< দ্বিতীয় বিবরণ 23 >
1 ১ হীনবীর্য কিংবা লিঙ্গকাটা লোক সদাপ্রভুর সমাজে প্রবেশ করবে না।
যার অণ্ডকোষ থেঁৎলে দেওয়া কিংবা পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলা হয়েছে সে সদাপ্রভুর লোকদের সমাজে যোগ দিতে পারবে না।
2 ২ অবৈধ লোক সদাপ্রভুর সমাজে প্রবেশ করবে না। তার দশম প্রজন্ম পর্যন্তও সদাপ্রভুর সমাজে প্রবেশ করতে পাবে না।
কোনও জারজ লোক বা তার বংশধর সদাপ্রভুর লোকদের সমাজে যোগ দিতে পারবে না; তার দশম পুরুষ পর্যন্তও তা করতে পারবে না।
3 ৩ অম্মোনীয় কিংবা মোয়াবীয় কেউ সদাপ্রভুর সমাজে প্রবেশ করতে পাবে না; দশম প্রজন্ম পর্যন্ত তাদের কেউ সদাপ্রভুর সমাজে কখনও প্রবেশ করতে পাবে না।
কোনও অম্মোনীয় কিংবা মোয়াবীয় বা তাদের বংশধরেরা কেউ সদাপ্রভুর লোকদের সমাজে যোগ দিতে পারবে না; তার দশম পুরুষ পর্যন্তও তা করতে পারবে না।
4 ৪ কারণ মিশর থেকে তোমাদের আসার দিনের তারা রাস্তায় খাবার ও জল নিয়ে তোমাদের সঙ্গে দেখা করে নি; আবার তোমাকে শাপ দেবার জন্য তোমার বিরুদ্ধে অরাম নহরয়িমে অবস্থিত পথোরনিবাসী বিয়োরের ছেলে বিলিয়মকে ঘুষ দিয়েছিল।
কেননা তোমরা মিশর থেকে বের হয়ে আসবার পরে তোমাদের যাত্রাপথে তারা খাবার ও জল নিয়ে তোমাদের কাছে এগিয়ে আসেনি, বরং তোমাদের অভিশাপ দেবার জন্য তারা অরাম-নহরয়িম দেশের পথোর নগর থেকে বিয়োরের ছেলে বিলিয়মকে টাকা দিয়ে নিয়ে এসেছিল।
5 ৫ কিন্তু তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু বিলিয়মের কথায় কান দিতে রাজি হননি; বরং তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমার পক্ষে সেই অভিশাপ আশীর্বাদে পরিণত করলেন; কারণ তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমাকে ভালবাসেন।
কিন্তু তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু বিলিয়মের কথায় সায় দেননি বরং সেই অভিশাপকে তিনি তোমাদের জন্য আশীর্বাদে পরিবর্তন করেছিলেন, কেননা তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমাদের ভালোবাসেন।
6 ৬ তুমি সারা জীবন কখনও তাদের শান্তি কি ভালো খোঁজ করবে না।
তোমরা যতদিন বাঁচবে ততদিন এদের সঙ্গে মৈত্রীচুক্তি করবে না।
7 ৭ তুমি ইদোমীয়কে ঘৃণা করবে না, কারণ সে তোমার ভাই; মিশরীয়কে ঘৃণা করবে না, কারণ তুমি তার দেশে বিদেশী ছিলে।
কোনও ইদোমীয়কে ঘৃণা করবে না, কারণ ইদোমীয়রা তোমাদের আত্মীয়। কোনও মিশরীয়কে ঘৃণা করবে না, কারণ তোমরা তাদের দেশে বিদেশি হয়ে বসবাস করেছিলে।
8 ৮ তাদের থেকে যে সন্তানরা জন্ম নেবে, তারা তৃতীয় পুরুষে সদাপ্রভুর সমাজে প্রবেশ করতে পাবে।
তাদের মধ্যে তৃতীয় পুরুষ থেকে তারা সদাপ্রভুর লোকদের সমাজে যোগ দিতে পারবে।
9 ৯ তোমার শত্রুগণের বিরুদ্ধে শিবিরে যাবার দিনের সব খারাপ বিষয়ে সাবধান থাকবে।
শত্রুদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে গিয়ে ছাউনি ফেলবার পরে সমস্ত রকম অশুচিতা থেকে তোমরা দূরে থাকবে।
10 ১০ তোমার মধ্যে যদি কোনো লোক রাতে ঘটা কোনো অশুচিতায় অশুচি হয়, তবে সে শিবির থেকে বের হয়ে যাবে, শিবিরের মধ্যে প্রবেশ করবে না।
রাতে বীর্যপাতের দরুন যদি তোমাদের কোনও পুরুষ অশুচি হয়, তবে তাকে ছাউনির বাইরে গিয়ে থাকতে হবে।
11 ১১ পরে বেলা শেষ হলে সে জলে স্নান করবে ও সূর্য্যের অস্ত যাবার দিনের শিবিরের মধ্যে প্রবেশ করবে।
বিকাল হয়ে আসলে তাকে স্নান করে ফেলতে হবে, এবং সূর্য ডুবে গেলে সে ছাউনিতে ফিরে যেতে পারবে।
12 ১২ তুমি শিবিরের বাইরে এক জায়গা নির্ধারণ করে বাইরের দেশ বলে সে জায়গায় যাবে;
শৌচকর্ম করার জন্য ছাউনির বাইরে একটি জায়গা ঠিক করবে।
13 ১৩ আর তোমার অস্ত্রশস্ত্রের মধ্যে একটি খোঁড়ার জিনিস থাকবে; বাইরের দেশে যাবার দিনের তুমি তা দিয়ে গর্ত করে ফিরে নিজের নির্গত মল ঢেকে ফেলবে।
তোমাদের বিভিন্ন উপকরণের মধ্যে মাটি খোঁড়ার জন্য কিছু রাখবে, এবং শৌচকর্ম করার পরে, একটি গর্ত খুড়ে সেই মলে মাটি চাপা দেবে।
14 ১৪ কারণ তোমাকে রক্ষা করতে ও তোমার শত্রুদেরকে তোমার সামনে দিতে তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমার শিবিরের মধ্যে যাতায়াত করেন; অতএব তোমার শিবির পবিত্র হোক; পাছে তোমাতে কোনো অশুচি বিষয় দেখে তিনি তোমার থেকে ফিরে যান।
কারণ তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমাদের রক্ষা করার জন্য এবং তোমাদের শত্রুদের তোমাদের হাতে তুলে দেবার জন্য ছাউনির মধ্যে ঘুরে বেড়ান। তোমাদের ছাউনিকে পবিত্র রাখবে, যেন তিনি তোমাদের মধ্যে মন্দ কিছু না দেখেন এবং তোমাদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নেন।
15 ১৫ যে দাস নিজের স্বামীর কাছ থেকে তোমার কাছে আসে, তুমি তাকে সে স্বামীর হাতে দেবে না।
কারও দাস যদি তোমাদের কাছে আশ্রয় নেয়, তাকে তার মনিবের হাতে ফিরিয়ে দেবে না।
16 ১৬ সে তোমার কোনো এক শহরের দরজার ভিতরে, যেখানে তার ভাল লাগে, সেই মনোনীত জায়গায় তোমার সঙ্গে তোমার মধ্যে বাস করবে; তুমি তার উপরে অত্যাচার করবে না।
তারা যেখানে চায় ও যে নগর বেছে নেয় সেখানেই তাদের বসবাস করতে দেবে। তাদের উপর অত্যাচার করবে না।
17 ১৭ ইস্রায়েল বংশের কোনো মেয়ে যেন বেশ্যাগমন না করে আর ইস্রায়েলের কোনো ছেলে যেন পায়ুকামী না হয়।
কোনও ইস্রায়েলী পুরুষ বা স্ত্রীলোক যেন দেবদাস-দাসী না হয়।
18 ১৮ কোনো প্রতিজ্ঞার জন্য মহিলা কিংবা পুরুষ বেশ্যার উপার্জিত আয় তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভুর গৃহে আনবে না, কারণ সে উভয়ই তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভুর কাছে ঘৃণার্হ।
মানত পূরণের জন্য কোনো স্ত্রীলোক বেশ্যা কিংবা পুরুষ বেশ্যার উপার্জন তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর গৃহে নিয়ে আসবে না, কারণ তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু উভয়কেই ঘৃণা করেন।
19 ১৯ তুমি সুদের জন্য, রূপার সুদ, খাবারের সুদ, কোনো জিনিসের সুদ পাবার জন্য, নিজের ভাইকে ঋণ দেবে না।
কোনও ইস্রায়েলী ভাইয়ের কাছ থেকে সুদ নেবে না, সেটি অর্থ কিংবা খাবার কিংবা অন্য কিছুর উপর হোক।
20 ২০ সুদের জন্য বিদেশীকে ঋণ দিতে পার, কিন্তু সুদের জন্য নিজের ভাইকে ঋণ দেবে না; যেন তুমি যে দেশ অধিকার করতে যাচ্ছ, সে দেশে তোমার হাতে করা সব কাজে তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমাকে আশীর্বাদ করেন।
তোমরা বিদেশির কাছ থেকে সুদ নিতে পারো, কিন্তু ইস্রায়েলী ভাইয়ের কাছ থেকে নয়, যেন তোমরা যে দেশ অধিকার করতে যাচ্ছ, সেই দেশে তোমরা যাতে হাত দেবে তাতেই তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমাদের আশীর্বাদ করেন।
21 ২১ তুমি নিজের ঈশ্বর সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে কিছু প্রতিজ্ঞা করলে তা দিতে দেরী কর না; কারণ তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু অবশ্য তা তোমার থেকে আদায় করবেন; না দিলে তোমার পাপ হবে।
তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর কাছে যদি তোমরা কোনও মানত করো, তা পূরণ করতে দেরি কোরো না, কেননা তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু নিশ্চয়ই তা দাবি করবেন এবং তোমরা পাপে দোষী হবে।
22 ২২ কিন্তু যদি প্রতিজ্ঞা না কর, তবে তাতে তোমার পাপ হবে না।
কিন্তু তোমরা যদি মানত না করো, তোমরা দোষী হবে না।
23 ২৩ তোমার মুখ থেকে বলা কথা সযত্নে পালন করবে; তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে তোমার মুখ থেকে যেমন নিজের ইচ্ছায় দেওয়া প্রতিজ্ঞার কথা বের হয়, সেই অনুসারে করবে।
তোমরা মুখ দিয়ে যে মানতের কথা উচ্চারণ করবে তা তোমাদের পূরণ করতেই হবে, কারণ তোমরা নিজের ইচ্ছায় নিজের মুখেই তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর কাছে সেই মানত করেছ।
24 ২৪ প্রতিবেশীর আঙ্গুরক্ষেতে গেলে তুমি নিজের ইচ্ছা অনুসারে তৃপ্তি পর্যন্ত আঙ্গুর ফল খেতে পারবে, কিন্তু পাত্রে করে কিছু নেবে না।
তোমরা যদি তোমাদের প্রতিবেশীর দ্রাক্ষাক্ষেতে যাও, তোমরা খুশিমতো আঙুর খেতে পারবে, কিন্তু তোমাদের ঝুড়িতে কিছু রাখবে না।
25 ২৫ প্রতিবেশীর শস্যক্ষেতে গেলে তুমি নিজের হাতে শীষ ছিঁড়তে পারবে, কিন্তু নিজের প্রতিবেশীর শস্যক্ষেতে কাস্তে দেবে না।
তোমরা যদি তোমাদের প্রতিবেশীর শস্যক্ষেত্রে যাও, তোমরা হাত দিয়ে শিষ ছিঁড়তে পারবে, কিন্তু ফসলের গায়ে কাস্তে লাগাবে না।