< বংশাবলির দ্বিতীয় খণ্ড 15 >

1 পরে ঈশ্বরের আত্মা ওদেদের ছেলে অসরিয়ের উপরে আসলেন,
ওদেদের ছেলে অসরিয়ের উপর ঈশ্বরের আত্মা নেমে এলেন।
2 তখন তিনি আসার সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে তাকে বললেন, “হে আসা এবং যিহূদা ও বিন্যামীনের লোক সকল, তোমরা আমার কথা শোনো; তোমরা যতদিন সদাপ্রভুর সঙ্গে থাকবে ততদিন তিনিও তোমাদের সঙ্গে আছেন; আর যদি তোমরা তাঁর খোঁজ কর, তবে তিনি তোমাদেরকে তাঁর উদ্দেশ্য জানাবেন; কিন্তু তাঁকে যদি ত্যাগ কর, তবে তিনি তোমাদেরকে ত্যাগ করবেন।
তিনি আসার সাথে দেখা করতে গেলেন ও তাঁকে বললেন, “হে আসা এবং যিহূদা ও বিন্যামীনের সব লোকজন, আমার কথা শোনো। তোমরা যতদিন সদাপ্রভুর সাথে আছ, তিনিও তোমাদের সাথে আছেন। তোমরা যদি তাঁর অন্বেষণ করো, তবে তাঁকে খুঁজে পাবে, কিন্তু তোমরা যদি তাঁকে পরিত্যাগ করো, তবে তিনিও তোমাদের পরিত্যাগ করবেন।
3 ইস্রায়েলীয়েরা অনেক দিন ধরে সত্য ঈশ্বর ছাড়া, শিক্ষা দেবার জন্য যাজক ছাড়া এবং ব্যবস্থা ছাড়াই চলছিল;
দীর্ঘকাল ইস্রায়েল সত্য ঈশ্বরবিহীন, শিক্ষা দেওয়ার উপযোগী এক যাজক-বিহীন ও বিধানবিহীন হয়েই ছিল।
4 কিন্তু সংকটের দিনের তারা ইস্রায়েলের ঈশ্বর সদাপ্রভুর দিকে ফিরে তাঁর খোঁজ করল, তখন তিনি তাদেরকে তাঁর উদ্দেশ্য জানালেন।
কিন্তু তাদের দুঃখদুর্দশার দিনে তারা ইস্রায়েলের ঈশ্বর সদাপ্রভুর দিকে ফিরেছিল, ও তাঁর অন্বেষণ করল, এবং তারা তাঁর খোঁজ পেয়েছিল।
5 সেই দিনের কোথাও যাওয়া-আসা করা নিরাপদ ছিল না, কারণ সমস্ত জায়গার লোকেরা তখন খুব অসুবিধার মধ্যে ছিল।
সেই দিনগুলিতে নিরাপদে ঘোরাফেরা করা যেত না, কারণ দেশের সব অধিবাসী খুব গোলমেলে অবস্থায় ছিল।
6 তারা চূর্ণ-বিচূর্ণ হত, এক জাতি অন্য জাতিকে ও এক নগর অন্য নগরকে আঘাত করত, কারণ সব রকমের সংকট দিয়ে ঈশ্বর তাদের কষ্ট দিচ্ছিলেন।
এক জাতি অন্য এক জাতির দ্বারা এবং এক নগর অন্য এক নগরের দ্বারা চূর্ণবিচূর্ণ হচ্ছিল, কারণ ঈশ্বরই সব ধরনের দুঃখ দিয়ে তাদের উদ্বিগ্ন করছিলেন।
7 কিন্তু তোমরা বলবান হও, তোমাদের হাত দুর্বল না হোক, কারণ তোমাদের কাজের জন্য পুরষ্কার পাবে।”
কিন্তু তোমরা বলবান হও ও হাল ছেড়ে দিয়ো না, কারণ তোমাদের কাজ পুরস্কৃত হবে।”
8 যখন আসা এই সব কথা, অর্থাৎ ওদেদের ছেলে ভাববাদী অসরিয়ের ভাববাণী শুনে সাহস পেয়ে যিহূদার ও বিন্যামীনের সমস্ত দেশ থেকে এবং তিনি পর্বতে ঘেরা ইফ্রয়িম দেশে যে সব নগর দখল করেছিলেন, সেখান থেকে জঘন্য জিনিসগুলি ধ্বংস করলেন এবং সদাপ্রভুর বারান্দার সামনের সদাপ্রভুর যজ্ঞবেদি মেরামত করলেন।
আসা যখন এইসব কথা ও ওদেদের ছেলে ভাববাদী অসরিয়ের করা ভাববাণীটি শুনেছিলেন, তখন তিনি সাহস পেয়েছিলেন। যিহূদা ও বিন্যামীনের গোটা এলাকা থেকে এবং ইফ্রয়িমের পার্বত্য এলাকার যেসব নগর তিনি দখল করলেন, সেগুলি থেকেও ঘৃণ্য প্রতিমার মূর্তিগুলি তিনি সরিয়ে দিলেন। সদাপ্রভুর মন্দিরের বারান্দার সামনে রাখা সদাপ্রভুর যজ্ঞবেদিটি তিনি মেরামত করে দিলেন।
9 পরে তিনি সমস্ত যিহূদা ও বিন্যামীনকে এবং তাদের মধ্যে বসবাসকারী ইফ্রয়িম, মনঃশি ও শিমিয়োন থেকে আসা লোকেদেরকে জড়ো করলেন; কারণ তাঁর ঈশ্বর সদাপ্রভু তাঁর সঙ্গে আছেন দেখে, ইস্রায়েলের অনেক লোক তাঁর পক্ষে এসেছিল।
পরে যিহূদা ও বিন্যামীনের সব লোকজনকে এবং ইফ্রয়িম, মনঃশি ও শিমিয়োন গোষ্ঠীভুক্ত এলাকা থেকে আসা সেইসব লোককে তিনি এক স্থানে একত্রিত করলেন, যারা তাদের মাঝখানে বসতি স্থাপন করল, কারণ ইস্রায়েল থেকে প্রচুর লোকজন তখনই তাঁর কাছে এসেছিল, যখন তারা দেখেছিল যে তাঁর ঈশ্বর সদাপ্রভু তাঁর সাথে আছেন।
10 ১০ আসার রাজত্বের পনেরো বছরের তৃতীয় মাসে লোকেরা যিরূশালেমে জড়ো হয়েছিল।
আসার রাজত্বকালের পঞ্চদশতম বছরের তৃতীয় মাসে তারা জেরুশালেমে একত্রিত হল।
11 ১১ আর সেই দিনের তারা লুট করে আনা দ্রব্য থেকে সাতশো গরু ও সাত হাজার ভেড়া সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে বলিদান করল।
সেই সময় যে লুটসামগ্রী তারা নিয়ে এসেছিল, সেখান থেকে তারা সদাপ্রভুর উদ্দেশে সাতশো গবাদি পশু এবং সাত হাজার মেষ ও ছাগল বলি দিয়েছিল।
12 ১২ আর তারা এই প্রতিজ্ঞা করল যে, তারা সমস্ত মনপ্রাণ দিয়ে তাদের পূর্বপুরুষদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর খোঁজ করবে;
মনেপ্রাণে তারা তাদের পূর্বপুরুষদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর অন্বেষণ করার জন্য এক নিয়মে নিজেদের বেঁধে ফেলেছিল।
13 ১৩ ছোট বড়, স্ত্রী-পুরুষ, যে কেউ ইস্রায়েলের ঈশ্বর সদাপ্রভুর খোঁজ না করবে তাদের মেরে ফেলা হবে।
যারা যারা ইস্রায়েলের ঈশ্বর সদাপ্রভুর অন্বেষণ করবে না, তারা ছোটই হোক বা বড়ো, পুরুষই হোক বা মহিলা, তাদের মেরে ফেলা হবে।
14 ১৪ তারা চিৎকার করে জয়ধ্বনির সঙ্গে তূরী ও শিংগা বাজিয়ে সদাপ্রভুর কাছে শপথ করল।
জোরালো সাধুবাদ জানিয়ে, চিৎকার করে ও শিঙা বাজিয়ে সদাপ্রভুর উদ্দেশে তারা এক শপথ নিয়েছিল।
15 ১৫ এই শপথে সমস্ত যিহূদা আনন্দ করল, কারণ তারা তাদের সমস্ত হৃদয় দিয়ে শপথ করেছিল এবং সমস্ত ইচ্ছার সঙ্গে সদাপ্রভুর খোঁজ করায় তিনি তাদেরকে তাঁর উদ্দেশ্য জানালেন; আর তিনি চারিদিকে তাদের বিশ্রাম দিলেন।
যিহূদার সব লোকজন সেই শপথের বিষয়ে আনন্দ প্রকাশ করল, কারণ মনেপ্রাণে তারা সেই শপথ নিয়েছিল। আগ্রহী হয়ে তারা ঈশ্বরের অন্বেষণ করল, এবং তিনি তাদের কাছে ধরা দিলেন। অতএব সবদিক থেকেই সদাপ্রভু তাদের বিশ্রাম দিলেন।
16 ১৬ আর রাজা আসার মা মাখা একটা জঘন্য আশেরার প্রতিমা তৈরী করেছিলেন বলে আসা তাঁকে রাজমাতার পদ থেকে সরিয়ে দিলেন এবং আসা তাঁর সেই জঘন্য প্রতিমা ভেঙে ফেললেন ও কিদ্রোণ স্রোতের ধারে সেটা পুড়িয়ে দিলেন।
এছাড়াও রাজা আসা, রাজমাতার পদ থেকে তাঁর ঠাকুমা মাখাকে সরিয়ে দিলেন, কারণ আশেরার পুজো করার জন্য মাখা জঘন্য এক মূর্তি তৈরি করেছিলেন। আসা সেটি কেটে ফেলে দিয়ে, ভেঙেও দিলেন এবং কিদ্রোণ উপত্যকায় সেটি জ্বালিয়ে দিলেন।
17 ১৭ কিন্তু ইস্রায়েলের মধ্যে সব উঁচু জায়গা গুলি ধ্বংস হয়নি; তবুও আসার হৃদয় সারাজীবন একরকম ছিল।
ইস্রায়েল থেকে যদিও তিনি পূজার্চনার উঁচু স্থানগুলি উপড়ে ফেলেননি, তবুও আজীবন আসার অন্তর সদাপ্রভুর প্রতি পুরোপুরি সমর্পিতই ছিল।
18 ১৮ আর তিনি তাঁর বাবার পবিত্র করা ও তাঁর পবিত্র করা রূপা, সোনা ও পাত্রগুলি ঈশ্বরের গৃহে নিয়ে এলেন।
ঈশ্বরের মন্দিরে তিনি রুপো ও সোনা এবং সেইসব জিনিসপত্র এনে রেখেছিলেন, যেগুলি তিনি ও তাঁর বাবা উৎসর্গ করলেন।
19 ১৯ আসার রাজত্বের পঁয়ত্রিশ বছর পর্যন্ত আর কোনো যুদ্ধ হয়নি।
আসার রাজত্বকালের পঁয়ত্রিশতম বছর পর্যন্ত আর কোনও যুদ্ধ হয়নি।

< বংশাবলির দ্বিতীয় খণ্ড 15 >