< উপদেশক 10 >
1 ১ যেমন মরা মাছি সুগন্ধকে দুর্গন্ধে পরিণত করে, তেমনি একটা ছোট্ট মূর্খতা প্রজ্ঞা ও সম্মান নষ্ট করতে পারে।
মরা মাছি যেমন সুগন্ধি তেল দুর্গন্ধ করে তোলে, তেমনি একটু নির্বুদ্ধিতা প্রজ্ঞা ও সম্মানকে মুছে ফেলে।
2 ২ জ্ঞানবানের হৃদয় ডানদিকে, কিন্তু মূর্খের হৃদয় বামদিকে ঝুঁকে।
জ্ঞানবানের হৃদয় তার ডানদিকে ফেরে, কিন্তু বোকাদের হৃদয় তার বাঁদিকে ফেরে,
3 ৩ যখন একজন মূর্খ রাস্তা দিয়ে হেঁটে যায়, তার চিন্তার অভাব, প্রত্যেকজনকে প্রমাণ করে সে মূর্খ।
এমনকি, বোকারা যখন পথ চলে, তাদের বুদ্ধির অভাব হয় এবং প্রকাশ করে যে সে কত বোকা।
4 ৪ যদি কোন শাসনকর্ত্তার মনোভাব তোমার বিরুদ্ধে ওঠে, তোমার কাজ ছেড়ো না। শান্তভাব বড় বড় অপরাধ ক্ষান্ত করতে পারে।
শাসনকর্তা যদি তোমার উপর রেগে যান, তুমি তোমার পদ ত্যাগ কোরো না; শান্তভাব থাকলে বড়ো বড়ো অন্যায় অতিক্রম করা যায়।
5 ৫ একটা মন্দতা আছে যা আমি সূর্য্যের নিচে দেখেছি, এরকম ভুল যা শাসনকর্ত্তার থেকে আসে:
আমি সূর্যের নিচে এক মন্দ বিষয় দেখেছি, শাসনকর্তারা এইরকম ভুল করে থাকে
6 ৬ মূর্খদের নেতার পদ দেওয়া হয়েছে, যখন সফল ব্যক্তিকে নিচু পদ দেওয়া হয়েছে।
বড়ো বড়ো পদে বুদ্ধিহীনেরা নিযুক্ত হয়, যেখানে ধনীরা নিচু পদে নিযুক্ত হয়।
7 ৭ আমি দাসদের ঘোড়া চালাতে দেখেছি এবং সফল ব্যক্তিকে দাসের মত মাটিতে হাঁটতে দেখেছি।
আমি দাসেদের ঘোড়ার পিঠে দেখেছি, যেখানে উঁচু পদের কর্মচারীরা দাসের মতো পায়ে হেঁটে চলে।
8 ৮ যে কেউ গর্ত খোঁড়ে সে তাতেই পড়তে পারে এবং যখনই কেউ দেওয়াল ভাঙ্গে, তাকে সাপ কামড়াতে পারে।
যে গর্ত খোঁড়ে সে তার মধ্যে পড়তে পারে; যে দেয়াল ভাঙে তাকে সাপে কামড়াতে পারে।
9 ৯ যে কেউ পাথর কাটে, সে তাই দিয়ে আঘাত পেতে পারে এবং সেই ব্যক্তি যে কাঠ টুকরো করে, সে তাই দিয়ে বিপদে পড়তে পারে।
যে পাথর কাটে সে তার দ্বারাই আঘাত পেতে পারে; যে কাঠ কাটে সে তার দ্বারাই বিপদে পড়তে পারে।
10 ১০ যদি একটা লোহার ফলা ভোঁতা হয় এবং একটি মানুষ যদি তাতে ধার না দেয়, তাহলে তাকে অবশ্যই বেশি শক্তি ব্যবহার করতে হবে, কিন্তু প্রজ্ঞা একটা সুবিধা যোগায় সফলতা পাবার জন্য।
কুড়ুল যদি ভোঁতা হয় আর তাতে ধার দেওয়া না হয়, তা ব্যবহার করতে বেশি শক্তি লাগে, কিন্তু দক্ষতা সাফল্য আনে।
11 ১১ মন্ত্রমুগ্ধ হওয়ার আগে যদি সাপে কামড়ায়, তাহলে মন্ত্রপাঠকের কোন লাভ হয় না।
সাপকে মুগ্ধ করার আগেই যদি সে কামড় দেয়, সাপুড়ে কোনো পারিশ্রমিক পায় না।
12 ১২ একজন জ্ঞানী লোকের মুখের কথা অনুগ্রহ যুক্ত, কিন্তু মূর্খের ঠোঁট নিজেকে গিলে ফেলে।
জ্ঞানবানের মুখের কথা অনুগ্রহজনক, কিন্তু বোকারা তাদের মুখের কথা দিয়ে নিজেদের ধ্বংস করে।
13 ১৩ মূর্খের মুখ থেকে কথা বেরোনো শুরু হলেই, মূর্খতা বেরিয়ে আসে এবং শেষে তার মুখ থেকে মন্দ প্রলাপ বয়।
মুখের কথার আরম্ভই মূর্খতা; শেষে তা হল দুষ্টদায়ক প্রলাপ—
14 ১৪ মূর্খ অনেক কথা বলে, কিন্তু কেউ জানে কি আসছে। কে জানে তার পিছনে কি আসছে?
এবং বুদ্ধিহীনেরা অনেক কথা বলে। ভবিষ্যতে কী হবে কেউ জানে না— তারপর কী হবে তা তাদের কে জানাতে পারে?
15 ১৫ মূর্খদের পরিশ্রম তাদের ক্লান্ত করে, যাতে তারা শহরে রাস্তা এমনকি জানে না।
বোকাদের পরিশ্রম তাদের ক্লান্ত করে; তারা নগরে যাবার রাস্তা জানে না।
16 ১৬ দেশে সমস্যা থাকবে যদি তোমার রাজা শিশু হয় এবং তোমার নেতারা সকালে ভোজ শুরু করে!
ধিক্ সেই দেশ যার রাজা আগে দাস ছিলেন এবং সেখানকার রাজপুরুষেরা সকাল বেলাতেই ভোজ খায়।
17 ১৭ কিন্তু সেই দেশ খুশি হয় যখন তোমার রাজা উচ্চবংশের ছেলে হয় এবং তোমার নেতারা খাবার খায় যখন খাবার খাওয়ার দিন হয় এবং তারা তা করে শক্তিবৃদ্ধির জন্য, মাতাল হওয়ার জন্য নয়!
ধন্য সেই দেশ যার রাজা সম্ভ্রান্তবংশীয় এবং সেখানকার রাজপুরুষেরা সঠিক সময়ে খাওয়াদাওয়া করে—শক্তির জন্য, মাতলামির জন্য নয়।
18 ১৮ কারণ অলসতায় ছাদ বসে যায় এবং অলস হাতের কাজে ঘরে জল পড়ে।
আলস্যে ঘরের ছাদ ধসে যায়; অলসতার জন্য ঘরে জল পড়ে।
19 ১৯ লোকেরা হাঁসার জন্য খাবার তৈরী করে, দ্রাক্ষারস জীবনে আনন্দ নিয়ে আসে এবং টাকা সমস্ত কিছুর অভাব পূরণ করে।
হাসিখুশির জন্য ভোজের ব্যবস্থা করা হয়, দ্রাক্ষারস জীবনে আনন্দ আনে, এবং অর্থ সবকিছু যোগায়।
20 ২০ রাজাকে অভিশাপ দিও না, এমনকি তোমার মনেও দিও না এবং তোমার শোয়ার ঘরে ধনীকে অভিশাপ দিও না। কারণ আকাশের পাখি তোমার কথা বহন করতে পারে; যার পাখা আছে সে এ বিষয়ে ছড়াতে পারে।
মনে মনেও রাজাকে অভিশাপ দিয়ো না, কিংবা নিজের শোবার ঘরে ধনীকে অভিশাপ দিয়ো না, কারণ আকাশের পাখিও তোমার কথা বয়ে নিয়ে যেতে পারে, এবং পাখি উড়ে গিয়ে তোমার কথা বলে দিতে পারে।