< শমূয়েলের প্রথম বই 17 >

1 পরে পলেষ্টীয়েরা যুদ্ধ করবার জন্য সৈন্য জড় করে যিহূদার অধীনে থাকা সোখোতে একত্র হল ও সোখোর এবং অসেকার মাঝে এফসদম্মীমে শিবির স্থাপন করলেন৷
ఫిలిష్తీయులు యూదా ప్రదేశంలో తమ సైన్యాలను యుద్ధానికి సమకూర్చారు. శోకోలో సమకూడి ఏఫెస్దమ్మీము దగ్గర శోకో, అజేకా మధ్య మకాం చేశారు.
2 আর শৌল ও ইস্রায়েলের লোকেরা এক হয়ে এলার উপত্যকায় শিবির তৈরি করে পলেষ্টীয়দের বিরুদ্ধে সৈন্য সাজাল।
సౌలు, ఇశ్రాయేలీయులు కూడుకుని ఏలా లోయలో దిగి ఫిలిష్తీయులను ఎదిరించడానికి వరుసల్లో నిలబడ్డారు.
3 এই ভাবে পলেষ্টীয়েরা এক দিকের পাহাড়ে ও ইস্রায়েল অন্য দিকের পাহাড়ে দাঁড়ালো; দুই দলের মাঝে একটি উপত্যকা ছিল।
ఒక లోయకు ఇరుప్రక్కలా కొండల మీద ఫిలిష్తీయులు, ఇశ్రాయేలీయులు నిలిచి ఉన్నారు.
4 পরে গাতের এক বীর পলেষ্টীয়দের শিবির থেকে বের হল, তার নাম গলিয়াৎ, সে লম্বায় সাড়ে ছয় হাত৷
ఫిలిష్తీయుల సైన్యంలోనుండి గొల్యాతు అనే బలశాలి బయలుదేరాడు. అతడు గాతు ప్రాంతానికి చెందినవాడు. అతని ఎత్తు ఆరు మూరల ఒక జానెడు.
5 তার মাথায় পিতলের শিরস্ত্রান ছিল এবং আঁশের মত বর্ম তার গায়ে ছিল; সেই বর্ম পিতলের, তার ওজন পাঁচ হাজার শেকল (ষাট কেজি)।
అతడు తన తలపై కంచు శిరస్త్రాణం ధరించాడు. అతడు యుద్ధ కవచం పెట్టుకున్నాడు. కవచం బరువు 57 కిలోలు.
6 তাঁর পা পিতল দিয়ে ঢাকা ছিল, আর তার কাঁধে পিতলের বর্শা ছিল।
అతని కాళ్లకు కంచు కవచం, అతని భుజాల మధ్య ఒక కంచు బల్లెం ఉన్నాయి.
7 তার বর্শার লাঠিটা ছিল তাঁতীদের লম্বা লাঠির মত ও বর্শার লোহার ফলাটার ওজন ছিল ছয়শো শেকল (সাত কেজি দুশো গ্রাম) এবং তার ঢাল বহনকারী তার আগে আগে যেত।
అతని చేతిలోని ఈటె, చేనేత పనివాడి అడ్డకర్ర అంతపెద్దది. ఈటె కొన బరువు 7 కిలోల ఇనుమంత బరువు. ఒక సైనికుడు బల్లెం మోస్తూ గొల్యాతు ముందు నడుస్తున్నాడు.
8 সে দাঁড়িয়ে চিৎকার করে ইস্রায়েলের সৈন্যদলকে লক্ষ্য করে বলল, “তোমরা কেন যুদ্ধের জন্য সৈন্য সাজাতে বার হয়ে এসেছ? আমি কি পলেষ্টীয় না, আর তোমরা কি শৌলের দাস না? তোমাদের পক্ষ থেকে তোমরা এক জনকে বেছে নাও; সে আমার কাছে নেমে আসুক।
అతడు నిలబడి ఇశ్రాయేలీయుల సైన్యం వారితో “నేను ఫిలిష్తీయుణ్ణి, మీరంతా సౌలు దాసులు కదా. యుద్ధం చేయడానికి మీరంతా ఎందుకు వస్తున్నారు? మీరు మీ తరఫున ఒకరిని ఎన్నుకుని అతణ్ణి నాపైకి యుద్ధానికి పంపండి.
9 যদি সে আমার সঙ্গে যুদ্ধ করে জয়লাভ করে, আমাকে মেরে ফেলতে পারে, তাহলে আমরা তোমাদের দাস হব; কিন্তু যদি আমি তাকে হারিয়ে দিয়ে মেরে ফেলতে পারি, তবে তোমরা আমাদের দাস হবে ও আমাদের দাসত্ব করবে।”
అతడు నాతో పోరాడి నన్ను చంపగలిగితే మేమంతా మీకు దాసోహం అవుతాం. నేనే గనక అతణ్ణి జయించి, అతణ్ణి చంపితే మీరంతా మాకు దాస్యం చేయాలి.”
10 ১০ সেই পলেষ্টীয় আরও বলল, “আজ আমি ইস্রায়েলের সৈন্যদলকে টিটকারী দিয়ে বলছি, আমার সঙ্গে যুদ্ধ করবার জন্য তোমরা এক জনকে দাও।”
౧౦ఆ ఫిలిష్తీయుడు ఇంకా ఇలా అన్నాడు. “ఈ రోజున నేను ఇశ్రాయేలీయుల సైన్న్యాన్ని సవాలు చేస్తున్నాను. మీ నుండి ఒకరిని పంపితే వాడూ నేనూ పోరాడతాం” అంటూ రంకెలు వేశాడు.
11 ১১ তখন শৌল ও সমস্ত ইস্রায়েলীয়েরা সেই পলেষ্টীয়ের এই সব কথা শুনে হতাশ ও ভীষণ ভয় পেলেন।
౧౧సౌలు, ఇశ్రాయేలీయులందరూ ఆ ఫిలిష్తీయుని కేకలు విని హడలిపోయి చాలా భయపడి పోయారు.
12 ১২ দায়ূদ বৈৎলেহম-যিহূদায় বসবাসকারী সেই ইফ্রাথীয় পুরুষের ছেলে যার নাম যিশয়; তাঁর আটটি ছেলে ছিল। শৌলের রাজত্বের দিনের তিনি বৃদ্ধ, লোকেদের মধ্য তিনি অনেক বয়ষ্ক ছিলেন।
౧౨దావీదు యూదా దేశపు బేత్లెహేమువాడు, ఎఫ్రాతీయుడైన యెష్షయి కొడుకు. యెష్షయికి ఎనిమిదిమంది కొడుకులు. అతడు సౌలు కాలంలో ముసలివాడై బలహీనంగా ఉన్నాడు.
13 ১৩ সেই যিশয়ের বড় তিন ছেলে শৌলের সঙ্গে যুদ্ধে গিয়েছিল। যে তিনজন যুদ্ধে গিয়েছিল তাদের মধ্যে বড়টির নাম ইলীয়াব, দ্বিতীয়টির নাম অবীনাদব এবং তৃতীয়টির নাম শম্ম।
౧౩యెష్షయి ముగ్గురు పెద్ద కొడుకులు సౌలుతోపాటు యుద్ధానికి వెళ్లారు. యుద్ధానికి వెళ్ళిన అతని ముగ్గురు కొడుకుల్లో మొదటివాడు ఏలీయాబు, రెండవవాడు అబీనాదాబు, మూడవవాడు షమ్మా.
14 ১৪ দায়ূদই ছিলেন সবার ছোট; আর সেই তিনজন শৌলের সঙ্গে গিয়েছিল,
౧౪దావీదు ఆఖరి కొడుకు. అన్నలు ముగ్గురూ సౌలుతోబాటు వెళ్లారు కాని
15 ১৫ কিন্তু দায়ূদ শৌলের কাছ থেকে তাঁর বাবার ভেড়া চরাবার জন্য বৈৎলেহমে যাতায়াত করতেন।
౧౫దావీదు బేత్లెహేములో తన తండ్రి గొర్రెలను మేపుతూ, సౌలు దగ్గరకు వెళ్ళి వస్తూ ఉన్నాడు.
16 ১৬ আর সেই পলেষ্টীয় চল্লিশ দিন পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল ও সন্ধ্যার দিন এগিয়ে এসে নিজেকে দেখাত।
౧౬ఆ ఫిలిష్తీయుడు నలభై రోజులు ప్రతి ఉదయం సాయంత్రం లోయలోకి వచ్చి నిలబడేవాడు.
17 ১৭ আর যিশয় তাঁর ছেলে দায়ূদকে বললেন, “তুমি তোমার ভাইদের জন্য এক ঐফা ভাজা শস্য আর এই দশটা রুটি নিয়ে তাড়াতাড়ি শিবিরে ভাইদের কাছে যাও,
౧౭యెష్షయి తన కొడుకు దావీదును పిలిచి “ఒక తూముడు వేయించిన గోదుమలనూ పది రొట్టెలనూ తీసుకు సైన్యంలో ఉన్న నీ అన్నల కోసం తొందరగా వెళ్ళు.
18 ১৮ আর এই দশ তাল পনীর তাদের হাজারপতিদের জন্য নিয়ে যাও এবং তোমার ভাইয়েরা কেমন আছে তা দেখে এস, আর তাদের কাছ থেকে কোনো একটা চিহ্ন নিয়ে এস।
౧౮ఇంకా ఈ పది జున్నుగడ్డలు తీసికువెళ్ళి వారి సహస్రాధిపతికి ఇవ్వు. నీ అన్నల క్షేమసమాచారం తెలుసుకుని వారి దగ్గరనుండి ఏదైనా గుర్తు తీసుకురా” అని చెప్పి పంపించాడు.
19 ১৯ শৌল ও তোমার ভাইয়েরা আর সমস্ত ইস্রায়েল এলা উপত্যকায় আছে এবং পলেষ্টীয়দের সঙ্গে যুদ্ধ করছে।”
౧౯సౌలు సైన్యం, ఇశ్రాయేలీయులంతా ఏలా లోయలో ఫిలిష్తీయులతో యుద్ధం చేస్తున్నారు.
20 ২০ দায়ূদ ভোরে উঠেই অন্য একজন রাখালের হাতে তাঁর ভেড়ার পালের ভার দিলেন এবং তারপর যিশয়ের আদেশ মত তিনি ঐ সব জিনিস নিয়ে চলে গেলেন। তিনি যখন ছাউনির কাছে পৌঁছালেন তখন ইস্রায়েলীয় সৈন্যেরা যুদ্ধে যাওয়ার জন্য বার হচ্ছিল এবং যুদ্ধের জন্য চিত্কার করছিল।
౨౦దావీదు ఉదయాన్నే లేచి మరో కాపరికి తన గొర్రెలను అప్పగించి ఆ వస్తువులను తీసుకు యెష్షయి ఆజ్ఞాపించినట్టు ప్రయాణమయ్యాడు. అతడు యుద్ధ శిబిరం చేరే సమయానికి సైన్యాలు బారులుతీరి నినాదాలు చేస్తూ యుద్ధరంగానికి చేరుకొంటున్నారు.
21 ২১ পরে ইস্রায়েলীয়েরা ও পলেষ্টীয়েরা যুদ্ধ করবার জন্য মুখোমুখি তাদের সৈন্য সাজাল।
౨౧ఇశ్రాయేలువారు, ఫిలిష్తీయవారు ఎదురెదురుగా నిలిచి యుద్ధానికి సిద్ధపడుతున్నారు.
22 ২২ তখন দায়ূদ তাঁর জিনিসগুলো মাল-রক্ষকের কাছে রেখে দৌড়ে সৈন্যদলের মধ্যে ঢুকে তাঁর ভাইদের মঙ্গল জিজ্ঞাসা করলেন।
౨౨దావీదు తాను తెచ్చిన వస్తువులను సామానులు భద్రపరచే వాని దగ్గర ఉంచి, పరిగెత్తుకుంటూ సైన్యంలో చొరబడి తన అన్నలను కుశల ప్రశ్నలడిగాడు.
23 ২৩ তিনি যখন তাঁদের সঙ্গে কথা বলছিলেন, সেই দিনের গাৎ-নিবাসী সেই পলেষ্টীয় বীর গলিয়াৎ তার সৈন্যদল থেকে বের হয়ে আগের মতই কথা বলতে লাগল, আর দায়ূদ তা শুনলেন।
౨౩అతడు వారితో మాట్లాడుతున్నప్పుడు గాతు పట్టణపు ఫిలిష్తీయ బలశాలి, గొల్యాతు ఫిలిష్తీయుల సైన్యంలోనుండి వచ్చి పైన పలికిన మాటల్నే చెప్పడం దావీదు విన్నాడు.
24 ২৪ কিন্তু ইস্রায়েলীয় সৈন্যেরা সবাই ঐ লোকটিকে দেখে তার সামনে থেকে পালিয়ে গেল কারণ তারা ভীষণ ভয় পেয়েছিল।
౨౪ఇశ్రాయేలీ సైనికులు అతణ్ణి చూసి ఎంతో భయపడి అతని దగ్గర నుండి పారిపోయారు.
25 ২৫ আর ইস্রায়েলের লোকেরা বলাবলি করছিল, “ঐ যে লোকটা বার হয়ে আসে, ওকে তোমরা দেখেছ তো? সে ইস্রায়েলীয়দের টিটকারী দিতে আসে। ঐ একে যে মেরে ফেলতে পারবে রাজা তাকে প্রচুর ধন-সম্পত্তি দেবেন ও তাকে তাঁর মেয়ে দেবেন আর ইস্রায়েল দেশে তার পরিবারকে খাজনা থেকে মুক্তি দেবেন।”
౨౫ఇశ్రాయేలీయులు “ముందుకు వస్తున్న అతణ్ణి చూశారా, కచ్చితంగా ఇశ్రాయేలీయులను ఎదిరించడానికి వాడు బయలుదేరాడు. వాణ్ణి చంపినవాడికి రాజు చాలా డబ్బులిచ్చి, కూతురినిచ్చి పెళ్లిచేసి, అతణ్ణి, అతని కుటుంబాన్ని పన్ను కట్టే బాధ్యత నుండి మినహాయిస్తాడు” అని చెప్పాడు.
26 ২৬ তখন যে লোকেরা দায়ূদের কাছে দাঁড়িয়ে ছিল, তাদের জিজ্ঞাসা করলেন, “যে এই পলেষ্টীয়কে মেরে ফেলে ইস্রায়েলীয়দের উপর থেকে এই অসম্মান দূর করবে তার প্রতি কি করা হবে? এই অচ্ছিন্নত্বক পলেষ্টীয়টা কে, যে জীবন্ত ঈশ্বরের সৈন্যদলকে টিটকারী দেয়?”
౨౬అప్పుడు దావీదు “సజీవుడైన దేవుని సైన్యాలను ఎదిరించడానికి ఈ సున్నతి లేని ఫిలిష్తీయునికి ఎంత ధైర్యం?” వాణ్ణి చంపి ఇశ్రాయేలీయులకు వచ్చిన ఈ అపవాదును తీసివేసిన వాడికి వచ్చే బహుమతి ఏమిటి అని తన దగ్గర నిలబడినవాళ్ళని అడిగితే,
27 ২৭ তাতে লোকেরা যা বলাবলি করছিল সেইমতই তাঁকে জানানো হল যে, ওকে যে মেরে ফেলবে সে কি কি পুরষ্কার পাবে।
౨౭వారు, వాణ్ణి చంపినవాడికి లభించే కానుకల గురించి చెప్పారు.
28 ২৮ সেই লোকদের সঙ্গে তাঁর কথাবার্তার দিনের তাঁর বড় ভাই ইলীয়াব সব শুনলেন; তাই ইলীয়াব দায়ূদের উপর রাগে জ্বলে উঠে বললেন, “তুই কেন এখানে নেমে এসেছিস? মরু-এলাকায় ভেড়াগুলো কার কাছে রেখে এসেছিস? তোর অহঙ্কার ও তোর মনের দুষ্টতা আমি জানি। তুই যুদ্ধ দেখতে এসেছিস,”
౨౮దావీదు వారితో మాట్లాడుతున్న విషయాలు, అతని పెద్దన్న ఏలీయాబు విన్నాడు. అతడు దావీదు మీద కోపపడి “నువ్వు ఇక్కడికి ఎందుకొచ్చావు? అడవిలో ఆ చిన్న గొర్రెల మందను ఎవరికి అప్పగించావు? నీ గర్వం, నీలోని చెడుతనం నాకు తెలుసు. యుద్ధం చూడడానికే నువ్వు వచ్చావు కదా?” అన్నాడు.
29 ২৯ দায়ূদ বললেন, “আমি কি করলাম? এটা কি একটা প্রশ্ন নয়?”
౨౯దావీదు “నేనేం చేశాను? ఊరికే అడుగుతున్నాను” అని చెప్పి
30 ৩০ পরে তিনি অন্য লোকের কাছে গিয়ে তাকে সেই একই কথা জিজ্ঞাসা করলেন আর লোকেরা তাঁকে আগের মতই উত্তর দিল।
౩౦అక్కడ నుండి మరో వ్యక్తిని ఆలానే అడిగాడు. మళ్ళీ అదే జవాబు వచ్చింది.
31 ৩১ তখন দায়ূদ যা যা বলছিলেন তা সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ল ও শৌলের কাছে তাঁর বিষয়ে জানান হল। তাতে তিনি তাঁকে ডেকে পাঠালেন।
౩౧దావీదు అడుగుతున్న మాటలు కొందరికి తెలిసినప్పుడు వారు ఆ సంగతి సౌలుతో చెబితే సౌలు దావీదును పిలిపించాడు.
32 ৩২ তখন দায়ূদ শৌলকে বললেন, “ওকে দেখে কারো হৃদয় হতাশ না হোক; আপনার এই দাস গিয়ে এই পলেষ্টীয়ের সঙ্গে যুদ্ধ করবে।”
౩౨దావీదు సౌలుతో “ఈ ఫిలిష్తీయుడి విషయంలో ఎవరూ ఆందోళన పడనక్కరలేదు. మీ సేవకుడనైన నేను వాడితో యుద్ధం చేస్తాను” అన్నాడు.
33 ৩৩ তখন শৌল দায়ূদকে বললেন, “তুমি ঐ পলেষ্টীয়টার সঙ্গে গিয়ে যুদ্ধ করতে পারবে না, কারণ তুমি একটি ছোট ছেলে, আর ঐ পলেষ্টীয়টা অল্প বয়স থেকেই যোদ্ধা।”
౩౩సౌలు “ఈ ఫిలిష్తీయునితో యుద్ధం చేయడానికి నీకు బలం చాలదు. నువ్వు చిన్న పిల్లవాడివి. వాడు చిన్నప్పటినుండి యుద్దాలు చేస్తూ ఉన్నాడు” అని దావీదుతో అన్నాడు.
34 ৩৪ দায়ূদ শৌলকে বললেন, “আপনার এই দাস তার বাবার ভেড়ার পাল রক্ষা করছিল তখন একটি সিংহ ও একটি ভাল্লুক এসে পাল থেকে ভেড়া ধরে নিল;
౩౪అందుకు దావీదు సౌలుతో “నీ సేవకుడనైన నేను నా తండ్రి గొర్రెలను కాస్తూ ఉన్నప్పుడు ఒక ఎలుగుబంటి అయినా, సింహమైనా వచ్చి మందలోనుండి ఒక గొర్రెపిల్లను ఎత్తుకుపోతే
35 ৩৫ তখন আমি তার পিছনে পিছনে দৌড়ে গিয়ে তাকে মেরে তার মুখ থেকে ভেড়াটাকে রক্ষা করেছি। পরে সে উঠে যখন আমাকে রুখে দাঁড়াত তখন আমি তার দাড়ি ধরে আঘাত করে সেটাকে মেরে ফেললাম।
౩౫నేను దాన్ని వెంటాడి చంపి దాని నోట్లో నుండి ఆ గొర్రెపిల్లను విడిపించాను. అది నాపైకి వచ్చినప్పుడు దాని గడ్డం పట్టుకుని కొట్టి చంపాను.
36 ৩৬ আপনার এই দাস সেই সিংহ, ভাল্লুক দুটোকেই মেরে ফেলেছে, আর এই অচ্ছিন্নত্বক পলেষ্টীয়টা ঐগুলোর মধ্য একটার মত হবে, কারণ সে জীবন্ত ঈশ্বরের সৈন্যদলকে টিটকারী দিয়েছে।”
౩౬నీ సేవకుడనైన నేను సింహాన్నీ ఎలుగుబంటినీ చంపాను. సజీవుడైన దేవుని సైన్యాన్ని దూషించిన ఈ సున్నతిలేని ఫిలిష్తీయుడు కూడా వాటిలో ఒకదానిలాగా అవుతాడు.
37 ৩৭ দায়ূদ বললেন, “সদাপ্রভু, যিনি আমাকে সিংহ আর ভাল্লুকের থাবা থেকে রক্ষা করেছেন, তিনিই আমাকে ঐ পলেষ্টীয়টার হাত থেকেও রক্ষা করবেন।” তখন শৌল দায়ূদকে বললেন, “যাও, সদাপ্রভু তোমার সহবর্ত্তী হবেন।”
౩౭సింహం, ఎలుగుబంటి బలం నుండి నన్ను రక్షించిన యెహోవా ఈ ఫిలిష్తీయుని చేతిలోనుండి కూడా నన్ను విడిపిస్తాడు” అని చెప్పాడు. సౌలు “యెహోవా నీకు తోడుగా ఉంటాడు గాక, వెళ్ళు” అని దావీదుతో అన్నాడు.
38 ৩৮ পরে শৌল তাঁর নিজের পোশাক দায়ূদকে পরিয়ে দিলেন। তিনি তাঁর মাথায় পিতলের শিরস্ত্র আর গায়ে বর্ম্ম দিলেন।
౩౮అప్పుడు సౌలు తన యుద్ధ వస్త్రాలను దావీదుకు తొడిగించాడు. ఒక కంచు శిరస్త్రాణం అతనికి పెట్టి, యుద్ధ కవచం తొడిగించాడు.
39 ৩৯ তখন দায়ূদ তাঁর পোশাকের উপরে শৌলের তলোয়ারটা বেঁধে হাঁটতে চেষ্টা করলেন, কারণ আগে তিনি তা কখনও অভ্যাস করেন নি। তখন দায়ূদ শৌলকে বললেন, “এই সব পরে আমি যেতে পারব না, কারণ এর আগে আমি তা কখনও অভ্যাস করিনি।” পরে দায়ূদ সেগুলো খুলে ফেললেন।
౩౯దావీదు తన యుద్ధ కవచం మీద తన కత్తి కట్టుకున్నాడు. అయితే అవి అతనికి అలవాటు లేవు గనక నడవలేకపోయాడు. అప్పుడు దావీదు “ఇవి నాకు అలవాటు లేదు, వీటితో నేను యుద్ధానికి వెళ్లలేను” అని సౌలుతో చెప్పి వాటిని తీసివేశాడు.
40 ৪০ তারপর তিনি তাঁর লাঠিখানা হাতে নিলেন এবং নদীর স্রোতের মধ্য থেকে পাঁচটা মসৃণ পাথর বেছে নিয়ে রাখালের অর্থাৎ তাঁর চামড়ার থলির মধ্যে রাখলেন। তারপর তাঁর ফিংগাটা নিয়ে তিনি সেই পলেষ্টীয়ের দিকে এগিয়ে যেতে লাগলেন,
౪౦తన చేతికర్ర పట్టుకుని వాగులోనుండి ఐదు నున్నని రాళ్లు ఏరుకుని తన దగ్గర ఉన్న వడిసెల పట్టుకుని ఆ ఫిలిష్తీయునికి దగ్గరగా వెళ్ళాడు.
41 ৪১ আর সেই পলেষ্টীয়ও দায়ূদের দিকে এগিয়ে আসতে লাগল। তার ঢাল বহনকারী ঢাল নিয়ে তার সামনে সামনে আসছিল।
౪౧బల్లెం మోసేవాడు తనకు ముందుగా నడుస్తుంటే, ఆ ఫిలిష్తీయుడు బయలుదేరి దావీదు దగ్గరికి వచ్చి
42 ৪২ সেই পলেষ্টীয় দায়ূদের দিকে ভাল করে তাকিয়ে দেখে তাকে তুচ্ছ করল, কারণ দায়ূদের বয়স অল্প ছিল। তাঁর গায়ের রং লালচে এবং চেহারা সুন্দর ছিল।
౪౨చుట్టూ తేరి చూసి, ఎర్రనివాడు, అందగాడు, బాలుడు అయిన దావీదును నిర్లక్ష్యంగా చూశాడు.
43 ৪৩ পরে ঐ পলেষ্টীয় দায়ূদকে বলল, “আমি কি কুকুর যে, তুই লাঠি নিয়ে আমার কাছে আসছিস?” আর সেই পলেষ্টীয় তার দেব-দেবতার নাম করে দায়ূদকে অভিশাপ দিতে লাগল।
౪౩ఫిలిష్తీయుడు “కర్ర తీసుకు నువ్వు నా మీదికి వస్తున్నావే, నేనేమైనా కుక్కనా?” అని చెప్పి తమ దేవుళ్ళ పేరున దావీదును శపించాడు.
44 ৪৪ পলেষ্টীয় দায়ূদকে আরও বলল, “তুই আমার কাছে আয়; আমি তোর মাংস আকাশের পাখী আর বুনো পশুদের খেতে দিই।”
౪౪“నా దగ్గరికి రా, నిన్ను చంపి నీ మాంసాన్ని పక్షులకు, జంతువులకు వేస్తాను” అని ఆ ఫిలిష్తీయుడు దావీదుతో అన్నప్పుడు,
45 ৪৫ তখন দায়ূদ সেই পলেষ্টীয়কে বললেন, “তুমি আমার কাছে এসেছ তলোয়ার, বর্শা আর ছোরা নিয়ে, কিন্তু আমি তোমার কাছে যাচ্ছি বাহিনীগণের সদাপ্রভু, ইস্রায়েলীয় সৈন্যদলের ঈশ্বরের নাম নিয়ে, যাঁকে তুমি টিটকারী দিয়েছ।
౪౫దావీదు “నువ్వు కత్తి, ఈటె, బల్లెం తీసుకుని నా మీదికి వస్తున్నావు. నేనైతే నువ్వు దూషిస్తున్న ఇశ్రాయేలీయుల సేనల అధిపతి యెహోవా పేరిట నీ మీదికి వస్తున్నాను.
46 ৪৬ আজ সদাপ্রভু তোমাকে আমার হাতে তুলে দেবেন। আমি তোমাকে আঘাত করব আর তোমার মাথা কেটে নেব। আজকেই আমি পলেষ্টীয় সৈন্যদের মৃতদেহ আকাশের পাখী ও পৃথিবীর পশুদের খেতে দেব। তা দেখে পৃথিবীর সবাই জানতে পারবে যে, ইস্রায়েলীয়দের পক্ষে একজন ঈশ্বর আছেন।
౪౬ఈ రోజు యెహోవా నిన్ను నా చేతికి అప్పగిస్తాడు. నేను నిన్ను చంపి నీ తల తీసేస్తాను. దేవుడు ఇశ్రాయేలీయులకు తోడుగా ఉన్నాడని లోకంలోని వారంతా తెలుసుకొనేలా నేను ఈ రోజున ఫిలిష్తీయుల శవాలను పక్షులకు, జంతువులకు వేస్తాను.
47 ৪৭ যে সমস্ত লোক আজ এখানে রয়েছে তারাও জানতে পারবে যে, সদাপ্রভু কোন তলোয়ার বা বর্শা দিয়ে উদ্ধার করেন না, কারণ এই যুদ্ধ সদাপ্রভুর; আর তিনি আমাদের হাতে তোমাদের তুলে দেবেন।”
౪౭అప్పుడు యెహోవా కత్తిచేత, ఈటెచేత రక్షించేవాడు కాదని ఇక్కడ ఉన్నవారంతా తెలుసుకుంటారు. యుద్ధం యెహోవాయే చేస్తాడు. ఆయన మిమ్మల్ని మాకు అప్పగిస్తాడు” అని చెప్పాడు.
48 ৪৮ ঐ পলেষ্টীয় যখন দায়ূদকে আক্রমণ করবার জন্য এগিয়ে আসতে লাগল তখন দায়ূদও তার কাছে যাবার জন্য বিপক্ষের সৈন্যদলের দিকে দৌড়ে গেলেন,
౪౮ఆ ఫిలిష్తీయుడు లేచి దావీదును ఎదుర్కోవడానికి ముందుకు కదిలాడు. దావీదు, సైన్యం ఉన్న వైపుకు వేగంగా పరిగెత్తి వెళ్ళి
49 ৪৯ আর তাঁর থলি থেকে একটা পাথর নিয়ে ফিংগাতে বসিয়ে ঘোরাতে ঘোরাতে সেই পলেষ্টীয়ের কপালে সেটা ছুঁড়ে মারলেন। পাথরটা তার কপালে বসে গেলে সে মুখ থুবড়ে মাটিতে পড়ে গেল।
౪౯తన సంచిలో చెయ్యి పెట్టి అందులోనుండి ఒక రాయి తీసి వడిసెలతో విసరి ఆ ఫిలిష్తీయుని నుదురుపై తగిలేలా కొట్టాడు. ఆ రాయి వాడి నుదురులోకి దూసుకు పోయింది. వాడు నేలపై బోర్లా పడిపోయాడు.
50 ৫০ এই ভাবে দায়ূদ শুধু একটা ফিংগা আর একটা পাথর দিয়ে সেই পলেষ্টীয়কে হারিয়ে দিয়েছিলেন। তাঁর হাতে কোন তলোয়ার না থাকলেও তিনি সেই পলেষ্টীয়কে আঘাত করেছিলেন এবং তাকে মেরে ফেলেছিলেন।
౫౦ఆ విధంగా దావీదు వడిసెలతో, రాయితో ఫిలిష్తీయుణ్ణి ఓడించాడు. అతడు ఆ ఫిలిష్తీయుణ్ణి కొట్టి చంపాడు. అతని చేతిలో కత్తి లేదు.
51 ৫১ তখন দায়ূদ দৌড়ে গিয়ে সেই পলেষ্টীয়ের পাশে দাঁড়ালেন এবং তারই তলোয়ার খাপ থেকে টেনে বের করে নিয়ে তাকে মেরে ফেললেন এবং তার মাথাটা কেটে নিলেন। পলেষ্টীয়েরা যখন দেখল যে, তাদের প্রধান বীর মরে গেছে তখন তারা পালাতে শুরু করল।
౫౧దావీదు పరుగెత్తుకుంటూ వెళ్ళి ఫిలిష్తీయుని మీద నిలబడి వాడి వరలోని కత్తి దూసి దానితో వాడిని చంపి, తల తెగగొట్టాడు. ఫిలిష్తీయులు తమ వీరుడు చనిపోవడం చూసి అంతా పారిపోయారు.
52 ৫২ তখন ইস্রায়েল আর যিহূদার লোকেরা চিৎকার করে উঠল এবং গয় ও ইক্রোণের ফটক পর্যন্ত পলেষ্টীয়দের তাড়া করে নিয়ে গেল। পলেষ্টীয়দের আহত লোকেরা গাৎ ও ইক্রোণ পর্যন্ত শারয়িমের পথে পথে পড়ে রইল।
౫౨అప్పుడు ఇశ్రాయేలువారు, యూదావారు లేచి, హర్షధ్వానాలు చేస్తూ బయలుదేరి లోయ ప్రదేశం వరకూ, ఎక్రోను ద్వారాల వరకూ ఫిలిష్తీయులను తరిమారు. చచ్చిన ఫిలిష్తీయులు షరాయిం దారి పొడవునా గాతు, ఎక్రోను పట్టణాల వరకూ కూలిపోయారు.
53 ৫৩ পরে ইস্রায়েলীয়েরা পলেষ্টীয়দের পিছনে তাড়া করা বন্ধ করে ফিরে এসে তাদের ছাউনি লুট করতে লাগল।
౫౩తరువాత ఇశ్రాయేలువారు ఫిలిష్తీయులను తరమడం ఆపి తిరిగి వచ్చి వారి డేరాల్లో ఉన్నదంతా దోచుకున్నారు.
54 ৫৪ পরে দায়ূদ সেই পলেষ্টীয় মাথাটা যিরূশালেমে নিয়ে গেলেন, আর তার অস্ত্রশস্ত্র ও যুদ্ধের পোশাক তিনি নিজের তাঁবুতে রাখলেন।
౫౪అయితే దావీదు ఆ ఫిలిష్తీయుని ఆయుధాలను తన డేరాలో ఉంచుకుని, అతని తలను తీసుకు యెరూషలేముకు వచ్చాడు.
55 ৫৫ দায়ূদকে সেই পলেষ্টীয়ের সঙ্গে যুদ্ধ করতে যেতে দেখে শৌল তাঁর সেনাপতি অব্‌নেরকে বলেছিলেন, “আচ্ছা অব্‌নের, এই যুবকটি কার ছেলে?” উত্তরে অবনের বলেছিলেন, “মহারাজ, আপনার প্রাণের দিব্য দিয়ে বলছি যে, আমি জানি না।”
౫౫దావీదు ఫిలిష్తీయుణ్ణి ఎదుర్కోవడానికి వెళ్ళడం చూసి సౌలు తన సైన్యాధిపతి అబ్నేరును పిలిచి “అబ్నేరూ, ఈ కుర్రవాడు ఎవరి కొడుకు?” అని అడిగినప్పుడు, అబ్నేరు “రాజా, నీమీద ఒట్టు. అతడెవరో నాకు తెలియదు” అన్నాడు.
56 ৫৬ তখন রাজা বলেছিলেন, “তুমি খোঁজ নাও যুবকটি কার ছেলে।”
౫౬అప్పుడు రాజు “ఈ కుర్రవాడు ఎవరి కొడుకో అడిగి తెలుసుకో” అని ఆజ్ఞాపించాడు.
57 ৫৭ তারপর দায়ূদ যখন সেই পলেষ্টীয়কে মেরে ফিরে আসছিলেন তখন অব্‌নের তাঁকে নিয়ে শৌলের কাছে গেলেন। তাঁর হাতে ঐ পলেষ্টীয়ের মুণ্ডটা ছিল।
౫౭ఫిలిష్తీయుని చంపి తిరిగి వస్తున్న దావీదును అబ్నేరు ఎదుర్కొని ఫిలిష్తీయుని తల, దావీదు చేతిలో ఉండగానే సౌలు దగ్గరికి తీసుకువచ్చాడు.
58 ৫৮ শৌল তাঁকে জিজ্ঞাসা করলেন, “যুবক, তুমি কার ছেলে?” দায়ূদ বললেন, “আমি আপনার দাস বৈৎলেহমীয় যিশয়ের ছেলে।”
౫౮సౌలు అతనితో “అబ్బాయ్! మీ నాన్న ఎవరు?” అని అడిగినప్పుడు దావీదు “నేను నీ దాసుడు, బేత్లెహేము ఊరి వాడైన యెష్షయి కొడుకుని” అని జవాబిచ్చాడు.

< শমূয়েলের প্রথম বই 17 >