< ১ম করিন্থীয় 15 >
1 ১ হে ভাইয়েরা এবং বোনেরা, তোমাদেরকে সেই সুসমাচার জানাচ্ছি, যে সুসমাচার তোমাদের কাছে প্রচার করেছি, যা তোমরা গ্রহণও করেছ, যাতে তোমরা দাঁড়িয়ে আছ;
And I make known to you, brothers, the good news that I proclaimed to you, which you also received, in which you also have stood,
2 ২ আর তারই মাধ্যমে, আমি তোমাদের কাছে যে কথাতে সুসমাচার প্রচার করেছি, তা যদি ধরে রাখ, তবে পরিত্রান পাচ্ছ; না হলে তোমরা বৃথা বিশ্বাসী হয়েছ।
through which you are also being saved, if you hold fast [to] the word—what I proclaimed as good news to you—unless you believed in vain.
3 ৩ ফলে প্রথম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আমি তোমাদের কাছে এই শিক্ষা দিয়েছি এবং এটা নিজেও পেয়েছি যে, শাস্ত্রানুসারে খ্রীষ্ট আমাদের পাপের জন্য মারা গেলেন।
For I delivered to you as most important what I also received: that Christ died for our sins according to the Writings,
4 ৪ ও কবরপ্রাপ্ত হলেন, আর শাস্ত্রানুসারে তিনি তৃতীয় দিনের উত্থাপিত হয়েছেন;
and that He was buried, and that He has risen on the third day according to the Writings,
5 ৫ আর তিনি কৈফাকে, পরে সেই বারো জনকে দেখা দিলেন;
and that He appeared to Cephas, then to the Twelve,
6 ৬ তারপরে একবারে পাঁচশোর বেশি ভাই এবং বোনকে দেখা দিলেন, তাদের অধিকাংশ লোক বেঁচে আছে, কিন্তু কেউ কেউ নিদ্রাগত হয়েছে।
afterward He appeared to above five hundred brothers at once, of whom the greater part remain until now, and some also fell asleep;
7 ৭ তারপরে তিনি যাকোবকে, পরে সকল প্রেরিতদের দেখা দিলেন।
afterward He appeared to James, then to all the apostles.
8 ৮ সবার শেষে অদিনের শিশুর মত জন্মেছি যে আমি, তিনি আমাকেও দেখা দিলেন।
And last of all—as to the untimely birth—He also appeared to me,
9 ৯ কারণ প্রেরিতদের মধ্যে আমি সবচেয়ে ছোটো, বরং প্রেরিত নামে আখ্যাত হবার অযোগ্য, কারণ আমি ঈশ্বরের মণ্ডলী তাড়না করতাম।
for I am the least of the apostles, who am not worthy to be called an apostle, because I persecuted the Assembly of God,
10 ১০ কিন্তু আমি যা আছি, ঈশ্বরের অনুগ্রহেই আছি; এবং আমার প্রতি প্রদত্ত তাঁর অনুগ্রহ নিরর্থক হয়নি, বরং তাঁদের সবার থেকে আমি বেশি পরিশ্রম করেছি, তা না, কিন্তু আমার সহবর্ত্তী ঈশ্বরের অনুগ্রহই করেছে;
and by the grace of God I am what I am, and His grace that [is] toward me did not come in vain, but I labored more abundantly than they all, yet not I, but the grace of God that [is] with me;
11 ১১ অতএব আমি হই, আর তাঁরাই হোন, আমরা এই ভাবে প্রচার করি এবং তোমরা এই ভাবে বিশ্বাস করেছ।
whether, then, I or they, so we preach, and so you believed.
12 ১২ ভাল, খ্রীষ্ট যখন এই বলে প্রচারিত হচ্ছেন যে, তিনি মৃতদের মধ্য থেকে উত্থাপিত হয়েছেন, তখন তোমাদের কেউ কেউ কেমন করে বলছে যে, মৃতদের পুনরুত্থান নেই?
And if Christ is preached, that He has risen out of the dead, how [do] certain among you say that there is no resurrection of [the] dead?
13 ১৩ মৃতদের পুনরুত্থান যদি না হয়, তবে খ্রীষ্টও তো উত্থাপিত হয়নি।
And if there is no resurrection of [the] dead, neither has Christ risen;
14 ১৪ আর খ্রীষ্ট যদি উত্থাপিত না হয়ে থাকেন, তাহলে তো আমাদের প্রচারও বৃথা, তোমাদের বিশ্বাসও বৃথা।
and if Christ has not risen, then our preaching [is] void, and your faith [is] also void,
15 ১৫ আবার আমরা যে ঈশ্বরের সম্বন্ধে মিথ্যা সাক্ষী, এটাই প্রকাশ পাচ্ছে; কারণ আমরা ঈশ্বরের বিষয়ে এই সাক্ষ্য দিয়েছি যে, তিনি খ্রীষ্টকে উত্থাপন করেছেন; কিন্তু যদি মৃতদের উত্থাপন না হয়, তাহলে তিনি তাঁকে উত্থাপন করেননি।
and we are also found [to be] false witnesses of God, because we testified of God that He raised up the Christ, whom He did not raise if then dead persons do not rise;
16 ১৬ কারণ মৃতদের উত্থাপন যদি না হয়, তবে খ্রীষ্টও উত্থাপিত হননি।
for if dead persons do not rise, neither has Christ risen,
17 ১৭ আর খ্রীষ্ট যদি উত্থাপিত হয়ে না থাকেন, তাহলে তোমাদের বিশ্বাস মিথ্যা, এখন তোমরা নিজের নিজের পাপে রয়েছ।
and if Christ has not risen, your faith is vain, you are yet in your sins;
18 ১৮ সুতরাং যারা খ্রীষ্টে মারা গিয়েছে, তারাও বিনষ্ট হয়েছে।
then, also, those having fallen asleep in Christ perished;
19 ১৯ শুধু এই জীবনে যদি খ্রীষ্টে দয়ার প্রত্যাশা করে থাকি, তবে আমরা সব মানুষের মধ্যে বেশি দুর্ভাগা।
if we only have hope in Christ in this life, we are to be most pitied of all men.
20 ২০ কিন্তু বাস্তবিক খ্রীষ্ট মৃতদের মধ্য থেকে উত্থাপিত হয়েছেন, তিনি মৃতদের অগ্রিমাংশ।
And now, Christ has risen out of the dead—He became the first-fruits of those sleeping,
21 ২১ কারণ মানুষের মাধ্যমে যেমন মৃত্যু এসেছে, তেমন আবার মানুষের মাধ্যমে মৃতদের পুনরুত্থান এসেছে।
for since through man [is] death, also through Man [is] a resurrection of the dead,
22 ২২ কারণ আদমে যেমন সবাই মরে, তেমনি আবার খ্রীষ্টেই সবাই জীবনপ্রাপ্ত হবে।
for even as in Adam all die, so also in the Christ all will be made alive,
23 ২৩ কিন্তু প্রত্যেক জন নিজের নিজের শ্রেণীতে; খ্রীষ্ট অগ্রিমাংশ, পরে খ্রীষ্টের লোক সব তাঁর আগমন কালে।
and each in his proper order: Christ, a first-fruit, afterward those who are the Christ’s in His coming,
24 ২৪ তারপরে পরিণাম হবে; তখন তিনি সব আধিপত্য, সব কর্তৃত্ব এবং পরাক্রম কে পরাস্ত করলে পর পিতা ঈশ্বরের হাতে রাজত্ব সমর্পণ করবেন।
then—the end, when He may deliver up the kingdom to God, even the Father, when He may have made all rule useless, and all authority and power.
25 ২৫ কারণ যত দিন না তিনি “সব শত্রুকে তাঁর পদতলে না রাখবেন,” তাঁকে রাজত্ব করতেই হবে।
For it is necessary for Him to reign until He may have put all the enemies under His feet.
26 ২৬ শেষ শত্রু যে মৃত্যু, সেও বিলুপ্ত হবে।
The last enemy is done away with—death.
27 ২৭ কারণ “ঈশ্বর সবই বশীভূত করে তাঁর পদতলে রাখলেন।” কিন্তু যখন তিনি বলেন যে, সবই বশীভূত করা হয়েছে, তখন স্পষ্ট দেখা যায়, যিনি সবই তাঁর বশীভূত করলেন, তাঁকে বাদ দেওয়া হল।
For He put all things under His feet, and when one may say that all things have been subjected, [it is] evident that He is excepted who subjected all things to Him,
28 ২৮ আর সবই তাঁর বশীভূত করা হলে পর পুত্র নিজেও তাঁর বশীভূত হবেন, যিনি সবই তাঁর নিয়ন্ত্রণে রেখেছিলেন; যেন ঈশ্বরই সর্বেসর্বা হন।
and when all things may be subjected to Him, then also the Son Himself will be subject to Him, who subjected to Him all things, that God may be the all in all.
29 ২৯ অথবা, মৃতদের জন্য যারা বাপ্তিষ্ম নেয়, তারা কি করবে? মৃতেরা যদি একেবারেই উত্থাপিত না হয়, তাহলে ওদের জন্য তারা আবার কেন বাপ্তিষ্ম নেবে?
Seeing what will they do who are immersed for the dead, if the dead do not rise at all? Why are they also immersed for the dead?
30 ৩০ আর আমরাই কেন ঘন্টায় ঘন্টায় বিপদের মধ্যে পড়ি?
Why do we also stand in peril every hour?
31 ৩১ ভাইয়েরা এবং বোনেরা, আমাদের প্রভু খ্রীষ্ট যীশুতে তোমাদের বিষয়ে আমার যে গর্ব, তার দোহাই দিয়ে বলছি, আমি প্রতিদিন মারা যাচ্ছি।
I die every day, by the glorying of you that I have in Christ Jesus our Lord.
32 ৩২ ইফিষে পশুদের মত লোকেদের সাথে যে যুদ্ধ করেছি, তা যদি মানুষের মত করে থাকি, তবে তাতে আমার কি লাভ হবে? মৃতেরা যদি উত্থাপিত না হয়, যেমন পবিত্র শাস্ত্রে লেখা আছে, তবে “এস, আমরা খাওয়া দাওয়া করি, কারণ কাল মারা যাব।”
If I fought with wild beasts in Ephesus after the manner of a man, what [is] the advantage to me if the dead do not rise? Let us eat and drink, for tomorrow we die!
33 ৩৩ ভ্রান্ত হয়ো না, কুসংস্কার শিষ্টাচার নষ্ট করে।
Do not be led astray; evil communications corrupt good manners;
34 ৩৪ ধার্মিক হবার জন্য চেতনায় ফিরে এস, পাপ কর না, কারণ কার কার ঈশ্বর-জ্ঞান নেই; আমি তোমাদের লজ্জার জন্য এই কথা বলছি।
wake up, as is right, and do not sin; for some have an ignorance of God; I say [it] to you for shame.
35 ৩৫ কিন্তু কেউ বলবে, মৃতরা কিভাবে উত্থাপিত হয়? কিভাবে বা দেহে আসে?
But someone will say, “How do the dead rise?”
36 ৩৬ হে নির্বোধ, তুমি নিজে যা বোনো, তা না মরলে জীবিত করা যায় না।
Unwise! You—what you sow is not quickened except it may die;
37 ৩৭ আর যা বোনো, যে মৃতদেহ উৎপন্ন হবে, তুমি তাহা বোনো না; বরং গমেরই হোক, কি অন্য কোন কিছুরই হোক, বীজমাত্র বুনছ;
and that which you sow, you do not sow the body that will be, but a bare grain, it may be of wheat, or of someone of the others,
38 ৩৮ আর ঈশ্বর তাকে যে দেহ দিতে ইচ্ছা করলেন, তাই দেন; আর তিনি প্রত্যেক বীজকে তার নিজের মৃত দেহ দেন।
and God gives a body to it according as He willed, and its proper body to each of the seeds.
39 ৩৯ সকল মাংস এক ধরনের মাংস না; কিন্তু মানুষের এক ধরনের, পশুর মাংস অন্য ধরনের, পাখির মাংস অন্য ধরনের, ও মাছের অন্য ধরনের।
All flesh [is] not the same flesh, but there is one flesh of men, and another flesh of beasts, and another of fishes, and another of birds;
40 ৪০ আর স্বর্গীয় দেহ আছে, ও পার্থিব মৃতদেহ আছে; কিন্তু স্বর্গীয় দেহগুলির এক প্রকার তেজ, ও পার্থিব দেহগুলির অন্য ধরনের।
and [there are] heavenly bodies and earthly bodies; but one [is] the glory of the heavenly, and another that of the earthly;
41 ৪১ সূর্য্যের এক প্রকার তেজ, চন্দ্রের আর এক ধরনের তেজ, ও নক্ষত্রদের আর এক প্রকার তেজ; কারণ তেজ সম্বন্ধে একটি নক্ষত্র থেকে অন্য নক্ষত্র ভিন্ন।
one glory of sun, and another glory of moon, and another glory of stars, for star differs from star in glory.
42 ৪২ মৃতদের পুনরুত্থানও সেই রকম। ক্ষয়ে বোনা যায়, অক্ষয়তায় উত্থাপন করা হয়;
So also [is] the resurrection of the dead: it is sown in corruption, it is raised in incorruption;
43 ৪৩ অনাদরে বোনা যায়, গৌরবে উত্থাপন করা হয়; দুর্বলতায় বোনা যায়, শক্তিতে উত্থাপন করা হয়;
it is sown in dishonor, it is raised in glory; it is sown in weakness, it is raised in power;
44 ৪৪ প্রাণিক দেহ বোনা যায়, আত্মিক দেহ উত্থাপন করা হয়। যখন মৃতদেহ আছে, তখন আত্মিক দেহও আছে।
it is sown a natural body, it is raised a spiritual body; there is a natural body, and there is a spiritual body;
45 ৪৫ এই ভাবে পবিত্র শাস্ত্রে লেখাও আছে, প্রথম “মানুষ” আদম “সজীব প্রাণী হল,” শেষ আদম জীবনদায়ক আত্মা হলেন।
so also it has been written: “The first man Adam became a living creature,” the last Adam [is] for a life-giving spirit,
46 ৪৬ কিন্তু যা আত্মিক, তা প্রথম না, বরং যা প্রাণিক, তাই প্রথম; যা আত্মিক তা পরে।
but that which is spiritual [is] not first, but that which [was] natural, afterward that which [is] spiritual.
47 ৪৭ প্রথম মানুষ পৃথিবীর ধূলো থেকে, দ্বিতীয় মানুষ স্বর্গ থেকে।
The first man [is] out of the earth—earthly; the second Man [is] the LORD out of Heaven;
48 ৪৮ মাটির ব্যক্তিরা যে মাটির মত এবং স্বর্গীয় ব্যক্তিরা সেই স্বর্গীয়ের মত।
as [is] the earthly, such [are] also the earthly; and as [is] the heavenly, such [are] also the heavenly;
49 ৪৯ আর আমরা যেমন সেই মাটির প্রতিমূর্ত্তি ধারণ করেছি, তেমনি সেই স্বর্গীয় ব্যক্তির প্রতিমূর্ত্তিও ধারণ করব।
and according as we bore the image of the earthly, we will also bear the image of the heavenly.
50 ৫০ আমি এই বলি, ভাইয়েরা এবং বোনেরা, রক্তমাংস ও মাংস ঈশ্বরের রাজ্যের অধিকারী হতে পারে না; এবং ক্ষয় অক্ষয়তার অধিকারী হয় না।
And this I say, brothers, that flesh and blood are not able to inherit the Kingdom of God, nor does the corruption inherit the incorruption.
51 ৫১ দেখ, আমি তোমাদেরকে এক গুপ্ত সত্য বলি; আমরা সবাই মারা যাব না, কিন্তু সবাই রূপান্তরীকৃত হব;
Behold, I tell you a secret: we indeed will not all sleep, but we will all be changed;
52 ৫২ এক মুহূর্তের মধ্যে, চোখের পলকে, শেষ তুরী ধ্বনি হবে; কারণ তুরী বাজবে, তাতে মৃতের অক্ষয় হয়ে উত্থাপিত হবে এবং আমরা রূপান্তরীকৃত হব।
in a moment, in the twinkling of an eye, in the last trumpet, for it will sound, and the dead will be raised incorruptible, and we will be changed;
53 ৫৩ কারণ এই ক্ষয়ণীয়কে অক্ষয়তা পরিধান করতে হবে এবং এই মর্ত্ত্যকে অমরতা পরিধান করতে হবে।
for it is necessary for this corruptible to put on incorruption, and this mortal to put on immortality;
54 ৫৪ আর এই ক্ষয়ণীয় যখন অক্ষয়তা পরিহিত হবে এবং এই মর্ত্ত্য যখন অমরতা পরিহিত হবে, তখন এই যে কথা পবিত্র শাস্ত্রে লেখা আছে, তা সফল হবে,
and when this corruptible may have put on incorruption, and this mortal may have put on immortality, then will be brought to pass the word that has been written: “Death was swallowed up—to victory;
55 ৫৫ “মৃত্যু জয়ে কবলিত হল।” “মৃত্যু, তোমার জয় কোথায়? মৃত্যু, তোমার হুল কোথায়?” (Hadēs )
Where, O Death, your sting? Where, O Death [[or Hades]], your victory?” (Hadēs )
56 ৫৬ মৃত্যুর হুল হল পাপ, ও পাপের শক্তি হলো নিয়ম।
And the sting of death [is] sin, and the power of sin the Law;
57 ৫৭ কিন্তু ঈশ্বরের ধন্যবাদ হোক, তিনি আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্টের মাধ্যমে আমাদেরকে জয় প্রদান করেন।
and to God—thanks, to Him who is giving us the victory through our Lord Jesus Christ;
58 ৫৮ অতএব, হে আমার প্রিয় ভাইয়েরা এবং বোনেরা, সুস্থির হও, নিশ্চল হও, প্রভুর কাজে সবদিন উপচিয়ে পড়, কারণ তোমরা জান যে, প্রভুতে তোমাদের পরিশ্রম নিষ্ফল না।
so that, my beloved brothers, become steadfast, unmovable, abounding in the work of the LORD at all times, knowing that your labor in the LORD is not vain.