< ইষ্টের বিবরণ 7 >
1 ১ পরে রাজা ও হামন দ্বিতীয় বার রাণী ইষ্টেরের সঙ্গে খাওয়া দাওয়া করবার জন্য আসলেন।
তারপর রাজা ও হামন রানি ইষ্টেরের ভোজে গেলেন,
2 ২ আর রাজা সেই দ্বিতীয় দিনের আঙ্গুর রসের সঙ্গে ভোজের দিনের ইষ্টেরকে আবার বললেন, “ইষ্টের রাণী, তোমার প্রার্থনা কি? তা তোমাকে দেওয়া যাবে এবং তোমার অনুরোধ কি? রাজ্যের অর্ধেক পর্যন্ত হলেও তা সম্পূর্ণ করা যাবে।”
আর তারা যখন দ্বিতীয় দিনে দ্রাক্ষারস পান করছিলেন তখন রাজা জিজ্ঞাসা করলেন, “রানি ইষ্টের তুমি কি চাও? তাই তোমাকে দেওয়া হবে। তোমার অনুরোধ কি? যদি সাম্রাজ্যের অর্ধেকও হয় তোমাকে দেওয়া হবে।”
3 ৩ তখন উত্তরে রাণী ইষ্টের বললেন, “মহারাজ, আমি যদি আপনার চোখে দয়া পেয়ে থাকি এবং মহারাজের যদি ভালো মনে হয়, তবে আমার অনুরোধ হল আমার ও আমার জাতির লোকদের প্রাণ রক্ষা করুন,
রানি ইষ্টের তখন উত্তরে বললেন, “মহারাজ, আমি যদি আপনার দয়া পেয়ে থাকি এবং মহারাজ যদি খুশি হয়ে থাকেন, আমার প্রাণরক্ষা করুন এটি আমার আবেদন। এবং আমার জাতির লোকদের প্রাণরক্ষা করুন এটি আমার অনুরোধ।
4 ৪ কারণ ধ্বংস, হত্যা করবার ও বিনষ্ট করবার জন্যই আমাকে ও আমার জাতির লোকদের বিক্রি করা হয়েছে। যদি আমাদের শুধু দাস ও দাসী হবার জন্য বিক্রিত হতাম, তবে আমি চুপ করেই থাকতাম; কিন্তু তা হলেও মহারাজের ক্ষতিপূরণ করা শত্রুদের সহজ হত না।”
কারণ আমাকে ও আমার জাতির লোকদের বিক্রি করা হয়েছে ধ্বংস করার, মেরে ফেলার ও একেবারে শেষ করে দেবার জন্য। যদি আমাদের দাস ও দাসী করা হত তবে আমি চুপ করে থাকতাম, কারণ ওই রকম কষ্টের কথা মহারাজকে জানানো উচিত হত না।”
5 ৫ তখন রাজা অহশ্বেরশ রাণী ইষ্টেরকে জিজ্ঞাসা করলেন, “কে সে? সেই লোকটি কোথায়? এমন কাজ করার মানসিকতা কার মনে জন্মিয়েছে?”
তখন রাজা অহশ্বেরশ রানি ইষ্টেরকে জিজ্ঞাসা করলেন, “কে সে? সেই লোকটি কোথায় যার এই কাজ করার সাহস হয়েছে?”
6 ৬ ইষ্টের বললেন, “একজন বিপক্ষ ও শত্রু, সেই এই দুষ্ট হামন।” তখন হামন রাজা ও রাণীর সামনে ভীষণ ভয় পেল।
ইষ্টের বললেন, “সেই বিপক্ষ ও শত্রু হল এই দুষ্ট হামন।” তখন হামন রাজার ও রানির সামনে ভীষণ ভয় পেল।
7 ৭ পরে রাজা রেগে গিয়ে আঙ্গুর রস পান করা থেকে উঠে গিয়ে রাজবাড়ীর বাগানে গেলেন। হামন রাণী ইষ্টেরের কাছে প্রাণ ভিক্ষা চাইবার জন্য দাঁড়ালো, কারণ সে দেখল, রাজা থেকে তার অমঙ্গল অবশ্যই।
রাজা রেগে গিয়ে দ্রাক্ষারস রেখে উঠলেন এবং বের হয়ে রাজবাড়ির বাগানে গেলেন। কিন্তু হামন মনে করল যে রাজা তার ভাগ্য স্থির করে ফেলেছেন, সেইজন্য রানি ইষ্টেরের কাছে প্রাণ ভিক্ষার জন্য সেখানে রইল।
8 ৮ পরে রাজবাড়ীর বাগান থেকে রাজা আঙ্গুর রস সহযোগে ভোজের জায়গায় ফিরে আসলেন; তখন ইষ্টের যে আসনে বসে ছিলেন তার উপর হামন পড়ে ছিল; তাতে রাজা বললেন, “এই লোকটা কি ঘরের মধ্যে আমার সামনে রাণীর শ্লীলতাহানি করবে?” এই কথা রাজার মুখ থেকে বের হওয়া মাত্র লোকেরা হামনের মুখ ঢেকে ফেলল।
রাজবাড়ির বাগান থেকে রাজা ভোজের ঘরে ফিরে আসলেন আর তখন ইষ্টের যে আসনে হেলান দিয়ে বসেছিলেন তার উপর হামন পড়েছিল। রাজা চেঁচিয়ে বললেন, “এই লোকটি কি আমার সামনে রানিকে উত্যক্ত করবে যখন তিনি আমার সঙ্গে আমার গৃহে আছেন?” রাজার মুখ থেকে এই কথা বের হওয়ামাত্র লোকেরা হামনের মুখ ঢেকে ফেলল।
9 ৯ পরে হর্বোণা নামে একজন নপুংসক রাজার সামনে এসে বলল, “হামনের বাড়িতে পঞ্চাশ হাত উঁচু একটা ফাঁসিকাঠ রাখা আছে। মর্দখয়, যিনি রাজার প্রাণ রক্ষার জন্য খবর দিয়েছিলেন তাঁর জন্যই হামন ওটা তৈরী করেছিল।” রাজা বললেন, “ওটার উপরে ওকেই ফাঁসি দাও।”
তখন হর্বোণা নামে রাজার একজন নপুংসক যে তাঁর পরিচর্যাকারী বলল, “হামনের বাড়িতে পচাত্তর ফুট উঁচু একটি ফাঁসিকাঠ তৈরি আছে। মর্দখয়, যিনি রাজার প্রাণরক্ষার জন্য খবর দিয়েছিলেন তাঁর জন্যই হামন ওটি তৈরি করেছিল।” রাজা বললেন, “ওটির উপরে ওকেই ফাঁসি দাও।”
10 ১০ তাতে হামন যে ফাঁসিকাঠ মর্দখয়ের জন্য তৈরী করেছিল লোকেরা তার উপরে তাকেই ফাঁসি দিল। তখন রাজার রাগ কমল।
কাজেই মর্দখয়কে ফাঁসি দেওয়ার জন্য যে ফাঁসিকাঠ হামন তৈরি করেছিল সেখানেই তাকে ফাঁসি দেওয়া হল। এরপর রাজার রাগ পড়ল।