< প্রথম রাজাবলি 18 >

1 এর অনেক দিন পরে, বৃষ্টি না হওয়ার তৃতীয় বছরের দিন সদাপ্রভু থেকে এলিয়ের জন্য এই বাক্য এলো, “তুমি গিয়ে আহাবকে দেখা দাও। পরে আমি দেশে বৃষ্টি পাঠিয়ে দিচ্ছি।”
Και μετά πολλάς ημέρας ήλθεν ο λόγος του Κυρίου προς τον Ηλίαν κατά το τρίτον έτος, λέγων, Ύπαγε, φανερώθητι εις τον Αχαάβ· και θέλω δώσει βροχήν επί το πρόσωπον της γης.
2 তাতে এলিয় আহাবকে দেখা দিতে গেলেন। তখন শমরিয়াতে ভীষণ দূর্ভিক্ষ হয়েছিল।
Και υπήγεν ο Ηλίας να φανερωθή εις τον Αχαάβ. Η δε πείνα επεβάρυνεν εις την Σαμάρειαν.
3 আর আহাব রাজবাড়ির পরিচালক ওবদিয়কে ডাকলেন। ওবদিয় সদাপ্রভুকে খুব ভয় করতেন।
Και εκάλεσεν ο Αχαάβ τον Οβαδία τον οικονόμον. Ο δε Οβαδία εφοβείτο τον Κύριον σφόδρα·
4 ঈষেবল যখন সদাপ্রভুর ভাববাদীদের মেরে ফেলছিলেন তখন ওবদিয় একশোজন ভাববাদীকে নিয়ে পঞ্চাশ পঞ্চাশ করে দুটো গুহায় লুকিয়ে রেখেছিলেন। তিনি তাঁদের খাবার ও জলের জোগান দিতেন।
διότι, ότε η Ιεζάβελ εξωλόθρευε τους προφήτας του Κυρίου, ο Οβαδία έλαβεν εκατόν προφήτας και έκρυψεν αυτούς ανά πεντήκοντα εις σπήλαιον, και διέτρεφεν αυτούς εν άρτω και ύδατι.
5 আহাব ওবদিয়কে বললেন, “তুমি দেশের মধ্যে যেসব উনুই ও ছোট নদীগুলির কাছে যাও। ঘোড়া আর খচ্চরগুলোর প্রাণ রক্ষার জন্য হয়তো কিছু ঘাস পাওয়া যাবে। নাহলে সমস্ত পশু হারাতে হবে।”
Και είπεν ο Αχαάβ προς τον Οβαδία, Περίελθε εις την γην, εις πάσας τας πηγάς των υδάτων και εις πάντας τους χειμάρρους· ίσως εύρωμεν χόρτον, διά να σώσωμεν την ζωήν των ίππων και των ημιόνων και να μη στερηθώμεν τα κτήνη.
6 তাঁরা দুইজন ঘুরে দেখবার জন্য দেশটা ভাগ করে নিলেন। আহাব নিজে গেলেন এক দিকে আর ওবদিয় গেলেন অন্য দিকে।
Εμέρισαν λοιπόν την γην εις εαυτούς, διά να διέλθωσιν αυτήν· ο μεν Αχαάβ απήλθε διά μιας οδού κατά μόνας, ο δε Οβαδία απήλθε δι' άλλης οδού κατά μόνας.
7 ওবদিয় পথ দিয়ে যাচ্ছিলেন, এমন দিনের, দেখ, এলিয় তাঁর সামনে; ওবদিয় তাঁকে চিনতে পেরে মাটিতে উপুড় হয়ে পড়ে বললেন, “আমার প্রভু এলিয়?”
Και ενώ ήτο ο Οβαδία καθ' οδόν ιδού, ο Ηλίας συνήντησεν αυτόν· και εκείνος εγνώρισεν αυτόν και έπεσε κατά πρόσωπον αυτού και είπε, Συ είσαι, κύριέ μου Ηλία;
8 তিনি বললেন, “আমিই সেই; যাও, তোমার প্রভুকে গিয়ে জানাও যে, এলিয় এখানে আছেন।”
Ο δε είπε προς αυτόν, Εγώ· ύπαγε, ειπέ προς τον κύριόν σου, Ιδού, ο Ηλίας.
9 তিনি বললেন, “আমি কি পাপ করেছি যে, আপনি আপনার দাস আমাকে মেরে ফেলবার জন্য আহাবের হাতে তুলে দিচ্ছেন?
Και εκείνος είπε, Τι ημάρτησα, ώστε θέλεις να παραδώσης τον δούλον σου εις την χείρα του Αχαάβ, διά να με θανατώση;
10 ১০ আপনার ঈশ্বর জীবন্ত সদাপ্রভুর দিব্যি, এমন কোনো জাতি বা রাজ্য নেই যার কাছে আমার প্রভু আপনার খোঁজে লোক পাঠাননি। আর যখন তারা বলল, সেই লোকটি নেই; তখন তারা আপনাকে পায়নি বলে তিনি সেই সব রাজ্যের ও জাতির লোকদেরকেও শপথ করিয়েছেন।
Ζη Κύριος ο Θεός σου, δεν είναι έθνος ή βασίλειον, όπου δεν έστειλεν ο κύριός μου να σε ζητώσι και ότε έλεγον, Δεν είναι, αυτός ώρκιζε το βασίλειον και το έθνος, ότι δεν σε εύρηκαν.
11 ১১ এখন আপনি বলছেন, যাও, তোমার প্রভুকে বল, দেখুন, এলিয় এখানে আছেন।
Και τώρα συ λέγεις, Ύπαγε, ειπέ προς τον κύριόν σου, Ιδού, ο Ηλίας.
12 ১২ আর আমি আপনার কাছ থেকে চলে গেলেই সদাপ্রভুর আত্মা আমার অজানা কোনো জায়গায় আপনাকে নিয়ে যাবেন, তাতে আমি গিয়ে আহাবকে খবর দিলে যদি তিনি আপনাকে খুঁজে না পান, তবে আমাকে হত্যা করবেন; কিন্তু আপনার দাস আমি ছোটবেলা থেকে সদাপ্রভুকে ভয় করে আসছি।
Και καθώς εγώ αναχωρήσω από σου, το πνεύμα του Κυρίου θέλει σε φέρει όπου δεν εξεύρω· και όταν υπάγω και αναγγείλω τούτο προς τον Αχαάβ, και δεν σε εύρη, θέλει με θανατώσει. Αλλ' ο δούλός σου φοβούμαι τον Κύριον εκ νεότητός μου.
13 ১৩ ঈষেবল যখন সদাপ্রভুর ভাববাদীদের মেরে ফেলছিলেন, তখন আমি যা করেছিলাম, তা কি আমার প্রভু শোনেন নি? সদাপ্রভুর ভাববাদীদের একশো জনকে পঞ্চাশ পঞ্চাশ করে দুটো গুহায় লুকিয়ে রেখেছি এবং তাদের খাবার ও জলের জোগান দিয়েছি।
Δεν απηγγέλθη προς τον κύριόν μου τι έκαμα, ότε η Ιεζάβελ εθανάτονε τους προφήτας του Κυρίου, τίνι τρόπω έκρυψα εκατόν άνδρας εκ των προφητών του Κυρίου ανά πεντήκοντα εις σπήλαιον, και διέθρεψα αυτούς εν άρτω και ύδατι;
14 ১৪ আর এখন আপনি বলছেন, যাও, তোমার মালিক কে বল, দেখুন, এলিয় এখানে আছেন। তিনি তো আমাকে মেরে ফেলবেন।”
Και τώρα συ λέγεις, Ύπαγε, ειπέ προς τον κύριόν σου, Ιδού, ο Ηλίας· αλλ' αυτός θέλει με θανατώσει.
15 ১৫ এলিয় বললেন, “আমি যাঁর সামনে দাঁড়িয়ে আছি, সেই বাহিনীগণের জীবন্ত সদাপ্রভুর দিব্যি, আমি আজ অবশ্য তাঁকে দেখা দেব।”
Και είπεν Ηλίας, Ζη ο Κύριος των δυνάμεων, έμπροσθεν του οποίου παρίσταμαι, ότι σήμερον θέλω εμφανισθή εις αυτόν.
16 ১৬ তখন ওবদিয় আহাবের সঙ্গে দেখা করে কথাটা তাঁকে বললেন; তাতে আহাব এলিয়ের সঙ্গে দেখা করতে গেলেন।
Υπήγε λοιπόν ο Οβαδία εις συνάντησιν του Αχαάβ και απήγγειλε προς αυτόν. Και ο Αχαάβ υπήγεν εις συνάντησιν του Ηλία.
17 ১৭ এলিয়কে দেখে আহাব বললেন, “হে ইস্রায়েলের কাঁটা, এ কি তুমি?”
Και ως είδεν ο Αχαάβ τον Ηλίαν, είπε προς αυτόν ο Αχαάβ, Συ είσαι ο διαταράττων τον Ισραήλ;
18 ১৮ এলিয় বললেন, “আমি কাঁটা হইনি, কিন্তু আপনি ও আপনার বাবার বংশের লোকেরাই; কারণ আপনারা সদাপ্রভুর আদেশ ত্যাগ করে বালদেবতাদের পিছনে গিয়েছেন।
Ο δε είπε, Δεν διαταράττω εγώ τον Ισραήλ, αλλά συ και ο οίκος του πατρός σου· διότι σεις εγκατελίπετε τας εντολάς του Κυρίου και υπήγες κατόπιν των Βααλείμ·
19 ১৯ এখন লোক পাঠিয়ে ইস্রায়েলের সবাইকে কর্মিল পর্বতে আমার কাছে জড়ো করুন। ঈষেবলের টেবিলে বালদেবতার যে চারশো পঞ্চাশজন ভাববাদী এবং আশেরার চারশোজন ভাববাদী খাওয়া দাওয়া করে তাদের নিয়ে আসুন।”
τώρα λοιπόν απόστειλον, συνάθροισον προς εμέ πάντα τον Ισραήλ εις το όρος τον Κάρμηλον, και τους προφήτας του Βάαλ τους τετρακοσίους πεντήκοντα, και τους τετρακοσίους προφήτας των αλσών, οίτινες τρώγουσιν εις την τράπεζαν της Ιεζάβελ.
20 ২০ তাতে আহাব ইস্রায়েলের সব লোকদের কাছে খবর পাঠালেন এবং কর্মিল পর্বতে ঐ ভাববাদীদের জড়ো করলেন।
Και απέστειλεν ο Αχαάβ προς πάντας τους υιούς Ισραήλ και συνήθροισε τους προφήτας εις το όρος τον Κάρμηλον.
21 ২১ পরে এলিয় লোকদের সামনে গিয়ে বললেন, “আর কতদিন তোমরা দুই নৌকায় পা দিয়ে থাকবে? যদি সদাপ্রভুই ঈশ্বর হন তবে তাঁর অনুসরণ কর, আর যদি বালদেবতাই ঈশ্বর হন তবে তাঁর অনুসরণ কর।” কিন্তু লোকেরা কোনো উত্তর দিল না।
Και προσήλθεν ο Ηλίας προς πάντα τον λαόν και είπεν, Έως πότε χωλαίνετε μεταξύ δύο φρονημάτων; εάν ο Κύριος ήναι Θεός, ακολουθείτε αυτόν· αλλ' εάν ο Βάαλ, ακολουθείτε τούτον. Και ο λαός δεν απεκρίθη προς αυτόν λόγον.
22 ২২ তখন এলিয় তাদের বললেন, “সদাপ্রভুর ভাববাদীদের মধ্যে কেবল আমিই বাকি আছি, কিন্তু বালদেবতার ভাববাদী রয়েছে সাড়ে চারশো জন।
Τότε είπεν ο Ηλίας προς τον λαόν, Εγώ μόνος έμεινα προφήτης του Κυρίου· οι δε προφήται του Βάαλ είναι τετρακόσιοι πεντήκοντα άνδρες·
23 ২৩ আমাদের জন্য দুটো ষাঁড় দেওয়া হোক। ওরা নিজেদের জন্য একটা ষাঁড় বেছে নিয়ে কেটে টুকরো টুকরো করে কাঠের উপর রাখুক, কিন্তু তাতে আগুন না দিক। আমি অন্য ষাঁড়টা নিয়ে কেটে প্রস্তুত করে কাঠের উপরে রাখব, কিন্তু তাতে আগুন দেব না।
ας δώσωσι λοιπόν εις ημάς δύο μόσχους· και ας εκλέξωσι τον ένα μόσχον δι' εαυτούς, και ας διαμελίσωσιν αυτόν και ας επιθέσωσιν αυτόν επί των ξύλων και πυρ ας μη βάλωσι και εγώ θέλω ετοιμάσει τον άλλον μόσχον και επιθέσει επί των ξύλων και πυρ δεν θέλω βάλει,
24 ২৪ তারপর ওরা ওদের দেবতাকে ডাকবে আর আমি ডাকব সদাপ্রভুকে। যিনি আগুন পাঠিয়ে এর উত্তর দেবেন তিনিই ঈশ্বর।” এই কথা শুনে সবাই বলল, “এ ভালো কথা।”
και επικαλέσθητε το όνομα των θεών σας, και εγώ θέλω επικαλεσθή το όνομα του Κυρίου· και ο Θεός, όστις εισακούση διά πυρός, ούτος ας ήναι ο Θεός. Και αποκριθείς πας ο λαός, είπε, Καλός ο λόγος.
25 ২৫ এলিয় বাল দেবতার ভাববাদীদের বললেন, “তোমরা তো অনেকে আছ, আগে তোমরাই নিজেদের জন্য একটা ষাঁড় বেছে নিয়ে তৈরী কর এবং তোমরা নিজেদের দেবতাকে ডাক, কিন্তু আগুন দেবে না।”
Και είπεν ο Ηλίας προς τους προφήτας του Βάαλ, Εκλέξατε εις εαυτούς τον ένα μόσχον και ετοιμάσατε αυτόν πρώτοι διότι είσθε πολλοί· και επικαλέσθητε το όνομα των θεών σας, πυρ όμως μη βάλητε.
26 ২৬ যে ষাঁড়টা তাদের দেওয়া হল তা নিয়ে তারা তৈরী করে নিল। তারপর তারা সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বাল দেবতাকে এই বলে ডাকতে লাগল, “হে বালদেব, আমাদের উত্তর দাও।” কিন্তু কোনো সাড়া মিলল না, কেউ উত্তর দিল না। যে বেদী তারা তৈরী করেছিল তার চারপাশে তারা নাচতে লাগল।
Και έλαβον τον μόσχον τον δοθέντα εις αυτούς και ητοίμασαν αυτόν, και επεκαλούντο το όνομα του Βάαλ από πρωΐας μέχρι μεσημβρίας, λέγοντες, Επάκουσον ημών, Βάαλ· και ουκ ην φωνή και ουκ ην ακρόασις· και επήδων περί το θυσιαστήριον, το οποίον ωκοδόμησαν.
27 ২৭ দুপুর বেলা এলিয় তাদের ঠাট্টা করে বললেন, “জোরে চিৎকার কর, সে তো দেবতা। হয়তো সে গভীর চিন্তা করছে, বা কোথাও গিয়েছে, বা পথে চলেছে। কিংবা হয়তো সে ঘুমাচ্ছে, তাকে জাগাতে হবে।”
Και περί την μεσημβρίαν ο Ηλίας μυκτηρίζων αυτούς έλεγεν, Επικαλείσθε μετά φωνής μεγάλης· διότι θεός είναι ή συνομιλεί ή ασχολείται ή είναι εις οδοιπορίαν ή ίσως κοιμάται και θέλει εξυπνήσει.
28 ২৮ তখন তারা আরও জোরে চিৎকার করতে লাগল এবং তাদের ব্যবহার অনুসারে দেহে রক্তের ধারা বয়ে না যাওয়া পর্যন্ত ছোরা ও কাঁটা দিয়ে নিজেদের আঘাত করতে থাকল।
Και επεκαλούντο μετά φωνής μεγάλης και κατετέμνοντο κατά την συνήθειαν αυτών με μαχαίρας και με λόγχας, εωσού αίμα εξεχύθη επ' αυτούς.
29 ২৯ দুপুর গড়িয়ে গেল আর তারা বিকাল বেলার বলিদানের দিন পর্যন্ত ভাববাণী প্রচার করল, কিন্তু কোনো সাড়া পাওয়া গেল না, কেউ উত্তর দিল না, কেউ মনোযোগও দিল না।
Και αφού παρήλθεν η μεσημβρία, και αυτοί προεφήτευον μέχρι της ώρας της προσφοράς, και ουκ ην φωνή και ουκ ην ακρόασις και ουκ ην προσοχή,
30 ৩০ তখন এলিয় সমস্ত লোকদের বললেন, “আমার কাছে এস।” তারা তাঁর কাছে গেল। এলিয় সদাপ্রভুর ভেঙে পড়া বেদী মেরামত করে নিলেন।
τότε είπεν ο Ηλίας προς πάντα τον λαόν, Πλησιάσατε προς εμέ. Και πας ο λαός επλησίασε προς αυτόν. Και επιδιώρθωσε το θυσιαστήριον του Κυρίου, το κεκρημνισμένον.
31 ৩১ এলিয় যাকোবের ছেলেদের প্রত্যেক গোষ্ঠীর জন্য একটা করে বারোটা পাথর নিলেন। এই যাকোবের কাছেই সদাপ্রভুর বাক্য এসেছিল, বলেছিলেন, “তোমার নাম হবে ইস্রায়েল।”
Και έλαβεν ο Ηλίας δώδεκα λίθους, κατά τον αριθμόν των φυλών των υιών Ιακώβ, προς τον οποίον ήλθεν ο λόγος του Κυρίου, λέγων, Ισραήλ θέλει είσθαι το όνομά σου·
32 ৩২ সেই পাথরগুলো দিয়ে এলিয় সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে একটা বেদী তৈরী করলেন এবং তার চারপাশে এমন নালা খুঁড়লেন যার মধ্যে দুই কাঠা বীজ ধরতে পারে।
και ωκοδόμησε τους λίθους θυσιαστήριον εις το όνομα του Κυρίου· και έκαμεν αύλακα περί το θυσιαστήριον, χωρούσαν δύο μέτρα σπόρου.
33 ৩৩ পরে তিনি কাঠ সাজিয়ে ষাঁড়টা টুকরা টুকরা করে কাঠের উপর রাখলেন আর বললেন, “চারটা কলসী জলে ভরে এই হোমবলির ও কাঠের উপরে ঢেলে দাও।”
Και εστοίβασε τα ξύλα και διεμέλισε τον μόσχον και επέθεσεν αυτόν επί των ξύλων.
34 ৩৪ তারপর তিনি বললেন, “দ্বিতীয়বার ওটা কর।” এবং তারা দ্বিতীয়বার তাই করল। তিনি আদেশ দিলেন, “তৃতীয় বার কর।” তারা তৃতীয় বার তাই করল।
Και είπε, Γεμίσατε ύδατος τέσσαρας υδρίας και χύσατε επί το ολοκαύτωμα και επί τα ξύλα. Και είπε, Δευτερώσατε· και εδευτέρωσαν. Και είπε, Τριττώσατε· και ετρίττωσαν.
35 ৩৫ তখন বেদির চারদিকে জল গেল এবং নালা জলে ভরতি হয়ে গেল।
Και περιέτρεχε το ύδωρ πέριξ του θυσιαστηρίου· και η αύλαξ έτι εγέμισεν ύδατος.
36 ৩৬ পরে বিকালের বলিদানের দিন হলে পর ভাববাদী এলিয় কাছে এগিয়ে আসলেন এবং বললেন, “হে সদাপ্রভু, অব্রাহাম, ইস্‌হাক ও ইস্রায়েলের ঈশ্বর, আজকে তুমি জানিয়ে দাও যে, ইস্রায়েলের মধ্যে তুমিই ঈশ্বর এবং আমি তোমার দাস, আর তোমার আদেশেই আমি এই সব করেছি।
Και την ώραν της προσφοράς επλησίασεν Ηλίας ο προφήτης και είπε, Κύριε, Θεέ του Αβραάμ, του Ισαάκ και του Ισραήλ, ας γείνη γνωστόν σήμερον, ότι συ είσαι Θεός εν τω Ισραήλ και εγώ δούλός σου, και κατά τον λόγον σου έκαμα πάντα ταύτα τα πράγματα·
37 ৩৭ শোনো সদাপ্রভু শোনো, যাতে এই সব লোকেরা জানতে পারে যে, হে সদাপ্রভু, তুমিই ঈশ্বর আর তুমিই তাদের মন ফিরিয়ে এনেছ।”
επάκουσόν μου, Κύριε, επάκουσόν μου, διά να γνωρίση ο λαός ούτος ότι συ Κύριος είσαι ο Θεός, και συ επέστρεψας την καρδίαν αυτών οπίσω.
38 ৩৮ তখন উপর থেকে সদাপ্রভুর আগুন পড়ে হোমবলি, কাঠ, পাথর ও ধূলো গ্রাস করল এবং নালার জলও শুষে নিল।
Τότε έπεσε πυρ παρά Κυρίου και κατέφαγε το ολοκαύτωμα και τα ξύλα και τους λίθους και το χώμα, και έγλειψε το ύδωρ το εν τη αύλακι.
39 ৩৯ তা দেখে লোকেরা সবাই মাটিতে উপুড় হয়ে পড়ে বলল, “সদাপ্রভুই ঈশ্বর, সদাপ্রভুই ঈশ্বর।”
Και ότε είδε πας ο λαός, έπεσον κατά πρόσωπον αυτών και είπον, Ο Κύριος, αυτός είναι ο Θεός· ο Κύριος, αυτός είναι ο Θεός.
40 ৪০ তখন এলিয় তাদেরকে বললেন, “বাল দেবতার ভাববাদীদের ধর। তাদের একজনকেও পালিয়ে যেতে দিয়ো না।” তখন লোকেরা তাদের ধরে ফেলল। এলিয় তাদেরকে ছোট কীশোন নদীতে নিয়ে গেলেন এবং সেখানে তাদের মেরে ফেললেন।
Και είπε προς αυτούς ο Ηλίας, Πιάσατε τους προφήτας του Βάαλ· μηδείς εξ αυτών ας μη διασωθή. Και επίασαν αυτούς· και κατεβίβασεν αυτούς ο Ηλίας εις τον χείμαρρον Κεισών και έσφαξεν αυτούς εκεί.
41 ৪১ তারপর এলিয় আহাবকে বললেন, “আপনি উঠে গিয়ে খাওয়া দাওয়া করুন, কারণ ভীষণ বৃষ্টির শব্দ শোনা যাচ্ছে।”
Και είπεν ο Ηλίας προς τον Αχαάβ, Ανάβα, φάγε και πίε. διότι είναι φωνή πλήθους βροχής.
42 ৪২ এতে আহাব খাওয়া দাওয়া করতে গেলেন। আর এলিয় গিয়ে কর্মিলের চূড়ায় উঠলেন। তিনি মাটিতে নিচু হয়ে দুই হাঁটুর মধ্যে মুখ রাখলেন।
Και ανέβη ο Αχαάβ διά να φάγη και να πίη. Ο δε Ηλίας ανέβη εις την κορυφήν του Καρμήλου και έκυψεν εις την γην και έβαλε το πρόσωπον αυτού αναμέσον των γονάτων αυτού,
43 ৪৩ পরে তিনি তাঁর চাকরকে বললেন, “তুমি গিয়ে সাগরের দিকে চেয়ে দেখ।” সে গিয়ে দেখে বলল, “ওখানে কিছু নেই।” এলিয় বললেন, “সাতবার যাও।”
και είπε προς τον υπηρέτην αυτού, Ανάβα τώρα, βλέψον προς την θάλασσαν. Και ανέβη και έβλεψε και είπε, Δεν είναι ουδέν. Ο δε είπεν, Ύπαγε πάλιν, έως επτάκις.
44 ৪৪ সপ্তম বারে চাকরটি এসে বলল, “মানুষের হাতের মত ছোট একটা মেঘ সমুদ্র থেকে উঠছে।” তখন এলিয় তাকে বললেন, “উঠে গিয়ে আহাবকে বল যেন তিনি তাঁর রথ ঠিক করে নিয়ে নেমে যান, যেন প্রচন্ড বৃষ্টি আপনাকে যেতে বাধা না দেয়।”
Και την εβδόμην φοράν είπεν, Ιδού, νέφος μικρόν, ως παλάμη ανθρώπου, αναβαίνει εκ της θαλάσσης. Και είπεν, Ανάβα, ειπέ προς τον Αχαάβ, Ζεύξον την άμαξάν σου, και κατάβα, διά να μη σε εμποδίση η βροχή.
45 ৪৫ অমনি আকাশ মেঘে ও বাতাসে অন্ধকার হয়ে উঠল এবং ভীষণ বৃষ্টি এসে গেল। আহাব রথে করে যিষ্রিয়েলে গেলেন।
Και εν τω μεταξύ ο ουρανός συνεσκότασεν εκ νεφών και ανέμου, και έγεινε βροχή μεγάλη. Και ανέβη ο Αχαάβ εις την άμαξαν αυτού και υπήγεν εις Ιεζραέλ.
46 ৪৬ আর সদাপ্রভুর হাত এলিয়ের উপর ছিল। তিনি তাঁর কাপড়খানা কোমর বাঁধনিতে গুঁজে নিয়ে আহাবের আগে আগে দৌড়ে যিষ্রিয়েলের প্রবেশ স্থানে গেলেন।
Και χειρ Κυρίου εστάθη επί τον Ηλίαν· και συνέσφιγξε την οσφύν αυτού και έτρεχεν έμπροσθεν του Αχαάβ έως της εισόδου της Ιεζραέλ.

< প্রথম রাজাবলি 18 >