< প্রথম রাজাবলি 16 >
1 ১ তখন বাশার বিরুদ্ধে হনানির ছেলে যেহূর কাছে সদাপ্রভুর এই বাক্য প্রকাশিত হল,
পরে বাশার বিষয়ে সদাপ্রভুর এই বাক্য হনানির ছেলে যেহূর কাছে এসেছিল:
2 ২ “আমি তোমাকে ধূলো থেকে তুলে এনেছি এবং আমার লোক ইস্রায়েলীয়দের নেতা করেছি, তুমি যারবিয়ামের পথে চলেছ ও আমার লোক ইস্রায়েলীয়দের দিয়ে পাপ করিয়েছ, ফলে তাদের সেই পাপের মাধ্যমে আমাকে অসন্তুষ্ট করে তুলেছ।
“আমি তোমায় ধুলো থেকে তুলে এনে আমার প্রজা ইস্রায়েলের উপর রাজপদে নিযুক্ত করলাম, কিন্তু তুমিও যারবিয়ামের পথে চলেছ ও আমার প্রজা ইস্রায়েলকে দিয়ে পাপ করিয়ে, তাদের সেই পাপের মাধ্যমে আমার ক্রোধ জাগিয়ে তুলেছ।
3 ৩ দেখো, আমি বাশাকে ও তার পরিবারকে সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করব। আমি তোমার বংশকে নবাটের ছেলে যারবিয়ামের বংশের মত করব।
তাই আমি বাশা ও তার কুলকে অবলুপ্ত করতে চলেছি, ও আমি তোমার কুলকেও নবাটের ছেলে যারবিয়ামের কুলের মতো করে দেব।
4 ৪ বাশার যে কেউ শহরে মরবে তাদের কুকুরে খাবে এবং যে কেউ মাঠের মধ্যে মরবে তাদের পাখীতে খাবে।”
বাশার কুলভুক্ত যে কেউ নগরে মরবে, তাকে কুকুরেরা খাবে এবং যে কেউ গ্রামাঞ্চলে মরবে, তাকে পাখিরা ঠুকরে ঠুকরে খাবে।”
5 ৫ বাশার অন্যান্য কাজ, যুদ্ধে তাঁর জয়ের কথা এবং তিনি যা কিছু করেছিলেন তা ইস্রায়েলের রাজাদের ইতিহাস নামে বইটিতে কি লেখা নেই?
বাশার রাজত্বকালের অন্যান্য সব ঘটনা, তিনি যা যা করলেন ও তাঁর সব কীর্তির বিবরণ কি ইস্রায়েলের রাজাদের ইতিহাস-গ্রন্থে লেখা নেই?
6 ৬ পরে বাশা তাঁর পূর্বপুরুষদের সঙ্গে নিদ্রায় গেলেন ও তির্সায় তাঁকে কবর দেওয়া হল এবং তাঁর ছেলে এলা তাঁর জায়গায় রাজা হলেন।
বাশা তাঁর পূর্বপুরুষদের সঙ্গে চিরবিশ্রামে শায়িত হলেন ও তাঁকে তির্সায় কবর দেওয়া হল। তাঁর ছেলে এলা রাজারূপে তাঁর স্থলাভিষিক্ত হলেন।
7 ৭ হনানির ছেলে যেহূ ভাববাদী মধ্যে দিয়ে বাশা ও তাঁর বংশের বিরুদ্ধে সদাপ্রভুর বাক্য প্রকাশিত হয়েছিল, কারণ যারবিয়ামের বংশের মত তিনি সদাপ্রভুর চোখে যা মন্দ তা করে সদাপ্রভুকে অসন্তুষ্ট করেছিলেন এবং যারবিয়ামের বংশকে হত্যা করেছিলেন।
এছাড়াও, হনানির ছেলে ভাববাদী যেহূর মাধ্যমেও সদাপ্রভুর বাক্য বাশা ও তাঁর কুলের কাছে এসেছিল, যেহেতু সদাপ্রভুর দৃষ্টিতে তিনি প্রচুর মন্দ কাজ করলেন, ও সেইসব কাজ করার দ্বারা তাঁর ক্রোধ জাগিয়ে তুলেছিলেন, অর্থাৎ যারবিয়ামের কুলের মতোই হয়ে গেলেন—তথা তিনি সেই কুল ধ্বংসও করে দিলেন।
8 ৮ যিহূদার রাজা আসার রাজত্বের ছাব্বিশ বছরে, বাশার ছেলে এলা ইস্রায়েলের উপর রাজত্ব করতে শুরু করেন; তিনি তির্সায় দুই বছর রাজত্ব করেছিলেন।
যিহূদার রাজা আসার রাজত্বের ষষ্ঠবিংশতিতম বছরে বাশার ছেলে এলা ইস্রায়েলে রাজা হলেন, এবং তির্সায় তিনি দুই বছর রাজত্ব করলেন।
9 ৯ পরে তাঁর অর্ধেক সংখ্যক রথের তত্ত্বাবধায়ক সিম্রি নামক তাঁর দাস তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করলেন। এলা তির্সাতে রাজবাড়ির পরিচালক অর্সার বাড়িতে পান করে মাতাল হলেন,
তাঁর কর্মকর্তাদের মধ্যে একজন ছিলেন সিম্রি। এলার অধিকারে থাকা রথের অর্ধেক সংখ্যক রথের উপর তিনি সেনাপতি পদে নিযুক্ত ছিলেন। তিনিই এলার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করলেন। এলা সেই সময় তির্সায় রাজপ্রাসাদের প্রশাসক অর্সার ঘরে মাতাল হয়ে পড়েছিলেন।
10 ১০ আর সিম্রি ভিতরে গিয়ে যিহূদার রাজা আসার সাতাশ বছরে তাঁকে আক্রমণ করে মেরে ফেললেন ও তিনি জায়গায় রাজা হলেন।
যিহূদার রাজা আসার রাজত্বের সপ্তবিংশতিতম বছরে সিম্রি এসে এলাকে আঘাত করে মাটিতে ফেলে দিয়ে তাঁকে হত্যা করলেন। পরে তিনি রাজারূপে তাঁর স্থলাভিষিক্ত হলেন।
11 ১১ যখন সিম্রি রাজত্ব করতে শুরু করেন, সিংহাসনে বসার সঙ্গে সঙ্গেই বাশার বংশের সবাইকে মেরে ফেললেন। তাঁর আত্মীয় বন্ধু কোনো পুরুষকেই তিনি বাঁচিয়ে রাখলেন না।
রাজত্বের শুরুতে সিংহাসনে বসেই তিনি বাশার কুলের সবাইকে হত্যা করলেন। আত্মীয়স্বজন বা বন্ধুবান্ধব, তা সে যেই হোক না কেন, তিনি কোনো পুরুষমানুষকেই নিষ্কৃতি দেননি।
12 ১২ ভাববাদী যেহূর মধ্য দিয়ে সদাপ্রভু বাশার বিরুদ্ধে যে কথা বলেছিলেন সেই অনুসারে সিম্রি বাশার বংশের সবাইকে ধ্বংস করে দিলেন।
অতএব ভাববাদী যেহূর মাধ্যমে সদাপ্রভু যে কথা বললেন, সেই কথানুসারে, সিম্রি বাশার সম্পূর্ণ কুল ধ্বংস করে দিলেন—
13 ১৩ এর কারণ বাশার সব পাপ ও তাঁর ছেলে এলার পাপ আচরণ; তাঁরা নিজেরা পাপ করেছিলেন এবং ইস্রায়েলকেও পাপ করিয়েছিল, ইস্রায়েলের ঈশ্বর সদাপ্রভুকে তাঁদের মূর্তির মাধ্যমে ক্রুদ্ধ করেছিল।
বাশা ও তাঁর ছেলে এলা যেসব পাপ করলেন ও ইস্রায়েলকে দিয়েও যা করিয়েছিলেন, সেগুলির কারণেই এমনটি হল, এবং তারা তাদের নির্গুণ প্রতিমার মূর্তিগুলি দিয়ে ইস্রায়েলের ঈশ্বর সদাপ্রভুর ক্রোধ জাগিয়ে তুলেছিলেন।
14 ১৪ এলার অন্যান্য কাজ, অর্থাৎ তিনি যা কিছু করেছিলেন তা ইস্রায়েলের রাজাদের ইতিহাস নামে বইটিতে কি লেখা নেই?
এলার রাজত্বকালের অন্যান্য সব ঘটনা, ও তিনি যা যা করলেন, তার বিবরণ কি ইস্রায়েলের রাজাদের ইতিহাস-গ্রন্থে লেখা নেই?
15 ১৫ যিহূদার রাজা আসার রাজত্বের সাতাশ বছরে সিম্রি তির্সায় সাত দিন রাজত্ব করেছিলেন। সেই দিন সৈন্যদল পলেষ্টীয়দের অধিকার করা গিব্বথোনে শিবির স্থাপন করেছিল।
যিহূদার রাজা আসার সপ্তবিংশতিতম বছরে সিম্রি সাত দিন তির্সায় রাজত্ব করলেন। সৈন্যদল ফিলিস্তিনী এক নগর গিব্বথোনের কাছে শিবির করে ছিল।
16 ১৬ পরে সেই শিবিরে অবস্থিত লোকেরা শুনল যে, সিম্রি ষড়যন্ত্র করেছে ও রাজাকে মেরে ফেলেছে; তখন সমস্ত ইস্রায়েল সেই দিন শিবিরের মধ্যে অম্রি নামক সেনাপতিকে ইস্রায়েলের উপরে রাজা করল।
সৈন্যশিবিরের ইস্রায়েলীরা যখন শুনতে পেয়েছিল যে সিম্রি রাজার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে তাঁকে খুন করেছেন, তখন তারা সেদিনই সৈন্যশিবিরের মধ্যে সৈন্যদলের সেনাপতি অম্রিকে ইস্রায়েলের রাজা বলে ঘোষণা করে দিয়েছিল।
17 ১৭ তখন অম্রি ও তাঁর সঙ্গে সমস্ত ইস্রায়েলীয়েরা গিব্বথোন থেকে সরে এসে তির্সা ঘেরাও করল।
পরে অম্রি ও তাঁর সাথে থাকা ইস্রায়েলীরা সবাই গিব্বথোন থেকে পিছিয়ে এসে তির্সার বিরুদ্ধে অবরোধ গড়ে তুলেছিলেন।
18 ১৮ ফলে শহর অধিকার করা হয়ে গেছে দেখে সিম্রি রাজবাড়িতে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিলেন ও তিনি পুড়ে মারা গেলেন।
সিম্রি যখন দেখেছিলেন যে নগরটি বেদখল হয়ে যাচ্ছে, তখন তিনি রাজপ্রাসাদের দুর্গের ভিতর চলে গিয়ে প্রাসাদে নিজের চারপাশে আগুন ধরিয়ে দিলেন। এইভাবে
19 ১৯ এর কারণ তাঁর পাপ আচরণ; সদাপ্রভুর চোখে যা মন্দ, তিনি তাই করতেন। তিনি যারবিয়ামের মত চলতেন, তিনি নিজে পাপ করে ইস্রায়লীয়দেরও পাপ করিয়েছিলেন।
তাঁর করা পাপের কারণে, সদাপ্রভুর দৃষ্টিতে মন্দ কাজ করার এবং যারবিয়ামের পথানুগামী হওয়ার ও যারবিয়াম ইস্রায়েলকে দিয়ে যে পাপ করিয়েছিলেন, সেই একই পাপ করার কারণে তাঁকে মরতে হল।
20 ২০ সিম্রির অন্যান্য কাজ এবং তাঁর বিদ্রোহের কথা ইস্রায়েলের রাজাদের ইতিহাস নামে বইটিতে কি লেখা নেই?
সিম্রির রাজত্বকালের অন্যান্য সব ঘটনা, ও যে বিদ্রোহ তিনি সম্পাদন করলেন, তার বিবরণ কি ইস্রায়েলের রাজাদের ইতিহাস-গ্রন্থে লেখা নেই?
21 ২১ এর পর ইস্রায়েলীয়েরা দুই দলে ভাগ হয়ে গেল। তাদের অর্ধেক লোক চাইল গীনতের ছেলে তিব্নিকে রাজা করতে আর বাকি অর্ধেক চাইল অম্রিকে রাজা করতে।
তখন ইস্রায়েলী জনতা দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে গেল; অর্ধেক লোক গীনতের ছেলে তিবনিকে রাজা করতে চাইছিল, ও অর্ধেক লোক অম্রিকে রাজা করতে চাইছিল।
22 ২২ কিন্তু অম্রির পক্ষের লোকেরা গীনতের ছেলে তিব্নির পক্ষের লোকদের হারিয়ে দিল। এতে তিব্নি মারা গেল আর অম্রি রাজা হলেন।
কিন্তু অম্রির অনুগামীরা গীনতের ছেলে তিবনির অনুগামীদের তুলনায় বেশি শক্তিশালী প্রতিপন্ন হল। তাই তিবনি মারা গেলেন ও অম্রি রাজা হয়ে গেলেন।
23 ২৩ যিহূদার রাজা আসার রাজত্বের একত্রিশ বছরে অম্রি ইস্রায়েলে রাজত্ব করতে শুরু করেন এবং তিনি বারো বছর রাজত্ব করেছিলেন, তিনি ছয় বছর তির্সায় রাজত্ব করেছিলেন।
যিহূদার রাজা আসার একত্রিশতম বছরে অম্রি ইস্রায়েলের রাজা হলেন, এবং তিনি বারো বছর রাজত্ব করলেন, যার মধ্যে ছয় বছর তিনি তির্সায় রাজত্ব করলেন।
24 ২৪ তিনি দুই তালন্ত রূপা দিয়ে শেমরের কাছে শমরিয়া পাহাড় কিনলেন, সেই পাহাড়ের উপরে একটি শহর গাঁথলেন, ঐ পাহাড়ের অধিকারী শেমরের নাম অনুসারে সেই শহরের নাম শমরিয়া রাখলেন।
তিনি দুই তালন্ত রুপোর বিনিময়ে শমরিয়া পাহাড়টি শেমরের কাছ থেকে কিনে নিয়েছিলেন ও সেটির উপরে একটি নগর নির্মাণ করেছিলেন এবং সেই পাহাড়টির পূর্বতন মালিক শেমরের নামানুসারে সেটির নাম রেখেছিলেন শমরিয়া।
25 ২৫ সদাপ্রভুর চোখে যা মন্দ, অম্রি তাই করতেন এবং তাঁর আগে যাঁরা ছিলেন তাঁদের সবার চেয়ে তিনি বেশী খারাপ কাজ করলেন।
কিন্তু অম্রি সদাপ্রভুর দৃষ্টিতে যা মন্দ, তাই করলেন এবং তাঁর আগে যারা রাজা হলেন, তাদের সবার তুলনায় আরও বেশি পাপ করলেন।
26 ২৬ বাস্তবে তিনি নবাটের ছেলে যারবিয়ামের মত চলতেন এবং তিনি যে পাপের মাধ্যমে ইস্রায়েলকে পাপ করিয়ে ইস্রায়েলের ঈশ্বর সদাপ্রভুকে তাদের মূর্তির মাধ্যমে অসন্তুষ্ট করেছিলেন, তিনিও সেই সব পাপের পথে চলতেন।
তিনি পুরোপুরি নবাটের ছেলে যারবিয়ামের পথানুগামী হলেন, অর্থাৎ যারবিয়াম ইস্রায়েলকে দিয়ে যে পাপ করিয়েছিলেন, সেই একই পাপ করে তিনিও ইস্রায়েলের ঈশ্বর সদাপ্রভুর ক্রোধ জাগিয়ে তুলেছিলেন, যেমনটি তারা তাদের অকেজো প্রতিমার মূর্তিগুলির দ্বারা করল।
27 ২৭ অম্রির বাকি কাজের কথা এবং যুদ্ধে তাঁর জয়ের কথা ইস্রায়েলের রাজাদের ইতিহাস নামে বইটিতে কি লেখা নেই?
অম্রির রাজত্বকালের অন্যান্য সব ঘটনা, তিনি যা যা করলেন এবং যা যা অর্জন করলেন, তার বিবরণ কি ইস্রায়েলের রাজাদের ইতিহাস-গ্রন্থে লেখা নেই?
28 ২৮ পরে অম্রি তাঁর পূর্বপুরুষদের সঙ্গে নিদ্রায় গেলেন এবং তাঁকে শমরিয়ায় কবর দেওয়া হল। তাঁর জায়গায় তাঁর ছেলে আহাব রাজা হলেন।
অম্রি তাঁর পূর্বপুরুষদের সঙ্গে চিরবিশ্রামে শায়িত হলেন ও তাঁকে শমরিয়ায় কবর দেওয়া হল। তাঁর ছেলে আহাব রাজারূপে তাঁর স্থলাভিষিক্ত হলেন।
29 ২৯ যিহূদার রাজা আসার রাজত্বের আটত্রিশ বছরের দিন অম্রির ছেলে আহাব ইস্রায়েলের উপরে রাজত্ব শুরু করেন। তিনি বাইশ বছর শমরিয়ায় থেকে ইস্রায়েলের উপর রাজত্ব করেছিলেন।
যিহূদার রাজা আসার আটত্রিশতম বছরে অম্রির ছেলে আহাব ইস্রায়েলের রাজা হলেন, এবং তিনি শমরিয়ায় ইস্রায়েলের উপর বাইশ বছর রাজত্ব করলেন।
30 ৩০ তাঁর আগে যাঁরা ছিলেন, তাঁদের সবার থেকে অম্রির ছেলে আহাব সদাপ্রভুর চোখে যা মন্দ, তাই বেশি করতেন।
অম্রির ছেলে আহাব, তাঁর আগে যতজন রাজা হলেন, তাদের তুলনায় সদাপ্রভুর দৃষ্টিতে আরও বেশি মন্দ কাজ করলেন।
31 ৩১ নবাটের ছেলে যারবিয়াম যে সব পাপ করেছিলেন সেগুলোকে তিনি সামান্য ব্যাপার বলে মনে করতেন। তাই তিনি সীদোনীয়দের রাজা ঈষেবলের মেয়ে ঈষেবলকে বিয়ে করলেন এবং বালদেবতার সেবা ও আরাধনা করতে লাগলেন।
নবাটের ছেলে যারবিয়াম যে পাপ করলেন, তা করাকেই যে শুধু তিনি নগণ্য বলে মনে করলেন, তা নয়, কিন্তু তিনি আবার সীদোনীয়দের রাজা ইৎবায়ালের মেয়ে ঈষেবলকেও বিয়ে করলেন, এবং বায়ালদেবের সেবা ও পূজার্চনা করতে শুরু করলেন।
32 ৩২ তিনি শমরিয়াতে বালদেবতার জন্য যে মন্দির তৈরী করেছিলেন সেখানে তার জন্য একটা বেদী তৈরী করলেন।
শমরিয়ায় তিনি বায়ালদেবের একটি মন্দির তৈরি করে সেখানে বায়ালের একটি যজ্ঞবেদিও খাড়া করে দিলেন।
33 ৩৩ আর আহাব আশেরা মূর্ত্তি তৈরী করলেন। তাঁর আগে ইস্রায়েলে যত রাজা ছিলেন, সেই সবার থেকে আহাব ইস্রায়েলের ঈশ্বর সদাপ্রভুর অসন্তোষজনক আরও কাজ করলেন।
এছাড়াও আহাব একটি আশেরা-খুঁটি তৈরি করলেন এবং ইস্রায়েলের ঈশ্বর সদাপ্রভুর ক্রোধ জাগিয়ে তোলার জন্য তাঁর আগে ইস্রায়েলে যতজন রাজা হলেন, তাদের তুলনায় আরও বেশি মন্দ কাজ করলেন।
34 ৩৪ তাঁর দিনের বৈথেলীয় হীয়েল যিরীহো শহর তৈরী করল; তাতে নূনের ছেলে যিহোশূয়ের মধ্য দিয়ে সদাপ্রভুর বাক্য অনুসারে সেই শহরের ভিত্তি গাঁথার জন্য নিজের বড় ছেলে অবীরামকে প্রাণ দিতে হল এবং তার ফটকের দরজা লাগাবার জন্য তার ছোট ছেলে সগূবকে প্রাণ দিতে হল।
আহাবের রাজত্বকালে, বেথেলের হীয়েল যিরীহো নগরটির পুনর্নির্মাণ করল। সদাপ্রভু, নূনের ছেলে যিহোশূয়ের মাধ্যমে যা বললেন, সেই কথানুসারে নগরটির ভিত্তি গাঁথার জন্য হীয়েলকে তার প্রথমজাত ছেলে অবীরামকে হারাতে হল, এবং ছোটো ছেলে সগূবকে বিসর্জন দিয়ে তিনি ফটকগুলি খাড়া করলেন।