< বংশাবলির প্রথম খণ্ড 14 >
1 ১ পরে সোরের রাজা হীরম দায়ূদের কাছে কয়েকজন লোক পাঠালেন, তাদের সঙ্গে পাঠালেন দায়ূদের জন্য রাজবাড়ী তৈরী করবার উদ্দেশ্যে তার কাছে এরস কাঠ, রাজমিস্ত্রি ও ছুতার মিস্ত্রি।
ইত্যবসরে সোরের রাজা হীরম দাউদের জন্য একটি রাজপ্রাসাদ তৈরি করার লক্ষ্যে দেবদারু কাঠের গুঁড়ি, পাথর-মিস্ত্রি ও ছুতোরমিস্ত্রি সমেত কয়েকজন দূতকে তাঁর কাছে পাঠিয়ে দিলেন।
2 ২ তখন দায়ূদ বুঝতে পারলেন যে, সদাপ্রভু ইস্রায়েলের উপর তাঁর রাজপদ স্থির করেছেন এবং তাঁর লোকদের, অর্থাৎ ইস্রায়েলীয়দের জন্য তাঁর রাজ্যের অনেক উন্নতি করেছেন।
আর দাউদ বুঝতে পেরেছিলেন যে সদাপ্রভু ইস্রায়েলের উপর তাঁর রাজপদ স্থির করেছেন এবং তাঁর প্রজা ইস্রায়েলের জন্য তাঁর রাজ্য যথেষ্ট উন্নতি লাভ করেছে।
3 ৩ দায়ূদ যিরূশালেমে আরও স্ত্রী গ্রহণ করলেন এবং তাঁর আরও ছেলেমেয়ের জন্ম হল।
জেরুশালেমে গিয়ে দাউদ আরও কয়েকজন মহিলাকে বিয়ে করলেন ও আরও অনেক ছেলেমেয়ের বাবা হলেন।
4 ৪ যিরূশালেমে তাঁর যে সব সন্তানের জন্ম হয়েছিল তাদের নাম হল শম্মূয়, শোবব, নাথন, শলোমন,
সেখানে তাঁর যেসব সন্তানের জন্ম হল, তাদের নাম হল: শম্মূয়, শোবব, নাথন, শলোমন,
5 ৫ যিভর, ইলীশূয়, ইল্পেলট,
যিভর, ইলীশূয়, এলফেলেট,
7 ৭ ইলীশামা, বীলিয়াদা ও ইলীফেলট।
ইলীশামা, বীলিয়াদা ও ইলীফেলট।
8 ৮ পলেষ্টীয়েরা যখন শুনতে পেল যে, গোটা ইস্রায়েলের উপরে দায়ূদকে রাজপদে অভিষেক করা হয়েছে তখন তারা সমস্ত সৈন্য নিয়ে তাঁর খোঁজে বেরিয়ে এল; তা শুনে দায়ূদ তাদের বিরুদ্ধে বের হলেন।
ফিলিস্তিনীরা যখন শুনতে পেয়েছিল দাউদ সমস্ত ইস্রায়েলের উপর রাজারূপে অভিষিক্ত হয়েছেন, তখন সর্বশক্তি প্রয়োগ করে তারা তাঁকে খুঁজতে শুরু করল, কিন্তু দাউদ সেকথা শুনে তাদের সম্মুখীন হওয়ার জন্য ছুটে গেলেন।
9 ৯ পলেষ্টীয়েরা এসে রফায়ীম উপত্যকায় ছড়িয়ে পড়ল।
ইত্যবসরে ফিলিস্তিনীরা এসে রফায়ীম উপত্যকায় হানা দিয়েছিল;
10 ১০ তখন দায়ূদ ঈশ্বরকে জিজ্ঞাসা করলেন, “আমি কি পলেষ্টীয়দের আক্রমণ করব? তুমি কি আমার হাতে তাদের তুলে দেবে?” উত্তরে সদাপ্রভু বললেন, “যাও, তাদের আমি তোমার হাতে তুলে দেব।”
তাই দাউদ ঈশ্বরের কাছে জানতে চেয়েছিলেন: “আমি কি গিয়ে ফিলিস্তিনীদের আক্রমণ করব? তুমি কি আমার হাতে তাদের সমর্পণ করবে?” সদাপ্রভু তাঁকে উত্তর দিলেন, “যাও, তাদের আমি তোমার হাতে সমর্পণ করব।”
11 ১১ তখন দায়ূদ ও তাঁর লোকেরা বাল্ পরাসীমে গিয়ে তাদের হারিয়ে দিলেন। দায়ূদ বললেন, “ঈশ্বর জলের বাঁধ ভাঙার মত আমার হাত দিয়ে আমার শত্রুদের ভেঙে ফেললেন।” এইজন্যই সেই জায়গার নাম বাল্ পরাসীম [ভাঙ্গা জায়গা] রাখা হল।
তখন দাউদ ও তাঁর লোকজন বায়াল-পরাসীমে উঠে গেলেন, ও সেখানে তিনি তাদের পরাজিত করলেন। তিনি বললেন, “জল যেভাবে বাঁধ ভেঙে বের হয়ে আসে, ঈশ্বরও সেভাবে আমার হাত দিয়ে আমার শত্রুদের ভেঙে দিয়েছেন।” তাই সেই স্থানটির নাম দেওয়া হল বায়াল-পরাসীম।
12 ১২ পলেষ্টীয়েরা তাদের দেবমূর্তিগুলো সেখানে ফেলে গিয়েছিল। দায়ূদের হুকুমে লোকেরা সেগুলো আগুনে পুড়িয়ে দিল।
ফিলিস্তিনীরা সেখানে তাদের দেবতাদের মূর্তিগুলি ফেলে রেখে গেল, এবং দাউদ সেগুলি আগুনে পুড়িয়ে দেওয়ার আদেশ দিলেন।
13 ১৩ পলেষ্টীয়েরা আবার এসে সেই উপত্যকায় ছড়িয়ে পড়ল।
আরও একবার ফিলিস্তিনীরা সেই উপত্যকায় হানা দিয়েছিল;
14 ১৪ তখন দায়ূদ আবার ঈশ্বরের কাছে জিজ্ঞাসা করলেন, আর উত্তরে ঈশ্বর তাঁকে বললেন, “তোমরা সোজাসুজি তাদের দিকে যেয়ো না, বরং তাদের পিছন দিক থেকে বাঁকা গাছগুলোর সামনে তাদের আক্রমণ কর।
তাই দাউদ আবার ঈশ্বরের কাছে জানতে চেয়েছিলেন, এবং ঈশ্বর তাঁকে উত্তর দিলেন, “তুমি সরাসরি তাদের দিকে যেয়ো না, বরং চারপাশ থেকে তাদের ঘিরে ধরে সেই চিনার গাছগুলির সামনে গিয়ে তাদের আক্রমণ করো।
15 ১৫ বাঁকা গাছগুলোর মাথায় যখন তুমি সৈন্যদলের চলবার মত শব্দ শুনবে তখনই তুমি যুদ্ধের জন্য বেরিয়ে পড়বে, এর মানে হল, পলেষ্টীয় সৈন্যদের আঘাত করবার জন্য ঈশ্বর তোমার আগে আগে গেছেন।”
চিনার গাছগুলির মাথায় যেই না তুমি কুচকাওয়াজের শব্দ শুনবে, তৎক্ষণাৎ যুদ্ধ-অভিযান চালাবে, কারণ এর অর্থ হল এই যে ফিলিস্তিনী সৈন্যদলকে যন্ত্রণা করার জন্য তোমার আগেই ঈশ্বর স্বয়ং এগিয়ে গিয়েছেন।”
16 ১৬ ঈশ্বরের আদেশ মতই দায়ূদ কাজ করলেন; তারা গিবিয়োন থেকে গেষর পর্যন্ত সমস্ত পথে পলেষ্টীয় সৈন্যদেরকে আঘাত করল।
অতএব দাউদ ঈশ্বরের আদেশানুসারেই কাজ করলেন, এবং তারা সেই ফিলিস্তিনী সৈন্যদলকে একেবারে সেই গিবিয়োন থেকে গেষর পর্যন্ত যন্ত্রণা করে ফেলে দিলেন।
17 ১৭ এই ভাবে দায়ূদের সুনাম সব দেশে ছড়িয়ে পড়ল, আর সদাপ্রভু সব জাতির মধ্যে তাঁর সম্বন্ধে একটা ভয়ের ভাব জাগিয়ে দিলেন।
এইভাবে দাউদের সুনাম প্রত্যেকটি দেশে ছড়িয়ে পড়েছিল, এবং সদাপ্রভু সব জাতির মনে দাউদের সম্বন্ধে এক ভয়ভাব উৎপন্ন করলেন।