< বংশাবলির দ্বিতীয় খণ্ড 11 >
1 ১ যিরূশালেমে পৌঁছে রহবিয়াম যিহূদা ও বিন্যামীন বংশ অর্থাৎ এক লক্ষ আশি হাজার মনোনীত সৈন্যকে ইস্রায়েলীয়দের সঙ্গে যুদ্ধ করার জন্য, রাজ্যটি রহবিয়ামের বশবর্তী করার জন্য জড়ো করলেন।
জেরুশালেমে পৌঁছে রহবিয়াম যিহূদা ও বিন্যামীন থেকে এমন কিছু লোকজন—এক লাখ আশি হাজার সক্ষম যুবক—একত্রিত করলেন, যারা ইস্রায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে ও রহবিয়ামের হাতে রাজ্য ফিরিয়ে দিতে পারত।
2 ২ কিন্তু ঈশ্বরের লোক শময়িয়ের কাছে সদাপ্রভুর এই বাক্য পৌঁছালো,
কিন্তু সদাপ্রভুর এই বাক্য ঈশ্বরের লোক শময়িয়ের কাছে পৌঁছেছিল:
3 ৩ “তুমি শলোমনের ছেলে যিহূদার রাজা রহবিয়ামকে এবং যিহূদা ও বিন্যামীনে বসবাসকারী সমস্ত ইস্রায়েলীয়দের বল,
“তুমি শলোমনের ছেলে যিহূদার রাজা রহবিয়ামকে এবং যিহূদা ও বিন্যামীনের সব ইস্রায়েলীকে গিয়ে বলো,
4 ৪ সদাপ্রভু বলেন, ‘তোমরা তোমাদের জ্ঞাতিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে যেও না; প্রত্যেক জন নিজেদের গৃহে ফিরে যাও, কারণ এই ঘটনা আমার থেকে হল।’” তাই তারা সদাপ্রভুর কথা মেনে নিয়ে যারবিয়ামের বিরুদ্ধে না গিয়ে ফিরে গেল।
‘সদাপ্রভু একথাই বলেন: তোমাদের জাতভাই ইস্রায়েলীদের বিরুদ্ধে তোমরা যুদ্ধ করতে যেয়ো না। তোমরা প্রত্যেকে ঘরে ফিরে যাও, কারণ এ কাজটি আমিই করেছি।’” তাই তারা সদাপ্রভুর বাক্যের প্রতি বাধ্য হয়ে যারবিয়ামের বিরুদ্ধে যুদ্ধযাত্রা না করে ফিরে গেল।
5 ৫ পরে রহবিয়াম যিরূশালেমে বাস করে দেশ রক্ষা করবার জন্য যিহূদা দেশের নগরগুলি গাঁথলেন।
রহবিয়াম জেরুশালেমে বসবাস করতে করতে যিহূদা দেশের সুরক্ষার জন্য এই নগরগুলি তৈরি করলেন:
6 ৬ তার ফলে বৈৎলেহম, ঐটম, তকোয়,
বেথলেহেম, ঐটম, তকোয়,
7 ৭ বৈৎ-সূর, সেখো, অদুল্লম,
বেত-সূর, সেখো, অদুল্লম,
9 ৯ অদোরয়িম, লাখীশ, অসেকা,
অদোরয়িম, লাখীশ, অসেকা,
10 ১০ সরা, অয়ালোন ও হিব্রোণ, এই যে সব প্রাচীরে ঘেরা নগর যিহূদা ও বিন্যামীন দেশে আছে, তিনি সেগুলি গাঁথলেন।
সরা, অয়ালোন ও হিব্রোণ। যিহূদা ও বিন্যামীনে এই নগরগুলি সুরক্ষিত নগরে পরিণত হল।
11 ১১ আর তিনি দুর্গগুলি শক্তিশালী করে সেখানে সেনাপতিদের রাখলেন এবং খাবার-দাবার, তেল ও আঙ্গুর রসের ভান্ডার করলেন।
তিনি সেই নগরগুলির সুরক্ষা-ব্যবস্থা মজবুত করলেন এবং সেগুলিতে সেনাপতি মোতায়েন করে দিলেন, ও খাবারদাবার, জলপাই তেল ও দ্রাক্ষারসও সরবরাহ করলেন।
12 ১২ আর সমস্ত নগরে ঢাল ও বর্শা রাখলেন ও নগরগুলি খুব শক্তিশালী করলেন। আর যিহূদা ও বিন্যামীন তাঁর অধীনে ছিল।
তিনি সব নগরে ঢাল ও বর্শা রেখে দিলেন, এবং নগরগুলিকে খুবই শক্তপোক্ত করে তুলেছিলেন। অতএব যিহূদা ও বিন্যামীন তাঁর অধিকারে থেকে গেল।
13 ১৩ আর সমস্ত ইস্রায়েলের মধ্যে যে যাজক ও লেবীয়েরা ছিল, তারা নিজের নিজের সব এলাকা থেকে তাঁর কাছে এল।
গোটা ইস্রায়েল জুড়ে যাজক ও লেবীয়েরা তাদের সব জেলা থেকে এসে তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছিল।
14 ১৪ ফলে লেবীয়েরা তাদের পশু চরাবার মাঠ ও সম্পত্তি ত্যাগ করে যিহূদায় ও যিরূশালেমে এল, কারণ যারবিয়াম আর তাঁর ছেলেরা সদাপ্রভুর যাজকের কাজ করতে না দিয়ে তাদের অমান্য করেছিলেন।
লেবীয়েরা এমনকি তাদের পশুচারণক্ষেত্র ও বিষয়সম্পত্তি ত্যাগ করে যিহূদা ও জেরুশালেমে এসে গেল, কারণ যারবিয়াম ও তাঁর ছেলেরা সদাপ্রভুর যাজকরূপে তাদের তখন অগ্রাহ্য করলেন,
15 ১৫ আর তিনি উঁচু জায়গা গুলির, ছাগদের ও তাঁর তৈরী বাছুর দুটির জন্য নিজে যাজকদের নিযুক্ত করেছিলেন।
যখন পূজার্চনার উঁচু স্থানগুলির এবং তাঁর তৈরি করা ছাগল ও বাছুরের মূর্তিগুলির জন্য তিনি তাঁর নিজস্ব যাজকদের নিযুক্ত করলেন।
16 ১৬ ইস্রায়েলের সমস্ত বংশের মধ্যে যারা ইস্রায়েলের ঈশ্বর সদাপ্রভুর খোঁজে আগ্রহী ছিল, তারা লেবীয়দের সঙ্গে তাদের পূর্বপুরুষদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে বলিদান করতে যিরূশালেমে আসল।
ইস্রায়েলের প্রত্যেকটি বংশ থেকে যারা যারা ইস্রায়েলের ঈশ্বর সদাপ্রভুর অন্বেষণ করার জন্য তাদের অন্তর স্থির করল, তারা তাদের পূর্বপুরুষদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর কাছে নৈবেদ্য উৎসর্গ করার জন্য লেবীয়দের পিছু পিছু জেরুশালেমে গেল।
17 ১৭ তারা তিন বছর পর্যন্ত যিহূদার রাজ্য শক্তিশালী করল ও শলোমনের ছেলে রহবিয়ামকে বলবান করল; কারণ তিন বছর পর্যন্ত তারা দায়ূদ ও শলোমনের পথে চলল।
তারা যিহূদা রাজ্যটিকে শক্তিশালী করল এবং তিন বছর ধরে শলোমনের ছেলে রহবিয়ামকে সমর্থন করে গেল, ও এই সময়কালে দাউদ ও শলোমনের পথে চলেছিল।
18 ১৮ আর রহবিয়াম দায়ূদের ছেলে যিরীমোতের মেয়ে মহলৎকে বিয়ে করলেন; তাঁর মা অবীহয়িল যিশয়ের ছেলে, ইলীয়াবের মেয়ে।
রহবিয়াম সেই মহলৎকে বিয়ে করলেন, যিনি দাউদের ছেলে যিরীমোতের এবং যিশয়ের ছেলে ইলীয়াবের মেয়ে অবীহয়িলের মেয়ে ছিলেন।
19 ১৯ সেই স্ত্রী তাঁর জন্য যিয়ূশ, শমরিয় ও সহম নামে তিনটি ছেলের জন্ম দিলেন।
তিনি রহবিয়ামের ঔরসে এই ছেলেদের জন্ম দিলেন: যিয়ূশ, শমরিয় ও সহম।
20 ২০ তারপর তিনি অবশালোমের মেয়ে মাখাকে বিয়ে করলেন; এই স্ত্রী তাঁর জন্য অবিয়, অত্তয়, সীষ ও শলোমীতের জন্ম দিলেন।
পরে রহবিয়াম অবশালোমের মেয়ে সেই মাখাকে বিয়ে করলেন, যিনি তাঁর ঔরসে অবিয়, অত্তয়, সীষ ও শলোমীতের জন্ম দিলেন।
21 ২১ রহবিয়াম তাঁর সব স্ত্রী ও উপপত্নীদের মধ্যে অবশালোমের মেয়ে মাখাকে বেশী ভালবাসতেন; তাঁর মোট আঠারো জন স্ত্রী ও ষাটজন উপপত্নী ছিল এবং আটাশ জন ছেলে ও ষাটজন মেয়ের জন্ম দিলেন।
রহবিয়াম অবশালোমের মেয়ে মাখাকে তাঁর অন্য সব স্ত্রী ও উপপত্নীর চেয়ে বেশি ভালোবাসতেন। তাঁর মোট আঠারো জন স্ত্রী ও ষাটজন উপপত্নী, আটাশ জন ছেলে ও ষাটজন মেয়ে ছিল।
22 ২২ পরে রহবিয়াম মাখার ছেলে অবিয়কে প্রধান, ভাইদের মধ্যে নায়ক করলেন, কারণ তাঁকেই রাজা করার তাঁর ইচ্ছা ছিল।
মাখার ছেলে অবিয়কে রাজা করার কথা ভেবে, রহবিয়াম অবিয়ের দাদা-ভাইদের মধ্যে থেকে তাঁকেই যুবরাজ পদে নিযুক্ত করে দিলেন।
23 ২৩ আর তিনি সতর্ক হয়ে চললেন, সম্পূর্ণ যিহূদা ও বিন্যামীন দেশের প্রাচীরে ঘেরা প্রত্যেকটি নগরে তাঁর ছেলেদেরকে নিযুক্ত করলেন এবং তাদেকে প্রচুর খাবার-দাবার দিলেন এবং তাঁদের জন্য অনেক স্ত্রীর ব্যবস্থা করলেন।
তিনি বিজ্ঞতার সঙ্গে তাঁর ছেলেদের মধ্যে থেকে কাউকে কাউকে যিহূদা ও বিন্যামীন প্রদেশের বিভিন্ন জেলায় ও সব সুরক্ষিত নগরে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে মোতায়েন করে দিলেন। তিনি তাদের জন্য পর্যাপ্ত খাবারদাবারের আয়োজন করলেন এবং প্রচুর স্ত্রীও জোগাড় করে দিলেন।