< দ্বিতীয় রাজাবলি 25 >
1 ১ সিদিকিয়ের রাজত্বের নবম বছরের দশম মাসের দশ দিনের র দিন নবূখদ্নিৎসর বাবিলের রাজা তাঁর সব সৈন্যদল নিয়ে যিরূশালেমের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে এলেন। তিনি শহরের বাইরে শিবির তৈরী করলেন এবং শহরের চারপাশে ঘিরে উঁচু দেয়াল তৈরী করলেন।
তাই, সিদিকিয়ের রাজত্বের নবম বছরে, ব্যাবিলনের রাজা নেবুখাদনেজার, তাঁর সমস্ত সৈন্য নিয়ে জেরুশালেমের বিরুদ্ধে যুদ্ধযাত্রা করলেন। তিনি নগরের বাইরে শিবির স্থাপন করে তার চারপাশে অবরোধ গড়ে তুললেন।
2 ২ রাজা সিদিকিয়ের রাজত্বের এগারো বছর পর্যন্ত শহরটা অবরোধ করে রাখা হয়েছিল।
রাজা সিদিকিয়ের রাজত্বের এগারোতম বছর পর্যন্ত নগর অবরুদ্ধ রইল।
3 ৩ সেই বছরে চতুর্থ মাসের নয় দিনের র দিন শহরে দূর্ভিক্ষের অবস্থা এমন বেশি হল যে, দেশের লোকদের জন্য কিছুই খাদ্য ছিল না।
চতুর্থ মাসের নবম দিনে নগরের দুর্ভিক্ষ এত চরম আকার নিয়েছিল, যে সেখানকার লোকজনের কাছে কোনও খাবারদাবার ছিল না।
4 ৪ পরে শহরের একটা জায়গা ভেঙে গেল এবং রাতের বেলা যিহূদার সমস্ত সৈন্য রাজার বাগানের কাছে দুই দেয়ালের মাঝখানের ফটক দিয়ে পালিয়ে গেল। যদিও কলদীয়েরা তখনও শহরটা চারিদিকে ঘেরাও করে ছিল। আর রাজা অরাবার রাস্তার দিকে চলে গেলেন।
পরে নগরের প্রাচীর ভেঙে ফেলা হল, এবং রাতের বেলায় গোটা সৈন্যদল রাজার বাগানের কাছে থাকা দুটি প্রাচীরের মাঝখানে অবস্থিত দরজা দিয়ে পালিয়ে গেল, যদিও ব্যাবিলনের সৈন্যসামন্ত কিন্তু নগরটি ঘিরে রেখেছিল। তারা অরাবার দিকে পালিয়ে গেল,
5 ৫ কিন্তু কলদীয় সৈন্যদল সিদিকিয় রাজার পিছনে তাড়া করে যিরীহোর উপত্যকাতে তাঁকে ধরে ফেলল। তাঁর সমস্ত সৈন্য তাঁর কাছ থেকে আলাদা হয়ে গিয়ে ছড়িয়ে পড়েছিল।
কিন্তু ব্যাবিলনের সৈন্যদল রাজার পিছনে তাড়া করে গেল এবং যিরীহোর সমভূমিতে তাঁর নাগাল পেল। তাঁর সমস্ত সৈন্য তাঁর কাছ থেকে পৃথক হয়ে ছড়িয়ে পড়ল,
6 ৬ তাঁরা রাজাকে বন্দী করে রিব্লাতে বাবিলের রাজার কাছে নিয়ে গেল। সেখানে তারা তাঁর উপর শাস্তির আদেশ দিল।
আর তিনি ধৃত হলেন। তাঁকে ধরে রিব্লাতে ব্যাবিলনের রাজার কাছে নিয়ে যাওয়া হল, এবং সেখানে তাঁর শাস্তি ঘোষণা করা হল।
7 ৭ সৈন্যেরা সিদিকিয়ের চোখের সামনেই তাঁর ছেলেদের হত্যা করলো। তারপর তাঁর চোখ দুটি তুলে ফেলে তাঁকে ব্রোঞ্জের শিকল দিয়ে বাঁধলো এবং তাঁকে বাবিলে নিয়ে গেল।
সিদিকিয়ের চোখের সামনেই তাঁর ছেলেদের তারা হত্যা করল। পরে তারা তাঁর চোখ উপড়ে নিয়েছিল, ও ব্রোঞ্জের শিকল দিয়ে বেঁধে তারা তাঁকে ব্যাবিলনে নিয়ে গেল।
8 ৮ পরে বাবিলের রাজা নবূখদ্নিৎসরের রাজত্বের ঊনিশ বছরের পঞ্চম মাসের সপ্তম দিনের বাবিল রাজার দাস নবূষরদন নামে রক্ষীদলের সেনাপতি যিরূশালেমে আসলেন।
ব্যাবিলনের রাজা নেবুখাদনেজারের রাজত্বকালের উনিশতম বছরের পঞ্চম মাসের সপ্তম দিনে ব্যাবিলনের রাজার এক কর্মকর্তা, রাজকীয় রক্ষীদলের সেনাপতি নবূষরদন জেরুশালেমে এলেন।
9 ৯ তিনি সদাপ্রভুর গৃহে, রাজবাড়ীতে এবং যিরূশালেমের সমস্ত বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিলেন। শহরের সমস্ত প্রধান বাড়িগুলিও তিনি পুড়িয়ে দিলেন।
তিনি সদাপ্রভুর মন্দিরে, রাজপ্রাসাদে এবং জেরুশালেমের সব বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দিলেন। প্রত্যেকটি গুরুত্বপূর্ণ ঘরবাড়ি তিনি পুড়িয়ে ছাই করে দিলেন।
10 ১০ রাজার রক্ষীদলের সেনাপতির অধীনে সমস্ত বাবিলীয় সৈন্যদল যিরূশালেমের চারিদিকের দেয়াল ভেঙে ফেলল।
রাজরক্ষীদলের সেনাপতির অধীনস্থ সমস্ত ব্যাবিলনীয় সৈন্য জেরুশালেমের চারপাশের প্রাচীর ভেঙে দিয়েছিল।
11 ১১ শহরের বাকি লোকরা যারা থেকে গেছিল এবং যারা দূরে নির্জন জায়গায় বাবিলের রাজার পক্ষে গিয়েছিল তাদের সবাইকে রক্ষীদলের সেনাপতি নবূষরদন বন্দী করে নিয়ে গেলেন,
রক্ষীদলের সেনাপতি নবূষরদন নগরে থেকে যাওয়া লোকজনকে, এবং তাদের পাশাপাশি বাদবাকি জনসাধারণকে ও যারা ব্যাবিলনের রাজার কাছে পালিয়ে গেল, তাদেরও নির্বাসনে পাঠিয়ে দিলেন।
12 ১২ কিন্তু আঙুর ক্ষেত দেখাশোনা ও জমি চাষ করবার জন্য কিছু গরিব লোককে রক্ষীদলের সেনাপতি দেশে রেখে গেলেন।
কিন্তু সেনাপতি দেশের অত্যন্ত গরিব কয়েকজন লোককে দ্রাক্ষাক্ষেতে ও ক্ষেতখামারে কাজ করার জন্য ছেড়ে গেলেন।
13 ১৩ কলদীয়েরা সদাপ্রভুর গৃহের ব্রোঞ্জের যে দুটি থাম ছিল এবং গামলা বসাবার ব্রোঞ্জের দানিগুলি এবং পিতলের বিরাট পাত্রটি ভেঙে টুকরো টুকরো করে বাবিলে নিয়ে গেলন।
ব্যাবিলনীয়েরা সদাপ্রভুর মন্দিরের পিতলের দুটি স্তম্ভ, স্থানান্তরযোগ্য গামলা বসাবার পাত্রগুলি ও পিতলের সমুদ্রপাত্রটি ভেঙে খণ্ড খণ্ড করল, আর তারা সেগুলির পিতল ব্যাবিলনে নিয়ে গেল।
14 ১৪ এছাড়া সব পাত্র, বেল্চা, সল্তে চিম্টা, হাতা এবং উপাসনা গৃহে সেবা কাজের জন্য অন্যান্য সমস্ত ব্রোঞ্জের জিনিস কলদীয়েরা নিয়ে গেল।
এছাড়াও তারা হাঁড়ি, বেলচা, সলতে ছাঁটার যন্ত্র, থালা ও মন্দিরের সেবাকাজে যেগুলি ব্যবহৃত হত, ব্রোঞ্জের সেইসব জিনিসপত্রও তুলে নিয়ে গেল।
15 ১৫ আর আগুন রাখার পাত্র এবং গামলা যে গুলি সোনা ও রূপা র তৈরী, সে সমস্ত জিনিসও রাজার রক্ষীদলের সেনাপতি নিয়ে গেলেন।
রাজরক্ষীদলের সেনাপতি পাকা সোনা বা রুপো দিয়ে তৈরি সব ধুনুচি ও জল ছিটোনোর গামলাগুলিও নিয়ে গেলেন।
16 ১৬ সদাপ্রভুর গৃহের জন্য শলোমন যে দুটি থাম, বড় জলপাত্র এবং আসনগুলো তৈরী করিয়েছিলেন সেগুলিতে এতো ব্রোঞ্জ ছিল যে ওজন করা অসম্ভব ছিল।
সদাপ্রভুর মন্দিরের জন্য শলোমন যে দুটি থাম, সমুদ্রপাত্র ও সরণযোগ্য তাকগুলি তৈরি করলেন, সেগুলিতে এত ব্রোঞ্জ ছিল যে তা মেপে রাখা সম্ভব হয়নি।
17 ১৭ প্রত্যেকটি থাম ছিল আঠারো হাত উঁচু ও তার উপরে মাথা ছিল যার উচ্চতা ছিল তিন হাত উঁচু। মাথাটার চারপাশ ব্রোঞ্জের শিকল ও ব্রোঞ্জের ডালিম দিয়ে সাজানো ছিল। দ্বিতীয় থামটিও প্রথমটির মতই তৈরী ছিল।
প্রত্যেকটি স্তম্ভ উচ্চতায় ছিল আঠারো হাত করে। এক-একটি স্তম্ভের মাথায় রাখা ব্রোঞ্জের স্তম্ভশীর্ষের উচ্চতা ছিল তিন হাত এবং সেটি পরস্পরছেদী এক জালের মতো করে সাজিয়ে দেওয়া হল ও সেটির চারপাশে ছিল ব্রোঞ্জের বেশ কয়েকটি ডালিম। অন্য থামেও একইরকম ভাবে পরস্পরছেদী জালের মতো সাজসজ্জা ছিল।
18 ১৮ প্রধান যাজক সরায়, দ্বিতীয় যাজক সফনিয় ও তিনজন দারোয়ানকে রক্ষীদলের সেনাপতি বন্দী করে নিয়ে গেলেন।
রক্ষীদলের সেনাপতি মহাযাজক সরায়কে, পদাধিকারবলে তাঁর পরে যিনি ছিলেন, সেই যাজক সফনিয়কে ও তিনজন দারোয়ানকে বন্দি করে নিয়ে গেলেন।
19 ১৯ যারা তখনও শহরে ছিল তাদের মধ্য থেকে তিনি যোদ্ধাদের উপরে নিযুক্ত একজন কর্মচারী ও রাজার পাঁচজন উপদেশদাতাকে ধরলেন। এছাড়া সেনাপতির লেখক যিনি সৈন্যদলে লোক সংগ্রহ করতেন তাঁকে এবং যারা শহরের মধ্যে ছিলেন তাদের মধ্যে আরও ষাটজন গুরুত্বপূর্ণ লোককেও ধরলেন।
নগরে তখনও যারা থেকে গেলেন, তাদের মধ্যে যাঁর উপর যোদ্ধাদের দেখাশোনার দায়িত্ব ছিল, তাঁকে, ও পাঁচজন রাজকীয় পরামর্শদাতাকেও তিনি ধরেছিলেন। এছাড়াও যাঁর উপর দেশের প্রজাদের সামরিক বাহিনীতে কাজ করার জন্য বাধ্যতামূলকভাবে যোগ দেওয়ানোর দায়িত্ব দেওয়া ছিল, সেই সচিবকে এবং নগরে যে ষাটজন বাধ্যতামূলকভাবে সৈন্যতালিকাভুক্ত ব্যক্তি পাওয়া গেল, তাদেরও তিনি ধরেছিলেন।
20 ২০ রক্ষীদলের সেনাপতি নবূষরদন তাদের সবাইকে রিব্লাতে বাবিলের রাজার কাছে বন্দী করে নিয়ে গেলেন।
সেনাপতি নবূষরদন তাদের সবাইকে ধরে রিব্লাতে ব্যাবিলনের রাজার কাছে নিয়ে এলেন।
21 ২১ বাবিলের রাজা হমাৎ দেশের রিব্লাতে এই সব লোকদের হত্যা করলেন। এই ভাবে যিহূদার লোকদের বন্দী করে নিজের দেশ থেকে নিয়ে যাওয়া হল।
হমাৎ দেশের রিব্লাতে ব্যাবিলনের রাজা প্রাণদণ্ডে দণ্ডিত এই লোকদের বধ করলেন। অতএব যিহূদা তার দেশ থেকে নির্বাসিত হল।
22 ২২ বাবিলের রাজা নবূখদ্নিৎসর যে সব লোকদের যিহূদা দেশে অবশিষ্ট রেখে গিয়েছিলেন তাদের উপরে তিনি শাফনের নাতি, অর্থাৎ অহীকামের ছেলে গদলিয়কে শাসনকর্ত্তা হিসাবে নিযুক্ত করলেন।
ব্যাবিলনের রাজা নেবুখাদনেজার যিহূদাতে যেসব লোকজন ছেড়ে গেলেন, তাদের উপর তিনি শাফনের নাতি, অর্থাৎ অহীকামের ছেলে গদলিয়কে শাসনকর্তা নিযুক্ত করলেন।
23 ২৩ বাবিলের রাজা গদলিয়কে শাসনকর্ত্তা করে নিযুক্ত করেছেন শুনে যিহূদার কিছু সেনাপতি ও তাঁদের লোকেরা, অর্থাৎ এই লোকেরা ছিল নথনিয়ের ছেলে ইশ্মায়েল, কারেহের ছেলে যোহানন, নটোফাতীয় তন্হূমতের ছেলে সরায় ও মাখাথীয়ের ছেলে যাসনিয় এবং তাদের লোকেরা মিসপাতে গদলিয়ের কাছে আসলেন।
যখন সৈন্যদলের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ও তাদের লোকজনেরা শুনতে পেয়েছিলেন যে ব্যাবিলনের রাজা গদলিয়কে শাসনকর্তা নিযুক্ত করেছেন, তখন তারা—অর্থাৎ নথনিয়ের ছেলে ইশ্মায়েল, কারেহর ছেলে যোহানন, নটোফাতীয় তন্হূমতের ছেলে সরায়, সেই মাখাতীয়ের ছেলে যাসনিয়, এবং তাদের লোকজন মিস্পাতে গদলিয়ের কাছে এলেন।
24 ২৪ গদলিয় তাদের কাছে এবং তাদের লোকদের কাছে এক শপথ করলেন এবং তাদের বললেন, “আপনারা কলদীয় দাসেদের ভয় করবেন না। আপনারা দেশে বাস করুন এবং বাবিলের রাজার সেবা করুন, তাতে আপনাদের মঙ্গল হবে।”
তাদের ও তাদের লোকজনকে আশ্বস্ত করার জন্য গদলিয় একটি শপথ নিয়েছিলেন। “ব্যাবিলনের কর্মকর্তাদের তোমরা ভয় কোরো না,” তিনি বললেন। “দেশেই থেকে যাও ও ব্যাবিলনের রাজার সেবা করো, তাতে তোমাদেরই মঙ্গল হবে।”
25 ২৫ কিন্তু সাত মাসের দিনের ইলীশামার নাতি, অর্থাৎ নথনিয়ের ছেলে রাজবংশীয় ইশ্মায়েল দশ জন লোক সঙ্গে করে নিয়ে এসে গদলিয়কে আক্রমণ করলেন। যিহূদার যে সব লোকেরা ও বাবিলীয়েরা মিসপাতে তাঁর সঙ্গে ছিল তাদের সবার সঙ্গে গদলিয়কে হত্যা করলেন।
সপ্তম মাসে অবশ্য ইলীশামার নাতি ও নথনিয়ের ছেলে, তথা শরীরে রাজরক্ত ধারণকারী সেই ইশ্মায়েল সাথে দশজন লোক নিয়ে এসে গদলিয়কে এবং মিস্পাতে সেই সময় তাঁর সাথে যিহূদার যে লোকেরা ছিল, তাদের ও ব্যাবিলন থেকে আসা কয়েকজন লোককেও হত্যা করলেন।
26 ২৬ তখন ছোট বড় সব লোক ও সেনাপতিরা উঠে মিশরে চলে গেল। কারণ তারা বাবিলীয়দের ভয় পেয়েছিল।
এই পরিস্থিতিতে, ছোটো থেকে বড়ো, সব লোকজন, সৈন্যদলের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সাথে মিলিতভাবে ব্যাবিলনের লোকজনের ভয়ে মিশরে পালিয়ে গেলেন।
27 ২৭ পরে যিহূদার রাজা যিহোয়াখীনের বন্দীত্বের সাঁইত্রিশ বছরের দিন ইবিল মরোদক বাবিলের রাজা হলেন। যে বছরে তিনি রাজত্ব করতে শুরু করেছিলেন সেই বছরের বারোতম মাসের সাতাশ দিনের র দিন যিহোয়াখীনকে জেলখানা থেকে ছেড়ে দিলেন।
যিহূদার রাজা যিহোয়াখীনের বন্দিত্বের সাঁইত্রিশতম বছরে, অর্থাৎ যে বছর ইবিল-মরোদক ব্যাবিলনের রাজা হলেন, সেই বছরেই তিনি যিহূদার রাজা যিহোয়াখীনকে কারাগার থেকে মুক্তি দিলেন। দ্বাদশ মাসের সাতাশতম দিনে তিনি এ কাজ করলেন।
28 ২৮ তিনি যিহোয়াখীনের সঙ্গে আন্তরিকভাবে কথা বললেন এবং বাবিলে তাঁর সঙ্গে আর যে সব রাজারা ছিলেন তাঁদের সকলের আসন থেকেও তাঁকে আরও সম্মানের আসন দিলেন।
তিনি যিহোয়াখীনের সাথে সদয় ভঙ্গিতে কথা বললেন এবং ব্যাবিলনে তাঁর সাথে অন্যান্য যেসব রাজা ছিলেন, তাদের তুলনায় তিনি যিহোয়াখীনকে বেশি সম্মানীয় এক আসন দিলেন।
29 ২৯ ইবিল মরোদক যিহোয়াখীনের জেলখানার পোষাক খুলে দিলেন এবং জীবনের বাকি দিন গুলো নিয়মিতভাবে রাজার সঙ্গে একই টেবিলে খাওয়া দাওয়া করে কাটিয়ে দিলেন।
তাই যিহোয়াখীন তাঁর কয়েদির পোশাক একদিকে সরিয়ে রেখেছিলেন এবং জীবনের বাকি দিনগুলি তিনি নিয়মিতভাবে রাজার টেবিলেই বসে ভোজনপান করলেন।
30 ৩০ তাঁর অবশিষ্ট সমস্ত জীবন ধরে রাজা নিয়মিতভাবে তাঁকে প্রতিদিনের র জন্য একটা ভাতা দিতেন ও উপযুক্ত জিনিসপত্র দিতেন।
যতদিন যিহোয়াখীন বেঁচেছিলেন, রাজামশাই প্রত্যেকদিন নিয়মিতভাবে তাঁকে ভাতা দিয়ে গেলেন।