মেয়ে সিপ্পোরার বিয়ে দিলেন।
Και ευχαριστήθη ο Μωϋσής να κατοική μετά του ανθρώπου· όστις έδωκεν εις τον Μωϋσήν εις γυναίκα Σεπφώραν την θυγατέρα αυτού.
22 ২২ পরে ঐ স্ত্রী ছেলের জন্ম দিলেন, আর মোশি তার নাম গের্শোম [তত্রপ্রবাসী] রাখলেন, কারণ তিনি বললেন, “আমি বিদেশে প্রবাসী হয়েছি।”
Και εγέννησεν υιόν· και εκάλεσε το όνομα αυτού Γηρσώμ, λέγων, Πάροικος είμαι εν ξένη γή·
23 ২৩ অনেক কাল পরে মিশরের রাজার মৃত্যু হল। ইস্রায়েলীয়রা তাদের দাসত্বের যন্ত্রণায় আর্তনাদ করে উঠলো, বন্দীদশায় তারা সাহায্যের জন্য কাঁদলো, আর তাদের প্রার্থনা ঈশ্বরের কাছে পৌঁছালো।
Μετά δε πολύν καιρόν, ετελεύτησεν ο βασιλεύς της Αιγύπτου· και κατεστέναξαν οι υιοί Ισραήλ διά την δουλείαν και ανεβόησαν· και η βοή αυτών ανέβη προς τον Θεόν εξ αιτίας της δουλείας.
24 ২৪ আর ঈশ্বর তাদের আর্তনাদ শুনলেন এবং অব্রাহাম, ইস্হাক ও যাকোবের সঙ্গে করা তাঁর নিয়ম স্মরণ করলেন;
Και εισήκουσεν ο Θεός των στεναγμών αυτών· και ενεθυμήθη ο Θεός την διαθήκην αυτού την προς τον Αβραάμ, τον Ισαάκ και τον Ιακώβ·
και επέβλεψεν ο Θεός επί τους υιούς Ισραήλ και ηλέησεν αυτούς ο Θεός.
